ফুলকপি / Cauliflower
ফুলকপি শীতের এক প্রধান জনপ্রিয় সবজি হল ফুলকপি। তরকারি
বা কারি ও স্যুপ তৈরি করে, বড়া ভেজে ফুলকপি খাওয়া হয়। তবে শীতের সবজি হলেও
ফুলকপি এখন
গ্রীষ্মকালেও উৎপাদিত হচ্ছে। এ দেশে এখন ফুলকপির পঞ্চাশটিরও বেশি জাত
পাওয়া যাচ্ছে। শীতকালেই আগাম, মধ্যম ও নাবী মৌসুমে বিভিন্ন জাতের ফুলকপি আবাদ
করা যায়। এ ছাড়া গ্রীষ্মকালে চাষের উপযোগী জাতও আছে।
ফুলকপি ব্রাসিকেসি পরিবারভুক্ত ব্রাসিকা
অলেরাসিয়া (en:Brassica oleracea) প্রজাতির সবজিগুলোর একটি। এটি একটি
বার্ষিক ফসল যা বীজের মাধ্যমে বংশবিস্তার করে। সাধারণতঃ ফুলকপির ফুল অর্থাৎ সাদা
অংশটুকুই খাওয়া হয় আর সাদা অংশের চারপাশে ঘিরে থাকা ডাঁট এবং পুরু, সবুজ
পাতা দিয়ে স্যুপ রান্না করা হয় অথবা ফেলে দেওয়া হয়। ফুলকপি খুবই পুষ্টিকর একটি
সবজি; এটি রান্না বা কাচা যে কোন প্রকারে খাওয়া যায়, আবার
এটি দিয়ে আচারও তৈরি করা যায়।
পাতা দিয়ে ঘিরে থাকা সাদা অংশটুকু দেখতে ফুলের
মতো বলেই ফুলকপির এমন নামকরণ। এর বৈজ্ঞানিক নাম ব্রাসিকা অলিরাসিয়া (en:Brassica
oleracea), যার মধ্যে বাঁধাকপি, ব্রকলি ইত্যাদিও পড়ে, অবশ্য
এরা ভিন্ন চাষ গোত্রভুক্ত।
ফুলকপিতে রয়েছে ভিটামিন ‘বি’, ‘সি’,
‘কে’,
ক্যালসিয়াম,
আয়রন,
ম্যাগনেসিয়াম
ও জিংক। একটি মাঝারি আকারের ফুলকপিতে রয়েছে শক্তি-২৫ কিলোক্যালরি, কার্বোহাইড্রেট-৪.৯৭
গ্রাম , প্রোটিন-১.৯২ গ্রাম , ফ্যাট-০.২৮ ,
আঁশ-২
গ্রাম, ফোলেট-০.৫৭ মাইক্রোগ্রাম, নিয়াসিন-০.৫০ মাইক্রোগ্রাম, থায়ামিন-০.০৫
, প্যানথানিক এসিড-০.৬৬৭ মাইকোগ্রাম ।
ফুলকপি ব্রাসিকা প্রজাতির ব্রাসিকা
ওলারিয়াসিয়া প্রজাতির বেশ কয়েকটি শাকসব্জিতে এক। এটি বীজ দ্বারা পুনরুত্পাদন যা
একটি বার্ষিক উদ্ভিদ।
পুষ্টি উপাদান
ফুলকপি
প্রতি 100 গ্রাম পরিমাণ
ক্যালোরি 25
মোট ফ্যাট 0.3 গ্রাম 0%
চর্বিযুক্ত চর্বি 0.1 জি 0%
পলিউস্যাচুরেটেড ফ্যাট 0 জি
Monounsaturated চর্বি 0 জি
ট্রান্স ফ্যাট 0 গ্রাম
কোলেস্টেরল 0 মিলিগ্রাম 0%
সোডিয়াম 30 মিলিগ্রাম 1%
পটাসিয়াম 299 মিলিগ্রাম 8%
মোট কার্বোহাইড্রেট 5 গ্রাম 1%
ডায়রিটি ফাইবার 2 গ্রাম 8%
চিনি 1.9 গ্রাম
প্রোটিন 1.9 গ্রাম 3%
ভিটামিন এ 0% ভিটামিন সি 80%
ক্যালসিয়াম 2% আয়রন 2%
ভিটামিন ডি 0% ভিটামিন বি -6
10%
ভিটামিন বি -12 0% ম্যাগনেসিয়াম 3%
* শতাংশ দৈনিক মূল্য 2,000 ক্যালরি
খাদ্য উপর ভিত্তি করে। আপনার ক্যালোরি চাহিদার উপর নির্ভর করে আপনার দৈনন্দিন
মানগুলি উচ্চ বা কম হতে পারে ।
ফুলকপি বাংলাদেশে
একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় শীতকালীন পুষ্টিকর সবজি। ফুলকপি পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ
স্বাস্থ্যকর সবজিগুলোর একটি। ফুলকপিতে পানি থাকে ৮৫% , অল্প পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট ও প্রোটিন থাকে। কম ক্যালোরির এই সবজিতে ভিটামিন
‘এ’, ‘সি’ ও ক্যালসিয়াম, মিনারেল,
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং
অন্য ফাইটোকেমিক্যালও থাকে। এই বহুমুখী গুণ সম্পন্ন সবজিটি কাঁচা, সেদ্ধ বা রান্না করেও খাওয়া যায়। চলুন জেনে নিই শীতের
সবজি ফুলকপির আরও পুষ্টিগুণ ও চমৎকার কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতার বিষয়ে।
ক্যান্সার প্রতিরোধ
ফুলকপিতে সালফারের যৌগ সালফোরাফেন থাকে যা ব্লাড প্রেশারের উন্নতিতে সাহায্য করে। ফুলকপিতে থাকা সালফোরাফেন ক্যান্সার সৃষ্টিকারী কোষ ধ্বংস করতে পারে এবং টিউমারের বৃদ্ধিকে বাঁধা দেয়। ফুলকপির সাথে হলুদ যোগ করে গ্রহণ করলে প্রোস্টেট ক্যান্সার নিরাময়ে ও প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এছাড়া পাকস্হলী, প্রোষ্টেট, স্তন ও ডিম্বাশয় ক্যান্সার প্রতিরোধেও সাহায্য করে ফুলকপি।
ফুলকপিতে সালফারের যৌগ সালফোরাফেন থাকে যা ব্লাড প্রেশারের উন্নতিতে সাহায্য করে। ফুলকপিতে থাকা সালফোরাফেন ক্যান্সার সৃষ্টিকারী কোষ ধ্বংস করতে পারে এবং টিউমারের বৃদ্ধিকে বাঁধা দেয়। ফুলকপির সাথে হলুদ যোগ করে গ্রহণ করলে প্রোস্টেট ক্যান্সার নিরাময়ে ও প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এছাড়া পাকস্হলী, প্রোষ্টেট, স্তন ও ডিম্বাশয় ক্যান্সার প্রতিরোধেও সাহায্য করে ফুলকপি।
মস্তিষ্কের উন্নতি
ঘটায়
ফুলকপি মস্তিষ্ক ভালো রাখে, ফুলকপিতে ভিটামিন বি রয়েছে যা মস্তিষ্কের উন্নয়নে ভূমিকা রাখে। গর্ভাবস্থায় এ সবজি একটি ভালো খাদ্য হিসেবে বিবেচিত হয়। ফুলকপি নবজাতকের মস্তিষ্কের উন্নতি সাধন করতে কাজ করে।
ফুসফুসকে রক্ষা করে
ফুলকপি ফুসফুস রক্ষায় সহায়তা করে। নতুন এক গবেষণায় জানা গেছে, ভয়াবহ ফুসফুস রোগের জন্য যেসব কারণ দায়ী তা প্রতিরোধে ফুলকপি সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। ডায়াবেটিসের কারণে রক্তনালীর যে ক্ষতি হয় সবজিটি তা প্রতিরোধেও সহায়তা করে। এছাড়া ফুলকপি হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।
ফুলকপি ফুসফুস রক্ষায় সহায়তা করে। নতুন এক গবেষণায় জানা গেছে, ভয়াবহ ফুসফুস রোগের জন্য যেসব কারণ দায়ী তা প্রতিরোধে ফুলকপি সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। ডায়াবেটিসের কারণে রক্তনালীর যে ক্ষতি হয় সবজিটি তা প্রতিরোধেও সহায়তা করে। এছাড়া ফুলকপি হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।
শরীরকে বিষমুক্ত
হতে সাহায্য করে
ফুলকপির অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান শরীর পরিষ্কার হতে সাহায্য করে। এছাড়াও এতে গ্লুকোসাইনোলেটস থাকে যা এনজাইমকে সক্রিয় করে এবং ডিটক্স হতে সাহায্য করে।
ফুলকপির অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান শরীর পরিষ্কার হতে সাহায্য করে। এছাড়াও এতে গ্লুকোসাইনোলেটস থাকে যা এনজাইমকে সক্রিয় করে এবং ডিটক্স হতে সাহায্য করে।
প্রদাহ কমায়
ফুলকপিতে ইন্ডোল ৩ কার্বিনোল বা I3C থাকে যা একটি অ্যান্টিইনফ্লামেটরি উপাদান। এটি শক্তিশালী ইনফ্লামেটরি রিঅ্যাকশন প্রতিরোধ করে।
ফুলকপিতে ইন্ডোল ৩ কার্বিনোল বা I3C থাকে যা একটি অ্যান্টিইনফ্লামেটরি উপাদান। এটি শক্তিশালী ইনফ্লামেটরি রিঅ্যাকশন প্রতিরোধ করে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে
শীতের সুস্বাদু সবজি ফুলকপির আরও একটি অন্যতম গুণের একটি হল রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা। যারা ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপজনিত সমস্যায় ভুগে থাকেন, তারা ফুলকপি খাবারের তালিকায় রাখতে দ্বিধা করবেন না।
শীতের সুস্বাদু সবজি ফুলকপির আরও একটি অন্যতম গুণের একটি হল রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা। যারা ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপজনিত সমস্যায় ভুগে থাকেন, তারা ফুলকপি খাবারের তালিকায় রাখতে দ্বিধা করবেন না।
চোখকে ভালো রাখে
ফুলকপিতে ভিটামিন এ-এর পরিমাণ বেশি থাকায় চোখকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। এমনকি দেহের কোথাও কেটে গেলে ফুলকপির কচি পাতার রস লাগালে ভালো ফল পাওয়া যায়।
ফুলকপিতে ভিটামিন এ-এর পরিমাণ বেশি থাকায় চোখকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। এমনকি দেহের কোথাও কেটে গেলে ফুলকপির কচি পাতার রস লাগালে ভালো ফল পাওয়া যায়।
হজমের উন্নতি ঘটায়
ফুলকপি হজমে সাহায্য করে, ফাইবারের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস হওয়ায় ফুলকপি হজমে সাহায্য করে। সবজিতে বিদ্যমান ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে সুস্থ থাকতেও ভূমিকা রাখে।
ফুলকপি হজমে সাহায্য করে, ফাইবারের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস হওয়ায় ফুলকপি হজমে সাহায্য করে। সবজিতে বিদ্যমান ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে সুস্থ থাকতেও ভূমিকা রাখে।
বাড়তি ওজন কমাতে
ফুলকপি শরীরের বাড়তি মেদ কমিয়ে শরীরকে একটি সুন্দর গঠনে আনতে সাহায্য করে। যারা তাদের শরীরের বাড়তি ওজন নিয়ে চিন্তিত ও ডায়েট করার কথা ভাবছেন তারা নির্দ্বিধায় ডায়েট লিস্টে ফুলকপির নাম অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।
ফুলকপি শরীরের বাড়তি মেদ কমিয়ে শরীরকে একটি সুন্দর গঠনে আনতে সাহায্য করে। যারা তাদের শরীরের বাড়তি ওজন নিয়ে চিন্তিত ও ডায়েট করার কথা ভাবছেন তারা নির্দ্বিধায় ডায়েট লিস্টে ফুলকপির নাম অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।
ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট
এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ
ফুলকপিতে ভিটামিন সি, বিটাক্যারোটিন, কায়েম্ফেরোল, কোয়ারসেটিন, রুটিন, সিনামিক এসিড সহ আরো অনেক উপাদান থাকে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো ফ্রি র্যাডিকেলের ক্ষতির হাত থেকে শরীরকে সুরক্ষা দেয়। এগুলো বয়স বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে ধীর গতির করে এবং টিস্যু ও অঙ্গের ক্ষতি হওয়া প্রতিহত করে।
চুলকানি প্রতিরোধ
করে
ফুলকপি চুলকানি প্রতিরোধ করে, শীতকালে ঠাণ্ডায় ত্বকে লালচে হয়ে ফুলে যাওয়া এবং চুলকানি হতে পারে। সেক্ষেত্রে ফুলকপির কচি পাতা বেটে লাগালে চুলকানি ভালো হয়।
ফুলকপি চুলকানি প্রতিরোধ করে, শীতকালে ঠাণ্ডায় ত্বকে লালচে হয়ে ফুলে যাওয়া এবং চুলকানি হতে পারে। সেক্ষেত্রে ফুলকপির কচি পাতা বেটে লাগালে চুলকানি ভালো হয়।
ফুলকপি-ডিম কষা
উপকরণ
ডিম- ৪টি, ফুলকপি- ১টি, পেঁয়াজ কুচি- ১/২ কাপ, হলুদ গুঁড়ো- ১/২ চা চামচ, তেজপাতা-২টি ছোট, এলাচ, দারুচিনি, লবঙ্গ- গোটা চারেক, ঘি- ১ টেবিল চামচ, তেল- ২ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ বাটা- ১ টেবিল চামচ, আদা বাটা-১/২ চা চামচ, রসুন বাটা- ১/২ চা চামচ, লবন- পরিমাণমতো, চিনি- সামান্য।
কীভাবে করবেন
প্রথমে ফুলকপি ছোট ছোট টুকরো করে ফুলগুলো ছাড়িয়ে নিন। ঘি দিয়ে ভেজে নিতে হবে, চাইলে একটু কালোজিরেও দিতে পারেন। ডিম সিদ্ধ করে খোলা ছাড়িয়ে রেখে দিন। এবার একটি পাত্রে ফুলকপি, সব উপকরণ (পেঁয়াজ কুচি ও ডিম বাদে ) দিয়ে সিদ্ধ করে নিতে হবে। প্যানে ঘি, পেঁয়াজ কুচি দিয়ে বাদামি রঙের ভেজে সিদ্ধ করা কপি ও ডিম একটু দিয়ে দিন। ভালো করে কষান। অল্প অল্প করে পানি দিন। ফুটে উঠলে সামান্য চিনি দিয়ে নামিয়ে নিন। উপরে গরম ঘি ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।
কলিফ্লাওয়ার রোস্ট
উপকরণ
ফুলকপি- ১টা, মটরশুঁটি- ১ চা চামচ, আদা বাটা- ১/২ টেবিল চামচ, বাদাম বাটা- ২
চামচ, নারিকেলের দুধ- ১/২ কাপ, গরম
মশলা গুঁড়ো- পরিমাণমতো,
তেজপাতা- ২টো, লবন,
চিনি-পরিমাণমতো, সাদা তেল- ৪ টেবিল চামচ, আলু
চারকোণা করে কাটা- ১ কাপ,
রসুন বাটা- ১/২ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ বাটা- ১টেবিল চামচ, ঘি-
১ টেবিল চামচ।উপকরণ
ডিম- ৪টি, ফুলকপি- ১টি, পেঁয়াজ কুচি- ১/২ কাপ, হলুদ গুঁড়ো- ১/২ চা চামচ, তেজপাতা-২টি ছোট, এলাচ, দারুচিনি, লবঙ্গ- গোটা চারেক, ঘি- ১ টেবিল চামচ, তেল- ২ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ বাটা- ১ টেবিল চামচ, আদা বাটা-১/২ চা চামচ, রসুন বাটা- ১/২ চা চামচ, লবন- পরিমাণমতো, চিনি- সামান্য।
কীভাবে করবেন
প্রথমে ফুলকপি ছোট ছোট টুকরো করে ফুলগুলো ছাড়িয়ে নিন। ঘি দিয়ে ভেজে নিতে হবে, চাইলে একটু কালোজিরেও দিতে পারেন। ডিম সিদ্ধ করে খোলা ছাড়িয়ে রেখে দিন। এবার একটি পাত্রে ফুলকপি, সব উপকরণ (পেঁয়াজ কুচি ও ডিম বাদে ) দিয়ে সিদ্ধ করে নিতে হবে। প্যানে ঘি, পেঁয়াজ কুচি দিয়ে বাদামি রঙের ভেজে সিদ্ধ করা কপি ও ডিম একটু দিয়ে দিন। ভালো করে কষান। অল্প অল্প করে পানি দিন। ফুটে উঠলে সামান্য চিনি দিয়ে নামিয়ে নিন। উপরে গরম ঘি ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।
কলিফ্লাওয়ার রোস্ট
উপকরণ
ফুলকপি- ১টা, মটরশুঁটি- ১ চা চামচ, আদা বাটা- ১/২ টেবিল চামচ, বাদাম বাটা- ২
কীভাবে করবেন
ঘি গরম করে তাতে ফুলকপি, আলু ভালো করে নুন দিয়ে ভেজে নিন। এবার কড়াইতে তেল গরম করে তাতে গরম মশলা গুঁড়ো, তেজপাতা, পেঁয়াজ বাটা, আদা বাটা, রসুন বাটা দিয়ে ভালোভাবে কষিয়ে নিন। তারপর তাতে বাদাম বাটা ও নারিকেলের দুধ দিয়ে প্রথমে কষিয়ে তারপর ফুটিয়ে নিন। এবার তাতে ফুলকপি, আলু, মটরশুঁটি দিয়ে ভালোভাবে কষান। তেল ভেসে উঠলে অল্প পানিতে লবন ও চিনি দিয়ে ২-৩ মিনিট ফুটিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেলে ঘি ছড়িয়ে নামিয়ে নিন।
আলু ফুলকপির বাটি চচ্চড়ি রেসিপি
উপকরণ :- ফুলকপি, ২
টো বড়ো আলু,
১ টা বড়ো ক্যাপসিকাম এর আর্ধেক, ১
টা টম্যাটো, ৪
টে কাঁচালঙ্কা চেঁরা,
কিছু মটর শুঁটি, হলুদ
গুঁড়ো সামান্য, নুন পরিমাণ মতো আর লাগছে সরষের
তেল ১ টেবিল চামচ।
প্রণালি :- আলু আর ফুলকপি ছোট ডুমো ডুমো করে কেটে নিতে হবে। আলু আর ফুলকপির পরিমাণ প্রায় সমান সমান নিতে হবে। আলু আর ফুলকপি কেটে ধুয়ে নিতে হবে।
ক্যাপসিকাম মাঝারি মাপ করে চৌক চৌক করে কেটে নিতে হবে।
টম্যাটো ৮ ভাগ করে নিতে হবে।
যে কড়াতে বাটি চচ্চড়ি বানাবেন, তাতে সব উপকরণ নিতে হবে। এক এক করে নিতে হবে আলু, ফুলকপি, ক্যাপসিকাম কুঁচি, টম্যাটো কুঁচি, কাঁচালঙ্কা চেঁরা, কাঁচালঙ্কা চেঁরা ঝাল বুঝে দেবেন, বেশিও দিতে পারেন বা কম। আসলে এই রান্নাতে লঙ্কার গুঁড়ো ব্যাবহার হবে না।
এরপর দিতে হবে মটর শুঁটি। আমি ফ্রোজেন মটর শুঁটি নিয়েছি, আপনারা চাইলে অবশ্যই টাটকা মটর শুঁটি দিয়ে এটা বানাতে পারেন।
এবার দিতে হবে পরিমাণ মতো নুন, হলুদ গুঁড়ো আর দিতে হবে সরষের তেল। তেল একটু বেশি লাগে কারণ এই রান্নাতে কোনো জল ব্যাবহার হবে না।
হাত দিয়ে সব উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে।
প্রণালি :- আলু আর ফুলকপি ছোট ডুমো ডুমো করে কেটে নিতে হবে। আলু আর ফুলকপির পরিমাণ প্রায় সমান সমান নিতে হবে। আলু আর ফুলকপি কেটে ধুয়ে নিতে হবে।
ক্যাপসিকাম মাঝারি মাপ করে চৌক চৌক করে কেটে নিতে হবে।
টম্যাটো ৮ ভাগ করে নিতে হবে।
যে কড়াতে বাটি চচ্চড়ি বানাবেন, তাতে সব উপকরণ নিতে হবে। এক এক করে নিতে হবে আলু, ফুলকপি, ক্যাপসিকাম কুঁচি, টম্যাটো কুঁচি, কাঁচালঙ্কা চেঁরা, কাঁচালঙ্কা চেঁরা ঝাল বুঝে দেবেন, বেশিও দিতে পারেন বা কম। আসলে এই রান্নাতে লঙ্কার গুঁড়ো ব্যাবহার হবে না।
এরপর দিতে হবে মটর শুঁটি। আমি ফ্রোজেন মটর শুঁটি নিয়েছি, আপনারা চাইলে অবশ্যই টাটকা মটর শুঁটি দিয়ে এটা বানাতে পারেন।
এবার দিতে হবে পরিমাণ মতো নুন, হলুদ গুঁড়ো আর দিতে হবে সরষের তেল। তেল একটু বেশি লাগে কারণ এই রান্নাতে কোনো জল ব্যাবহার হবে না।
হাত দিয়ে সব উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে।
বাহারি স্বাদে শীতের সব্জি
উপকরণ
সয়াবিন: ১০০ গ্রাম
• বেবিকর্ন: ৫০ গ্রাম • কর্নফ্লাওয়ার: ১০০ গ্রাম
• ডিম: ১টি (না দিলেও চলবে) • আদা-রসুন বাটা:
২ চা-চামচ
• পেঁয়াজ: ২টি (ডুমো ডুমো করে কাটা) • ক্যাপসিকাম: ১টি বড়
• কাঁচালঙ্কা: ৪টি কুচনো • রসুন কোয়া: ৫টি
(কুচনো) • সয়া সস: ১ টেবল-চামচ
• চিলি সস: ১ চা-চামচ • ভিনিগার: ১ চা-চামচ •
টোম্যাটো সস: ৩ চা-চামচ
• চিলি ফ্লেক্স: ১ চা-চামচ • পেঁয়াজ পাতা:
পরিমান মতো
• অলিভ অয়েল বা অন্য যে কোনও তেল: ৪ চা-চামচ
• নুন: আন্দাজ মতো
• মিষ্টি: আন্দাজ মতো • ইচ্ছে হলে গাজর, ব্রকোলি পরিমাণ মতো দিতে পারেন
প্রণালী
• প্রথমে সয়াবিনের বড়িগুলো আধ ঘণ্টা জলে
ভিজিয়ে রাখতে হবে ,
এর পর ১/২ চা-চামচ
নুন দিয়ে অল্প সেদ্ধ করে নিন।
• ২-৩ টি সিটি দিলে কুকার থেকে নামিয়ে
অতিরিক্ত জল ঝরিয়ে নিন।
• এ বার
১/৪ কাপ কর্নফ্লাওয়ার,
ডিম, আদা-রসুন বাটা,
চিলি ফ্লেক্স,
নুন মিশিয়ে একটু ঘন
ব্যাটার তৈরি করতে হবে।
• এর পর সয়াবিন বড়ি গুলো একটা একটা করে
ব্যাটারে
ডুবিয়ে সোনালি করে
তেলে ভেজে রাখুন।
• একটা পাত্রে তেল গরম করুন।
• এ বার ওই তেলে রসুন কুচি এবং কাঁচালঙ্কা
দিন।
• আদা,
রসুন বাটা দিয়ে নাড়াচাড়া
করতে হবে।
• এর পর পেঁয়াজ, ক্যাপসিকাম,
বেবিকর্ন, স্প্রিং অনিয়ন দিয়ে ভাজুন
যত ক্ষণ না
ক্যাপসিকাম আর বেবিকর্ন নরম হচ্ছে।
• এর পর কড়াইতে সয়া সস, চিলি সস এবং ভিনিগার দিয়ে কষতে থাকুন,
তার পর টোম্যাটো সস, চিলি ফ্লেক্স,
নুন এবং চিনি দিয়ে নাড়তে
থাকুন।
• এ বার ভাজা সয়াবিন বড়ি গুলো দিয়ে দিন।
• এক চা-চামচ কর্নফ্লাওয়ার ১ কাপ ঠান্ডা জলে
গুলে ওই গ্রেভিতে
মিশিয়ে দিন, এর পর মিনিট পাঁচেক পর নামিয়ে নিন।
• এর পর স্প্রিং অনিয়ন দিয়ে সাজিয়ে গরম গরম
পরিবেশন করুন।
মালাই ফুলকপি
উপকরণ: ফুলকপি ১টি, আদা
ও রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ করে,
কাজুবাদাম বাটা ২ টেবিল
চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ। হলুদ, মরিচ
ও ধনে গুঁড়া
আধা চা-চামচ করে। এলাচ ও কাঁচা মরিচ বাটা আধা চা-চামচ করে। তেজপাতা ও
দারুচিনি ২-৩টি করে, দুধ দেড় কাপ, ক্রিম
আধা কাপ, ঘি আধা কাপ, টক
দই আধা কাপ, চিনি ও লবণ স্বাদমতো, কিশমিশ অল্প পরিমাণে।
প্রণালি: ফুলকপির ফুল ছাড়িয়ে নিন। প্যানে অল্প ঘি
দিয়ে ফুলগুলো ভেজে তুলে রাখুন। এবার এতে বাকি ঘি দিয়ে তেজপাতা ফোড়ন দিয়ে পেঁয়াজ
কুচি ভেজে নিন। এতে কাজুবাদাম ছাড়া অন্য সব বাটা ও গুঁড়া মসলা দিয়ে কষিয়ে নিন। তিন
মিনিট পর দই দিন। আরেকটু কষিয়ে অল্প দুধ দিন। মসলা ভাজা-ভাজা হলে টমেটো ও ভাজা
ফুলকপি দিয়ে আবার একটু দুধ দিয়ে কষান। একটু পর বাকি দুধ দিয়ে ঝোল ঝোল করে নিন।
ফুটে উঠলে অল্প দুধে কাজুবাদাম বাটা গুলে দিন। এই রান্নায় পানি দেওয়া যাবে না।
ফুলকপি সেদ্ধ হয়ে এলে ক্রিম দিয়ে অল্প আঁচে কিছুক্ষণ রেখে চিনি ও কিশমিশ দিয়ে
নামান।
ফুলকপির ফুলবাহার
উপকরণ: ছোট করে কাটা ফুলকপির ফুল ৩ কাপ, কালোজিরা ১ চা-চামচ, শুকনো
মরিচ ২-৩টি, মাখন ৪ টেবিল চামচ, আদা ও রসুন কুচি ১ টেবিল চামচ করে। টমেটো সস ৩ টেবিল
চামচ, সয়া সস ২ টেবিল চামচ। লবণ, পানি,
কাঁচা মরিচ কুচি
পরিমাণমতো, জিরার গুঁড়া সামান্য, ধনেপাতা
সামান্য।
প্রণালি: অল্প মাখনে ফুলগুলো এক মিনিট ভেজে নামান।
এবার মাখনে শুকনো মরিচ ও কালোজিরা ফোড়ন দিয়ে আদা ও রসুন কুচি ভেজে নিন। এতে
ফুলগুলো দিয়ে লবণ দিন। আধা সেদ্ধ হয়ে এলে সস ও সয়া সস দিয়ে পাঁচ মিনিট ঢেকে দিন।
ফুলকপি সেদ্ধ হয়ে মাখা মাখা হলে কাঁচা মরিচ কুচি, ধনেপাতা
কুচি ও জিরার গুঁড়া দিয়ে অল্প আঁচে কিছুক্ষণ রেখে দিন। ওপরে একটু মাখন দিয়ে নামান।
মচমচে ফুলকপি
উপকরণ: ফুলকপির ফুল ১০-১২টি, সবুজ ক্যাপসিকাম ১টি, গাজর
১টি, আলু ১টি, ডিম
২টি, কর্নফ্লাওয়ার ও চালের গুঁড়া আধা কাপ করে, গোলমরিচের গুঁড়া ১ টেবিল
চামচ, চাট মসলার গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, লবণ,
পানি, কাঁচা মরিচ কুচি পরিমাণমতো, আদা ও রসুন কুচি ১ চা-চামচ করে, টমেটো সস,
চিলি সস ও সয়া সস ২ টেবিল
চামচ করে, মাখন আধা কাপ, ভাজার
জন্য তেল পরিমাণমতো।
প্রণালি: ফুটানো লবণপানিতে ফুলকপিগুলো এক মিনিট
ফুটিয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। একইভাবে লম্বা করে কেটে আলু, ক্যাপসিকাম
ও গাজর অল্প সেদ্ধ করে নিন। এবার ফুলকপিতে ডিম, কর্নফ্লাওয়ার, চালের গুঁড়া,
গোলমরিচ ও চাটমসলা দিয়ে
ভালোভাবে মেখে ডুবোতেলে ফুলগুলো ভেজে তুলে রাখুন। এবার ওই প্যানে মাখন গরম করে আদা
ও রসুন ফোড়ন দিয়ে সস ও কাঁচা মরিচ কুচি দিয়ে অল্প পানি দিয়ে কষান। কষানো হলে সেদ্ধ
সবজি দিয়ে কিছুক্ষণ ঢেকে রেখে ভাজা ফুলকপি দিয়ে হালকা হাতে নেড়ে নিন। নামিয়ে
পরিবেশন করুন।
ফুলকপির রাজ কোফতা
উপকরণ: কুচি করা ফুলকপি ৪ কাপ, গরু বা খাসির মাংসের কিমা বাটা ১ কাপ, মিহি পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদা
কুচি ১ চা-চামচ। কাঁচা মরিচ কুচি,
ধনেপাতা কুচি ও লবণ
স্বাদমতো। গোলমরিচ গুঁড়া ও চাট মসলার গুঁড়া ১ টেবিল চামচ করে। টমেটো কুচি আধা কাপ, ব্রেড ক্রাম্ব ও কর্নফ্লাওয়ার আধা কাপ বা পরিমাণমতো। ডিম
২টি, কাজুবাদাম ও কিশমিশ কুচি ২ টেবিল চামচ করে, ভাজার জন্য তেল পরিমাণমতো।
প্রণালি: তেল ছাড়া সব উপকরণ ফুলকপির সঙ্গে ভালোভাবে
মিশিয়ে নিন। হাতে অল্প তেল নিয়ে কোফতা বানিয়ে ডুবোতেলে মচমচে করে ভেজে তুলুন।
ফুলকপির ডালনা
যা যা লাগবে :
# ফুলকপি টুকরো ৫০০ গ্রাম,
# আলু ২৫০ গ্রাম, মটরশুঁটি ১২৫ গ্রাম,
# হলুদ গুঁড়া আধা চা চামচ,
# ধনে গুঁড়া ১ চা চামচ,
# মরিচ বাটা ১ চা চামচ,
# লবণ স্বাদমতো, তেল
পরিমানমতো,
# জিরা গুঁড়া সামান্য,
# টকদই আধা কাপ,
# চিনি ১ চা চামচ,
# গরম মসলা গুঁড়া ১ চা চামচ,
# বাদাম বাটা ২ টেবিল চামচ।
যেভাবে করবেন :
প্রথমে টুকরো
কপিগুলো আধা সেদ্ধ করে নিন। এবার টুকরো আলুগুলো ভেজে নিতে হবে। আলু হালকা বাদামী
হলে মটরশুঁটি ও লবণ দিয়ে দিন। হালকা ভাজা হলে সব বাটা মসলা দিয়ে আবার ভাজতে থাকুন।
অল্প ভেজে তাতে দই, বাদাম বাটা, চিনি
ও অন্যান্য সব উপকরণ দিয়ে দিন। পুরো মিশ্রণটি মাখা মাখা হলে তাতে
ফুলকপি দিয়ে নাড়তে থাকুন। সামান্য পানি দিয়ে মৃদু আঁচে ঢেকে রান্না করুন ১০ মিনিট।
তারপর ডালনার পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে নিন। ব্যাস হয়ে গেল মজাদার সবজি ফুলকপির
ডালনা।
ফুলকপি ও রুই মাছের ঝোল
উপকরণ: রুই মাছ ৮ টুকরা। ফুল কপির ফুল ৮-১০টি। পেঁয়াজ বাটা দুই
টেবিল
চামচ। রসুন বাটা এক চা চামচ। হলুদ ও ধনে গুঁড়া আধা চা চামচ করে। মরিচ গুঁড়া
ঝাল অনুযায়ী। টমেটো কুচি একটি। তেল এক কাপ। পানি প্রয়োজনমতো। জিরা গুঁড়া এক চা
চামচ। কাঁচা মরিচ চারটি। ধনেপাতা সামান্য।
প্রণালী: মাছ ধুয়ে অল্প হলুদ ও লবণ দিয়ে ভাজতে হবে। এবার ওই তেলে
ফুলকপি অল্প আঁচে ভেজে বাকি তেলে রসুন ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে টমেটো ও অন্য সব মসলা
দিয়ে রান্না করতে হবে। এবার প্রথমে ফুলকপি দিয়ে তিন মিনিট রান্না করে মাছ ভাজা
দিয়ে আরও তিন মিনিট রান্না করে ঝোল দিতে হবে। হয়ে এলে ওপরে কাঁচা মরিচ, ধনেপাতা ও জিরার গুঁড়া ছিটিয়ে অল্প আঁচে আরও দুই-তিন
মিনিট রেখে নামাতে হবে।
আলু ও ফুলকপি দিয়ে রুইমাছ
উপকরণ
রুই মাছ টুকরা করা
৮টি। ফুলকাপি ১টি। আলু ২টি। পেঁয়াজকুচি ২ টেবিল-চামচ। রসুনবাটা ১ চা-চামচ।
আদাবাটা ১ চা-চামচ। হলুদগুঁড়া চা-চামচ। ধনেগুঁড়া বা বাটাআধা চা-চামচ। কাঁচামরিচ
৫টি। মরিচগুঁড়া আধা চা-চামচ। জিরাগুঁড়া আধা চা-চামচ। তেল ২ টেবিল-চামচ। পানি
পরিমাণমতো। লবণ পরিমাণমতো।
পদ্ধতি
মাছ কেটে টুকরা করে
লবণ ও হলুদ মাখিয়ে ভেজে পাত্রে রাখুন। ফুলকপি ও আলু টুকরা করে কেটে ধুয়ে নিন।
কড়াইতে তেল দিয়ে পেঁয়াজ লালচে করে ভাজুন। এখন ফুলকপি ও আলু দিয়ে দিন।
একে একে মরিচগুঁড়া, রসুনবাটা,
আদাবাটা, হলুদগুঁড়া,
ধনেগুঁড়া বা বাটা এবং লবণ
দিয়ে অল্প পানিসহ কষিয়ে আবার পানি দিন।
পানি ফুটে উঠলে
উপরে মাছ দিয়ে ঢেকে রান্না করুন।
নামানোর কিছুক্ষণ
আগে কাঁচামরিচ দিন। পানি শুকিয়ে এলে জিরাগুঁড়া ছিটিয়ে নামিয়ে নিন।
ফুলকপি মটর রেসিপি
উপকরণ
১০০ গ্রাম মটর, ২৫০ গ্রাম ফুলকপি (হলুদ ও লবণ দিয়ে সিদ্ধ করে নিন), ১টি টমেটো
কুচি,
২ কাঁচা মরিচ কুচি, ১ চা-চামচ গোটা জিরা, ২
চা-চামচ ধনিয়া গুঁড়া, অর্ধেক আদা কুচি, ১ চা-চামচ হলুদ গুঁড়া, ১/২
চা-চামচ মরিচ গুঁড়া, ২-৩ টেবিল চামচ তেল ও লবণ স্বাদমত
প্রস্তুত প্রণালি
চুলায় প্যান দিয়ে
তাতে তেল দিন। তেল গরম হলে জিরা,
কাঁচামরিচ ও ফুলকপি দিবেন।
কিছুক্ষণ পর টমেটো দিয়ে তাতে হলুদ,
মরিচ, ধনিয়া,
আদা, লবণ দিন। নাড়াচাড়া করার পর মসল্লা ভালোভাবে মিশে গেলে তাতে
সিদ্ধ মটর ঢেলে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখুন। ১০-১২ মিনিট পর নামিয়ে নিন।
ব্যাস তৈরি হয়ে গেল
ফুলকপি দিয়ে মটর।
ফুলকপি ও আলু ভাজি।
উপকরনঃ ১টি ছোট
ফুলকপি ছোট ছোট টুকরো করে নেয়া। ২টি মাঝারি সাইজের
আলু পাতলা ডূমো সাইজের করে কেটে
নিবেন। ইচ্ছে হলে ঐ মাপেই একটি গাজর কেটে নিতে পারেন। ১টি পিঁয়াজ আলুর মতই কেটে
সব্জীতেই দিয়ে দিন। ৩/৪টা আস্ত কাঁচামরিচ দিন। পিঁয়াজ, কাঁচামরিচ সহ সব্জী ধুয়ে নিন। ফ্রাই-প্যানে পরিমান মত
তেল গরম করে সব্জী ছেড়ে দিন। আধ-চা-চামচ করে আদা, রসুন
বাটা দিন, অল্প হলুদ, মরিচ
ও পরিমান মত লবন দিয়ে সব্জী ভালো করে নেড়ে ঢাকনা দিন। চুলার আঁচ কমিয়ে দিন। মিনিট
পাঁচেক পরে একবার নেড়ে দিয়ে আবার ঢেকে দিন। দশ মিনিট পরে ঢাকনা সরিয়ে চুলার আঁচ
একটু বাড়িয়ে নেড়েচেড়ে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে নিন। যদি সব্জী সেদ্ধ না হয় তবে এক মুঠ
পানি ছিটিয়ে আরেকটু ঢেকে রাখতে পারেন। তবে মোটামুটি কম আঁচে রান্না করলে ফুলকপি
আলু দুটোই সেদ্ধ হয়ে যাবার কথা।
আলু আর ফুলকপির দিয়ে সবজি
যা লাগবে ফুলকপি ১
টা বড় টুকরো করা (দেড় কাপ পরিমাণ) আলু কিউব করে কাটা ১ কাপ পেঁয়াজ কুচি হাফ কাপ
টমেটো টুকরো জিরা আস্ত ১ চা চামচ হলুদ-মরিচ-ধনিয়া গুঁড়ো ১ চা চামচ আদা-রসুন বাটা ১
টেবিল চামচ লবণ স্বাদমত তেল ২ টেবিল চামচ ধনিয়া পাতা কুচি অল্প আদা মিহি কুচি ১ চা
চামচ যেভাবে করবেন হাঁড়িতে তেল দিয়ে তাতে জিরা দিন। জিরা ফুটে উঠলে এতে পেঁয়াজ
কুচি দিন অল্প কিছুক্ষণ নেড়ে এতে গুঁড়ো মশলা গুলো আর বাটা মশলা দিন। অল্প পানি আর
লবণ দিয়ে কষিয়ে নিন। এখন এই মশলাতে কপি আর আলুর টুকরা, সাথে টুকরা করা টমেটো আর হাফ কাপ গরম পানি দিয়ে ঢাকনা
লাগিয়ে মিডিয়াম আঁচে রান্না করুন ২০ মিনিট। পানি শুকিয়ে গেলে ভাজা ভাজা করে নিন।
নামানোর আগে আদা মিহি কুচি আর ধনিয়া পাতা ছিটিয়ে দিন। গরম রুটি কিংবা ভাতের সাথে
পরিবেশন করুন
।
আলু-ফুলকপির তরকারি
উপকরণ
ফুলকপি বড় টুকরা
করা ১টি। আলু টুকরা করা ৪টি। তেল ১ টেবিল-চামচ। সরিষা ১ চা-চামচ। কারিপাতা ৫-৬টি
বা কারিপাতা-গুঁড়া ১ চা-চামচ। কাঁচামরিচ কুচি ৪-৫টি।
পেঁয়াজকুচি ১টি। হলুদ আধা
চা-চামচ। হিং এক চিমটি। আস্তজিরা ১ চা-চামচ। ধনেগুঁড়া আধা চা-চামচ। ধনেপাতা-কুচি
আধা কাপ। লবণ পরিমানমতো।
পদ্ধতি
তেল গরম করে হিং আর
সরিষা ছেড়ে দিতে হবে।
ঠিক এক মিনিট পর
পেঁয়াজকুচি দিয়ে কয়েক মিনিট ভাজুন।
আলু আর ফুলকপি দিয়ে
বাকি মসলাগুলো দিয়ে দিন। ৩ থেকে ৪ মিনিট কষাণোর পর আধা কাপ গরম পানি দিয়ে অল্প
আঁচে ঢেকে রান্না করতে হবে।
সবজি সিদ্ধ হয়ে
গেলে ধনেপাতার-কুচি দিয়ে নামাতে হবে।
* নানরুটি, রুটি
বা পরোটার সঙ্গে খেতে বেশি ভালো লাগবে।
ফুলকপি ও আলুর দম
উপাদান পরিমাণ
♦
ফুলকপি (ছোট টুকরা) : ২ কাপ
♦
আলু ( ঘনক আকারের) : ২ টি (মিডিয়াম)
♦
আদা টুকরা করা : ১/২”
♦
ধনিয়া : ৩ চা চামচ
♦
হলুদ : ১/৪ চা চামচ
♦
লাল মরিচের গুড়া : ১/৪ চা চামচ
♦
পানি : পরিমানমত
♦
তেল : ৩ টেবিল চামচ
♦
হিং পাউডার : এক চিমটা
♦
জিরা : ১/২ চা চামচ
♦
কাঁচা মরিচ ফালি : ২ টি
♦
লবণ : ১ চা চামচ
পরিমাণমত
♦
ধনে পাতা কুচি : ২ টেবিল চামচ
♦
ম্যাংগো পাউডার : ১ চা চামচ
প্রণালী →
১। একটি ছোট বাটিতে
হলুদ,আদা,মরিচের গুড়া,ধনিয়া
একসাথে ৩ টেবিল চামচ পানি দিয়ে পেস্ট বানাতে হবে।
২। আরেকটি পাত্রে
তেল গরম করে নিতে হবে।
৩। তেলে হিং পাউডার
এবং জিরা ঢেলে দিতে হবে।একটু মচমচে শব্দ হলে কাঁচামরিচ দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া
করতে হবে।
৪। এবার বাটিতে
বানানো পেস্ট ঢেলে আরো কয়েক সেকেন্ড নাড়তে হবে।(কষিয়ে নিতে হবে)
৫। ফুলকপি এবং আলু
ঢেলে দিতে হবে।সাথে ২ টেবিল চামচ পানি ও লবণ দিতে হবে।
৬। পাত্রটি ঢেকে
দিয়ে ১৫-২০ মিনিট তাপ দিতে হবে।প্রতি ৩-৪ মিনিট পরপর নাড়তে হবে।
৭। সবশেষে ম্যাংগো
পাউডার ও ধনে পাতা দিয়ে এক মিনিট ঢেকে তাপ দিতে হবে।তারপর লবণ পরিমিত হয়েছে কিনা
টেস্ট করে নামিয়ে পরিবেশন করতে পারবেন।
মটরশুঁটি দিয়ে আলু-ফুলকপির তরকারি
উপকরণ-
ফুলকপি ১ টি নতুন আলু
৪ টি টমেটো ৩ টি তেল ১/৪ কাপ গুঁড়ো মরিচ ১ চা চামচ আদা-রসুন বাটা ১ চা চামচ হলুদ
গুঁড়ো ৩/৪ চা চামচ গরম মশলা গুঁড়ো ১ চা চামচ ধনিয়া গুঁড়ো ২ চা চামচ জিরা গুঁড়ো ১
চা চামচ লবণ স্বাদমত
প্রণালী-
-ফুলকপি ও আলু ছোট ছোট টুকরো করে কাটুন।
-তেল গরম হলে আদা-রসুন বাটা দিয়ে ভাজুন।
জিরা গুঁড়ো বাদে বাকি সব মশলা ও অল্প পানি দিয়ে কষান। আলু দিয়ে দিন। একটু কষিয়ে
সামান্য পানি দিয়ে রান্না করুন।
-আলু প্রায় সিদ্ধ হয়ে গেলে ফুলকপি ও মটর
দিয়ে ১০ মিনিট মাঝারি রাখুন।
-এবার আঁচ কমিয়ে দিয়ে পাত্রটি ঢেকে দিন।
জিরা গুঁড়ো ছড়িয়ে দিন। টমেটো দিন। চাইলে ধনে পাতা ও কাঁচা মরিচ দিতে পারেন।
-১০-১৫ মিনিট পর রান্না হয়ে যাবে। চুলা বন্ধ
করে দিন।
কৈ'মাছে ফুলকপি, সিম, আলু,
টমেটোর ঝোল...
উপকরন -
কৈ মাছ - ১০টা
ফুল কপি - ১টা
সিম (বিচিওলা) -
২০০ গ্রাম
নতুন আলু - ২টা
টমেটো - ৬ টা
পেয়াজ কুচি বা
বাটা - ১/২ কাপ
কাচামরিচ কাটা -
৮-১০ টা
আদা বাটা - ১/২ চা
চামচ
রশুন বাটা - ১/২ চা
চামচ
জিরা বাটা - ১/৩ চা
চামচ (১/২এর কম)
হলুদ গুড়ো - ১/২
চা চামচ
ধনিয়া গুরো -১/৩
চা চামচ
লবন - ২ চা চামচ
(আন্দাজ মত)
তেল - ১/৩ কাপ (১/২
এর কম)
ধনে পাতা কুচি - ২
টেবিল চামচ
জিরা ভাজা গুড়ো -
১/২ চামচ
আস্ত কাঁচামরিচ -
৪-৫ টি
প্রনালী -
মাছ ভাল করে লবন
দিয়ে ধুয়ে নিন। ফুল কপি পছন্দ অনুযায়ী ডুমো করে কেটে নিন। সিমের আঁশ ছাড়িয়ে
মাঝ থেকে দুই টুকড়ো করে নিন। আলু লম্বালম্বি ৬ টুকরো করে কেটে নিন। একটা টমেটোকে
চার টুকরো করে কেটে নিন।
কঁড়াইতে তেল দিয়ে
পেয়াজ, কাঁচামরিচ দিন। বাদামি করে ভাজা হলে আদা, রসুন জিরা বাটা,
হলুদ, ধনে গুড়ো দিয়ে অল্প একটু গরম পানি দিয়ে ভাল করে
কষিয়ে নিন। মশলা তেলে উঠলে মশলায় মাছ দিন। দেঁড় কাপ গরম পানি দিয়ে মাঝারি আঁচে
কড়াইতে ঢাকনা দিয়ে মাছ কষান। মাছ তেলে উঠলে একটা আলাদা বাটিতে মাছগুলো নামিয়ে
রাখুন।
এবার কঁড়াইয়ের
বাকি মশলার মধ্যে আলু দিয়ে ভুনতে শুরু করুন।আলু আধা সেদ্ধ হয়ে এলে সিম দিন
একটু নেড়ে চেড়ে
আধ সেদ্ধ হলে ফুল কপি দিয়ে অল্প পানি দিয়ে ভাল করে কষিয়ে নিন। সবজি কষানো হয়ে
গেলে কড়াইতে ৬-৭ কাপ গরম পানি দিয়ে ঢেকে দিন। ১০ মিনিটের মত মাঝারি আঁচে রান্নার
পর কষিয়ে রাখা মাছগুলো কড়াইতে ঢেলে দিন।টমেটো আর আস্ত কাচামরিচ দিন। আরো ৫-৭
মিনিট রান্নার পর জিরা ভাঁজা গুড়ো দিন। ১ মিনিট পর ধনে কুঁচি দিয়ে নামিয়ে নিয়ে
গরম ।
আস্ত ফুলকপির মাখন রোস্ট
উপকরণ
1 টি মাঝারি সাইজের আস্ত ফুলকপি
1 চা চা আদাবাটা
1 চা চা রসুনবাটা
1 চা চা পেঁয়াজবাটা
2 টে. চা কাজু বাদামবাটা
1.5 চা চা জায়ফল
1.5 চা চা জয়ত্রী গুঁড়া
1 টে. চা কাঁচা মরিচ, ধনেপাতা ও পুদিনাপাতা একসঙ্গে বাটা
1 টে. চা টমেটো সস
100 গ্রাম মাখন
2 কাপ পানি
2 টে. চা ঘি
2 টে. চা ঘন দুধ
কাজু বাদাম ও
কিশমিশ সাজানোর জন্য,
লবণ স্বাদমতো।
আস্ত ফুলকপির মাখন
রোস্ট দিকনির্দেশনা
- ফুলকপি বেছে ২ কাপ পানিতে লবণ, সব মসলা এবং একটু সস দিয়ে সেদ্ধ দিতে
হবে। এমনভাবে নামাতে হবে যেন ভেঙে না যায়।
- এবার অর্ধেক মাখন ও ঘি গরম করে সব
মসলা, সস ও দুধ দিয়ে রান্না করে একটা
বেকিং ট্রেতে ফুলকপি বসিয়ে ১০০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ৫-৭ মিনিট বেক করতে হবে।
- নামিয়ে ওপরে বাকি ঘি ও মাখন দিয়ে
আরও ১ মিনিট রাখতে হবে। এবার ওপরে বাদাম ও কিশমিশ দিয়ে পরিবেশন করতে হবে।
No comments:
Post a Comment