আমলকি
আমলকির ভেষজ গুণ রয়েছে অনেক। ফল ও পাতা দুটিই ওষুধ হিসেবে
ব্যবহার করা হয়। আমলকিতে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ থাকে।
পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে, আমলকিতে পেয়ারা ও কাগজি লেবুর চেয়ে তিন
গুণ ও দশ গুণ বেশি ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে।
আমলকিতে কমলা লেবুর চেয়ে ১৫ থেকে ২০ গুণ বেশি, আপেলের চেয়ে ১২০ গুণ
বেশি, আমের চেয়ে ২৪ গুণ এবং কলার চেয়ে ৬০ গুণ বেশি
ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে।
এই আমলকি বিভিন্ন অসুখ সারানো ছাড়াও রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা গড়ে তুলতে দারুণ সাহায্য
করে। আমলকির গুণাগুণের জন্য আয়ুর্বেদিক ওষুধেও এখন আমলকির নির্যাস ব্যবহার করা
হচ্ছে। আমলকি খাওয়ার উপকারিতা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ আমলকিতে প্রচুর পরিমাণে
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে। আমলকি ত্বক, চুল ও চোখ ভাল রাখার জন্য
উপকারী। এতে রয়েছে ফাইটো-কেমিক্যাল যা চোখের সঙ্গে জড়িও ডিজেনারেশন প্রতিরোধ করতে
সাহায্য করে। আমলকি হজমে সাহায্য করে ও স্টমাকে আসিডের ভারসাম্য বজায় রাখে। আমলকি লিভার
ভাল রাখে, ব্রেনের কার্যকলাপে সাহায্য করে ফলে মেন্টাল
ফাংশনিং ভালো হয়। আমলকি ব্লাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রেখে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ
করতে সাহায্য করে। কোলেস্টেরল লেভেলেও কম রাখাতে যথেষ্ট সাহায্য করে। হার্ট সুস্থ
রাখে, ফুসফুসকে শক্তিশালী করে তোলে। শরীর ঠাণ্ডা রাখে,
শরীরের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে, মাসল
টোন মজবুত করে। লোহিত রক্তকণিকার সংখ্যা বাড়িয়ে তুলে দাঁত ও নখ ভালো রাখে। জ্বর,
বদহজম, সানবার্ন, সানস্ট্রোক থেকে রক্ষা করে। আমলকির জুস দৃষ্টি শক্তি ভালো রাখার জন্য
উপকারী। ছানি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। ব্রণ ও ত্বকের অন্যান্য সমস্যায় উপকারী।
পেটের জ্বালাভাব কম রাখে। লিভারের কার্যকলাপে সাহায্য করে, পাইলস সমস্যা কমায়। শরীরের অপ্রয়োজনীয় ফ্যাট ঝরাতে সাহায্য করে।
ব্রঙ্কাইটেসও অ্যাজমার জন্য আমলকির জুস উপকারী। আমলকি গুঁড়ার সঙ্গে সামান্য মধু ও
মাখন মিশিয়ে খাওয়ার আগে থেকে পারেন। খিদে বাড়াতে সাহায্য করে। এক গ্লাস দুধ বা
জলের মধ্যে আমলকি গুঁড়া ও সামান্য চিনি মিশিয়ে দিনে দু’বার খেতে
পারেন। অ্যাসিডিটির সমস্যা কম রাখতে সাহায্য করবে। আমলকিতে সামান্য লবণ, লেবুর
রস মাখিয়ে রোদে রাখুন। শুকিয়ে যাওয়ার পর খেতে পারেন। খাবারের সঙ্গে আমলকির আচার
খেতে পারেন। হজমে সাহায্য করবে। আমলকি মাঝারি আকারে টুকরো করে ফুটন্ত পানির মধ্যে
দিন। নরম হলে তা নামিয়ে ঝরিয়ে লবণ, আদা কুচি, লেবুর রস মাখিয়ে রোদে শুকিয়ে নিন। সারা বছরই ভালো থাকবে। এছাড়া
প্যানক্রিয়াটাইটিস রোগের পরে ক্ষতিগ্রস্ত প্যানক্রিয়াস (অগ্ন্যাশয়) -এর ক্ষত সারাতে আমলকি কার্যকর। আমলকির ফল, পাতা ও ছাল থেকে তৈরি পরীক্ষামূলক ওষুধে কিছু রোগ নিরাময়ের প্রমাণ
পাওয়া গেছে। যেমন- ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, প্রদাহ এবং কিডনি রোগ। আমলকি মানুষের রক্তের কোলেস্টেরল-মাত্রা হ্রাস
করতে পারে বলে প্রমাণ রয়েছে। ডায়াবেটিক ইঁদুরের ওপর চালানো এক গবেষণায় দেখা
গেছে, আমলকির রস রক্তের চিনির মাত্রা কমাতে পারে এবং
লিভারের কর্মক্ষমতা পুনরুদ্ধারে সাহায্য করতে পারে।
আমলকী বা ‘আমলকি’ একপ্রকার ভেষজ ফল। সংস্কৃত ভাষায় এর নাম ‘আমালিকা’।
কাঁচা আমলকি:আমলকী বা ‘আমলকি’ একপ্রকার ভেষজ ফল। সংস্কৃত ভাষায় এর নাম ‘আমালিকা’।
আমলকি নিয়ে প্রাথমিক গবেষণা সম্পন্ন হয়েছে। এতে দেখা গেছে যে, এটি ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে পারে। প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে যে, রিউমেটয়েড আর্থ্রাইটিস এবং অস্টিওপোরোসিস রোগে আমলকির রস কিছু কাজ করে। কয়েক ধরনের ক্যান্সারের বিরুদ্ধেও এর কার্যকারিতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। প্যানক্রিয়াটাইটিস রোগেও আমলকি কার্যকর বলে ইঁদুরের উপর চালিত গবেষণায় প্রমান মিলেছে। প্যানক্রিয়াটাইটিস রোগের পরে ক্ষতিগ্রস্ত প্যানক্রিয়াস (অগ্ন্যাশয়) -এর ক্ষত সারাতে আমলকি কার্যকর। আমলকির ফল, পাতা ও ছাল থেকে তৈরি পরীক্ষামূলক ওষুধে কিছু রোগ নিরাময়ের প্রমাণ পাওয়া গেছে যেমন- ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, প্রদাহ এবং কিডনি-রোগ। আমলকি মানুষের রক্তের কোলেস্টেরল-মাত্রা হ্রাস করতে পারে বলে প্রমাণ রয়েছে ডায়াবেটিক ইঁদুরের উপর চালানো এক গবেষণায় দেখা গেছে, আমলকির রস রক্তের চিনির মাত্রা কমাতে পারে এবং লিভারের কর্মক্ষমতা পুনরোদ্ধারে সাহায্য করতে পারে। [৯] আমলকিতে প্রচুর ভিটামিন-সি বা এস্করবিক এসিড থাকে (৪৪৫ মিগ্রা/১০০ গ্রাম)। তা সত্ত্বেও আরো অন্যান্য উপাদান নিয়ে মতভেদ আছে এবং আমলকির ‘এন্টি-অক্সিডেন্ট’রূপে কার্যকারিতার পেছনে মূল ভূমিকা ভিটামিন-সি এর নয়, বরং ‘এলাজিটানিন’ নামক পদার্থসমূহের বলে মনে করা হয়।যেমন এমব্লিকানিন-এ (৩৭%), এমব্লিকানিন-বি (৩৩%), পানিগ্লুকোনিন (১২%) এবং পেডাংকুলাগিন (১৪%).এতে আরো আছে পানিক্যাফোলিন, ফিলানেমব্লিনিন-এ, বি, সি, ডি, ই এবং এফ।এই ফলে অন্যান্য ‘পলিফেনল’ও থাকে। যেমন- ফ্ল্যাভোনয়েড, কেমফেরল, এলাজিক এসিড ও গ্যালিক এসিড।
ব্যবহার:
আমলকির ভেষজ গুণ রয়েছে অনেক। ফল ও পাতা দুটিই ওষুধরূপে ব্যবহার করা হয়। আমলকিতে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ থাকে। পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে, আমলকিতে পেয়ারা ও কাগজি লেবুর চেয়ে ৩ গুণ ও ১০ গুণ বেশি ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে। আমলকিতে কমলার চেয়ে ১৫ থেকে ২০ গুণ বেশি, আপেলের চেয়ে ১২০ গুণ বেশি, আমের চেয়ে ২৪ গুণ এবং কলার চেয়ে ৬০ গুণ বেশি ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে।
একজন বয়স্ক লোকের প্রতিদিন ৩০ মিলিগ্রাম ভিটামিন ‘সি’ দরকার। দিনে দুটো আমলকি খেলে এ পরিমাণ ভিটামিন ‘সি’ পাওয়া যায়। আমলকি খেলে মুখে রুচি বাড়ে।স্কার্ভি বা দন্তরোগ সারাতে টাটকা আমলকি ফলের জুড়ি নেই। এছাড়া পেটের পীড়া, সর্দি, কাশি ও রক্তহীনতার জন্যও খুবই উপকারী।লিভার ও জন্ডিস রোগে উপকারী বলে আমলকি ফলটি বিবেচিত। আমলকি, হরিতকী ও বহেড়াকে একত্রে ত্রিফলা বলা হয়। এ তিনটি শুকনো ফল একত্রে রাতে ভিজিয়ে রেখে সকালবেলা ছেঁকে খালি পেটে শরবত হিসেবে খেলে পেটের অসুখ ভালো হয়।বিভিন্ন ধরনের তেল তৈরিতে আমলকি ব্যবহার হয়। কাঁচা বা শুকনো আমলকি বেটে একটু মাখন মিশিয়ে মাথায় লাগালে খুব তাড়াতাড়ি ঘুম আসে।কাঁচা আমলকি বেটে রস প্রতিদিন চুলে লাগিয়ে দুতিন ঘন্টা রেখে দিতে হবে। এভাবে একমাস মাখলে চুলের গোড়া শক্ত, চুল উঠা এবং তাড়াতড়ি চুল পাকা বন্ধ হবে।
ঔষধি গুণ
* আমলকী কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের উপর কাজ করে। * বমি বন্থে কাজ করে। * দীর্ঘমেয়াদি কাশি সর্দি হতে উপকার পাওয়ার জন্য আমলকীর নির্যাস উপকারী। * এটি হৃদযন্ত্র ও মস্তিষ্কের শক্তিবর্ধক।
ভিটামিন সি’সমৃদ্ধ আমলকীতে প্রচুর পরিমাণে এ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে। বিভিন্ন অসুখ সারানো ছাড়াও রোগ প্রতিরোধক ৰমতা গড়ে তুলতেও আমলকী দারুণ সাহায্য করে। আমলকীর গুণাগুণের জন্য আয়ুর্বেদিক ওষুধেও এখন আমলকীর নির্যাস ব্যবহার করা হচ্ছে।
আমলকী খাওয়ার উপকারিতা
* ভিটামিন সি’সমৃদ্ধ আমলকীতে যথেষ্ট পরিমাণে এ্যান্টি অঙি্ডন্টে রয়েছে, যা ফ্রি র্যাডিকালস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। বুড়িয়ে যাওয়া ও সেল ডিজেনারেশনের অন্যতম কারণ এই ফ্রি র্যাডিকালস।
* আমলকী ত্বক, চুল ও চোখ ভাল রাখার জন্য উপকারী। এতে রয়েছে ফাইটো-কেমিক্যাল যা চোখের সঙ্গে জড়িও ডিজেনারেশন প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
* আমলকী হজমে সাহায্য করে ও স্টমাক এ্যাসিডে ব্যালেন্স বজার রাখে।
* আমলকী লিভার ভাল রাখে, ব্রেনের কার্যকলাপে সাহায্য করে ফলে মেন্টাল ফাংশনিং ভাল হয়।
* আমলকী বস্নাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রেখে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। কোলেস্টেরল লেভেলেও কম রাখাতে যথেষ্ট সাহায্য করে।
* হার্ট সুস্থ রাখে, ফুসফুসকে শক্তিশালী করে তোলে।
* শরীর ঠান্ডা রাখে, শরীরের কার্যৰমতা বাড়িয়ে তোলে, মাসল টোন মজবুত করে।
* লোহিত রক্তকণিকার সংখ্যা বাড়িয়ে তুলে দাঁত ও নখ ভাল রাখে।
* জ্বর, বদহজম, সানবার্ন, সানস্ট্রোক থেকে রৰা করে।
* আমলকীর জুস দৃষ্টি শক্তি ভাল রাখার জন্য উপকারী। ছানি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। ব্রণ ও ত্বকের অন্যান্য সমস্যায় উপকারী।
* পেটের জ্বালা জ্বালাভাব কম রাখে। লিভারের কার্যকলাপে সাহায্য করে, পাইলস সমস্যা কমায়।
* শরীরের অপ্রয়োজনীয় ফ্যাট ঝরাতে সাহায্য করে। ব্রঙ্কাইটেসও এ্যাজমার জন্য আমলকীর জুস উপকারী।
* আমলকী গুঁড়োর সঙ্গে সামান্য মধু ও মাখন মিশিয়ে খাওয়ার আগে থেকে পারেন। খিতে বাড়াতে সাহায্য করে।
* এক গস্নাস দুধ বা পানির মধ্যে আমলকী গুঁড়ো ও সামান্য চিনি মিশিয়ে দিনে দু’বার খেতে পারেন। এ্যাসিডেটের সমস্যা কম রাখতে সাহায্য করবে।
* আমলকীতে সামান্য লবণ, লেবুর রস মাখিয়ে রোদে রাখুন। শুকিয়ে যাওয়ার পর খেতে পারেন।
* খাবারের সঙ্গে আমলকীর আচার খেতে পারেন। হজমে সাহায্য করবে।
* আমলকী মাঝারি আকারে টুকরো করে নিয়ে ফুটনত্ম পানির মধ্যে দিন। আমলকী নরম হয়ে তরে নামিয়ে ঝরিয়ে লবণ, আদা কুঁচি, লেবুর রস মাখিয়ে রোদে রেখে দিতে পারেন। সারা বছরই ভাল থাকবে।
ডায়াবেটিস আর ক্যান্সার : মুক্তির দূত আমলকি
রাস্তায়, বাসে, ট্রেনে
এখন আমলকির রমরমা বাজার। ছোট্ট ফল, তবে ভেষজ গুণ রয়েছে
অনেক। রোজ সকালে উঠে যদি একটা গোটা আমলকি খাওয়া যায়, তাহলে
শরীরের পক্ষে খুবই ভালো। শুধুই ফলই না, পাতাও ওষুধ হিসেবে
ব্যবহার করা হয়। আমলকিতে প্রচুর ভিটামিন 'সি' থাকে। বিজ্ঞানীদের মতে, পেয়ারা ও কাগজি লেবুর
চেয়ে আমলকিতে তিন গুণ ও দশ গুণ বেশি ভিটামিন 'সি'
রয়েছে।
এই আমলকি বিভিন্ন অসুখ সারানো ছাড়াও রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা গড়ে
তুলতে দারুণ সাহায্য করে। আমলকির গুণাগুণের জন্য আয়ুর্বেদিক ওষুধেও এর নির্যাস ব্যবহার
করা হচ্ছে।
উপকারিতা
১. ভিটামিন সি সমৃদ্ধ আমলকিতে প্রচুর পরিমাণে
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে।
২. আমলকি রস ত্বক, চুল ও চোখ ভালো রাখার
জন্য উপকারী। এতে রয়েছে ফাইটো-কেমিক্যাল যা চোখের সঙ্গে জড়িতও ডিজেনারেশন প্রতিরোধ
করতে সাহায্য করে।
৩. হজমে সাহায্য করে ও স্টমাকে আসিডের ভারসাম্য বজায় রাখে।
৪. আমলকি লিভার ভালো রাখে, মাথায় রক্ত সঞ্চালনে
সাহায্য করে।
৫. আমলকি ব্লাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রেখে ডায়াবেটিস
প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। কোলেস্টেরল লেভেলেও কম রাখাতে যথেষ্ট সাহায্য করে।
৬. হার্ট সুস্থ রাখে, ফুসফুসকে শক্তিশালী করে
তোলে।
৭. শরীর ঠাণ্ডা রাখে, শরীরের কার্যক্ষমতা
বাড়িয়ে তোলে আর পেশি মজবুত করে।
৮. লোহিত রক্তকণিকার সংখ্যা বাড়িয়ে তুলে দাঁত ও নখ ভালো রাখে।
জ্বর, বদহজম, সানবার্ন, সানস্ট্রোক
থেকে রক্ষা করে।
৯. যাদের কোষ্ঠকাটিন্যের সমস্যা রয়েছে, তারা
প্রতিদিন সকালে একটি করে গোটা আমলকি খেতে পারেন।
১০. শরীর থেকে অপ্রয়োজনীয় মেদ ঝরাতেও আমলকি অপরিহার্য।
ব্রঙ্কাইটিস ও অ্যাজমার জন্য আমলকির জুস দারুণ উপকারী।
১১. আমলকি গুঁড়োর সঙ্গে সামান্য মধু ও মাখন মিশিয়ে খাওয়ার আগে
খেতে পারেন। এতে খিদে বেড়ে যায়।।
১২. এক গ্লাস দুধ বা পানির সঙ্গে আমলকি গুঁড়ো ও সামান্য চিনি
মিশিয়ে দিনে দু'বার খেতে পারেন। অ্যাসিডিটির সমস্যা কম রাখবে অনেক।
১৩. আমলকিতে সামান্য নুন আর লেবুর রস মাখিয়ে রোদে শুকোতে দিন।
শুকনো আমলকি রোজ খান। খাবারের সঙ্গে আমলকির আচারও খেতে পারেন। হজমে দারুন সাহায্য করে।
১৪. আমলকি মাঝারি আকারে টুকরো করে ফুটন্ত পানির মধ্যে দিয়ে নরম
করতে দিন। পানি ঝরিয়ে টান্ডা করতে দিন। এরপর নুন, আদা কুচি, লেবুর রস মাখিয়ে রোদে শুকোতে দিন। একটি এয়ারটাইট পরিস্কার জারের মধ্যে
রেখে দিন। নষ্ট হবে না।
১৫. এছাড়া প্যানক্রিয়াটাইটিস রোগের পরে ক্ষতিগ্রস্ত
প্যানক্রিয়াস (অগ্ন্যাশয়)-এর ক্ষত সারাতে আমলকি খুবই কার্যকর।
১৬. ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, প্রদাহ এবং কিডনি রোগ সারাতে আমলকির বিশেষ গুণ রয়েছে। আমলকির ফল,
পাতা ও ছাল থেকে তৈরি পরীক্ষামূলক ওষুধে এইসব রোগ নিরাময়ের
প্রমাণ মিলেছে।
১৭. আমলকি মানুষের রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করতে পারে
বলে প্রমাণ রয়েছে।
১৮. রিপোর্ট বলছে, ডায়াবেটিক ইঁদুরের ওপর
চালানো এক গবেষণায় দেখা গেছে, আমলকির রস রক্তের চিনির
মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। লিভারের কর্মক্ষমতা পুনরুদ্ধারে সাহায্য করতে পারে।
আমলকি আমাদের দেশের শ্রেষ্ঠ ফলগুলোর মধ্যে একটি। আমলকি খেলে
অনেক রোগের হাত থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া যায় বা অনেক রোগ সেরে যায়। এ ফলের গুণাগুণ
অমৃত সমান, তাই একে অমৃতফল বলা হয়ে থাকে। আমলকী বা আমলকি একপ্রকার
ভেষজ ফল।
সংস্কৃত ভাষায় এর নাম - আমালিকা। ইংরেজি নাম aamla বা Indian gooseberry। আমলকি গাছের বৈজ্ঞানিক নাম Phyllanthus emblica বা Emblica officinalis। আমলকির স্বাদ যদিও টক এবং কষাটে কিন্তু সুস্থ শরীরের জন্য আমলকি খাওয়ার অভ্যেস করা দরকার। এর স্বাদ প্রথমে কষাটে লাগলেও খাওয়া শেষে মুখে মিষ্টি ভাব আসে।
আমলকির ভেষজ গুণ রয়েছে অনেক। প্রতিদিন একটি আমলকি খাওয়ার অভ্যেস করুন। আমলকিতে প্রচুর ভিটামিন সি থাকে। পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে, আমলকিতে পেয়ারা ও কাগজি লেবুর চেয়ে ৩ গুণ ও ১০ গুণ বেশি ভিটামিন সি রয়েছে। আমলকিতে কমলার চেয়ে ১৫ থেকে ২০ গুণ বেশি, আপেলের চেয়ে ১২০ গুণ বেশি, আমের চেয়ে ২৪ গুণ এবং কলার চেয়ে ৬০ গুণ বেশি ভিটামিন সি রয়েছে।
রোগ-ব্যাধিতে আমলকির ব্যবহার:সংস্কৃত ভাষায় এর নাম - আমালিকা। ইংরেজি নাম aamla বা Indian gooseberry। আমলকি গাছের বৈজ্ঞানিক নাম Phyllanthus emblica বা Emblica officinalis। আমলকির স্বাদ যদিও টক এবং কষাটে কিন্তু সুস্থ শরীরের জন্য আমলকি খাওয়ার অভ্যেস করা দরকার। এর স্বাদ প্রথমে কষাটে লাগলেও খাওয়া শেষে মুখে মিষ্টি ভাব আসে।
আমলকির ভেষজ গুণ রয়েছে অনেক। প্রতিদিন একটি আমলকি খাওয়ার অভ্যেস করুন। আমলকিতে প্রচুর ভিটামিন সি থাকে। পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে, আমলকিতে পেয়ারা ও কাগজি লেবুর চেয়ে ৩ গুণ ও ১০ গুণ বেশি ভিটামিন সি রয়েছে। আমলকিতে কমলার চেয়ে ১৫ থেকে ২০ গুণ বেশি, আপেলের চেয়ে ১২০ গুণ বেশি, আমের চেয়ে ২৪ গুণ এবং কলার চেয়ে ৬০ গুণ বেশি ভিটামিন সি রয়েছে।
শরীরে ভিটামিন সি এর ঘাটতি মেটাতে আমলকির জুড়ি নেই। ভিটামিন
সি এর অভাবে যেসব রোগ হয়, যেমন: স্কার্ভি, মেয়েদের
লিউকরিয়া, অর্শ প্রভৃতি ক্ষেত্রে আমলকি খেলে উপকার
পাওয়া যায়।
হার্টের রোগীরা আমলকি খেলে ধরফরানি কমবে। টাটকা আমলকি তৃষ্ণা
মেতে, ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া বন্ধ করে, পেট পরিষ্কার
করে।
আমলকি খেলে মুখে রুচি বাড়ে। এছাড়া পেটের পীড়া, সর্দি,
কাশি ও রক্তহীনতার জন্যও খুবই উপকারী।
পিত্ত সংক্রান্ত যেকোনো রোগে সামান্য মধু মিশিয়ে আমলকি খেলে
উপকার হয়।
বারবার বমি হলে শুকনো আমলকি এককাপ পানিতে ভিজিয়ে ঘন্টা দুই
বাদে সেই পানিতে একটু শ্বেত চন্দন ও চিনি মিশিয়ে খেলে বমি বন্ধ হয়। নিয়মিত
কয়েক টুকরো করে আমলকি খেলে চোখের দৃষ্টিশক্তি ঠিক থাকে। আমলকি খিদে বাড়ায়, শরীর
ঠান্ডা রাখে।
বিভিন্ন ধরনের তেল তৈরিতে আমলকি ব্যবহার হয়। আমলকি থেকে তৈরী
তেল মাথা ঠান্ডা রাখে। কাঁচা বা শুকনো আমলকি বেটে একটু মাখন মিশিয়ে মাথায় লাগালে
খুব তাড়াতাড়ি ঘুম আসে। কাঁচা আমলকি বেটে রস প্রতিদিন চুলে লাগিয়ে দুতিন ঘন্টা
রেখে দিতে হবে। এভাবে একমাস মাখলে চুলের গোড়া শক্ত, চুল উঠা এবং তাড়াতড়ি চুল পাকা বন্ধ হবে।
প্রতি ১০০ গ্রাম আমলকিতে আছে:
জলীয় অংশ - ৯১.৪
মোট খনিজ - ০.৭
আঁশ - ৩.৪
খাদ্যশক্তি - ১৯
আমিষ - ০.৯
চর্বি - ০.১
শর্করা - ৩.৫
ক্যালসিয়াম - ৩৪মি:
লৌহ - ১.২
ক্যারোটিন - ০
ভিটামিন বি-১ - ০.০২
ভিটামিন - ০.০৮মি:
ভিটামিন সি - ৪৬৩
ছোট আমলকির বড় গুণ
আমাদের দেশের সর্বত্র আমলকি পাওয়া যায়।হাতের নাগালের এই ছোট
ফল দামে সস্তা কিন্তু পুষ্টিগুণে ভরপুর। আমলকির ফল থেকে শুরু করে পাতা ও ছাল ছোট
শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ সবার জন্য উপকারি।
শরীরে ভিটামিন ‘সি’ এর অভাব মেটাতে আমলকির জুড়ি নেই। ভিটামিন ‘সি’ এর অভাবে যেসব রোগ হয় যেমন- স্কার্ভি, মেয়েদের লিউকরিয়া, অর্শ প্রভৃতি ক্ষেত্রে আমলকি খেলে উপক
পাওয়া যায়।
আমলকি খেলে চোখের দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে। এছাড়া লোহিত রক্তকণিকার সংখ্যা বাড়িয়ে দাঁত ও নখ ভাল রাখে।
হার্টের রোগীর জন্য নিয়মিত আমলকি খাওয়া খুবই উপকারি। হার্টের
রোগীরা আমলকি খেলে ধরফরানি টাটকা আমলকি খেলে তৃষ্ণা মেটে, ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া বন্ধ করে, পেট পরিষ্কার করে। আমলকি খেলে মুখে রুচি বাড়ে। এছাড়া আমলকি ক্ষুধা বাড়ায় ও শরীর ঠা-া রাখে। এছাড়া পেটের পীড়া, সর্দি, কাশির জন্যও খুবই উপকারী। পিত্ত সংক্রান্ত যেকোনো রোগে সামান্য মধু মিশিয়ে আমলকি খেলে উপকার হয়।
বারবার বমি হলে শুকনো আমলকি এককাপ পানিতে ভিজিয়ে ঘণ্টা দুই পর
সেই পানিতে একটু শ্বেত চন্দন ও চিনি মিশিয়ে খেলে বমি বন্ধ হয়। আমলকি ত্বকের জন্য খুবই উপকারি।শরীরে ভিটামিন ‘সি’ এর অভাব মেটাতে আমলকির জুড়ি নেই। ভিটামিন ‘সি’ এর অভাবে যেসব রোগ হয় যেমন- স্কার্ভি, মেয়েদের লিউকরিয়া, অর্শ প্রভৃতি ক্ষেত্রে আমলকি খেলে উপক
পাওয়া যায়।
আমলকি খেলে চোখের দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে। এছাড়া লোহিত রক্তকণিকার সংখ্যা বাড়িয়ে দাঁত ও নখ ভাল রাখে।
হার্টের রোগীর জন্য নিয়মিত আমলকি খাওয়া খুবই উপকারি। হার্টের
রোগীরা আমলকি খেলে ধরফরানি টাটকা আমলকি খেলে তৃষ্ণা মেটে, ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া বন্ধ করে, পেট পরিষ্কার করে। আমলকি খেলে মুখে রুচি বাড়ে। এছাড়া আমলকি ক্ষুধা বাড়ায় ও শরীর ঠা-া রাখে। এছাড়া পেটের পীড়া, সর্দি, কাশির জন্যও খুবই উপকারী। পিত্ত সংক্রান্ত যেকোনো রোগে সামান্য মধু মিশিয়ে আমলকি খেলে উপকার হয়।
নিয়মিত আমলকি খেলে ব্রণের দাগ দূর করে সেইসঙ্গে দেয় সতেজ ও মসৃণ ত্বক। কাঁচা আমলকী বেটে চুলে লাগালে গোড়া শক্ত হয় সেইসঙ্গে অকাল পক্কতা দূর হয়। এছাড়া চুল ঝরঝরে থাকে এবং চুলের রং কালো হয়। আমলকী বেটে নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে নিয়মিত ব্যবহার করলে রাতে ভালো ঘুম হয় ও মাথা ঠা-া থাকে। রাতে আমলকির সঙ্গে বহেরা ও হরতকী মিশিয়ে পানিতে ভিজিয় সকালে খালি পেটে খেলে কোষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তিন থেকে চার গ্রাম শুকনো আমলকীর গুড়া এক চামচ মধুর সঙ্গে মিশিয়ে একসপ্তাহ খেলে বহু মুত্র রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আমলকী বেটে তার সঙ্গে সাদা চন্দন ভালভাবে মিশিয়ে কপালে ম্যাস করলে মাথা ব্যাথা থেকে মুক্তি প প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ৪/৫গ্রাম আমলকি পাতার রসের সঙ্গে পরিমান মতো চিনি মিশিয়ে একমাস খেলে চিরতরে অম্ল রোগ ভালো হয়ে যায়।
প্রতিদিন সবার একটি আমলকি খাওয়ার অভ্যেস করা উচিত ফল ও পাতা দুটিই ওষুধরূপে ব্যবহার করা হয়। বীজ দিয়ে আমলকির
বংশবিস্তার হয়। বর্ষাকালে চারা লাগানোর উপযুক্ত সময়। আমলকিতে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ থাকায়
একে ভিটামিন ‘সি’র রাজা
বলা হয়। লেবু জাতীয় অন্য কোনো ফলে এত ভিটামিন ‘সি’ নেই।
পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে, আমলকিতে পেয়ারা ও কাগজি লেবুর চেয়ে ৩ গুণ ও
১০ গুণ বেশি ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে।
আমলকিতে কমলার চেয়ে ১৫ থেকে ২০ গুণ বেশি, আপেলের চেয়ে ১২০ গুণ বেশি,
আমের চেয়ে ২৪ গুণ এবং কলার চেয়ে ৬০ গুণ বেশি ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে।
একজন বয়স্ক লোকের প্রতিদিন ৩০ মিলিগ্রাম ভিটামিন ‘সি’ দরকার।
দিনে দুটো আমলকি খেলে এ পরিমাণ ভিটামিন ‘সি’ পাওয়া
যায়।
উদ্ভিদের নাম: আমলকী স্হানীয় নাম: আমলকী/অমৃতকলা, শ্রীফল,
ধাত্রী
ইংরেজীতে: Phyllanthus emblice.ভেষজ নামঃ- Embilica officinalis Gaertn.
ফ্যমিলিঃ Eophorbiaceae
ব্যবহার্য অংশ: পাতা, ফুল ও বাকল।
রোপনের সময়: বছরের সবসময় রোপণ করা যায় ।
উত্তোলনের সময়: যখন থেকে ফল ধরতে শুরু করে তখন থেকেই ফল আহরণ করা যায়।
আবাদী/অনাবাদী/বনজ: আমলকী বনজ এবং জঙ্গলের ঔষধী উদ্ভিদ।
কাঁচা আমলকী বেটে গোসলের ২/৩ ঘণ্টা পূর্বে মাথায় মেখে রোদে বসে শুকিয়ে ধুলে চুলের গোড়া শক্ত হয় ।আমলকী বাটা নারকেল তেলের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করলে রাত্রে ঘুম ভাল হয় ও মাথা ঠান্ডা থাকে, চুল ঝরঝরে থাকে এবং চুলের রং কালো হয় ।আমলকী বেটে তার সাথে সাদা চন্দন ভালভাবে মিশিয়ে পুরো কপালে ঘষলে মাথা ধরায় আরাম পাওয়া যায়।কাঁচা আমলকীর রস দুই ফোঁটা করে দিনে দুইবার ব্যবহার করলে তিন দিনে চোখওঠা ভাল হয় ।হার্টের রোগীরা আমলকি খেলে ধরফরানি কমবে। টাটকা আমলকি তৃষ্ণা মেতে, ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া বন্ধ করে, পেট পরিষ্কার করে।
সংস্কৃত ভাষায় এর নাম 'আমালিকা'। আমলকী গাছ বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলংকা, মায়ানমার, মালয়েশিয়া ও চীনে দেখা যায়। এটি ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে পারে। আমলকির ফল, পাতা ও ছাল থেকে তৈরি পরীক্ষামূলক ওষুধে কিছু রোগ নিরাময়ের প্রমাণ পাওয়া গেছে যেমন- ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, প্রদাহ এবং কিডনি-রোগ।দীর্ঘমেয়াদি কাশি সর্দি হতে উপকার পাওয়ার জন্য আমলকীর নির্যাস উপকারী।বিভিন্ন ধরনের তেল তৈরিতে আমলকি ব্যবহার হয়। আমলকি থেকে তৈরী তেল মাথা ঠান্ডা রাখে। আমলকি খেলে মুখে রুচি বাড়ে। পিত্ত সংক্রান্ত যেকোনো রোগে সামান্য মধু মিশিয়ে আমলকি খেলে উপকার হয়।
প্রতি ১০০ গ্রাম আমলকিতে আছে:
জলীয় অংশও – ৯১.৪
মোট খনিজ – ০.৭
আঁশ – ৩.৪
খাদ্যশক্তি – ১৯
আমিষ – ০.৯
চর্বি – ০.১
শর্করা – ৩.৫
ক্যালসিয়াম – ৩৪মি:
লৌহ – ১.২
ক্যারোটিন – ০
ভিটামিন বি-১ – ০.০২
ভিটামিন – ০.০৮মি:
ভিটামিন সি – ৪৬৩
লোহিত রক্তকণিকার সংখ্যা বাড়িয়ে তুলে দাঁত ও নখ ভাল রাখে।আমলকীর জুস দৃষ্টি শক্তি ভাল রাখার জন্য উপকারী। ছানি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। ব্রণ ও ত্বকের অন্যান্য সমস্যায় উপকারী।এক গ্লাস দুধ বা পানির মধ্যে আমলকী গুঁড়ো ও সামান্য চিনি মিশিয়ে দিনে দু’বার খেতে পারেন। এ্যাসিডিটের সমস্যা কম রাখতে সাহায্য করবে।আমলকী আপেলের মতো অভিজাত ফল নয়। আপেলের মতো নিবিড় পরিচর্যায় এটি আবাদও হয় না। জন্ম অযত্নে বন-বাদাড়ে। কিন্তু গুণের বিচারে একটি আমলকীর সমান ছয়টি আপেল।
আমলকির রেসিপি-
আমলকী ২৫০ গ্রাম, চিনি ১ কাপ, সিরকা আধা কাপ, আদার টুকরা ৪-৫টি, শুকনা মরিচ ২টি, লবণ পরিমাণমতো।প্রথমে টুথপিক
দিয়ে আমলকী ছিদ্র করে ফিটকিরির পানিতে ১৪-১৫ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। মাঝেমধ্যে
পানি পাল্টে দিতে হবে। এবার একটি পাত্রে পানি ও লবণ দিন। একবার ফুটে উঠলে নামিয়ে
পানি ঝরিয়ে সব উপকরণ একসঙ্গে দিয়ে আমলকী অল্প আঁচে সেদ্ধ করে নিন। আচার হয়ে
গেলে নামিয়ে ঠান্ডা করুন। এরপর বয়ামে ঢুকিয়ে রাখুন।
আমলকির মোরব্বা-
আমলকি—৫০০ গ্রাম, চিনি—২৫০
গ্রাম,
২টো পাতিলেবু রস, নুন—১/২ চা
চামচ। প্রণালীঃ আমলকি ধুয়ে, একটা কাঠি দিয়ে সারা গায়ে ফুটো ফুটো করে,
এক হাঁড়ি জলে সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন, কষ
বেরিয়ে যাবে। কেউ কেউ জলের সঙ্গে একটু ফিটকিরিও দেন। সকালে জল ঝরিয়ে, ধুয়ে, নুন দিয়ে তিন পেয়ালা জলে, কম আঁচে সেদ্ধ বসান। নরম হয়ে গেলে নামান। এবার দেড় কাপ জল দিয়ে চিনির
রস করুন। ফুটলে গাদ তুলে ফেলে দিন। একটু পরে লেবুর রস দিন। এবার রসের মধ্যে সেদ্ধ আমলকি
ঢেলে, আরো আট-দশ মিনিট ফুটিয়ে, আমলকি
গলবার আগে নামিয়ে ফেলুন। ঠান্ডা হলে চওড়ামুখ বোতলে ভরে রাখুন।
এফল দামে সস্তা ও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। বাচ্চা থেকে শুরু করে সবারই ফল খাওয়ার আগ্রহ বাড়ানো উচিত। এতে পুষ্টি চাহিদা পূরণের সাথে বিভিন্ন ধরনের রোগ নিরাময়ে সাহায্য করবে। আর অবহেলা নয়, গুণী এই বৃক্ষটির সংরক্ষণ ও ব্যবহার বিষয়ে আমাদের সচেতন এবং মনোযোগী হতে হবে।
এফল দামে সস্তা ও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। বাচ্চা থেকে শুরু করে সবারই ফল খাওয়ার আগ্রহ বাড়ানো উচিত। এতে পুষ্টি চাহিদা পূরণের সাথে বিভিন্ন ধরনের রোগ নিরাময়ে সাহায্য করবে। আর অবহেলা নয়, গুণী এই বৃক্ষটির সংরক্ষণ ও ব্যবহার বিষয়ে আমাদের সচেতন এবং মনোযোগী হতে হবে।
আমলকীর চাটনি
ধু ফল হিসেবে কাঁচা আমলকী নয়, বানিয়ে খেতে পারেন
আমলকীর আচারও। এমনকি আমলকী দিয়ে বানানো যায় চমত্কার মোরব্বাও! রইলো আমলকীর মজাদার
মোরব্বার রেসিপি।
উপকরণ :
আমলকী- আধা কেজি,
চিনি- আধা কেজি,
ভিনেগার- ২ কাপ,
আদা কুচি- ৩ টেবিল চামচ,
শুকনো মরিচ- ৮টা,
লবণ- পরিমাণমতো
চিনি- আধা কেজি,
ভিনেগার- ২ কাপ,
আদা কুচি- ৩ টেবিল চামচ,
শুকনো মরিচ- ৮টা,
লবণ- পরিমাণমতো
প্রস্তুত প্রণালী :
*আমলকীগুলো টুথপিক বা কাঁটা চামচ দিয়ে ছিদ্র ছিদ্র করে বা
কেঁচে নিন।
*এরপর ফিটকিরি মেশানো পানিতে ৭-৮ ঘণ্টা ডুবিয়ে রাখুন। মাঝে মাঝে পানি পালটে দিন।
*ফিটকিরি মেশানো পানি থেকে আমলকীগুলো তুলে ভালো করে ধুয়ে নিন এবং পানি ঝরতে দিন।
*একটি পাত্রে পানি নিয়ে তাতে লবণ দিয়ে গরম করুন। পানি ফুটে উঠলে তাতে আমলকীগুলো দিয়ে দিন।
*১০ মিনিট পর পাত্রটি নামিয়ে ফেলুন এবং আবার পানি ঝরান।
*একটি পাত্র চুলার ওপর দিন। পাত্র গরম হয়ে গেলে তাতে ভিনেগার ঢেলে দিন।
*শুকনো মরিচের এক পাশে চিড়ে নিন। ভিনেগার গরম হয়ে এলে এতে আদা কুচি, মরিচ ও চিনি দিয়ে দিন।
*চিনি গলে গেলে আমলকীগুলো দিয়ে দিন। মাঝে মাঝে নেড়ে দিন।
*১০ মিনিট পর মোরব্বা চুলা থেকে নামিয়ে ফেলুন।
*মোরব্বা তৈরিতে চিনির পরিবর্তে গুড়ও ব্যবহার করতে পারেন। সেক্ষেত্রে গুড় আগেই গলিয়ে নিন।
*মোরব্বা ঠাণ্ডা হয়ে গেলে বয়ামে তুলে সংরক্ষণ করুন। এটা ফ্রিজে রাখলে বেশি দিন ভালো থাকবে।
*এরপর ফিটকিরি মেশানো পানিতে ৭-৮ ঘণ্টা ডুবিয়ে রাখুন। মাঝে মাঝে পানি পালটে দিন।
*ফিটকিরি মেশানো পানি থেকে আমলকীগুলো তুলে ভালো করে ধুয়ে নিন এবং পানি ঝরতে দিন।
*একটি পাত্রে পানি নিয়ে তাতে লবণ দিয়ে গরম করুন। পানি ফুটে উঠলে তাতে আমলকীগুলো দিয়ে দিন।
*১০ মিনিট পর পাত্রটি নামিয়ে ফেলুন এবং আবার পানি ঝরান।
*একটি পাত্র চুলার ওপর দিন। পাত্র গরম হয়ে গেলে তাতে ভিনেগার ঢেলে দিন।
*শুকনো মরিচের এক পাশে চিড়ে নিন। ভিনেগার গরম হয়ে এলে এতে আদা কুচি, মরিচ ও চিনি দিয়ে দিন।
*চিনি গলে গেলে আমলকীগুলো দিয়ে দিন। মাঝে মাঝে নেড়ে দিন।
*১০ মিনিট পর মোরব্বা চুলা থেকে নামিয়ে ফেলুন।
*মোরব্বা তৈরিতে চিনির পরিবর্তে গুড়ও ব্যবহার করতে পারেন। সেক্ষেত্রে গুড় আগেই গলিয়ে নিন।
*মোরব্বা ঠাণ্ডা হয়ে গেলে বয়ামে তুলে সংরক্ষণ করুন। এটা ফ্রিজে রাখলে বেশি দিন ভালো থাকবে।
টক-মিষ্টি আমলকির মোরব্বা
শুধু ফল হিসেবে কাঁচা আমলকি নয়, বানিয়ে খেতে পারেন আমলকির আচারও। এমনকি আমলকি দিয়ে বানানো যায় চমৎকার মোরব্বাও! রইলো আমলকির মজাদার মোরব্বার রেসিপি।
উপকরণ : আমলকি আধা কেজি, চিনি আধা কেজি, ভিনেগার ২ কাপ, আদা কুচি ৩ টেবিল চামচ, শুকনো মরিচ ৮টা, লবণ পরিমাণমতো।
প্রস্তুত প্রণালী : আমলকিগুলো টুথপিক বা কাঁটা চামচ দিয়ে ছিদ্র ছিদ্র করে বা কেঁচে নিন। এরপর ফিটকিরি মেশানো পানিতে ৭-৮ ঘণ্টা ডুবিয়ে রাখুন। মাঝে মাঝে পানি পাল্টে দিন। ফিটকিরি মেশানো পানি থেকে আমলকিগুলো তুলে ভালো করে ধুয়ে নিন এবং পানি ঝরতে দিন। একটি পাত্রে পানি নিয়ে তাতে লবণ দিয়ে গরম করুন। পানি ফুটে উঠলে তাতে আমলকিগুলো দিয়ে দিন। ১০ মিনিট পর পাত্রটি নামিয়ে ফেলুন এবং আবার পানি ঝরান। একটি পাত্র চুলার ওপর দিন। পাত্র গরম হয়ে গেলে তাতে ভিনেগার ঢেলে দিন। শুকনো মরিচের এক পাশে চিড়ে নিন। ভিনেগার গরম হয়ে এলে এতে আদা কুচি, মরিচ ও চিনি দিয়ে দিন। চিনি গলে গেলে আমলকিগুলো দিয়ে দিন। মাঝে মাঝে নেড়ে দিন। ১০ মিনিট পর মোরব্বা চুলা থেকে নামিয়ে ফেলুন। মোরব্বা তৈরিতে চিনির পরিবর্তে গুড়ও ব্যবহার করতে পারেন। সেক্ষেত্রে গুড় আগেই গলিয়ে নিন। মোরব্বা ঠাণ্ডা হয়ে গেলে বয়ামে তুলে সংরক্ষণ করুন। এটা ফ্রিজে রাখলে বেশি দিন ভালো থাকবে।
শুধু ফল হিসেবে কাঁচা আমলকি নয়, বানিয়ে খেতে পারেন আমলকির আচারও। এমনকি আমলকি দিয়ে বানানো যায় চমৎকার মোরব্বাও! রইলো আমলকির মজাদার মোরব্বার রেসিপি।
উপকরণ : আমলকি আধা কেজি, চিনি আধা কেজি, ভিনেগার ২ কাপ, আদা কুচি ৩ টেবিল চামচ, শুকনো মরিচ ৮টা, লবণ পরিমাণমতো।
প্রস্তুত প্রণালী : আমলকিগুলো টুথপিক বা কাঁটা চামচ দিয়ে ছিদ্র ছিদ্র করে বা কেঁচে নিন। এরপর ফিটকিরি মেশানো পানিতে ৭-৮ ঘণ্টা ডুবিয়ে রাখুন। মাঝে মাঝে পানি পাল্টে দিন। ফিটকিরি মেশানো পানি থেকে আমলকিগুলো তুলে ভালো করে ধুয়ে নিন এবং পানি ঝরতে দিন। একটি পাত্রে পানি নিয়ে তাতে লবণ দিয়ে গরম করুন। পানি ফুটে উঠলে তাতে আমলকিগুলো দিয়ে দিন। ১০ মিনিট পর পাত্রটি নামিয়ে ফেলুন এবং আবার পানি ঝরান। একটি পাত্র চুলার ওপর দিন। পাত্র গরম হয়ে গেলে তাতে ভিনেগার ঢেলে দিন। শুকনো মরিচের এক পাশে চিড়ে নিন। ভিনেগার গরম হয়ে এলে এতে আদা কুচি, মরিচ ও চিনি দিয়ে দিন। চিনি গলে গেলে আমলকিগুলো দিয়ে দিন। মাঝে মাঝে নেড়ে দিন। ১০ মিনিট পর মোরব্বা চুলা থেকে নামিয়ে ফেলুন। মোরব্বা তৈরিতে চিনির পরিবর্তে গুড়ও ব্যবহার করতে পারেন। সেক্ষেত্রে গুড় আগেই গলিয়ে নিন। মোরব্বা ঠাণ্ডা হয়ে গেলে বয়ামে তুলে সংরক্ষণ করুন। এটা ফ্রিজে রাখলে বেশি দিন ভালো থাকবে।
No comments:
Post a Comment