Thursday, October 8, 2015

পুদিনা পাতা / Mentha

Mentha (এছাড়াও গ্রিক míntha থেকে, পুদিনা হিসাবে পরিচিত, লিনিয়ার বি মা-Ta  পারিবারিক Lamiaceae (মিন্ট পরিবার) গাছের একটি মহাজাতি৷ প্রজাতির পরিষ্কারভাবে স্বতন্ত্র নয়, এবং আনুমানিক তাদের সংখ্যা 13 প্রজাতির মধ্যে কিছু সংকরায়ণ 18 থেকে পরিবর্তিত হতে প্রাকৃতিকভাবে ঘটে৷ অন্য অনেক হাইব্রিড, সেইসাথে অনেক প্রজাতি, চাষ হিসাবে পরিচিত হয়৷
পুদিনা এক প্রকারের গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ। এর পাতা সুগন্ধি হিসাবে
রান্নায় ব্যবহার করা হয়। অন্যান্য স্থানীয় নামঃ Mint, nanaএর বৈজ্ঞানিক নামঃ Mentha spicata এটি Lamiaceae পরিবারের অন্তর্গত।
পুদিনা পাতা প্রাচীনকাল থেকেই বেশ জনপ্রিয় ওষুধ হিসেবে পরিচিত। বহু রোগের আরোগ্যে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। পুদিনা পাতা এক ধরনের সুগন্ধি গাছ। এই গাছের পাতা তরি-তরকারির সঙ্গে সুগন্ধি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। বিশ্বের অনেক দেশেই পুদিনার গাছ জন্মে। এর পাতা সুগন্ধি হিসেবে রান্নায় ব্যবহার করা হয়।
পুষ্টি তথ্য
মেন্থল
2 tbsp প্রতি পরিমাণ (3.2 গ্রাম)
ক্যালরি 2
% দৈনিক মূল্য*
মোট ফ্যাট 0 গ্রাম 0%
স্যাচুরেটেড ফ্যাট 0 গ্রাম 0%
Polyunsaturated চর্বি 0 গ্রাম
Monounsaturated চর্বি 0 গ্রাম
কলেস্টেরল 0 গ্রা 0%
সোডিয়াম 1 মিলিগ্রাম 0%
পটাসিয়াম 18 মিলিগ্রাম 0%
মোট কার্বোহাইড্রেট 0.5 গ্রাম 0%

খাদ্যতালিকাগত ফাইবার 0.3 গ্রাম 1%
প্রোটিন 0.1 গ্রাম 0%
ভিটামিন '' 2% ভিটামিন সি 1%
ক্যালসিয়াম 0% আয়রন 1%
ভিটামিন ডি 0% ভিটামিন বি 6 0%
ভিটামিন বি 12 0% 0% ম্যাগনেসিয়াম
* শতাংশ দৈনিক মূল্যবোধ একটি 2,000 ক্যালোরি খাদ্যের উপর ভিত্তি করে৷ আপনার দৈনন্দিন মান আপনার ক্যালোরি চাহিদার উপর নির্ভর করে কম বা বেশি হতে পারে৷
পেটের পীড়ায় : এটি ইরেটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোম (আইবিএস) এবং দীর্ঘস্থায়ী বদহজমের বিরুদ্ধে খুবই কার্যকর। এছাড়াও পুদিনা কোলনের পেশি সঙ্কোচন নিয়ন্ত্রণ করে।
অ্যাজমা : পুদিনায় রোজমেরিক এসিড নামের এক ধরনের উপাদান থাকে। এটি প্রাকপ্রদাহী পদার্থ তৈরিতে বাধা দেয়। ফলে অ্যাজমা হয় না। এছাড়াও এ ঔষধি প্রোস্টসাইক্লিন তৈরিতে বাধা দেয়। তাতে শাসনালী পরিষ্কার থাকে।
এন্টিক্যান্সার : পুদিনায় আছে মনোটারপিন নামক উপাদান। যা স্তন, লিভার এবং প্যানক্রিয়াসের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। নিয়মিত খেলে ফুসফুস, কোলন এবং ত্বকের ক্যান্সার থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
পুদিনার ভেষজগুণ
পুদিনা খুবই উপকারী একটি উদ্ভিদ। আমাদের শরীরের নানা রোগ প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। মুখের স্বাদ বাড়াতেও এটি খুব কার্যকর। আরও যেসব ক্ষেত্রে পুদিনার পাতা ব্যবহার করা যায়, তা হলো :

১. পুদিনার তাজা পাতা পিষে মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর যদি তা ধুয়ে ফেলা যায়, তাহলে মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর হয়ে যায়। ব্রণ ওঠাও বন্ধ হয়।
২. পুদিনার পাতা পিষে রস করে তার ভেতর দু’তিন ফোঁটা লেবুর রস দিয়ে তা পান করলে ক্লান্তিভাবও দূর হয়।
৩. কোনো কারণে কোনো ব্যক্তি অজ্ঞান হয়ে পড়লে তার নাকের কাছে কিছু তাজা পুদিনা পাতা ধরুন। দেখবেন, লোকটি জ্ঞান ফিরে পেয়েছে।
৪. পুদিনার পাতা ভালো করে পিষে তার রস ভালো করে মাথায় ব্যবহার করুন। যাদের চুলে উকুন আছে তারা খুব উপকার পাবেন।
৫. শরীরের ব্যথা দূর করতে পুদিনা পাতার চা খুব কাজে দেয়।
৬. মাথা ও পেট ব্যথা নিরাময়েও পুদিনার পাতা খুব উপকারী।
৭. যাদের মাঝে মধ্যে হেঁচকি ওঠে, তারা পুদিনা পাতার সঙ্গে গোল মরিচ পিষে তা ছেঁকে নিয়ে রসটুকু পান করুন। দেখবেন হেঁচকি বন্ধ হয়ে গেছে।
পুদিনা পাতার অসাধারণ গুণাবলী
প্রাচীনকাল থেকেই ঔষধি হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে পুদিনা। ঔষধের পাশাপাশি খাদ্য ও রূপচর্চার উপাদান হিসেবেও ব্যবহৃত হয়ে থাকে পুতিনা পাতা। আর যত দিন যাচ্ছে তত গবেষণা হচ্ছে পুদিনা ও পুদিনার মতো ভেষজ উদ্ভিদ নিয়ে, আর ততই মানুষ জানছে এর গুণাগুণ সম্পর্কে।

*রোদে পোড়া ত্বকের জ্বালাপোড়া কমাতে পুদিনা পাতার রস ও অ্যালোভেরার রস একসাথে মিশিয়ে ত্বকে লাগান। পনেরো মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
*আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি যে পুদিনা পাতা ক্যান্সার প্রতিরোধের ক্ষমতা রাখে। পুদিনা পাতার পেরিলেল অ্যালকোহল যা ফাইটোনিউরিয়েন্টসের একটি উপাদান দেহে ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধিতে বাঁধা প্রদান করে।
*ব্রণ দূর করতে ও ত্বকের তৈলাক্তভাব কমাতে তাজা পুদিনাপাতা বেটে ত্বকে লাগান। দশ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। ব্রণের দাগ দূর করতে প্রতিদিন রাতে পুদিনা পাতার রস আক্রান্ত স্থানে লাগান। সম্ভব হলে সারারাত রাখুন। নতুন কমপক্ষে ২/৩ ঘণ্টা। তারপর ধুয়ে ফেলুন। মাস খানেকের মাঝেই দাগ দূর হবে।
*পুদিনার শেকড়ের রস উকুননাশক হিসেবে খুবই কার্যকরী, এমনকি পাতাও। পুদিনার পাতা বা শেকড়ের রস চুলের গোড়ায় লাগান। এরপর একটি পাতলা কাপড় মাথায় পেঁচিয়ে রাখুন। এক ঘণ্টা পর চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত দু বার এটা করুন। এক মাসের মধ্য চুল হবে উকুনমুক্ত।
*পুদিনা পাতার রস শ্বাস-প্রশ্বাসের নালী খুলে দেয়ার কাজে সহায়তা করে। ফলে যারা অ্যাজমা এবং কাশির সমস্যায় পড়েন তাদের সমস্যা তাৎক্ষণিক উপশমে পুদিনা পাতা বেশ কার্যকরী। খুব বেশি নিঃশ্বাসের এবং কাশির সমস্যায় পড়লে পুদিনা পাতা গরম পানিতে ফুটিয়ে সেই পানির ভাপ নিন এবং তা দিয়ে গার্গল করার অভ্যাস তৈরি করুন।
*গোলাপ, পুদিনা, আমলা, বাঁধাকপি ও শশার নির্যাস একসাথে মিশিয়ে টোনার তৈরি করে মুখে লাগালে তা ত্বককে মসৃণ করে তোলে।
*পুদিনা পাতায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইটোনিউট্রিয়েন্টসের চমৎকারী গুনাগুণ যা পেটের যে কোনো সমস্যার সমাধান করতে পারে খুব দ্রুত। যারা হজমের সমস্যা এবং পেটের ব্যথা কিংবা পেটের অন্যান্য সমস্যায় ভুগে থাকেন তারা খাবার পর ১ কাপ পুদিনা পাতার চা খাওয়ার অভ্যাস করুন। ৬/৭টি তাজা পুদিনা পাতা গরম পানিতে ফুটিয়ে মধু মিশিয়ে খুব সহজে পুদিনা পাতার চা তৈরি করতে পারেন ঘরে।
*শরীর ঠাণ্ডা রাখার একটি বিশেষ গুণ পুদিনার মধ্যে আছে। গোসলের কিছুক্ষণ আগে পানির মধ্যে কিছু পুদিনা পাতা ফেলে রাখুন। সেই পানিতে গোসল করলে শরীর ও মন চাঙ্গা থাকে। এ ছাড়া কয়েক ফোটা পুদিনার তেল পানির মধ্যে মিশিয়েও গোসল করতে পারেন।

*পুদিনা ত্বকের যে কোনো সংক্রমণকে ঠেকাতে অ্যান্টিবায়োটিকের কাজ করে। শুকনো পুদিনা পাতা ফুটিয়ে পুদিনার পানি তৈরি করে ফ্রিজে রেখে দিন। এক বালতি পানিতে দশ থেকে পনেরো চামচ পুদিনার পানি মিশিয়ে গোসল করুন। এর ফলে গরমকালে শরীরে ব্যাকটেরিয়া জনিত বিশ্রী দুর্গন্ধের হাত থেকে রেহাই পাবেন, কেননা পুদিনার অ্যাস্ট্রিঞ্জেন্ট গুণ অতুলনীয়। ঘামাচি, অ্যালার্জিও হবে না।
*পুদিনা পাতার রস তাৎক্ষণিক ব্যথানাশক উপাদান হিসেবে কাজ করে। পুদিনা পাতার রস চামড়ার ভেতর দিয়ে নার্ভে পৌঁছে নার্ভ শান্ত করতে সহায়তা করে। তাই মাথা ব্যথা বা জয়েন্টে ব্যথা উপশমে পুদিনা পাতা ব্যবহার করা যায়। মাথা ব্যথা হলে পুদিনা পাতার চা পান করতে পারেন। অথবা তাজা কিছু পুদিনা পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন। জয়েন্টে ব্যথায় পুদিনা পাতা বেটে প্রলেপ দিতে পারেন।
পুদিনা পাতাকে সাধারণত আমরা শুধুমাত্র রান্নার স্বাদ বাড়ানোর কাজেই ব্যবহার করে থাকি, অন্য কোনো কাজে আমরা পুদিনা পাতা ব্যবহার করি না। কিন্তু এই পুদিনা পাতা আমাদের দেহের জন্য অত্যন্ত ভালো একটি উপাদান।
পুদিনা পাতা এবং মধু মাস্ক

পুদিনা পাতায় রয়েছে ঠান্ডা ভাব বা মিন্ট বৈশিষ্ট যা ক্লান্তিকর চোখকে সতেজ রাখতে সাহায্য করবে। এছাড়াও এই পুদিনা পাতায় রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট এবং এন্টি-ইনফ্লাম্যাটরি বৈশিষ্ট যা নিমিষেই ডার্ক সার্কেল কমাতে সাহায্য করবে।
একমুঠ পুদিনা পাতা পিশিয়ে নিন এবং এতে একটেবিল চামচ মধু মিশিয়ে নিন।
এইবার মিশ্রনটি চোখের চারপাশে লাগিয়ে নিন।
লাগানোর পর ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন।
১৫ মিনিট পর পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে এই মিশ্রনটি ব্যাবহার করুন। যা দ্রুত ডার্ক সার্কেল দূর করবে।
বরফ মিশ্রিত মাঠা ও পুদিনা পাতা

বরফ মিশ্রিত মাঠা : এটি রোজায় অন্যতম একটি স্বাস্থ্যকর পানীয় যা গরমের মাঝে শুধু তৃষ্ণাই পূরণ করবে না সেই সঙ্গে শরীরের জন্য খুব উপকারী। দইয়ের সঙ্গে এক চিমটি লবণ, কিছু শুকনো বা তাজা পুদিনা পাতা, সামান্য মধু ও তার সঙ্গে চাইলে স্ট্রবেরি বা যেকোনো বেরী ফল বরফ দিয়ে ব্লেন্ড করে ইফতারের সময় পান করুন।
দইয়ের লাচ্ছি ও পুদিনা পাতার রস

দইয়ের লাচ্ছি : এটি উচ্চ প্রবায়োটিক (ভালো ব্যাকটেরিয়া), অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ইলেক্ট্রোলাইট সমৃদ্ধ। এটি শরীরকে পানিশূন্যতা ও গরমের বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। এক কাপ দই  ৫/৬টি তাজা পুদিনা পাতা, এক কাপ পানি, সামান্য জিরা, সামান্য আদা কুচি করে কেটে এবং এক চিমটি লবণ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে পান করুন।
লেবু ও পুদিনা পাতার জুস

লেবু ও পুদিনা পাতার জুস : রোজার মাসে গরমের তাপ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এটি খুব ভালো পানীয়। এক গ্লাস পানিতে কিছু পুদিনা পাতা ও লেবুর টুকরো নিয়ে ১৫ মিনিট ফুটিয়ে নিয়ে ঠাণ্ডা করে সামান্য মধু মিশিয়ে খেতে হবে।
শশা কমলা ও সামান্য পুদিনা পাতা

টক পানীয় : যদিও একটু কটু স্বাদযুক্ত কিন্তু এটা উচ্চ ভিটামিন সিসমৃদ্ধ খুবই স্বাস্থ্যকর একটি পানীয়। এই পানীয়টির অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণাগুণের জন্য এটি খেলে গরমে র‌্যাশ হওয়ার সম্ভাবনা থেকে বাঁচা যায়। এক গ্লাস পানিতে কিছু শশার স্লাইস, কমলার স্লাইস এবং সামান্য পুদিনা পাতা দিয়ে তৈরি করতে হবে এটা।
বোরহানি
উপকরণ

মিষ্টি দই - ২ কাপ, টক দই - ২ কেজি, কাঁচা মরিচ কাটা - ২ চা চামচ, পুদিনা পাতা বাটা - ২ চা চামচ, সরিষা বাটা - ২ চা চামচ, বিট লবণ - ২ চা চামচ, পানি পরিমাণমতো (পাতলা বা ঘন যেমনটি করতে চাইবেন), চিনি - ২ টেবিল চামচ, লবণ - ২ চা চামচ, সাদা গোল মরিচের গুঁড়া - ২ চা চামচ।
প্রস্তুত প্রণালী
কাঁচা মরিচ, পুদিনা পাতা, একসাথে বেটে নিন। বিট লবণ পাটায় গুঁড়া করে করে নিন। উপকরণগুলো একসাথে অল্প পানি দিয়ে গুলে দই-এর মধ্য দিন। এবার মিষ্টি দই, টক দইসহ সব উপকরণ ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করুন।
বরফ কুচি ও পুদিনা পাতা দিয়ে ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা পরিবেশন করুন।
কাঁচা আমের রস ও পুদিনা পাতার রস

উপকরণঃ কাঁচা আম কুঁচি ১ কাপ, পানি দেড় থেকে ২ কাপ , চিনি আধা কাপ , কাঁচা মরিচ ১ টা , বিট লবণ ১ চা চামচ , পুদিনা পাতা ১ টেবিল চামচ
লেবু ও পুদিনা পাতা শরবত
উপকরণ : ফ্রেশ লেবু, বিট লবণ, চিনি, গোলমরিচ, পুদিনা পাতা, বরফ কুচি।

প্রস্তুত প্রণালি : লেবু ভালো মতো পরিষ্কার করে কেটে রস বের করে নিন। তাতে মিনারেল পানি, পরিমাণ মতো বিট লবণ, গোলমরিচ, চিনি মিশিয়ে পুদিনা পাতা দিয়ে ২০ মিনিট ফ্রিজে রেখে দিন। ২০ মিনিট পর ফ্রিজ থেকে বের করে বরফ কুচি আর পুদিনা পাতা দিয়ে পরিবেশন করুন।
আদা-পুদিনা চা

উপকরণ: পানি ১ কাপ, চা-পাতা আধা কাপের একটু বেশি, আদা কুচি আধা কাপ, পুদিনাপাতা ৩-৪টি, মধু ৩-৪ ফোঁটা, বিট লবণ ১ চিমটি, চিনি ১ চিমটি (ইচ্ছামতো)
প্রণালি: পানি ফুটে উঠলে আদা কুচি দিয়ে কয়েক মিনিট সেদ্ধ করতে হবে। চা-পাতা দিয়ে রং বের হলে পুদিনাপাতা দিয়ে নেড়ে নামিয়ে নিতে হবে। কাপে বিট লবণ, চিনি ও মধু ঢেলে লিকার মিশিয়ে পরিবেশন করতে হবে।
পুদিনা পাতার চাটনি
উপকরণ:

পুদিনা ৫০ গ্রাম
সাদা সরিষা ১ চা চামচ
রসুন ১টি
তেঁতুলের মাড় ১ টেবিল চামচ
কাঁচামরিচ ৩টি
চিনি ১ টেবিল চামচ
লবণ আধা চা চামচ
বিটলবণ আধা চা চামচ
প্রস্তুত প্রণালী:
পুদিনা/ ধনিয়া ধুয়ে মিহি করে বাটুন।
মরিচ, রসুন, সরিষা মিহি করে বেটে বাকি সব উপকরণ মিশিয়ে নিন।
তেলে ভাজা মচমচে খাবারের সাথে পরিবেশন করুন মজাদার পুদিনা পাতার চাটনি।
আম-পুদিনা চাটনি

উপকরণ:

কাঁচা আম কুচি ১ কাপ, পুদিনা পাতা ১ কাপের ৪ ভাগের ১ ভাগ, ধনেপাতা ১ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ ১টি, চিনি ১ কাপের ৪ ভাগের ১ ভাগ, বিট লবণ আধা চা চামচ, লবণ স্বাদমতো।
যেভাবে তৈরি করবেন
১. ওপরের সব উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ড করে ১ ঘণ্টা ফ্রিজে রেখে দিন।
২. পুরি ও শিঙাড়ার সঙ্গে পরিবেশন করুন।
ধনেপাতা ও পুদিনা চাটনি

উপকরণ:
ধনেপাতা কুচি ১০০ গ্রাম, পুদিনা পাতা কুচি ৫০ গ্রাম, কাঁচা মরিচ কুচি আধা টেবিল চামচ, আদা কুচি ১ চা চামচ, রসুন কুচি ১ চা চামচ, লেবুর রস ২ টেবিল চামচ, বিট লবণ এক চিমটি, লবণ স্বাদমতো, ঠাণ্ডা পানি ২ টেবিল চামচ, চিনি ১ চা চামচ।
যেভাবে তৈরি করবেন:
১. ওপরের সব উপকরণ ব্লেন্ডারে বেন্ড করে মাঝারি ঘনত্বের চাটনি তৈরি করুন।
২. এক ঘণ্টা ফ্রিজে রেখে পরিবেশন করুন।
পুদিনা পাতার চা
তাজা পুদিনা পাতার চা, তা সে গরম কিংবা ঠান্ডাই হোক, মুহুর্তেই চাঙ্গা করে দেবে আপনাকে। হারবাল এই চায়ের অন্যান্য স্বাস্থ্য উপকারিতাতো রয়েছেই। আজকের রেসিপিতে আমি পুদিনা পাতার গরম চা তৈরি করেছি। তবে পুদিনা পাতার চায়ে কোন “চা” পাতা দেয়া হয়নি। পরবর্তিতে কখনো চা পাতার লিকার এবং পুদিনা পাতার
মিশ্রণে তৈরি চায়ের আরেকটি রেসিপি দেয়ার ইচ্ছে রইল।
একই রেসিপিতে বরফ শীতল চা খেতে চাইলে ঠান্ডা করে রেফ্রিজারেটরে রেখে পরে খেতে পারেন। গরমে খুবই আরাম দেবে।
এক কাপ গরম-গরম পুদিনা পাতার চা রাতে ঘুমোতে যাবার আগেও খেতে পারেন। দারুণ লাগবে। পুদিনা পাতা ছাড়াও আপনি স্বাদ অনুযায়ী আরো নানান হারবাল উপকরণ কিংবা মশলা (যেমন- দারুচিনি, লবঙ্গ) মেশাতে পারেন। মধু মেশাতে পারেন মিষ্টি চায়ের জন্য। যাদের ডায়াবেটিস আছে কিংবা চিনি-মধু এড়িয়ে চলেন, তারা চিনির বিকল্প ব্যবহার করতে পারেন।
মরক্কোর একটি বিখ্যাত চা হলো “আতাই চা”। সেটাও তৈরি হয় পুদিনা পাতা দিয়ে। মরক্কোর ঘরে ঘরে অতিথি আপ্যায়নে পুদিনা পাতার চায়ের প্রচলন বহুদিনের।
উপকরণঃ
(২ কাপ চায়ের জন্য)

   ২ কাপ পানি
   দেড় কাপ তাজা পুদিনা পাতা
   ১ চা চামচ লেবুর রস (চাইলে দিতে পারেন)
অথবা
   ২ কাপ পানি
   ১ টেবিল চামচ শুকনা পুদিনা পাতা
   ১ চা চামচ লেবুর রস (চাইলে দিতে পারেন)
প্রস্তুত প্রণালীঃ
তাজা পুদিনা পাতার চা –

পুদিনা পাতা কুচি করে নিন। পানি ফুটিয়ে নিন। পুদিনা পাতা কাপে রেখে ফুটানো গরম পানি ঢালুন। চা পান করার আগে এ অবস্থায় পাতার নির্জাস ছড়ানোর জন্য ৩-৫ মিনিট রেখে দিতে পারেন। চাইলে লেবুর রস মেশাতে পারেন। মিষ্টি চায়ের জন্য মধু/চিনি/বিকল্প চিনি দিতে পারেন। হয়ে গেল পুদিনা পাতার চা।

No comments:

Post a Comment