Monday, December 25, 2017



লাউ শাক
লাউ শাক ফলিক এসিড সমৃদ্ধ খাবার। গর্ভস্থ শিশুর স্পাইনাল কর্ড এবং মস্তিষ্কের বৃদ্ধির জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ফলিক এসিড সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ প্রয়োজন। ফলিক এসিডের অভাবে
গর্ভস্থ শিশুর স্পাইনাল কর্ডের বৃদ্ধি ব্যহত হয়; যার ফলে প্যারালাইসিস, মস্তিষ্ক বিকৃতি অথবা মৃত শিশু জন্মাতে পারে।
লাউ শাক উচ্চ মাত্রার ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ। ভিটামিন-সি ঠাণ্ডা এবং যে কোন ধরনের সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে। লাউ শাকে যথেষ্ট পরিমাণে আঁশ থাকে। লাউ শাকের আঁশ কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করে এবং পাইলস প্রতিরোধে সাহায্য করে।
লাউ শাক বিটা-ক্যারোটিন, লুটেইন এবং জিয়েজ্যান্থিন-এ পরিপূর্ণ। বিটা-ক্যারোটিন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে এবং লুটেইন ও জিয়েজ্যান্থিন চোখের রোগ প্রতিরোধ করে। উচ্চ মাত্রায় ক্যালসিয়াম থাকায় লাউ শাক অস্টিওপোরেসিস এবং অন্যান্য ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত রোগের ঝুঁকি কমায়।
লাউ শাক পটাসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার। পটাসিয়াম কোষের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যা শরীরে তরলের মাত্রা ঠিক রাখে এবং হৃদস্পন্দন ও রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখে। লাউ শাকে ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় যা হাড় শক্ত ও মজবুত করে।
আয়রন সমৃদ্ধ লাউ শাক রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ এবং লোহিত রক্ত কনিকার সংখ্যা বাড়িয়ে রক্ত তৈরিতে সাহায্য করে। এই শাকে ক্যালরি কম থাকে এবং এরা কোলেস্টেরল ও ফ্যাট মুক্ত। তাই এটি ওজন কমাতে ভূমিকা রাখে।
ঘরের মাচায়, ছাদে, উঠানে অনেক জায়গাতেই ছোট পরিসরে লাউ গাছ ও লাউ শাক
জন্মাতে দেখা যায়। দেখতে খুব সাদাসিধে হলেও এর উপকার করার ক্ষমতা কিন্তু অনেক। শাক বলতে লাল শাক, কচু শাক ও পুঁই শাককেই বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়। লাউ গাছের লাউ খেয়েই যেন বাঙালিরা তৃপ্ত। কিন্তু লাউ শাকও যে আমাদের শরীর ও স্বাস্থ্যের উন্নয়নে অপরিসীম ভূমিকা রাখে সে কথাই আজ আপনাদের জানাবো।
প্যারালাইসিস, মস্তিষ্ক বিকৃতি ও মৃত শিশুর জন্ম লাভঃ-
লাউ শাক ফলিক এসিড সমৃদ্ধ খাবার। গর্ভস্থ শিশুর স্পাইনাল কর্ড এবং মস্তিষ্কের বৃদ্ধির জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ফলিক এসিড সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ প্রয়োজন। ফলিক এসিডের অভাবে গর্ভস্থ শিশুর স্পাইনাল কর্ডের বৃদ্ধি ব্যহত হয়; যার ফলে প্যারালাইসিস, মস্তিষ্ক বিকৃতি অথবা মৃত শিশু জন্মাতে পারে।
স্কার্ভি, মাড়ির রোগ এবং সাধারন ঠান্ডাঃ-
লাউ শাক উচ্চ মাত্রার ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ। ভিটামিন-সি ঠান্ডা এবং যে কোন ধরনের সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
কোষ্ঠ কাঠিন্য ও পাইলসঃ-
লাউ শাকে যথেষ্ট পরিমাণে আঁশ থাকে। লাউ শাক এর আঁশ মল ত্যাগের সমস্যা দূর করে এবং পাইলস প্রতিরোধে সাহায্য করে।
ছানি, রেটিনাইটিস ও ঝাপসা দৃষ্টিঃ-
লাউ শাক বেটা-ক্যারোটিন, লুটেইন এবং জিয়েজ্যান্থিন-এ পরিপূর্ণ। বেটা-ক্যারোটিন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে এবং লুটেইন ও জিয়েজ্যান্থিন চোখের রোগ প্রতিরোধ করে, যেমনঃ রাতকানা।

অস্টিওপোরেসিসঃ-
উচ্চ মাত্রায় ক্যালসিয়াম থাকায় লাউ শাক অস্টিওপোরেসিস এবং অন্যান্য ক্যালসিয়ামের অভাব জনিত রোগের ঝুঁকি কমায়।
হৃদ স্পন্দন নিয়ন্ত্রন, স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকঃ-
লাউ শাক পটাসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার। পটাসিয়াম কোষের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যা শরীরে তরলের সাম্যাবস্থা বজায় রাখে এবং হৃদ স্পন্দন ও রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখে।
আর্থ্রাইটিস ও অস্টিওপোরেসিসঃ-
লাউ শাকে ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় যা হাড় শক্ত ও মজবুত করে।
এনিমিয়া ও বিষন্নতা বা ডিপ্রেশনঃ-
আয়রন সমৃদ্ধ লাউ শাক রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ এবং লোহিত রক্ত কনিকার সংখ্যা বাড়িয়ে রক্ত তৈরিতে সাহায্য করে।
স্থুলতাঃ-
এই শাকে ক্যালরি কম থাকে এবং এরা কোলেস্টেরল ও ফ্যাট মুক্ত। তাই ওজন কমানোর জন্য লাউ শাক খাদ্য তালিকায় রাখা যেতে পারে।

লাউ পাতা ভর্তা রেসিপি
উপকরণঃ
লাউ পাতা ২ কাপ,
আধা কাপ পেঁয়াজকুচি,
৫টা কাঁচা মরিচ,
১ টেবিল চামচ সয়াবিন তেল,
লবন স্বাদ অনুযায়ী।
প্রস্তুত প্রনালীঃ
হাঁড়িতে লাউ পাতা তেল পেঁয়াজকুচি, কাঁচা মরিচ, ধনেপাতা, লবন সব দিয়ে ভেজে নিন।
ভাজা হলে এবার সব মিহি করে বেটে নিন।
পরিবেশ করুন পছন্দ মত গরম গরম ভাতের সাথে।

লাউ পাতার ঝোল
উপকরণ:
লাউ পাতা (ডগাসহ)- এক আঁটি

আস্ত রসুন (থেতো করা)-দুইটি
আদা বাটা- এক চা চামচ
কাঁচা মরিচ ফালি- ছয়টি
তেল- এক টেবিল চামচ
লবণ- পরিমাণ মতো
গরম পানি- এক কাপ
প্রণালি: 
প্রথমেই লাউপাতা ডগাসহ ধুয়ে কেটে নিন। চুলায় তেল দিয়ে তাতে আদা বাটা ও রসুন দিয়ে দিন। আদা-রসুন ভাজা ভাজা হলে লবণ ও গরম পানি ছেড়ে দিন। গরম পানি ফুটে উঠলে তাতে লাউপাতা ও কাঁচামরিচ ছেড়ে দিয়ে নাড়াচাড়া করে ঢেঁকে দিন। এসময় চুলার আঁচ মাঝারি থাকবে। ঠিক ছয় মিনিট পর ঝোল ঝোল শাক নামিয়ে ফেলবেন। শাকের রং পরিবর্তন হবে না। কিন্তু স্বাদ দারুণ।

লাউপাতায় ছুরি শুটকি ভর্তা
উপকরন :
লাউপাতা ৩/৪ টা
ছুড়ি শুটকি ১ কাপ
রসুন কুচি ১/২ কাপ
শুকনা মরিচ ৩/৪ টা
লবন পরিমানমত
প্রনালি:
ছুরি শুটকি মাছ ভালো ধুয়ে কেটে ছোট করে নিন। এবার তাওয়ায় টেলে নিন, লাউ পাতা গরম পানিতে ৩ /৪ মিনিট ভাপিয়ে নিয়ে পানি চিপে ফেলুন।
এবার প্যানে হালকা তেলে ভেজে নিন। রসুন ও শুকনা মরিচ টেলে নিন। এখন সব উপকরন একসাথে পাটায় বেটে নিন, পরিমান মত লবন দিন। তৈরি মজার লাউ পাতায় ছুরি শুটকি ভর্তা ।

চিংড়ি-লাউ পাতার ভর্তা
উপকরণঃ
লাউ পাতা ৪ কাপ (কুঁচি করা) গুড়া চিংড়ি (এক মুঠো) রসুন ২ চা চামচ (কুঁচি করা) কালি জিরা সিকি চা চামচ কাঁচা মরিচ ২টি লবণ সরিষার তেল ১ টেবিল চামচ
প্রস্তুত প্রণালীঃ

লাউ পাতা এক মিনিট চুলায় ভাপিয়ে নিন। মাইক্রোওয়েভের হাই পাওয়ারে ১ মিনিট সেদ্ধ করলেও চলবে।
চিংড়ি ভেজে নিন।
সব উপকরণ একসাথে ভালো করে মিহি করে বেঁটে নিন।
এরপর চুলায় একটি পাত্রে সরিষার তেল গরম করে নিন।
সব উপকরণ ১০/১২ মিনিট নাড়াচাড়া করে নিন। মিশ্রণটি ফুটতে শুরু করলে নামিয়ে ফেলুন।
গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন মজাদার চিংড়ি-লাউ পাতা ভর্তা।

লাউ শাক ভাঁজি
উপকরনঃ
লাউ শাক, লাউয়ের কচি ডগা
পেঁয়াজ কুচি
কাঁচা মরিচ, কয়েকটা, ঝাল বুঝে
তেল, আট/দশ টেবিল চামচ, কম তেলেই রান্না করতে পারেন, ননষ্টিকি কড়াইতে
লবন, স্বাদ মত
প্রনালীঃ
শাক কেটে পরিস্কার করে ধুয়ে নিন এবং গা গা পানিতে এক চিমটি লবন দিয়ে হাফ সিদ্ধ করে পানি ঝরিয়ে রাখুন। কড়াইতে তেল গরম করে পেঁয়াজ, মরিচ এবং কাঁচা মরিচ দিন, লবন (শাকে আগে লবন আছে বলে কম দিয়েই শুরু করুন, পরে দেয়া যাবে) দিতে ভুলবেন না। ভাল করে ভাঁজুন। আগুন কম আঁচে রাখুন, ভাল করে মিশিয়ে নিন। লবন দেখুন, পানি থেকে গেলে চুলা বাড়িয়ে দিন, নাড়াতে থাকুন। শাকের পানি শুঁকাতে আগুন বাড়িয়ে কড়াইয়ের হাতল ধরে উলট পালট করে দিন। ব্যস প্রস্তুত। লাউ শাক এমনিতেই মজাদার, সাথে এমন সুন্দর রান্না হলে তো কথাই নেই।

ইলিশ দিয়ে লাউ শাক
উপকরণঃ
১. ইলিশ মাছ – হাফ কেজি ওজনের
২. ছাচি লাউ এর পাতা – কচি ডাটাসহ ২৫০গ্রাম

৩. কচি বেগুন – মাঝারী সাইজের ২ টি
৪. মাঝারী সাইজের আলু – ৮-১০ টি
৫. বিচি যুক্ত শীম – ১০-১২ টি
৬. পেঁয়াজ কুচি – ১ কাপ
৭. কাঁচা মরিচ চেরা – ৭-৮ টি
৮. আদা বাটা – হাফ চা চামচ
৯. রসুন বাটা – হাফ চা চামচ
১০. হলুদ গুড়া – ১ চা চামচ
১১. সয়াবীণ তেল – হাফ কাপ
১২. লবণ – স্বাদমতো
প্রণালীঃ
১. ইলিশ মাছ কেটে ছোট ছোট টুকরা করে ১০-১২ টি ভাল করে ধুয়ে নিন
২. ছাচি লাউ পাতা ছোট কুচি করে কেটে নিন
৩. বেগুন ও আলু কুচি করে ও শীম মাঝে ফাক দিয়ে কেটে নিন
৪. এবার সব উপকরন ভাল করে ধুয়ে ১ টি পরিস্কার পাতিলে নিন
৫. তার উপর পেঁয়াজ কুচি, কাঁচা মরিচ চেরা, আদা বাটা, রসুন বাটা , লবণ, হলুদ ও অর্ধেক পরিমান সয়াবীণ তেল দিয়ে খুব ভাল করে মাখিয়ে নিন
৬. এবার মাছ দিয়ে আবারও মাখিয়ে নিন
৭. চারদিক সমান করে ১ কাপ পানি দিন
৮. বাকী তেল উপরে ছড়িয়ে দিন
৯. এবার চুলায় দিয়ে মাঝারী আঁচে রান্না করুন
১০. ২৫ মিনিট পর উল্টিয়ে দিন
১১. ৫ মিনিট পর নামিয়ে পরিবেশন করুন

লাউ শাক সর্ষে চিংড়ির চচ্চড়ি
উপকরনঃ
লাউশাক (তিনটে ডাটা, কেটে কুটে যা হয়)
ছোট চিড়িং
মাঝারি দুটো পেঁয়াজ কুঁচি
চার চা চামচ সর্ষে বাটা
হাফ চা চামচ হলুদ গুড়া
চেরা কাঁচা মরিচ
সয়াবিন তেল ও সর্ষে তেল (পরিমান মত, কম তেলেই রান্না উত্তম)
পানি (পরিমান মত)
প্রনালীঃ
কড়াইতে তেল গরম করে তাতে সামান্য লবন যোগে পেঁয়াজ কুঁচি এবং চিংড়ি দিয়ে ভাঁজুন। সামান্য ভাঁজার পর সর্ষে বাটা দিয়ে ভাল করে ভাঁজুন। এবার হাফ কাপ পানি দিন। এবার হলুদ গুড়া এবং কয়েকটা কাঁচা মরিচ দিয়ে দিন। ভাল করে কষিয়ে ঝোল বানিয়ে নিন। তেল উঠে যাবে।  আগে থেকে কেটে ভালো করে ধুয়ে সামান্য লবন ও পানি দিয়ে ভাঁপিয়ে রাখা লাউ শাক কড়াইয়ের ঝোলে দিয়ে দিন। ভাল করে মিশিয়ে মাধ্যম আঁচে কিছু সময়ের জন্য ঢাকনা দিয়ে রাখুন। শাক আরো নরম হয়ে আসবে। এবার হাফ কাপ পানি দিয়ে দিন। আর ঢাকনা দেয়ার দরকার নেই। এতে করে, শাকের রং নষ্ট হয়ে যাবে। মাধ্যম আঁচে আগুন চলুক। লাউ শাকের একটা চমৎকার ফ্লেভার আছে, শাক যত ভালো রান্না হবে এই ফ্লেভার ঘরময় ততই ছড়িয়ে পরবে। উপরে থেকে সামান্য সর্ষের তেল ছড়িয়ে দিতে পারেন, এবার শেষমেশ একটু লবন চেখে দেখুন, লাগলে দিন না লাগলে চুলা বন্ধ করে দিন।

লাউ পাতার ঝোল 
উপকরণ:
লাউ পাতা (ডগাসহ)- এক আঁটি
আস্ত রসুন (থেতো করা)-দুইটি

আদা বাটা- এক চা চামচ
কাঁচা মরিচ ফালি- ছয়টি
তেল- এক টেবিল চামচ
লবণ- পরিমাণ মতো
গরম পানি- এক কাপ
প্রণালি:
প্রথমেই লাউপাতা ডগাসহ ধুয়ে কেটে নিন। চুলায় তেল দিয়ে তাতে আদা বাটা ও রসুন দিয়ে দিন। আদা-রসুন ভাজা ভাজা হলে লবণ ও গরম পানি ছেড়ে দিন। গরম পানি ফুটে উঠলে তাতে লাউপাতা ও কাঁচামরিচ ছেড়ে দিয়ে নাড়াচাড়া করে ঢেঁকে দিন। এসময় চুলার আঁচ মাঝারি থাকবে। ঠিক ছয় মিনিট পর ঝোল ঝোল শাক নামিয়ে ফেলবেন। শাকের রং পরিবর্তন হবে না। কিন্তু স্বাদ দারুণ।
গরম গরম শাকের ঝোল ইচ্ছা করলে ভাত দিয়ে খেতে পারেন। তবে এটি এমনি প্লেটে সালাদের মতো খেতে বেশি মজা লাগে। ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ডে এই ঝোল স্টিকি রাইস দিয়ে খাওয়া হয়।

লাউশাকে সরষে চিংড়ি
উপকরণ :
লাউশাক ১ আটি, সরষে বাটা ৩ টেবিল চামচ, চিংড়ি মাঝারি ৭-৮টি, পেঁয়াজ কুচি ৩ টেবিল চামচ, রসুন কুচি ২ টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়া ১/৪ চা চামচ, মরিচ গুঁড়া ১/২ চা চামচ, কাঁচা মরিচ ৬-৭টি, ধনেপাতা ৩ টেবিল চামচ, তেল ১/২ কাপ।
প্রণালি :
ক ধুয়ে কেটে রাখুন। তেলে রসুন পেঁয়াজ দিয়ে হালকা ভাজুন। এরপর সরষে বাটা, হলুদ ও মরিচ গুঁড়া কষান। কষানো হলে লাউশাক ও চিংড়ি দিয়ে রান্না করুন। কাঁচামরিচ ও ধনেপাতা দিয়ে ২ মিনিট রান্না করে নামাতে হবে।

চিংড়ি ও লাউ শাকের ঝোল
উপকরণ:
    চিংড়ি – ২৫০ গ্রাম
    লাউ শাক – ৫০০ গ্রাম (ডাটা সহ)

    পিঁয়াজ বাটা – ২ টেবিল চামচ
    রসুন বাটা – ১/২ চা চামচ
    জিরা বাটা – ১/৩ চা চামচ
    আদা বাটা – ১/৩ চা চামচ
    হলুদের গুড়া – ১/২ চা চামচ
    মরিচের গুড়া – ১ চা চামচ
    লবণ ও তেল পরিমান মত
পদ্ধতি:
    প্রথমে আগে থেকে পরিস্কার করে রাখা চিংড়ি তেলে ভেজে নিন।
    এবার তাতে সব মসলা ও সামান্য পানি দিয়ে কষিয়ে নিন।
    কষানো হয়ে গেলে তাতে শাক দিয়ে ১০ মিনিট নেড়ে চেড়ে পানি দিয়ে ঢেকে রান্না করুন।
    পছন্দ মাফিক ঝোল রেখে নামিয়ে নিন।

ফলি, কৈ মাছ ও লাউ শাকের ঝোল
উপকরণ
    ছোট কৈ ও ফলি মাছ – ৫টি করে মোট ১০টি
    লাউ শাক – ৫০০ গ্রাম
    আলু – ২টি (লম্বা করে কাটা)
    পিঁয়াজ বাটা – ৩ টেবিল চামচ
    রসুন বাটা – ১/২ চা চামচ
    আদা বাটা – ১/৩ চা চামচ
    জিরা বাটা – ১/২ চা চামচ
    হলুদ গুড়া – ১/২ চা চামচ
    মরিচ গুড়া – ১ চা চামচ
    কাঁচা মরিচ – ৫টা (আধা ফালি করা)
    লবণ ও তেল পরিমাণ মত
পদ্ধতি:
    একটি পাত্রে মশলা কষিয়ে তাতে মাছ দিয়ে আরও কিছুক্ষণ কষিয়ে নিন।
    কষানো হয়ে গেলে মসলা ছাড়া শুধু মাছ তুলে অন্য একটি পাত্রে রাখুন।
    পাত্রে থাকা মসলাতে শাক ও আলু দিয়ে ভালো করে কষান।
    কষানো হয়ে গেলে প্রয়োজনমত পানি দিন।
    এবার কষানো মাছ ও কাঁচা মরিচ দিন (মাছ দেবার পর আর নাড়বেন না।)।

কুমড়া ফুলের বড়া

উপকরণ
মিস্টি কুমড়া ফুল – ২০টা
বেসন – ১/২কাপ
চালের গুড়া – ১/২ কাপ

হলুদ গুড়া – ১/২ চা চামচ
মরিচ গুড়া – ১/২ চা চামচ
ধনে গুড়া – ১/৪ চা চামচ
জিরা গুড়া – ১/৪ চা চামচ
লবণ – ১ চা চামচ
বেকিংপাউডার – ১/২ চা চামচ
পেয়াজ বাটা – ১ চা চামচ
রসুন বাটা – ১/২ চা চামচ
ডিম – ১টা (ইচ্ছা)
তেল – ভাজার জন্য
প্রণালী
ফুলগুলো ভালো করে পরিষ্কার করে নিন। ফুলের মাঝ খানের দন্ডটা ফেলে দিন।
তেল বাদে সব উপকরণ দিয়ে মোটামুটি রকম ঘন একটা গোলা করে নিন।
একবারে মুচমুচে বড়া খেতে চাইলে ডিম দিবেন না।
ফুলগুলো গোলায় চুবিয়ে তেলে ভেজে নিন। গরম গরম পরিবেশন করুন।

কুমড়া ফুলের পাকোড়া
যা যা প্রয়োজন :
কুমড়া ফুল – ১০-১২ টি
তেল – ভাজার জন্যে
ব্যাটারের জন্য :
চালের গুঁড়া – ১/২ কাপ
বেসন – ১/২ কাপ
হলুদ গুঁড়া – সামান্য
মরিচ গুঁড়া – ১/২ চা চামচ
জিরা,ধনে গুঁড়া – ১/২ চা চামচ করে
আস্ত জিরা – ১ চা চামচ
বেকিং পাউডার – ১ চা চামচ
লবণ – স্বাদমতো
যেভাবে করবেন :
কুমড়া ফুল ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন ।
ব্যাটারের সব উপকরণ পরিমাণমতো পানি দিয়ে গুলিয়ে নিন ।
অল্প অল্প পানি দিয়ে ব্যাটার করবেন ।
ব্যাটার বেশী পাতলাও হবেনা, আবার বেশী ঘন-ও হবেনা ।
মাঝারি আঁচে তেল গরম হতে দিন ।
একটা একটা করে ফুল ব্যাটারে ডুবিয়ে গরম ডুবো তেলে সোনালী করে ভেজে নিন
দুইপিঠ সোনালী করে ভাজা হলে তেল ছেঁকে পেপার টাওয়েলের ওপর উঠিয়ে রাখুন ।
এইভাবে সবগুলো পাকোড়া ভেজে নিন ।