করমচা / Currant
করমচা হল টক স্বাদের ছোট আকৃতির একটি ফল। ইংরেজিতে একে Bengal currant বা Christ's
thorn বলা হয়। Carissa গণভুক্ত
কাঁটাময় গুল্মজাতীয় করমচা উদ্ভিদটি এশিয়া, আফ্রিকা এবং
অস্ট্রেলিয়া মহাদেশে পাওয়া যায়। কাঁচা ফল সবুজ, পরিণত
অবস্থায় যা ম্যাজেন্টা লাল-রং ধারন করে। অত্যন্ত টক স্বাদের এই ফলটি খাওয়া যায়,
যদিও এর গাছ বিষাক্ত। করমচার ঝোপ দেখতে সুন্দর।
কাঁটাযুক্ত গুল্মজাতীয় এ উদ্ভিদটি প্রাকৃতিক ভাবেই জন্মে। তবে এটা চাষও করা সম্ভব। ঝোঁপের মতো বলে গ্রামাঞ্চলে এই গাছ বাড়ির সীমানায় বেড়া হিসেবে লাগানো হয়।
কাঁটাযুক্ত গুল্মজাতীয় এ উদ্ভিদটি প্রাকৃতিক ভাবেই জন্মে। তবে এটা চাষও করা সম্ভব। ঝোঁপের মতো বলে গ্রামাঞ্চলে এই গাছ বাড়ির সীমানায় বেড়া হিসেবে লাগানো হয়।
করমচা ফল হিসেবে বেশ অবহেলিত হলেও এর পুষ্টিগুণ কিন্তু মোটেও অবহেলা করার
মতো না! প্রতি ১০০ গ্রাম করমচায় রয়েছে- এনার্জি- ৬২ কিলোক্যালরি কার্বোহাইড্রেট-
১৪ গ্রাম প্রোটিন- ০.৫ গ্রাম ভিটামিন এ- ৪০ আইইউ ভিটামিন সি- ৩৮ মিলিগ্রাম
রিবোফ্লেভিন- ০.১ মিলিগ্রাম নিয়াসিন- ০.২ মিলিগ্রাম আয়রন- ১.৩ মিলিগ্রাম
ম্যাগনেসিয়াম- ১৬ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম- ২৬০ মিলিগ্রাম কপার- ০.২ মিলিগ্রাম ।
করমচার
নানা গুণাবলি আমাদের স্বাস্থ্যরক্ষায় নানাভাবে সাহায্য করে থাকে। যেমন - করমচাতে
কোনো ফ্যাট বা কোলেস্টেরল নেই। তাই ডায়াবেটিস ও হার্টের রোগীদের জন্য এ ফল খুব
উপকারী। করমচা ওজন কমাতেও সাহায্য করে। ভিটামিন সি-তে ভরপুর করমচা খাবারে রুচি
বাড়ায়। মৌসুমী সর্দি-জ্বর নিরাময়ে সাহায্য করে। স্কাভি, দাঁত ও মাঢ়ির
নানা রোগ প্রতিরোধে করমচা সাহায্য করে। করমচাতে উপস্থিত ভিটামিন বি গায়ের
চুলকানিসহ ত্বকের নানা রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। করমচা রক্ত চলাচল স্বাভাবিক
রেখে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। শরীরের অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ কমাতেও করমচা সাহায্য
করে। যকৃত ও কিডনীর রোগ প্রতিরোধে করমচা সহায়তা করে। এর পটাশিয়াম শরীরের দূষণ
বহিষ্কারকরণে সহায়তা করে। করমচা কৃমিনাশক হিসেবেও কাজ করে। এছাড়া পেটের নানা
অসুখ নিরাময়েও করমচা উপকারী। শরীরের ক্লান্তি ও বার বার হাই তোলা থেকে মুক্তি
পাবার জন্য করমচার রস বেশ কাজে দেয়। বাতরোগ ও ব্যথাজনিত জ্বর নিরাময়ে করমচা খুব
উপকারী। করমচাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, যা
চোখের জন্য খুবই উপকারী। করমচার কার্বোহাইড্রেট কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে।করমচা বেশ
ঔষধি গুণসম্পন্ন একটি ফল। ভারতবর্ষের আদি চিকিত্সাশাস্ত্র চরক-এ এর উল্লেখ
রয়েছে। ফলের পাশাপাশি এর গাছের অন্যান্য অংশেরও রয়েছে নানা কার্যাবলি। যেমন -
করমচা গাছের পাতা সেদ্ধ করে সেই পানি পান করলে কালাজ্বর দ্রুত নিরাময় হয়।
করমচা
গাছের মূলে রয়েছে হৃদরোগ নিরাময়ে উপকারী ক্যারিসোন, বিটাস্টেরল,
ট্রাইটারপিন, ক্যারিনডোনা ও লিগনাম।
কাঁচা ফলের রস কৃমিনাশক হিসেবে কাজ করে।
প্রতি ১০০ গ্রাম করমচায় আছে শর্করা-১৪ গ্রাম, প্রোটিন-০.৫ গ্রাম, ভিটামিন এ-৪০ আইইউ, ভিটামিন সি- ৩৮ মিলিগ্রাম,
রিবোফ্লেভিন-০.১ মিলিগ্রাম, নিয়াসিন-০.২
মিলিগ্রাম, আয়রন-১.৩ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম-১৬
মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম-২৬০ মিলিগ্রাম, কপার-০.২ মিলিগ্রাম। তবে যাদের রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি, তাঁদের করমচা না খাওয়াই ভালো। এই মৌসুমে তাজা করমচা খান নিয়মিত,
অনেক রোগ এড়ানো যাবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে, বাজারে প্যাকেটে করে চেরির নামে কৃত্রিম রং দেওয়া করমচা বিক্রি হয়। এটি
স্বাস্থ্যের জন্য খুব ক্ষতিকর। কেনার সময় তাই সতর্ক থাকতে হবে।
* করমচায় চর্বি এবং ক্ষতিকর কোলেস্টেরল থাকে না।
* ভিটামিন সি-তে ভরপুর করমচা মুখে রুচি ফিরিয়ে দেয়।
* করমচা রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রেখে হৃৎপিণ্ডের সুরক্ষা দেয়।
* শরীরের অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ কমাতেও সাহায্য করে।
* যকৃত ও কিডনির রোগ প্রতিরোধে আছে বিশেষ ভূমিকা।
* মৌসুমি সর্দি-জ্বর, কাশিতে করমচা খান বেশি করে।
* করমচা কখনো কৃমিনাশক হিসেবে ওষুধের বিকল্প হিসেবে কাজ করে।
* এ ছাড়া পেটের নানা অসুখের দাওয়াই করমচা।
* শরীরের ক্লান্তি দূর করে করমচা শরীরকে চাঙা রাখে।
* বাতরোগ কিংবা ব্যথাজনিত জ্বর নিরাময়ে করমচা খুব উপকারী।
* করমচাতে থাকা ভিটামিন এ চোখের জন্য খুবই উপকারী।
* এটি ত্বক ভালো রাখে ও রোগ প্রতিরোধে কার্যকর।
* এতে থাকা ভিটামিন সি দাঁত ও মাড়ির সুরক্ষা দেয়।
* যকৃত ও কিডনীর রোগ প্রতিরোধে করমচা সহায়তা করে। এর পটাশিয়াম শরীরের
দূষণ বহিষ্কারকরণে সহায়তা করে।
* শরীরের অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ কমাতেও করমচা সাহায্য করে।
* করমচা ওজন কমাতেও সাহায্য করে। ভিটামিন সি-তে ভরপুর করমচা খাবারে রুচি
বাড়ায়।
* করমচাতে কোনো ফ্যাট বা কোলেস্টেরল নেই। ডায়াবেটিস ও হার্টের রোগীদের
জন্য এ ফল খুব উপকারী।
* বাতরোগ ও ব্যথাজনিত জ্বর নিরাময়ে করমচা খুব উপকারী।
* করমচাতে উপস্থিত ভিটামিন বি গায়ের চুলকানিসহ ত্বকের নানা রোগ
প্রতিরোধে সহায়তা করে।
* করমচা কৃমিনাশক হিসেবেও কাজ করে। এছাড়া পেটের নানা অসুখ নিরাময়েও
করমচা উপকারী।
* শরীরের ক্লান্তি ও বার বার হাই তোলা থেকে মুক্তি পাবার জন্য করমচার রস
বেশ কাজে দেয়।
* করমচাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, যা
চোখের জন্য খুবই উপকারী।
* করমচার কার্বোহাইড্রেট কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
* করমচা ত্বক ভালো রাখে ও রোগ প্রতিরোধে কার্যকর।
করমচার মিস্টি আচার
উপকরণ : করমচা ১ কেজি, পাঁচফোড়ন গুঁড়ো ১ টেবিল
চামচ, আদা বাটা ১ চা চামচ, লবণ
পরিমাণ মতো, চিনি ২ টেবিল চামচ, মরিচ
টালা গুঁড়ো ২ টেবিল চামচ, মেথি গুঁড়ো, ১ টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়ো ১ চা চামচ, সিরকা ১ টেবিল চামচ, ধনে গুঁড়ো ১ চা চামচ,
সরিষার তেল ২ কাপ, রসুন ছেচা হাফ কাপ।
যেভাবে তৈরি করবেন : করমচা ধুয়ে কেটে বিচি বের করে নিতে হবে।
কড়াইয়ে তেল দিয়ে সব মসলা দিয়ে কষিয়ে নিন এবং করমচা দিয়ে দিন। একটু পরে সিরকা ও লবণ
চিনি দিয়ে ১০ মিনিট রান্না করতে হবে। আচারের উপরে তেল উঠে আসলে আচার নামিয়ে নিন।
ঠান্ডা হলে সংরক্ষণ করে রাখুন কাঁচের বোয়ামে।
করমচা ও গুরের
আচার
১ কাপ করমচা
পৌনে দুই কাপ আখের গুর
এক কাপের চার ভাগের এক ভাগ সাদা সিরক
১ চা চামচ আদা স্লাইস
১ চা চামচ শুকনা মরিচ কুচি
আধা
চা চামচ লবণ
১। করমচা ২ টুকরা করে বীচি ফেলে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।
২। তিন ঘণ্টা পর পর পানি বদলে দিন।
৩। এভাবে দুই দিন রাখুন।
৪। করমচা পানি ঝরিয়ে বাতাসে ছড়িয়ে গায়ের পানি শুকিয়ে নিন।
৫। করমচা, চিনি, সিরকা, আদা স্লাইস, মরিচ কুচি ও লবণ একসঙ্গে মিশিয়ে চুলায় জ্বাল দিন।
৬। করমচা সিদ্ধ হয়ে সিরা ঘন হলে নামিয়ে গরম আচার পরিষ্কার বোতলে ভরে রাখুন।
২। তিন ঘণ্টা পর পর পানি বদলে দিন।
৩। এভাবে দুই দিন রাখুন।
৪। করমচা পানি ঝরিয়ে বাতাসে ছড়িয়ে গায়ের পানি শুকিয়ে নিন।
৫। করমচা, চিনি, সিরকা, আদা স্লাইস, মরিচ কুচি ও লবণ একসঙ্গে মিশিয়ে চুলায় জ্বাল দিন।
৬। করমচা সিদ্ধ হয়ে সিরা ঘন হলে নামিয়ে গরম আচার পরিষ্কার বোতলে ভরে রাখুন।
No comments:
Post a Comment