Thursday, September 10, 2015

গোল / তাল বেগুন

প্রতি ১০০ গ্রামে ৷
22 μg 5.5% folates
Niacin 0,649 মিলিগ্রাম 4%
প্যানটোথেনিক অ্যাসিড 0,281 মিলিগ্রাম 6%
পাইরিডক্সিন 0,084 মিলিগ্রাম 6.5%
Riboflavin 0,037 মিলিগ্রাম 3%
থিয়ামিন 0,039 মিলিগ্রাম 3%
27 ইবি 1% Vitamin
ভিটামিন সি 2.2 মিলিগ্রাম 3.5%
ভিটামিন ই 0.30 মিলিগ্রাম 2%
ভিটামিন কে 3.5 μg 3%
ইলেক্ট্রোলাইট
সোডিয়াম 2 মিলিগ্রাম 0%
পটাসিয়াম 230 মিলিগ্রাম 5%

খনিজ পদার্থ
ক্যালসিয়াম 9 মিলিগ্রাম 1%
কপার 0,082 মিলিগ্রাম 9%
আয়রন 0.24 মিলিগ্রাম 3%
ম্যাগনেসিয়াম 14 মিলিগ্রাম 3.5%
ম্যাঙ্গানিজ 0,250 মিলিগ্রাম 11%
দস্তা 0.16 মিলিগ্রাম 1%
খাদ্যগুণে ভরপুর বেগুন বিভিন্নভাবে আমাদের শরীরের উপকার করে। যেমন
১) বেগুনে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা পাকস্থলী, ক্ষুদ্রান্ত ও কোলন ক্যানসার প্রতিরোধ করে। যেকোনো ক্ষতস্থান দ্রুত শুকাতেও বেগুন সাহায্য করে।
২) এতে চিনি এবং চর্বির পরিমাণ খুবই কম। তাই ডায়াবেটিকস, হৃদরোগ ও অধিক ওজন রয়েছে যাঁদের, তাঁরা নিশ্চিন্তে বেগুন খেতে পারবেন।
৩) বেগুনে উপস্থিত রিবোফ্লেভিন মুখ, ঠোঁট ও জিহ্বার ঘা দূর করে, জ্বর জ্বর ভাব কমায়। এর ভিটামিন এ চোখের রোগ প্রতিরোধ করে, ভিটামিন সি ত্বক, নখ ও চুলে পুষ্টি জোগায় এবং ভিটামিন ই ও কে রক্তজমাট বাঁধার বিরুদ্ধে কাজ করে।
৪) বেগুনে রয়েছে খাদ্যআঁশ যা খাদ্য হজমে সহায়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
৫) বেগুনে রয়েছে নাসুনিন নামে একটি উপাদান, যা মস্তিষ্কের শিরা-উপশিরার দেয়ালে চর্বি জমা হতে বাধা দেয়। ফলে ব্রেইন স্ট্রোক ও মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত রোগের ঝুঁকি কমে যায়। মস্তিষ্কে অক্সিজেনের মাত্রা বেড়ে গিয়ে কর্মোদ্দীপনা বৃদ্ধি পায়।
৬) বেগুন রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয় এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে।
৭) বেগুনের ম্যাগনেসিয়াম ও ক্যালসিয়াম দাঁত, হাড় ও নখ মজবুত করে।
৮) মৌসুমি সর্দি, কাশি, কফ দূর করতে বেগুন সাহায্য করে।

উপকরণ
গোল বেগুন ২টি, পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ, মরিচ কুচি ১ টেবিল চামচ, ধনেপাতা কুচি ১ টেবিল চামচ, বেসন ৩ টেবিল চামচ, চালের গুঁড়া ২ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, আদা ও রসুন বাটা ১ চা চামচ, তেল ভাজার জন্য, মাখন ২ টেবিল চামচ।
যেভাবে তৈরি করবেন
১. বেগুন ভালোমতো ধুয়ে সমান দুই ভাগ করে ছুরির মাথা দিয়ে মাঝখানের অংশ তুলে নিয়ে কুচি করুন।
২. এমনভাবে ওঠাতে হবে
, যেন বেগুনের বাকলটা বাটির মতো হয়।
৩. কুচি বেগুনের সঙ্গে তেল বা মাখন ছাড়া সব উপকরণ মেশান। এরপর ১০ মিনিট রেখে দিন।
৪. গোল গোল বড়া আকারে তৈরি করে ডুবো তেলে ভাজুন।
৫. বেগুনের বাকলের বাটিতে লবণ মেখে রাখুন ১০ মিনিট। এরপর মাখন লাগিয়ে ভাজা বড়া রেখে ওপরে আবার মাখন ব্রাশ করুন।
৬. প্রিহিট ওভেনে ১৮০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ১০ থেকে ১৫ মিনিট বেক করে ভাত বা পোলাওয়ের সঙ্গে পরিবেশন করুন।
উপকরণ : বড় মাছ (আইড়, বোয়াল, রুই ইত্যাদি) ৪ টুকরো, গোল বেগুন ৩টি, আলু ১টি, ডিম ২টি, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজ বাটা ১ টেবিল চামচ, মরিচ গুঁড়ো আধা চা চামচ, ধনে গুঁড়ো আধা চা চামচ, হলুদ ৩ চা চামচ, আদা বাটা আধা চা চামচ, জিরা গুঁড়ো ৩ চা চামচ, ময়দা ১ চা চামচ, কাঁচা মরিচ কুচি ৫টি, ধনেপাতা কুচি সামান্য।
যেভাবে তৈরি করবেন
১. ডাঁটাসহ বেগুন দুই ভাগ করে বেশি পানিতে সিদ্ধ করুন। এরপর খোসা রেখে বাকি অংশ চামচ দিয়ে তুলে নিন।
২. বড় মাছ ও আলু সেদ্ধ করে বেগুন সেদ্ধর সঙ্গে মিশিয়ে নিন।
৩. তেলের মধ্যে পেঁয়াজ ভেজে সব মসলা দিয়ে কিছুক্ষণ রাখুন। এরপর মাছের মিশ্রণটি দিয়ে ভেজে নিন। কাঁচা মরিচ ও ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলুন।
৪. বেগুনের খোসার মধ্যে পুর ভরে বিছিয়ে নিন।
৫. একটি বাটিতে ডিম, ময়দা, লবণ একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। পুর ভরা বেগুনে মিশ্রণ লাগিয়ে ডুবো তেলে ভাজুন।

উপকরণ : বেগুন হাফ কেজি, হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ, চিনি পরিমাণমতো, বেসন ১/৩ কাপ, মরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ, লবণ স্বাদমতো, তেল ১/৪ কাপ।
প্রস্তুত প্রণালি : একটি বেগুন চার ফালি করে কাটতে হবে। হলুদ, লবণ ও সামান্য চিনি মাখিয়ে ৩০ মিনিট রাখতে হবে। এরপর একটা বাটিতে হলুদ, চিনি, বেসন, মরিচ ও লবণ নিয়ে তাতে একটা পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। এই পেস্টের মধ্যে বেগুন দিয়ে ডুবো তেলে ভাজতে হবে।
বেগুনে মাছের স্টাফিং
উপকরণ : বেগুন ছোট ৬/৭টি, নারকেল  অর্ধেক, কাঁচামরিচ ৬টি,  সরষে বাটা ৪ টেবিল চামচ,  ছোট চিংড়ি ২৫০ গ্রাম,  ধনেপাতা কুচি ১ টেবিল  চামচ, তেল ৬ টেবিল চামচ,  চিনি ১ চা চামচ, পেঁয়াজ কুচি  ৩ টেবিল চামচ, লবণ ও  হলুদের গুঁড়ো পরিমাণমতো।

প্রণালী : বেগুনের মুখ কেটে ভেতরের  অংশ বের করে নিন। চিংড়ি  মাছ সেদ্ধ করে চটকে নিন। কড়াইতে তেল দিয়ে এতে মাছ ও সব মসলা দিয়ে পুর তৈরি করে  নিন। বেগুনের গায়ে সামান্য লবণ ও হলুদ মাখিয়ে বেগুনের মধ্যে পুর ভরে অল্প আঁচে ভেজে  তুলুন। এরপর গরম ভাত বা পরটার সঙ্গে পরিবেশন করুন।

No comments:

Post a Comment