Friday, October 27, 2017

আমড়া /  Hog Plum /  Spondias mombin
আমড়া (ইংরেজিতে Hog Plum) একপ্রকার ফল যা মাঝারি আকারের
পর্ণমোচী বৃক্ষে ফলে।  বৈজ্ঞানিক নামSpondias pinnaata Kurz. (বা Spondias mombin), পরিবার: (Anacardiaceae)বৃক্ষগুলি ২০-৩০ ফুটউঁচু হয়, প্রতিটি যৌগিক পাতায় ৮-৯ জোড়া পত্রক থাকে পত্রদন্ড ৮-১২ ইঞ্চি লম্বা এবং পত্রকগুলো ২-৪ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয়। কাচা ফল টক বা টক মিষ্টি হয়, তবে পাকলে
টকভাব কমে আসে এবং মিষ্টি হয়ে যায়।ফলের বীজ কাঁটাযুক্ত। ৫-৭ বছরেই গাছ ফল দেয়। এই ফল কাচা ও পাকা রান্না করে বা আচার বানিয়ে খাওয়া যায়। ফল
, আগস্ট মাসে বাজারে আসে আর থাকে অক্টোবর পর্যন্ত।

আমড়া কষ ও অম্ল স্বাদযুক্ত ফল। এতে প্রায় ৯০%-ই পানি, ৪-৫% কার্বোহাইড্রেট ও সামান্য প্রোটিন থাকে। ১০০ গ্রাম আমড়ায় ভিটামিন-সি পাওয়া যায় ২০ মিলিগ্রাম, ক্যারোটিন ২৭০ মাইক্রোগ্রাম, সামান্য ভিটামিন-বি, ক্যালসিয়াম ৩৬ মিলিগ্রাম, আয়রন ৪ মিলিগ্রাম। আমড়ায় যথেষ্ট পরিমাণ পেকটিনজাতীয় ফাইবার এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্টজাতীয় উপাদান থাকে।
আমড়ার পুষ্টিগুণ : প্রতি ১০০ গ্রাম খাদ্য উপযোগী আমড়ার পুষ্টিগুণ
প্রোটিন এর নাম
পরিমাণ
শর্করা                ১৫ গ্রাম
আমিষ             ১.১ গ্রাম

চর্বি                 ০.১ গ্রাম
ক্যালসিয়াম    ৫৫ মিলিগ্রাম
আয়রন        ৩.৯ মিলিগ্রাম
ক্যারোটিন    ৮০০ মাইক্রোগ্রাম
ভিটামিন বি   ১০.২৮ মিলিগ্রাম
ভিটামিন সি        ৯২ মিলিগ্রাম
অন্যান্য খনিজ পদার্থ ০.৬ মিলিগ্রাম
খাদ্য শক্তি    ৬৬ কিলোক্যালরি
দেশি আমড়া ও বিলাতি আমড়া। বিলাতি আমড়া দেশি আমড়ার মতো টক নয়। এটি খেতে টক-মিষ্টি স্বাদের। এতে শাঁস বেশি,
আকারেও বড়। বিলাতি আমড়া কাঁচা খাওয়া হয়। বিলাতি ও দেশি দই’ধরনের আমড়া থেকেই সুস্বাদু আচার, চাটনি এবং জেলি তৈরি করা যায়। তরকারি হিসেবে রান্না করেও আমড়া খাওয়া যায়। মুখে রুচি বৃদ্ধিসহ অসংখ্য গুণাগুণ রয়েছে আমড়া। গোল্ডেন আপেলখ্যাত আমড়ার বৈজ্ঞানিক নাম Stondia Dulcis। এটি Anacardiaceae পরিবারভুক্ত। আমড়ায় জলীয় অংশ ৮৩.২, খনিজ ০.৬, লৌহ ০.৩৯, আঁশ ০.১, চর্বি ০.১, আমিষ ১.১, শর্করা ১৫, ক্যালসিয়াম ০.৫৫ শতাংশ।  
পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, আমড়ায় প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি,
আয়রন, ক্যালসিয়াম আর আঁঁশ আছে, যেগুলো শরীরের জন্য খুব দরকারি। হজমেও এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই তেল ও চর্বিযুক্ত খাদ্য খাওয়ার পর আমড়া খেয়ে নিতে পারেন; হজমে সহায়ক হবে। আমড়ায় প্রচুর ভিটামিন সি থাকায় এটি খেলে স্কার্ভি রোগ এড়ানো যায়। বিভিন্ন প্রকার ভাইরাল ইনফেকশনের বিরুদ্ধেও লড়তে পারে আমড়া। অসুস্থ ব্যক্তিদের মুখের স্বাদ ফিরিয়ে দেয়।  
সর্দি-কাশি-জ্বরের উপশমেও আমড়া অত্যন্ত উপকারী। শিশুর দৈহিক গঠনে ক্যালসিয়াম খুব দরকারি। ক্যালসিয়ামের ভালো উৎস এই আমড়া। শিশুদের এই ফল খেতে উৎসাহিত করতে পারেন। এছাড়া এটি রক্তস্বল্পতাও দূর করে। কিছু ভেষজ গুণ আছে আমড়ায়। এটি পিত্তনাশক ও কফনাশক। আমড়া খেলে মুখে রুচি ফেরে, ক্ষুধা বৃদ্ধিতেও সহায়তা করে।  
আমড়ায় থাকা ভিটামিন সি রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। খাদ্যে থাকা ভিটামিন এ এবং ই এটির সঙ্গে যুক্ত হয়ে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে দেহকে নানা ঘাত-প্রতিঘাত থেকে রক্ষা করে। দাঁতের মাড়ি শক্ত করে, দাঁতের গোড়া থেকে রক্ত, পুঁজ, রক্তরস বের হওয়া প্রতিরোধ করে আমড়া। এর ভেতরের অংশের চেয়ে বাইরের খোসাতে রয়েছে বেশি ভিটামিন সি আর ফাইবার বা আঁশ, যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে করে দ্বিগুণ শক্তিশালী। আর আঁশজাতীয় খাবার পাকস্থলী (স্টমাক), ক্ষুদ্রান্ত, গাছহদন্ত্রের (পেটের ভেতরের অংশবিশেষ) জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ।
যে ৫ টি কারণে খেতে পারেন
১) ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ 
ক্যালসিয়ামের অভাবে হাড়ের রোগ, মাংস পেশীর খিঁচুনি ছাড়াও যে সকল সমস্যা দেখা যায় আমড়া তা প্রতিরোধ করে। তাই প্রতিদিনের ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণে আমরা আমড়ার সাহায্য নিতে পারি।
২) ত্বক ভাল রাখে 

ত্বকের ব্রণ কমাতে, ত্বক উজ্জ্বল রাখতে আমড়া দারুণ উপকার করে থাকে। আমড়ায় প্রচুর ভিটামিন সি রয়েছে। আর ভিটামিন ‘সি’ ত্বক উজ্জ্বল রাখতে অত্যন্ত দরকার। তাই ত্বক সুস্থ ও উজ্জ্বল রাখতে খেতে পারেন আমড়া।
৩) রক্তস্বল্পতা রোধ করে 
আমড়ায় প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকার কারণে এটি রক্তস্বল্পতা রোধে কার্যকর ভুমিকা পালন করে থাকে। সাথে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা সঠিক পর্যায়ে রাখে।
৪) বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে 
আমড়াতে রয়েছে বিভিন্ন দ্রবণীয় ফাইবার এবং ফাইবার পাকস্থলীর ক্রিয়া প্রক্রিয়া স্বাভাবিক পর্যায়ে রাখে। ফলে বদ হজম, পেট ফাঁপা, কোষ্ঠকাঠিন্যের মত অস্বস্তিকর রোগ গুলোকে দূরে রাখার জন্য সাহায্য নিতে পারেন আমড়ার।
৫) সর্দি কাশি,ইনফ্লুঞ্জার বিরুদ্ধে কাজ করে 
বিভিন্ন ভাইরাসের আক্রমন থেকে রক্ষা করা ছাড়াও আমড়া সর্দি কাশি, ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগের জীবাণুর বিরুদ্ধে কাজ করে। যার ফলে নানা সংক্রমণ থেকে সহজেই বেঁচে থাকা যায়।
আমড়া (ambarella) একটি সহজলভ্য ফল। রাস্তায় পথ চলতে চলতে খেয়ে নিতে পারেন একটি আমড়া। তবে রাস্তা থেকে কিনলে প্রথমে তা পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালভাবে ধুয়ে নিতে হবে।
আমড়ার রকমারি ৬ পদ
১. ডিম-আমড়ার কোরমা
উপকরণ
আমড়া ৬টি, সিদ্ধডিম ৪টি, পেঁয়াজ কুচি ৩ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ১ চা চামচ, আদা বাটা ১ চা চামচ, পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়া এক চিমটি, জিরা গুঁড়া আধা চা চামচ, ধনে গুঁড়া আধা চা চামচ, গুঁড়া দুধ ২ টেবিল চামচ, সয়াবিন তেল ৪ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো।

যেভাবে তৈরি করবেন
১. আমড়াগুলো খোসা ছাড়িয়ে গোটা সিদ্ধ করে নিন।
২. কড়াইয়ে তেল দিয়ে পেঁয়াজ কুচি একটু লাল করে ভেজে আমড়া দিয়ে দুধ বাদে সব মসলা দিয়ে কষিয়ে নিন।
৩. এরপর সামান্য পানিতে দুধ গুলে দিন। ডিম দিয়ে ঢেকে ৫ মিনিট রেখে নামিয়ে নিন।
২. পোলাও
উপকরণ
আমড়া পাতলা করে কাটা আধা কাপ, পোলাও চাল ১ কাপ, লবণ ১ চা চামচ, রসুন বাটা ২ চা চামচ, আদা বাটা ২ চা চামচ, পেঁয়াজ কুচি ৩
টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ ৩টি, শুকনা মরিচ গুঁড়া আধা চা চামচ, তেজপাতা ২টি, দারুচিনি ২টি, এলাচ ৩টি, ঘি ২ টেবিল চামচ, সরিষার তেল এক কাপের ৪ ভাগের তিন ভাগ।
যেভাবে তৈরি করবেন
১. কড়াইয়ে তেল দিয়ে পেঁয়াজ কুচি একটু লাল করে ভেজে এলাচ, দারুচিনি, তেজপাতা দিয়ে চাল ভুনে নিন। পানি ও লবণ দিয়ে ঢেকে পোলাও রান্না করুন।
২. আরেকটি কড়াইয়ে তেল দিয়ে আমড়া হালকা করে ভেজে আদা বাটা, রসুন বাটা, শুকনা মরিচ গুঁড়া ও পানি দিয়ে সিদ্ধ করে নিন।
৩. এবার পোলাওয়ের সঙ্গে আমড়ার মিশ্রণ দিয়ে নেড়ে কাঁচা মরিচ ও ঘি দিয়ে ৫ মিনিট ঢেকে দমে রেখে দিন। এরপর পরিবেশন করুন।
৩. আচার
উপকরণ
আমড়া আধা কেজি, সরিষার তেল ২৫০ গ্রাম, সরিষা বাটা ২ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো, হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ, রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ, চিনি বা গুড় পরিমাণমতো, ৫ ফোড়ন ১ চা চামচ, মৌরি গুঁড়া আধা চা চামচ, ভিনেগার আধা কাপ।

যেভাবে তৈরি করবেন
১. আমড়াগুলো খোসা ছাড়িয়ে চার ফালি করে কেটে লবণ-পানিতে ১০-১৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন।
২. এরপর সামান্য হলুদ ও লবণ দিয়ে সিদ্ধ করে নিন।
৩. কড়াইয়ে তেল দিয়ে ৫ ফোড়ন, চিনি বা গুড় দিন। এরপর একে একে লবণ, হলুদ গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া, রসুন বাটা, সরিষা বাটা ও ভিনেগার দিয়ে কষিয়ে আমড়া দিন। পানি দেবেন না। কিছুক্ষণ নেড়ে মৌরি গুঁড়া দিয়ে নামিয়ে নিন।
৪.ঠাণ্ডা করে একটি কাচের বয়ামে ঢেলে নিন। মাঝেমধ্যে রোদে দিন। ফ্রিজে সংরক্ষণ করুন।
৪. চাটনি
উপকরণ
আমড়া আধা কেজি, সয়াবিন তেল ১ টেবিল চামচ, আদা বাটা ১ চা চামচ,
লবণ ১ চা চামচ, হলুদ গুঁড়া আধা চা চামচ, রসুন বাটা ১ চা চামচ, গোটা সরিষা ১ চা চামচ, গোটা শুকনা মরিচ ২টি।
যেভাবে তৈরি করবেন

১. আমড়া পানি, হলুদ গুঁড়া ও লবণ দিয়ে সিদ্ধ করে চেলে নিন।
২. কড়াইয়ে তেল দিয়ে গোটা সরিষা ও গোটা শুকনা মরিচ ফোড়ন দিয়ে আদা বাটা, রসুন বাটা দিয়ে একটু কষিয়ে আমড়ার পেস্ট দিয়ে নেড়ে ফুটে উঠলে নামিয়ে নিন।
৫. ছোট মাছে আমড়া
উপকরণ
আমড়া কুচি করা ৪টি, যেকোনো ছোট মাছ আধা কেজি, সয়াবিন তেল ৪ টেবিল চামচ, আদা বাটা ১ চা চামচ, লবণ ১ চা চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ, রসুন বাটা ১ চা চামচ, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, কাঁচা মরিচ ৩টি, লেবুর রস ১ চা চামচ।

যেভাবে তৈরি করবেন
১. মাছ ধুয়ে লেবুর রস মেখে ১০ মিনিট রেখে দিন।
২. এরপর মাছের সঙ্গে আমড়া, সয়াবিন তেল, আদা বাটা, লবণ, হলুদ গুঁড়া, রসুন বাটা, পেঁয়াজ কুচি ও কাঁচা মরিচ ফালি হাত দিয়ে মেখে পরিমাণমতো পানি দিয়ে রান্না করে নিন।
৬. দোলমা
উপকরণ
আমড়া মিহি কুচি আধা কাপ, পটল ৫টি, লবণ আধা চা চামচ, সয়াবিন তেল ৩ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ১ চা চামচ, হলুদ গুঁড়া আধা চা চামচ, আদা বাটা ১ চা চামচ, পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল চামচ, জিরা গুঁড়া আধা চা চামচ, ধনে গুঁড়া আধা চা চামচ, পেঁয়াজ কুচি ৩ টেবিল চামচ, শুকনা মরিচ গুঁড়া আধা চা চামচ, কাঁচা মরিচ ৩টি।
যেভাবে তৈরি করবেন
১. কড়াইয়ে তেল দিয়ে পেঁয়াজ কুচি একটু লাল করে ভেজে আমড়া, লবণ ও
আদা বাটা দিয়ে হালকা করে ভেজে নামিয়ে নিন।
২. পটলের খোসা ছাড়িয়ে মাঝখান থেকে অল্প কেটে বিচি বের করে ফেলে দিন।
৩. এবার পটলের মধ্যে আমড়ার পুর ভরে সুতা দিয়ে পেঁচিয়ে নিন, যেন খুলে না যায়।
৪. আবার কড়াইয়ে তেল দিয়ে রসুন বাটা, হলুদ গুঁড়া, আদা বাটা, পেঁয়াজ বাটা, জিরা গুঁড়া, ধনে গুঁড়া শুকনা মরিচ গুঁড়া দিয়ে কষিয়ে পটল দিন। অল্প পানি দিয়ে কাঁচা মরিচ দিয়ে ঢেকে দিন। ৫ মিনিট রেখে নামিয়ে নিন।
সূত্র: কালেরকণ্ঠ
টক-ঝাল-মিষ্টি আমড়ার আচার
বিভিন্ন রকমের আচারের মধ্যে আমড়ার আচার অন্যতম। আমড়া দিয়ে তৈরি টক-মিষ্টি-ঝাল আচার খেতে খুবই সুস্বাদু ও মজাদার।
উপকরণ
- আমড়া ২ কেজি
- সরিষার তেল আধা লিটার
- আদা-রসুন বাটা ৬ টেবিল চামচ
- লবণ পরিমাণ মতো
- চিনি স্বাদ অনুযায়ী
- কাটা শুকনামরিচ ৪ থেকে ৫টি

- আদাকুচি ২ টেবিল চামচ
- পাঁচফোড়ন ২ চা-চামচ
- মরিচ গুঁড়ো ২ চা-চামচ
যেভাবে করবেন
আমড়া ধুয়ে খোসা ছিলে ফালি করে কাটুন। এবার চিনি বাদে তেল, আদা-রসুন, মসলা মেখে আমড়া ১ দিন রোদে শুকিয়ে নিতে হবে। চুলায় পাত্রে তেল দিয়ে পাঁচফোড়ন ভাজতে হবে। তারপর বাকি সব মশলা সামান্য পানি দিয়ে ভালো মতন কষিয়ে নিন। পানি ফুটে উঠলে মাখানো আমড়া দিয়ে কষাতে থাকুন।
ভালোমতো কষিয়ে চিনি দিয়ে মাঝারি আঁচে রান্না করুন। তেল আমড়ার ওপরে উঠলে নামিয়ে আনুন মজার স্বাদের আমড়া আচার। এই আচার পোলাও, বিরিয়ানি, খিচুরি অথবা ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করতে পারেন। চাইলে শুধুও খেতে পারেন। বাষ্প নিরোধী কাঁচের বয়ামে সংরক্ষণ করলে আচার অনেকদিন পর্যন্ত ভালো রাখা সম্ভব। তাই এখনি বানিয়ে নিন মজাদার আমড়ার আচার।
মজাদার আমড়ার চাটনি
উপাদান :
কাঁচা আমড়া—সাত থেকে আটটি
সরষে বাটা—আধা কাপ
হলুদ—এক চা চামচ
শুকনো মরিচ—তিন/চারটি
চিনি—আধা কাপ
লবণ—স্বাদমতো
সরষের তেল—পরিমাণমতো
পানি—প্রয়োজনমতো
যেভাবে তৈরি করবেন
প্রথমেই একটি প্যানে অল্প তেল দিয়ে গরম করুন। তেল গরম হলে সরষে, শুকনো মরিচ ফোড়ন দিয়ে আমড়াগুলো হালকা করে ভেজে নিন। ভাজার সময় সামান্য একটু লবণ ও হলুদ দিন। এবার ভাজা হয়ে এলে আমড়ার মধ্যে সম্পূর্ণ চিনিটা ঢেলে দিন। এর পর অল্প একটু নাড়াচাড়া করে পানি ঢালুন। কড়াইয়ে ঢাকনা দিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। আমড়া সেদ্ধ হয়ে এলে ঢাকনা সরিয়ে সরষে বাটা দিন। সরষে বাটা আমড়ার সঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে অল্প আঁচে একটু রেখে দিন। এরপর মাখা মাখা হয়ে এলে নামিয়ে রাখুন। এভাবেই তৈরি হয়ে গেল আমড়ার চাটনি।


No comments:

Post a Comment