Sunday, December 24, 2017


চিংড়ি / Shrimp
চিংড়ি একটি সন্ধিপদী (আর্থ্রোপোডা) প্রাণী। স্বাদু জলের চিংড়ির গণ (Genus) প্যালিমন (Palaemon) এর বিভিন্ন প্রজাতিকে একত্রে চিংড়ী বলে।

চিংড়ি (Prawn) Decapoda বর্গের কাঁকড়া ও লবস্টারের সমগোত্রীয় খাদ্য হিসেবে ব্যবহার্য এক ধরনের ক্রাস্টেসিয়ান (Crustacean)পৃথিবী জুড়ে প্রায় সব ধরনের জলাশয়ে এরা বাস করে। কিছু প্রজাতি সমুদ্র উপকূলের কাছে কাদা বা বালির মধ্যে অথবা পাথরের ফাটলে লুকিয়ে বাস করে। অন্যরা দলে দলে গভীর সমুদ্রের ঠান্ডা পানিতে সাঁতার কাটে। এগুলি ধূসর, বাদামি, সাদা বা গোলাপি রঙের। কোনোটির গায়ে ডোরা, কোনোটিতে নানা ধরনের ফুটকি থাকে। কিছু চিংড়ি লাল, হলুদ, সবুজ ও নীল রঙের। কোনো কোনো প্রজাতি পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর প্রয়োজনে রং বদলায়। গভীর সমুদ্রের অনেক চিংড়ি দীপ্যমান (আলোদায়ী)। চিংড়ির আকার সাধারণত ২.৫ সেমি থেকে ৩০ সেমি।
চিংড়ি সর্বভুক এবং বর্জ্যজীবী (scavenger), কোনো কোনোটি প্লাঙ্কটনভোজী। কিছু প্রজাতির
স্ত্রী চিংড়ি উদরের নিচে সন্তরণ উপাঙ্গে নিষিক্ত ডিম না ফোটা পর্যন্ত বহন করে। অন্য চিংড়ি পানিতেই নিষিক্ত ডিম পাড়ে। অধিকাংশ প্রজাতিতে ডিম থেকে নপ্লিয়াস লার্ভা বের হয় এবং এটি পরিণত অবস্থায় পৌঁছা পর্যন্ত কয়েকটি পর্যায় অতিক্রম করে।  বঙ্গোপসাগর, মোহনা ও স্বাদুপানিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ চিংড়ি থাকায় বাংলাদেশকে চিংড়িসমৃদ্ধ দেশ বলা যায়। এদেশে মোট ৫৬টি প্রজাতির চিংড়ি শনাক্ত করা হয়েছে এবং এগুলির মধ্যে ৩৭টি লবণাক্ত পানির, ১২টি কমলবণাক্ত পানির ও ৭টি স্বাদুপানির বাসিন্দা। চিংড়ি ছয়টি গোত্রভুক্ত, যথা Palaemonidae, Penaeidae, Pandalidae, Alpheidae, Hippolylidae Sergestidaeস্বাদুপানির চিংড়ি প্রজাতিগুলি Palaemonidae গোত্রভুক্ত।
সারা পৃথিবীর মানুষের কাছে চিংড়ি একটি জনপ্রিয় খাদ্য। দেশে ও বিদেশে চিংড়ির ভালো বাজার রয়েছে। বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যসমূহের মধ্যে চিংড়ি অন্যতম। এ থেকে প্রতি বছর আয় হয় বহু কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা। বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন, বাংলাদেশ জাতীয় মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প সংস্থা এবং কতিপয় ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান চিংড়ি সংগ্রহ, প্রক্রিয়াজাত ও রপ্তানি করে। খুলনা, চট্টগ্রাম ও ঢাকায় কয়েকটি চিংড়ি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প গড়ে উঠেছে।
চিংড়ি খাওয়ার ৮ উপকারিতা
চিংড়ির নাম শুনলেই অনেকেই বলেন এ তো মাছ নয়, পানির পোকা! আবার কেউ কেউ
বলেন, চিংড়ি খাওয়া হয় শুধুই স্বাদের জন্য, এই খাদ্যের কোন উপকারিতা নেই। কিন্তু এটা একেবারেই ভুল ধারণা।
চিংড়িমাছকে পোকা বললেও এই বিশেষ সুখাদ্যের উপকারিতাগুলি কিন্তু অস্বীকার করার উপায় নেই। জানুন চিংড়ি খাওয়ার ৮ উপকারিতা—
১) চিংড়িতে থাকে ফ্যাট, প্রোটিন এবং মিনারেলসের একটি সুষম অনুপাত যা স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত ভাল।
২) চিংড়িতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে সেলেনিয়াম যা শরীরে ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি রোধ করে। অর্থাৎ ক্যানসার প্রতিরোধে চিংড়ি অত্যন্ত কার্যকরী।
৩) ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ এই খাবার হৃৎপিণ্ড ভাল রাখতে সাহায্য করে। ফ্যাটি অ্যাসিড রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং লিভারের পক্ষেও ভাল।
৪) চিংড়ি হল প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়ামের উৎস।
৫) ভিটামিন-ই প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় চিংড়িতে। তাই পরিমিত পরিমাণ চিংড়ি নিয়মিত খেলে ত্বক ভাল থাকে এবং ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়ে।
৬) চিংড়িতে রয়েছে ভিটামিন বি-১২। এই বিশেষ ভিটামিনটি স্মৃতিশক্তি প্রখর রাখতে সাহায্য করে এবং হৃৎপিণ্ড ভাল থাকে।
৭) চিংড়ি হল প্রচুর পরিমাণ প্রোটিনের উৎস আর প্রোটিন শরীরের একটি প্রয়োজনীয় উপকরণ। শরীরে যথেষ্ট পরিমাণ প্রোটিন না থাকলে যে কোন আঘাত বা ক্ষত সেরে উঠতে দেরি হয়।
৮) অন্যান্য অনেক মাছ এবং মাংসের তুলনায় চিংড়িতে ক্যালোরির পরিমাণ অনেকটা কম। তাই যাঁরা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তাঁরা চিংড়ি বেশি করে খেলেও ওজন বাড়ার আশঙ্কা নেই।

যদিও চিংড়ি মাছ নয়, একটি পোকা, তবুও আমরা একে চিংড়ি মাছ হিসেবেই চিনে থাকি। যারা মাছ খেতে পছন্দ করেন না তারাও চিংড়ি মাছ বেশ মজা করেই খেয়ে থাকেন। সকলের কাছেই চিংড়ির তৈরি খাবার অনেক পছন্দের।
কিন্তু আপনি জানেন কি শুধু স্বাদই নয় চিংড়ির রয়েছে অসাধারণ স্বাস্থ্য উপকারিতা। চিংড়ি মাছ খাওয়ার অভ্যাস প্রায় ১০ ধরণের শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। এবং মারাত্মক কিছু রোগ থেকেও মুক্তি দিয়ে থাকে। তবে যাদের চিংড়ি মাছে অ্যালার্জি রয়েছে তারা এর থেকে দূরে থাকুন।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
চিংড়ি মাছে প্রায় ৫৭% সেলেনিয়াম থাকে। মাত্র ১০০ গ্রাম চিংড়ি মাছ থেকে অনেকটা সেলেনিয়াম পাওয়া সম্ভব। ইন্সটিটিউট বফ ফুড রিসার্চের গবেষকদের মতে এই
সেলেনিয়াম দেহে ক্যান্সারের কোষ গঠনে বাঁধা প্রদান করে থাকে। এই চিংড়িমাছের সেলেনিয়ামের সঙ্গে ব্রকলি, পাতাকপি, ফুলকপির সালফোরাফেইনের মিশ্রণ এই প্রতিরোধ আরও বাড়িয়ে তোলে।
রক্তস্বল্পতা দূর করে
চিংড়িমাছ আমাদের দেহের ভিটামিন বি১২ এর চাহিদা প্রায় ২৫% দূর করে। এবং দেহের রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা অর্থাৎ রক্তের লাল কণিকা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এতে করে রক্তস্বল্পতা দূর হয়।
হাড়ের ক্ষয় রোধ করে
চিংড়ি মাছের মধ্যে রয়েছে প্রায় ১৪% ফসফরাস। চিংড়ি মাছ খাওয়ার অভ্যাস দেহের ফসসরাসের চাহিদা পূরণ করে যা হাড়ের ক্ষয় রোধ করে ও হাড়কে মজবুত করতে
বিশেষভাবে কাজ করে।
শারীরিক দুর্বলতা কাটায়
অনেকেই নানা সময় শারীরিক দুর্বলতায় ভুগে থাকেন যার পেছনে দেহে আয়রনের ঘাটতি দায়ী থাকে। চিংড়ি মাছ আমাদের দেহের ১৭% আয়রনের চাহিদা পূরণ করে এবং এনার্জি সরবরাহ করে। এতে করে শারীরিক দুর্বলতা কেটে যায়।
ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে
আমাদের মুটিয়ে যাওয়ার প্রথম ও প্রধান কারণ দেহে ফ্যাট জমা। চিংড়ি মাছের মধ্যে রয়েছে প্রায় ১৩% নিয়াসিন যা ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিনকে এনার্জিতে পরিবর্তন করে এবং দেহে ফ্যাট জমতে বাধা দেয়।
বিষণ্ণতা দূর করে
মাত্র ১০০ গ্রাম চিংড়ি মাছে রয়েছে প্রায় ৩৪৭ মিলিগ্রাম ওমেগা৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। গবেষকদের মতে এই ওমেগা৩ ফ্যাটি অ্যাসিড মস্তিষ্কে সেরেটেনিন উৎপন্ন করে যা বিষণ্ণতা দূর করতে বিশেষভাবে সহায়ক।
থাইরয়েডের সমস্যা দূর করে
চিংড়িমাছের প্রায় ১০% কপার আমাদের থাইরয়েড গ্রন্থির কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং থাইরয়েড হরমোনের মাত্রা ঠিক রাখতে সহায়তা করে।
মূত্রথলির নানা সমস্যা থেকে রক্ষা
গবেষণায় দেখা যায় জিংক মূত্রথলি সংক্রান্ত নানা রোগ ও ইনফেকশন থেকে আমাদের রক্ষা করতে পারে। এমনকি মুত্রথলির ক্যান্সারের হাত থেকেও রক্ষা করে। চিংড়ি মাছের ১০০ গ্রামে পাওয়া যায় ১০-১৫ মিলিগ্রাম জিংক যা আমাদের মূত্রথলির সুস্থতা নিশ্চিত করে।
ডায়বেটিসের হাত থেকে রক্ষা করে
চিংড়িতে রয়েছে ৮% ম্যাগনেসিয়াম। গবেষণায় দেখা যায় ম্যাগনেসিয়াম দেহকে টাইপ ২ ডায়বেটিসের হাত থেকে রক্ষা করে। এবং রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।

ত্বক, চুল ও নখের সুরক্ষা করে
চিংড়িমাছ আমাদের দেহের প্রায় ৪২% পর্যন্ত প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করে থাকে। যা আমাদের ত্বক, চুল এবং নখের সুরক্ষায় কাজ করে। এবং এই প্রোটিনের চাহিদা পূরণ না হলে দামী ব্যান্ডের কোনো প্রোডাক্টের মাধ্যমেই ত্বক, চুল ও নখের সুরক্ষা সম্ভব নয়।
মজাদার চিংড়ির কিন্তু অনেক পুষ্টিগুণও রয়েছে। জেনে নিন চিংড়ির অন্যান্য উপকারিতা।
যারা শারীরিক দুর্বলতায় ভোগেন তারা বেশি বেশি চিংড়ি খেতে পারেন। চিংড়ি শরীরের প্রায় ১৭ শতাংশ আয়রনের ঘাটতি পূরণ করায় সহযোগিতা করে। ফলে শারীরিক দুর্বলতা কেটে গিয়ে শক্তি বৃদ্ধি পায়।
চিংড়িতে আছে প্রায় ১৪ শতাংশ ফসফরাস। ফলে চিংড়ি খেলে হাড়ের ক্ষয় রোধ হওয়ার
পাশাপাশি হাড় হয় মজবুত ও শক্ত।
চিংড়ি মানব শরীরের ভিটামিন বি১২ এর চাহিদা দূর করে। পাশাপাশি রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তাই রক্তস্বল্পতায় ভোগা ব্যক্তিরা চিংড়ি খেলে উপকার পাবেন।
বিষন্নতায় ভোগা ব্যক্তিরা চিংড়ি খেলে বিষণ্ণতা দূর হয়। কারণ এতে আছে ৩৪৭ মিলিগ্রাম ওমেগা৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। এটি মস্তিষ্কে সেরেটেনিন উৎপন্ন করে এবং বিষন্নতা দূরীকরণে ভূমিকা রাখে।
ডায়াবেটিসের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্যও চিংড়ি খেতে পারেন। কারণ চিংড়িতে থাকা ম্যাগনেশিয়াম দেহকে টাইপ-২ ডায়বেটিসের হাত থেকে রক্ষা করে।
যাদের মুটিয়ে যাওয়ার ভয় আছে তারা নির্দ্বিধায় চিংড়ি খান। চিংড়ি শরীরে ফ্যাট জমতে বাধা দেয়।
আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় প্রোটিনের চাহিদার প্রায় ৪২ শতাংশ চিংড়ি পূরণ করতে সক্ষম। আর শরীরে পর্যাপ্ত প্রোটিন থাকলে ত্বক, চুল এবং নখ ইত্যাদি থাকে সুরক্ষিত।
স্বাস্থ্যকর চিংড়ি সালাদ    
পকরনঃ
চিংড়ী মাছ খোসা ছাড়ানো সিদ্ধ করা ২ কাপ        
মেয়নিজ ৪ টেবিল চামচ
টমেটো কেচাপ ৫ টেবিল চামচ

গোলমরিচ ফাকি করা ১ চা চামচ
লেটুস কুচি হাফ কাপ
শশা কিউব করে টুকরা হাফ কাপ
চেরি টমেটো ছোট করে কাটা অল্প
লেবুর রস ২ টেবিল চামচ
লবন স্বাদমত
ধনিয়া পাতা অল্প পরিবেশন এর জন্য
প্রস্তুত প্রনালীঃ
প্রথমে সালাদ কেটে আলাদা বাটিতে রাখুন।
অন্য একটা বাটিতে মেয়নিজ ,টমেটো কেচাপ,গোলমরিচ ফাকি করা ,লেবুর রস,লবন স্বাদমত দিয়ে খুব ভালভাবে মিশিয়ে নিন, দেখবেন সস টা গোলাপি রঙ হয়ে যাচ্ছে , একটু চেখে দেখতে পারেন টেস্ট ঠিক আছে কিনা ( যেটা আমি সব সময়েই করি ) তাহলে আপনি বুজবেন সস কিনবা মেয়নিজ আরও এড করার প্রয়োজন আছে কি না
সস পারফ্যাক্ট মনে হলে এতে শিদ্ধ করা চিংড়ী দিয়ে মিশিয়ে নিন। এটা এখন ফ্রিজে রেখে দিন আধা ঘণ্টা ।
এখন ঠিক পরিবেশন এর সময় যেই বাটিতে পরিবেশন করবেন তাতে প্রথমে কিছু সালাদ দিন, এর উপর প্রন দিয়ে মাখানো সস ছড়িয়ে দিন উপরে কিছু ধনিয়া পাতা ছিটিয়ে দিন। ব্যাস রেডি হয়ে গেল ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা সালাদ প্রন ককটেল !
চিংড়ির সালাদ
উপকরণ
- চিংড়ি মাছ আধা কেজি
- চিলি সস দুই টেবিল চামচ
- রসুন কুচি ছয়-সাত কোয়া
- কাঁচামরিচ সাত-আটটি
- ফিশ সস পাঁচ-ছয় টেবিল চামচ
- সাদা ভিনেগার চার টেবিল চামচ
- তিলের তেল পরিমাণমতো
সালাদের জন্য
- পেঁয়াজের কলি কুচি চার-পাঁচটি
- গাজর কুচি একটি
- ধনেপাতা সামান্য
- লবণ স্বাদমতো
প্রস্তুত প্রণালি
প্রথমে চিংড়ি মাছ লবণ মেশানো পানিতে সেদ্ধ করে নিন। এর মধ্যে রসুন কুচিও দিয়ে দিন। এবার একটি বাটিতে ফিশ সস, চিলি সস, সাদা ভিনেগার, কাঁচামরিচ কুচি ও তিলের তেল একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এখন এতে গাজর কুচি, পেঁয়াজের কলি কুচি, ধনেপাতা কুচি ও সামান্য লবণ দিয়ে ভালো ভাবে মেশান। এরপর সেদ্ধ করা চিংড়ি ও রসুন কুচি এই মিশ্রণের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। ব্যাস, খুব সহজেই তৈরি হয়ে গেল
প্রণ উইথ ক্যাশিওনাট সালাদ
উপকরণ
চিংড়ি মাথা ও খোসা বাদ দিয়েঃ ১ কাপ, পেঁয়াজ পাতাঃ ১/২ কাপ, শসাঃ ২৫০ গ্রাম, পেঁয়াজ লম্বা স্লাইসঃ ১/২ কাপ, টমেটোঃ ২০০ গ্রাম, লেটুসপাতাঃ ১ আঁটি, চিনিঃ ২ চা চামচ, লেবুর রসঃ ১/৩ কাপ, লবণঃ পরিমাণমতো, অলিভ অয়েলঃ ৪ টেঃ চামচ, শুকনা
মরিচ কুচিঃ ১ চা চামচ, সেলারি পাতা কুচিঃ ২ টেঃ চামচ, লাইট সয়া সসঃ ৩ টেঃ চামচ, রসুন ছেঁচাঃ ১ টেঃ চামচ, ভাজা কাজু বাদাম আধা ভাঙ্গা করাঃ ১ কাপ
প্রস্তুত প্রণালি
চিংড়ির মাথা ও খোসা বাদ দিয়ে অল্প পানিতে ১ টেঃ চামচ সয়া সস ও সামান্য লবণ দিয়ে ৩-৪ মিনিট ফুটিয়ে নামাতে হবে।
শসা খোসা ছাড়িয়ে পাতলা স্লাইস করতে হবে।
টমেটোর ভিতরের বিচিসহ নরম অংশ বাদ দিয়ে পাতলা স্লাইস করতে হবে।
সালাদের প্লেটে লেটুসপাতা বিছিয়ে কিছু টমেটো কুচি, কিছু চিংড়ি দিয়ে, শসা রেখে আবার চিংড়ি রেখে পেঁয়াজ পাতা ও পেঁয়াজ রেখে আবার টমেটো দিয়ে সালাদ ড্রেসিং সবদিকে সমানভাবে দিয়ে উপরে কাজু ও টমেটো কুচি দিয়ে পরিবেশন করতে হবে।
সালাদ ড্রেসিং প্রক্রিয়া
কাচের বয়ামে অলিভ অয়েল, ২ টেঃ চামচ সয়া সস, লেবুর রস, চিনি, লবণ, মরিচ কুচি, রসুন ছেঁচা দিয়ে খুব ভালো করে ঝাকিয়ে সালাদের উপর ঢেলে দিতে হবে।
সুস্বাদু চিংড়ি দোপেঁয়াজা রেসিপি
উপকরণ
১। চিংড়ি – ২০ টি
২। পেঁয়াজ কুচি – ৬টি
৩। রসুন বাটা – ১\২ চা.চা
৪।আদা বাটা – ১ চা.চা
৫।হলুদ গুঁড়া – ১ চা.চা
৬।মরিচ গুঁড়া – ১চা.চা
৭।ধনে গুড়া – ১চা.চা                                                                 
৮। তেল – ১\২ কাপ
৯। লবণ – ১চা.চা
১০। ধনেপাতা কুচি – ১টে.চা.
প্রনালী
প্রথমে চিংড়ি মাছ সামান্য লবণ ও হলুদ দিয়ে মেখে তেলে ভেজে নিতে হবে । তারপর তেলে পেয়াজ লাল করে ভেজে একে একে সব মসলা দিয়ে ভাল করে কযাণ হলে , সামান্য পানি দিয়ে কিছুক্ষণ পর ভাজা মাছ গুলো দিয়ে ১০ মিনিট ঢেকে রেখে , নামিয়ে নিয়ে ধনেপাতা দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন ।
সামুন্দর রান্না
উপকরণ
গলদা চিংড়ি ২টি (আধা কেজি),

আদা বাটা ১ চা চামচ,
রসুন বাটা ১ চা চামচ,
কাঁচামরিচ বাটা ১ টেবিল চামচ,
সরষের তেল ২ টেবিল চামচ,
টকদই ২ টেবিল চামচ,
ক্রিম ১ টেবিল চামচ,
গরম মসলা গুঁড়া ১ চিমটি,
চাট মসলা ১ চিমটি,
লবণ ১ চিমটি,
ধনেপাতা কুচি ১ চিমটি,
লেবু অর্ধেক।
প্রণালী
শুরুতেই গলদা চিংড়ি দুটোর পেট বরাবর ছুরি দিয়ে এমনভাবে লম্বা করে কেটে নিন, যাতে একটি অংশ অপর অংশের সঙ্গে লেগে থাকে। এবার পেটের ভেতরের অংশ পরিষ্কার করে চিংড়ি দুটো ভালো করে ধুয়ে নিন। এরপর আদা, রসুন,  কাঁচামরিচ,  সরষের তেল, টকদই, ক্রিম, গরম মসলা, চাট মসলা ও লবণ দিযে চিংড়ি দুটোকে ভালো করে মেখে কমপক্ষে দেড় থেকে দুই ঘন্টা রেখে দিন।
এবার ১৫ থেকে ২০ মিনিট তন্দুরে রাখুন। তন্দুর থেকে নামিয়ে সবশেষে ধনেপাতা কুচি ও লেবু ছিটিয়ে পরিবেশন করুন। তন্দুরের পরিবর্তে মাইক্রোওভেন মাঝারি আঁচে (২২৫০-২৫০০ সে.) ১৫ থেকে ২০ মিনিট চিংড়ি দুটোকে রাখা যেতে পারে।

চিংড়ির মালাইকারি
উপকরণ
বড় চিংড়ি ১ কেজি, কাঁচা মরিচ ৫টি, হলুদ গুড়ো সিকি চা-চামচ, মরিচ গুড়ো ১ চা-চামচ, লবণ আধা চা-চামচ, চিনি ১ চা-চামচ, নারকেলের দুধ ২ কাপ, জিরা বাটা ১ চা-
চামচ, আদা বাটা ১ টেবিল চামচ, ধনেগুঁড়ো সিকি চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, সয়াবিন তেল পরিমাণ মতো, ৩-৪টি এলাচ, ২-৩ পিস দারুচিনি ও লবণ স্বাদমতো।
প্রণালী
ফ্রাইপ্যানে তেল গরম করে সামান্য লবণ ও হলুদ মাখিয়ে মাছগুলো ভেজে তেল ছেঁকে উঠিয়ে রাখুন। মাছ ভাজা একই তেলে পেঁয়াজ কুচি বাদামি করে হলুদ গুড়ো, মরিচ গুড়ো, লবণ, জিরা বাটা, আদা বাটা, ধনেগুড়ো ও ১ কাপ নারকেলের দুধ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে নিন। তারপর মাছ গুলো ডেলে দিয়ে কিছুক্ষণ নারুন এবং বাকি ১ কাপ নারকেলের দুধ দিয়ে দিন।
এখন চিনি, এলাচ, দারুচিনি, কাঁচা মরিচ দিয়ে চুলার আঁচ সামান্য বাড়িয়ে নেড়ে ঢেকে দিন। পাঁচ মিনিট পর ঢাকনা খুলে নাড়ুন। পাঁচ মিনিট পর ঢাকনা খুলে যখন মাছের গায়ে ঝোল মাখা মাখা হবে তখন নামিয়ে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

ফ্রাইড প্রন
উপকরণ
বড় চিংড়ি আধা কেজি, ডিম ১টি, বিস্কিট গুঁড়ো পরিমাণমতো, সয়াসস ১ চা-চামচ, গোলমরিচ গুঁড়ো আধা চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, আদা-রসুন পেস্ট ১ চা-চামচ করে;
কর্ণফ্লাওয়ার আধা চা-চামচ।
প্রণালী
চিংড়ি মাথা ছাড়া পরিষ্কার করে ধুয়ে পানি ঝরান। এবার সয়াসসে ভিজিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। এরপর গোলমরিচ, লবণ আর আদা-রসুন, কর্নফ্লাওয়ার দিয়ে মাখুন। ১০ মিনিট রাখুন। এবার ডিমে ডুবিয়ে বিস্কিট গুঁড়োয় গড়িয়ে নিয়ে ফ্রিজে রাখুন। খাওয়ার আগে ডুবো তেলে ভাজুন।
স্পাইসি কোকোনাট শ্রিম্প স্যুপ
উপকরণ
মাঝারি ধরনের চিংড়ি খোসা ছাড়ানো ১ কাপ, মাশরুম আধা কাপ, লেবুর রস ২ টেবিল
চামচ, স্টক ১ কাপ, ধনেপাতা পরিমাণমতো, বাটার ১ চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, ফিশ সস কয়েক ফোঁটা, নারকেল দুধ আধা কাপ, গোলমরিচ আধা চা-চামচ।
প্রণালী
স্টক গরম করে মাশরুম দিন, পরিমিত পানি দিয়ে ফুটতে দিন। ফুটে উঠলে নারকেলের দুধ দিয়ে নাড়–ন। চিংড়ি মাছ দিন। ফুটে উঠলে গোলমরিচ, ফিশ সস, লেবুর রস দিন। বাটার দিয়ে নেড়ে ধনেপাতা ছিটিয়ে নামান।
প্রন-চিকেন সালাদ
উপকরণ
ছোট চিংড়ি আধা কাপ, বোনলেস চিকেন আধা কাপ, বাদাম ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কাটা ১ টেবিল চামচ, কারিপাতা অল্প, লেটুস কুচি ১ কাপ, মরিচ কুচি আধা চা-চামচ, লেবুর রস ২ টেবিল চামচ, লবণ, গোলমরিচ পরিমাণমতো, বাটার ১ চা-চামচ।
প্রণালী
চিংড়ি আর চিকেন বাটারে ভেজে নিন। এবার সালাদের সব উপকরণ একসঙ্গে মিক্স করুন।
বেকড গার্লিক বাটার টাইগার প্রন

কী কী লাগবে
গলদা চিংড়ি: ৬টা
রসুন: ১০ কোয়া
লেমন জুস (লেবুর রস): ১টা মাঝারি লেবু
পার্সলে বা ধনেপাতা কুঁচি: ১ টেবিল চামচ
মাখন: ৫ টেবিল চামচ
কী ভাবে বানাবেন
বেকিং ট্রে তে মাখন ও রসুন গরম করে গলিয়ে নিন এক সঙ্গে। এর সঙ্গে লেবুর রস বা লাইম জেস্ট ও ধনেপাতা বা পার্সলে পাতা কুচি মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ দিয়ে গলদা চিংড়ি কোট করে নিন ভাল করে। ওভেনে ২২০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে ১০-২০ মিনিট বেক করে নিলেই তৈরি বেকড গার্লিক বাটার প্রন।
স্পাইসি প্রন কারি
উপকরণ : খোসা ছাড়ানো চিংড়ি ২৫০ গ্রাম, পিঁয়াজ বাটা ২ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ১ চা চামচ, আদা বাটা ১ চা চামচ, জিরা বাটা ১/২ চা চামচ, মরিচের গুড়া ১/২ চা চামচ, কাঁচামরিচ ৫টি (আস্ত), সয়া সস ১ টেবিল চামচ, ওয়েস্টার সস ১ টেবিল চামচ, টমেটো সস ১ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণ মত, অলিভ ওয়েল অথবা সাদা তেল ৩ টেবিল চামচ।

প্রনালি : ফ্রাইপ্যানে তেল দিয়ে তাতে আগে থেকে বেছে রাখা চিংড়ি ও সব বাটা মসলা গুলো দিয়ে দিন। এরপর সয়া সস ,ওয়েস্টার সস, টমেটো সস, লবণ দিয়ে একটু কষান। এবার ১/২ কাপ পানি ও কাঁচামরিচ দিয়ে ডেকে দিন। মশলা মাখা মাখা হলে নামিয়ে ফ্রাইড রাইছ এর সাথে পরিবেশন করুন।

চিংড়ির প্রন তন্দুরি ও টেম্পুরা
প্রন তন্দুরি :
উপকরণ : চিংড়ি মাছ ৫০০ গ্রাম, ঘি বা মাখন ২ চা চামচ,টক দই ২ চা চামচ,আদা
বাটা ১ চা চামচ, রসুন বাটা ১ চা চামচ, দারচিনি গুঁড়া অল্প, বড় এলাচ ১ টি, জিরা গুঁড়া ১ চা চামচ, ধনে গুঁড়া ১ চা চামচ, শুকনা মরিচের গুঁড়া ১ চা চামচ, লবণ স্বাদ মতো, চিনি– সামান্য,

প্রণালী : চিংড়ি মাছ পরিষ্কার করে ধুয়ে টক দই ও লবণ দিয়ে মিশিয়ে নিন। এবার একে একে আদা বাটা , রসুন বাটা , জিরা গুঁড়া , ধনে গুঁড়া , শুকনা মরিচের গুঁড়া , এলাচ দানা ও সামান্য চিনি দিয়ে ভাল করে মাখিয়ে এক ঘণ্টা ম্যারিনেট হতে দিন ।এক ঘণ্টা পর বাঁশের কাঠিতে চিংড়ি মাছগুলো গেঁথে অল্প ঘি মাখিয়ে প্যানে ভেজে নিন। দুই দিকই ভাল মতো ভাজবেন। তবে চিংড়ি মাছ বেশি রান্না করলে শক্ত হয়ে যায়। তন্দুর করা হয়ে গেলে নামিয়ে নিয়ে লেবুর রস ছড়িয়ে সালাদের সাথে গরম গরম পরিবেশন করুন। ওভেনে করতে চাইলে ১৮০ ডিগ্রিতে প্রি হিট করে ১০–১৫ মিনিট গ্রিল করে নিন।
প্রন টেম্পুরা:
উপকরণ : চিংড়ি (বড় সাইজ) আধা কেজি, ডিম ২টি, পেঁয়াজ বাটা ১ টেবিল চামচ, এরারুট ১ টেবিল চামচ, ময়দা ৬ টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ বাটা ২ চা চামচ, লেবুর রস/ভিনেগার ১ টেবিল চামচ, বেকিং পাউডার সিকি চা চামচ, স্বাদলবণ আধা চা চামচ, , আদা+রসুন বাটা ১ চা চামচ, সাদা সরিষা বাটা (তাওয়ায় টালা) ১ টেবিল চামচ, পানি পরিমাণমতো, তেল প্রয়োজনমতো।
সয়াসস ২ টেবিল চামচ

প্রণালী : চিংড়ি মাছের লেজ রেখে মাথা ও খোসা ফেলে দিতে হবে। মাছের ওপর দিকে (অর্থাৎ মাথা ফেলে দিলে যে অবস্থায় থাকে) একটু চিরে নিতে হবে। ২ টেবিল চামচ সয়াসস দিয়ে ভিজিয়ে রাখতে হবে ২০ থেকে ২৫ মিনিট। এবার পাউরুটিগুলো কিউব করে কেটে নিতে হবে। পাউরুটির ধারের শক্ত অংশগুলো ফেলে দিতে হবে। তেল ও পাউরুটি বাদে সব উপকরণ একসঙ্গে মাখাতে হবে। পাউরুটির একপাশে মসলা মাখিয়ে ওর ওপর সোজা করে মাছটি বসিয়ে দিতে হবে। মনে রাখতে হবে, তেল খুব গরম করতে হবে। পাউরুটিতে মসলা এবং মাছ বসানো অংশটি তেলের ভেতর আগে দিতে হবে। বাদামি রং করে ভেজে নামাতে হবে।
শাপলা দিয়ে চিংড়ি মাছের তরকারি
প্রথমে আধা কেজি শাপলা নিন। সাথে মাঝারি সাইজের চিংড়ি মাছ দেড় কাপ, পেঁয়াজকুচি এক কাপ, কাঁচামরিচ ফালি সাতটি, আদা ও রসুনবাটা এক টেবিল চামচ করে, হলুদগুঁড়ো
এক চা চামচ, শুকনো মরিচ দুইটি, লবণ স্বাদমত, তেল পৌনে এক কাপ।
প্রথমে শাপলার আঁশ ছাড়িয়ে এক ইঞ্চি সমান কেটে ভালো করে ধুয়ে ভাপিয়ে নিতে হবে। এবার শুকনো কড়াইতে তেল গরম করে পেঁয়াজ ও কাঁচামরিচ দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে আদা-রসুন-জিরা বাটা, হলুদগুঁড়ো, লবণ ও সামান্য পানি দিয়ে পাঁচ মিনিট কষান।
এরপর চিংড়ি দিয়ে আর একটু কষতে দিন। পানি শুকিয়ে তেল উপরে উঠলে ভাপিয়ে রাখা শাপলা গুলো দিয়ে দিন। তারপর আঁচ বাড়িয়ে শাপলা ভাজতে হবে পানি না শুকানো পর্যন্ত। হয়ে গেলে নামিয়ে তেল গরম করে শুকনো মরিচ ভেঙ্গে তেলে ছেড়ে দিন। একটু নাড়াচাড়া করে শাপলায় ফোঁড়ন দিন।
টিপস- শাপলা কুটে রাখলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে লালচে কালো আবরণ পড়ে যায়। ভাপিয়ে নিলে সেটা আবার টাটকা সবুজ রং ধারণ করবে। পানিতে জন্মানোর কারণে এর মধ্যে এক ধরণের মেটে গন্ধ থাকে। ভাপিয়ে পানি ঝরিয়ে নিলে গন্ধটাও চলে যায়।
পোস্ত এবং চিংড়ি মাছ
যে যে উপকরণগুলি লাগবে:
১. চিংড়ি- ২৫০ গ্রাম ২. পোস্ত- ২ চামচ ৩. সরষে- ১ চামচ ৪. কাঁচা লঙ্কা- ৫ টা (ছোট ছোট করে কাটা) ৫. পটল- ৬টা ৬. নুন-- স্বাদ অনুসারে ৭. সরষের তেল- ২ চামচ ৮. পেঁয়াজ- ১টা (পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে) ৯.লঙ্কা গুঁড়ো- হাফ চামচ ১০. দই- ১ চামচ
বানানোর পদ্ধতি:
১. প্রথমে পটলের মাথাটা কেটে নিন। ২. এবার একটা চামচের সাহায্যে পটলের শরীরের অন্দরে থাকা বীজগুলি বার করে ফেলুন। ৩. বীজ বার করা হয়ে গেলে ভাল করে পটলগুলো ধুয়ে নিন। ৪. এবার একটা বাটিতে পরিমাণ মতো জল নিয়ে তাতে চিংড়া মাছগুলি ফেলে জলটা ফোটান। প্রসঙ্গত, এই জলে অল্প করে নুন মেশাতে ভুলবেন না। ৫. পোস্তো, কাঁচা লঙ্কা, নুন এবং সরষে এক সঙ্গে মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে ফেলুন। ৬. একটা কড়াই নিয়ে তাতে পরিমাণ মতো তেল নিয়ে গরম করে নিন। যখন দেখবেন তেলটা গরম হয়ে গেছে, তখন তাতে বয়েল করা চিংড়ি মাছগুলি দিয়ে দিন। ৭. এবার চিংড়ি মাছ আর তেলের মধ্যে পোস্তর পেস্টটা মিশিয়ে ভাল করে নারাতে থাকুন। ৮. চিংড়ি মাছটা রান্না হয়ে গেলে আঁচটা বন্ধ করে দিন। ৯. চিংড়ি মাছ দিয়ে তৈরি পুরটা ঠান্ডা হয়ে গেলে তা থেকে পরিমাণ মতো নিয়ে পটলের মধ্যে চেপে চেপে ঢুকিয়ে দিন। ১০. এবার ১ চামচ সরষের তেল গরম করুন। যখন তেলটা গরম হয়ে যাবে তখন তাতে পেঁয়াজের পেস্ট এবং লঙ্কার গুঁড়ো মিশিয়ে ২-৩ মিনিট নারান। সময় হয়ে গেলে এতে দই মেশান। সবকটি উপকরণ দেওয়া হয়ে গেলে ভাল করে মিশ্রনটি নারাতে থাকুন। তারপর তাতে পটলগুলি দিয়ে পুনরায় নারাতে থাকুন। এমনটা করলে মশলাগুলো ভাল করে পটলের সঙ্গে মিশে যেতে পারবে। ১১. পোস্ত এবং চিংড়ি মাছ দিয়ে তৈরি পটলের দোরমা তৈরি হয়ে গেছে। এবার পরিবেশনের পালা।

কচু মুখি -পটল দিয়ে চিংড়ি
যা যা লাগবে :
৩/৪ টি পটল ( ছিলে লম্বা করে কেটে নিতে হবে )
কচু মুখি ১/২ কাপ ( ছিলে , ধুয়ে পরিমান মত পানি ,লবন ও হলুদ দিয়ে সিদ্ধ করে ,পানি ঝরায় রাখতে হবে।চিংড়ি মাছ বড/ ছোট ১ কাপ (পরিষ্কার করে নিতে হবে )
লবন পরিমান মত

পেয়াজ কুচি বড় ১ টি
মরিচ গুঁড়া ১ টে , চামচ
হলুদ গুঁড়া হাফ চা চামচ
পেয়াজ বাটা হাফ টে চামচ
রসুন বাটা হাফ টে চামচ
টমেটো কুচি বড় ১ টি
কাঁচামরিচ ২/৩ টি
ধনেপাতা কুচি ১ টে চামচ
তেল + সরিষা তেল ২ টে চামচ ( মিক্স করে নিলে তরকারি মজা ও দেখতে সুন্দর হয়।)
এবার রান্না :
তেল গরম করে , পেয়াজ কুচি দিয়ে , রশন বাটা + পেয়াজ বাটা দিয়ে , টমাটো কুচি ও লবন দিয়ে নরম হওয়া পর্যন্ত নারতে হবে, তারপর একে একে সব মশলা দিয়ে ,একটু পানি দিয়ে কষায় নিতে হবে। এখন চিংডি দিয়ে কিছুক্কন কষিয়ে ,প্রথমে পটল দিয়ে নেড়ে ১/২ সেকেন্ড পর কচু মুখি দিয়ে আর কিছুক্কন কষাতে হবে, একটু নরম হওয়া পর্যন্ত ।এবার পরিমান মত গরম পানি দিয়ে ৪/৫ মি। রান্না করতে হবে। নামানোর আগে কাচামরিচ আর ধনেপাতা কুচি দিয়ে নামিয়ে নিতে হবে। তৈরি হয়ে গেল মজাদার চিংড়ি আর কচু মুখি ও পটল তরকারি…
পরিবেশন করুন গরম গরম সাদা ভাতের সাথে ।
পটলের খোসা দিয়ে চিংড়ি ভর্তা
উপকরণ
পটলের খোসা ১ কাপ
মাঝারি সাইজের চিংড়ি মাছ ৪ টি
পেয়াঁজ কুচি ২ টেবিল চামচ
রসুন কুচি ১ চা চামচ
আদা কুচি ১ চা চামচ
হলুদ আধা চা চামচ
শুকনো লঙ্কা ৩ টি
পরিমাণমতো লবন
সরষের তেল ১ টেবিল চামচ
প্রণালি
পটলের খোসা ছাড়িয়ে রাখুন । পটলের খোসা ও চিংড়ি ভালো করে ধুয়ে হলুদ লবন মাখিয়েে বাকি সব উপকরণ সহ অল্প আঁচে সামান্য জলের ছিঁটে দিয়ে ভেজে নিন যেন চিংড়ি সেদ্ধ হয়।
এবার সব উপকরণসহ ব্লেন্ডারে দিয়ে ভর্তা তৈরি করুন। গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করন পটল খোসা চিংড়ি ভর্তা ।
চিংড়ি শুঁটকি দিয়ে কচুর লতি।
পুষ্টিকর তরকারী হচ্ছে কচু। আর কচুর মুড়া থেকে বের হওয়া মুল হচ্ছে ‘লতি’। কোথায় কোন গ্রামে কি বলে জানি না! তবে ঢাকা শহরে আমরা কচুর লতি হিসাবেই
কিনে থাকি। কচুর লতি বেশ ভাল তরকারী। কচুর লতি বেশ ভাল তরকারী। অবশ্য আধুনিক পরিবার এখন আর কছুর লতি খেতে চান না! কচুর লতি রান্না করে টেবিলে সাজিয়ে রাখা আজকালকার অনেক ধনী পরিবারের আর মানায় না। তা ছাড়া কচুর লতি রান্না ভাল হয় শুঁটকী মাছে! আর শুঁটকী মাছতো অনেকের খাবার টেবিলের ধারে কাছেও নাই! এদিকে মধ্যবিত্ত এবং নিম্মবিত্তের কাছে কচুর লতি এবং শুঁটকী মাছের জনপ্রিয়তা এখনো বেশ আছে
উপকরণ: মাথা ছাড়ানো চিংড়ির শুঁটকি আধা কাপ, কচুরলতি ৫০০ গ্রাম, রসুনবাটা দেড় চা-চামচ, পেঁয়াজকুচি ৯ টেবিল চামচ, তেল ১ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, হলুদগুঁড়া আধা চা-চামচ, মরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ।
প্রণালি: চিংড়ি শুঁটকির মাথা ফেলে ধুয়ে রাখুন। কচুরলতির আঁশ ফেলে টুকরা করে নিন। তেলে পেঁয়াজ, রসুন, হলুদ, মরিচগুঁড়া ও চিংড়ি শুঁটকি দিয়ে দিন। লতি সেদ্ধ হলে ধনেপাতা, মরিচ দিয়ে নামিয়ে নিন।
লতি-চিংড়ি
উপকরণ:
কচুর লতি (ছিলে কুটে নেওয়া) এক কেজি, মাঝারি চিংড়ি ১০/১২টি, হলুদের গুঁড়ো দেড় চা-চামচ, লাল মরিচের গুঁড়ো ২ চা-চামচ, লবণ সোয়া চা-চামচ, চিনি ২ চা-চামচ, টমেটো বাটা সিকি কাপ, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, সয়াবিন তেল পৌনে এক কাপ, আদা বাটা ২ চা-চামচ, রসুন বাটা ২ চা-চামচ, চেরা কাঁচা মরিচ ৫টি, রসুন বাটা ২ চা-চামচ, রসুন ১টি (কুচি), লেবুর রস ১ টেবিল চামচ।

প্রণালি:
চিংড়ি মাছগুলো আধা চা-চামচ হলুদ গুঁড়া ও সিকি চামচ লবণ দিয়ে মেখে কড়াইয়ে আধা কাপ তেল গরম করে ভেজে উঠিয়ে রাখুন। একই তেলে লতিগুলো দিয়ে নেড়ে মাঝারি আঁচে ঢেকে দিন। আধা ঘণ্টা পর ভাজা ভাজা হয়ে এলে তেল ছেঁকে লতিগুলো উঠিয়ে রাখুন।
একই তেলে আরও সিকি কাপ তেল গরম করে পেঁয়াজ কুচি হালকা বাদামি করে ভেজে সব গুঁড়া ও বাটা মসলা দিয়ে অল্প অল্প করে পানি দিয়ে কষিয়ে নিন। এবার চিনি দিয়ে নেড়ে টমেটো বাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ ভালো করে কষিয়ে নিন।
ভেজে রাখা লতি ও চিংড়ি মাছের সঙ্গে লবণ দিয়ে মাঝারি আঁচে নেড়ে ঢেকে দিন। একটু পর ঢাকনা খুলে সামান্য হাত ধোয়া পানি দিয়ে নেড়ে কাঁচা মরিচ ও লেবুর রস দিয়ে নেড়ে ঢেকে দিন। মাখা মাখা হয়ে লতি সেদ্ধ হলে কিছুক্ষণ দমে রাখুন। তেল ছাড়া শুরু করলে নামিয়ে ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।
স্পেশাল স্মোকড/ভাপে লতি চিংড়ি



উপকরণ:
১. কচুর লতি ছোট ছোট করে কাটা: ২ কাপ
২. কুচো বা ছোট চিংড়ি: ১ - ১/২ কাপ
৩. পিঁয়াজ কুচি: ১/২ কাপ
৪. রসূন কুচি: ১ - ২ কোশ
৫. রসূন বাটা: ১ চা চামচ
৬. মরিচ বাটা: ২ চা চামচ ( ঝাল কম বেশি করতে পারেন স্বাদ অনুযায়ী)
৭. লবন: স্বাদ অনুযায়ী
৮. সর্ষের তেল: ১/৩ কাপ
৯. কলা পাতা: ২ টি
১০. সূতা
প্রণালীঃ
প্রথমে কলা পাতা গুলো ভালও করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে তাতে অল্প তেল ব্রাশ করে চুলো তে হাল্কা করে সেকে নিতে হবে। এরপর একটি বাটীতে বা পাত্রে সবগুলো উপকরণ ভাল করে হাত দিয়ে মিশিয়ে একটি কলাপাতার ঠিক মাঝখানে দিয়ে দিতে হবে। তারপর চারপাশের পাতার অংশ গুলো দিয়ে মিশ্রণ টি কে ভাল করে মুড়িয়ে দিতে হবে। অপর পাতাটা দিয়েও মিশ্রণ মাখা পাতাটা কে ভাল করে  মুড়িয়ে চিকন সুতা দিয়ে বেঁধে দিতে হবে।
এরপর চুলার আঁচ একদম কমিয়ে একটি তাওয়া বসিয়ে তার উপর কলা পাতা বাঁধা মিশ্রণ তা রেখে ভাল করে ঢেকে দিন। একপিঠ হয়ে গেলে  উল্টে দিন। কিন্তু ঘন ঘন উল্টাবেন না। প্রতি ৩০ - ৪০ মিনিট পরই উল্টাতে হবে । পাতার উপরের অংশ পুড়ে গেলেও ভয় পাওয়ার কিছু নেই, কিন্তু লক্ষ্য রাখতে হবে ভিতরে যেন বেশি পোড়া না যায়। রান্না হয়ে গেলেও পাতা খুলবেন না। খাওয়ার সময় সুতা কেটে গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন স্মোকড / ভাপে লতি চিংড়ি। আগে পাতা খুললে রান্নার  ঘ্রান বেরিয়ে যাবে তাই খাওয়ার সময়ই খোলা ভাল।
ব্রকলি দিয়ে চিংড়ি মাছের শুটকি
উপকরণ:
চিংড়ি শুটকি ১ কাপ

ব্রকলি ২ কাপ
পিঁয়াজ কুচি বড় আকারের ১ টি
রসুন কুচি ৩ টেবিল-চামচ
কাঁচামরিচ ৫-৬টি
হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ
মরিচের গুঁড়া এক চা চামচ
লবণ স্বাদ মত
তেল পরিমাণ মত
প্রণালী:
প্রথমে চিংড়ি শুটকি পানি দিয়ে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। তারপর ব্রকলি ছোট ছোট করে কেটে নিন। এবার কড়াইয়ে পরিমাণ মতো তেল গরম করে পিঁয়াজ কুচি, রসুন কুচি দিয়ে ভাজতে থাকুন। পিঁয়াজ হালকা বাদামি হলে চিংড়ি শুটকি, হলুদ গুঁড়া,মরিচ গুঁড়া, কাঁচামরিচ ও লবণ দিয়ে ভাজতে থাকুন।

পানি ছাড়া রান্না করলে সাধ হবে বেশি। তাই খুব হাল্কা আঁচে রান্না করবেন। চিংড়ি ভাজা ভাজা হয়ে আসলে ব্রকলি দিয়ে দিন। মাঝারি তাপে ব্রকলি সিদ্ধ হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। ব্রকলির রং সবুজ রাখতে হলে ঢাকনা ব্যবহার করা যাবে না। ব্রকলি সিদ্ধ হলেই চুলা বন্ধ করে দিন। নামিয়ে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।
চিংড়ি মাছের ঝাল
উপকরণ
চিংড়ি ২৫০ গ্রাম (খোসা ছাড়িয়ে পরিষ্কার করা)
টমেটো কুচি ১টা
মটরশুঁটি এক মুঠো
ধনেপাতা কুচি এক মুঠো
আলু ১টা (খোসা ছাড়িয়ে ডুমো করে কাটা)
আদা বাটা ১ ইঞ্চি টুকরো
গোটা জিরে ১ চা চামচ
তেজপাতা ১টা
গুঁড়ো হলুদ ২ চা চামচ
মরিচ গুঁড়ো ২-৩ চা চামচ
গরম মশলা গুঁড়ো ১/২ চা চামচ
লবণ স্বাদমদো
তেল ২ টেবিল চামচ।
প্রস্তুত প্রণালী
প্রথমে চিংড়ি একটা বড় বাটিতে নিয়ে লবণ, হলুদ মাখিয়ে ৫ মিনিট রাখুন। কড়াইতে তেল গরম করে চিংড়ি সোনালি করে ভেজে তুলুন। চিংড়ি কড়াই থেকে তুলে নিয়ে জিরে ও তেজপাতা ফোড়ন দিন। ফোড়ন ফুটতে শুরু করে টমেটো কুচি ও লবণ দিয়ে ভালো ভাবে সেদ্ধ হয়ে তেল না ছাড়া পর্যন্ত রান্না করুন।
এবার হলুদ গুঁড়ো, মরিচ গুঁড়ো, আদা বাটা আর আলু দিন। ভালো করে মিশিয়ে আধা কাপ পানি দিন। ঢাকনা দিয়ে ঢকে পুরোপুরি সেদ্ধ হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন।
সেদ্ধ হয়ে গেলে মটরশুঁটি ও চিংড়ি দিয়ে দিন। চেরা কাঁচা মরিচ দিতে পারেন ইচ্ছা হলে। আরও ১/৪ কাপ পানি দিন। এ বার আর ঢেকে দেবেন না। আঁচ একদম কমিয়ে ৩ মিনিট মতো রান্না করুন। যতক্ষণ না মটরশুঁটি পুরোপুরি সেদ্ধ হচ্ছে। ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে নামিয়ে ফেলুন। এবার পরিবেশনের পালা।

ডাঁটা চিংড়ির ঝোল
উপকরণ :

চিংড়ি মাছ ১০০ গ্রাম, ডাঁটা ২৫০ গ্রাম, পেঁয়াজ কুঁচি ৩ টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়ো আধা চা চামচ, মরিচ গুঁড়ো ১ চা চামচ, কাঁচামরিচ ৪/৫টা, তেল ৩ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো৷
যেভাবে তৈরি করতে হবে :
কড়াইতে তেল গরম করে চিংড়ি মাছ ভেজে তুলে রাখুন৷ এবার পেঁয়াজ কুঁচি হালকা ভেজে হলুদ গুঁড়ো, মরিচ গুঁড়ো ও লবণ দিয়ে কষিয়ে ডাঁটা ও পরিমাণ মতো পানি দিয়ে রান্না করুন৷ ডাঁটা সেদ্ধ হয়ে গেলে ভেজে রাখা চিংড়ি মাছ দিয়ে আরো কিছুক্ষণ রান্না করে নামিয়ে পরিবেশন করুন৷
চিংড়ি বড়া
উপকরণ :
ছোট আকারের চিংড়ি - ২০০ গ্রাম
মসুরের ডাল -১/২ কাপ
চালের গুড়া -১ চা চামচ
পেঁয়াজকুচি -মাজারি সাইজের ১ টি
কাঁচা মরিচ - ২ টি
হলুদের গুড়া -১/৪ চা চামচ
জিরার গুড়া- ১/৪ চা চামচ
আদা বাটা -১/২ চা চামচ 
রসুন বাটা -১/২ চা চামচ
বেকিং পাউডার  -১/৪ চা চামচ
ধনেপাতাকুচি -২টেবিল চামচ
লবণ -১/২ চা চামচ
তেল -ভাজার জন্য
পদ্ধতি :
ডাল  ধুয়ে কুসুম গরম পানিতে ২-৩ ঘণ্টা  ভিজিয়ে রাখুন। পরে পানি ফেলে ব্লেন্ড করে নিন। খুব মিহি করে ব্লেন্ড করবেন না। ব্লেন্ড করা ডাল আলাদা পাত্রে রাখুন ।
চিংড়ি গুলো পরিস্কার করে ধুয়ে  নিন । চিংড়ি ও কাঁচা মরিচ একসাথে ব্লেন্ডারে  দিয়ে ব্লেন্ড করুন। (প্রয়োজনে অল্প পানি মেশান)
পাত্রে বাটা চিংড়ি ও ডাল নিয়ে তেল ছাড়া বাকি সব উপকরণগুলো একসাথে ভালোভাবে মেশান।
ফ্রাইপ্যান এ তেল গরম করুন। এক চা চামচের সমান মিশ্রণ নিয়ে গোল করে  ফ্রাইপ্যানে দিয়ে  মাঝারি আঁচে ভাজুন  যতক্ষণ পর্যন্ত  দুইপাশ বাদামী না হয়।
ভাজা হয়ে গেলে বড়াগুলো ফ্রাইপ্যান থেকে নামিয়ে কিচেন টিস্যুর উপরে রাখুন যেন অতিরিক্ত তেল না থাকে।
গরম গরম পরিবেশন করুন চিংড়ি বড়া।
চিংড়ি মাছের ভর্তা
উপকরণ :

চিংড়ি মাছ মাঝারি ২৫০ গ্রাম, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, রসুন কুচি ১ টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ ৫-৬টি, শুকনো মরিচ ৪-৫টি, তেল সামান্য এবং লবণ স্বাদ অনুযায়ী।
প্রস্তুত প্রণালি :
মাছের খোসা ফেলে ভালো করে ধুয়ে নিন। এরপর সব উপকরণ একসঙ্গে নিয়ে চুলায় রেখে ভালো করে ভাজতে থাকুন। মাছ মচমচে হয়ে এলে সেটি নামিয়ে গরম গরম পাটায় বেটে নিন। সাজিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার চিংড়ি ভর্তা।


No comments:

Post a Comment