Thursday, September 10, 2015

শসা

পুষ্টি তথ্য
(ইউএসডিএ জাতীয় পদার্থ তথ্য বেস)
রদ পুঁজি পৌষ্টিক মান শতকরা
শক্তি 15 Kcal <1%
শর্করা 3.63 গ্রাম 3%
প্রোটিন 0.65 গ্রাম 1%
মোট ফ্যাট 0.11 গ্রাম 0.5%
কলেস্টেরল 0 মিলিগ্রাম 0%
ফাইবার 0.5 গ্রাম 1%

ভিটামিন
μg 2% folates
Niacin 0,098 মিলিগ্রাম <1%
প্যানটোথেনিক অ্যাসিড 0,259 মিলিগ্রাম 5%
পাইরিডক্সিন 0,040 মিলিগ্রাম 3%
Riboflavin 0,033 মিলিগ্রাম 3%
থিয়ামিন 0,027 মিলিগ্রাম 2%
ভিটামিন এ 105 IU 3.5%
ভিটামিন সি 2.8 মিলিগ্রাম 4.5%
ভিটামিন ই 0.03 মিলিগ্রাম 0%
ভিটামিন কে 16.4μg 13.6%

ইলেক্ট্রোলাইট
সোডিয়াম 2 মিলিগ্রাম 0%
পটাসিয়াম 147 মিলিগ্রাম 3%
খনিজ পদার্থ
ক্যালসিয়াম 16 মিলিগ্রাম 1.6%
আয়রন 0.28 মিলিগ্রাম 3.5%
ম্যাগনেসিয়াম 13 মিলিগ্রাম 3%
0.079 মিলিগ্রাম 3.5% ম্যাঙ্গানিজ
ফসফরাস 24 মিলিগ্রাম 3%
দস্তা 0.20 মিলিগ্রাম 2%

Phyto-পুষ্টি
উদ্ভিদে বিদ্যমান পিঙ্গল পদার্থ-SS 45 μg -
ক্রিপ্টো-xanthin-SS 26 μg -
Lutein-zeaxanthin 23 μ


শসার গুনাগুন১৪ কারণে শসা খাবেন
শসার হাজার গুণের মধ্যে ১৪টি গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরেছেন খাদ্য বিশেষজ্ঞরা। আসুনএকবার নজর বোলাই:
দেহের পানিশূন্যতা দূর করে
ধরুন আপনি এমন কোথাও আছেনযেখানে হাতের কাছে পানি নেইকিন্তু শসা আছে। বড়সড় একটা শসা চিবিয়ে খেয়ে নিন। পিপাসা মিটে যাবে। আপনি হয়ে উঠবেন চনমনে।কারণশসার ৯০ শতাংশই পানি।
দেহের ভেতর-বাইরের তাপ শোষক
কখনো কখনো আপনি শরীরের ভেতর-বাইরে প্রচণ্ড উত্তাপ অনুভব করেন। দেহে জ্বালাপোড়া শুরু হয়। এ অবস্থায় একটি শসা খেয়ে নিন।এ ছাড়া সূর্যের তাপে ত্বকে জ্বালা অনুভব করলে শসা কেটে ত্বকে ঘষে নিন। নিশ্চিত ফল পাবেন।

বিষাক্ততা দূর করে
শসার মধ্যে যে পানি থাকে তা আমাদের দেহের বর্জ্য ও বিষাক্ত পদার্থ অপসারণে অনেকটা অদৃশ্য ঝাটার মতো কাজ করে। নিয়মিত শসা খাওয়ায় কিডনিতে সৃষ্ট পাথরও গলে যায়।
প্রাত্যহিক ভিটামিনের শূন্যতা পূরণ করে
প্রতিদিন আমাদের দেহে যেসব ভিটামিনের দরকার হয়তার বেশির ভাগই শসার মধ্যে বিদ্যমান। ভিটামিন এবি ও সি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও শক্তি বাড়ায়। সবুজ শাক ও গাজরের সঙ্গে শসা পিষে রস করে খেলে এই তিন ধরনের ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ হবে।
ত্বকবান্ধব খনিজের সরবরাহকারী
শসায় উচ্চমাত্রায় পটাশিয়ামম্যাগনেশিয়াম ও সিলিকন আছেযা ত্বকের পরিচর্যায় বিশেষ ভূমিকা রাখে। এ জন্য ত্বকের পরিচর্যায় গোসলের সময় শসা ব্যবহার করা হয়।

হজম ও ওজনহ্রাসে সহায়ক
শসায় উচ্চমাত্রায় পানি ও নিম্নমাত্রার ক্যালরিযুক্ত উপাদান রয়েছে। ফলে যাঁরা দেহের ওজন কমাতে চানতাঁদের জন্য শসা আদর্শ টনিক হিসেবে কাজ করবে। যাঁরা ওজন কমাতে চানতাঁরা স্যুপ ও সালাদে বেশি বেশি শসা ব্যবহার করবেন। কাঁচা শসা চিবিয়ে খেলে তা হজমে বড় ধরনের ভূমিকা রাখে। নিয়মিত শসা খেলে দীর্ঘমেয়াদি কোষ্ঠ-কাঠিন্য দূর হয়।
চোখের জ্যোতি বাড়ায়
সৌন্দর্যচর্চার অংশ হিসেবে অনেকে শসা গোল করে কেটে চোখের পাতায় বসিয়ে রাখেন।এতে চোখের পাতায় জমে থাকা ময়লা যেমন অপসারিত হয়তেমনি চোখের জ্যোতি বাড়াতেও কাজ করে।চোখের প্রদাহপ্রতিরোধক উপাদান প্রচুর পরিমাণে থাকায় ছানি পড়া ঠেকাতেও এটি কাজ করে।
ক্যানসার প্রতিরোধে কাজ করে
শসায় সিকোইসোলারিসিরেসিনোলল্যারিসিরেসিনোল ও পিনোরেসিনোল
এ তিনটি আয়ুর্বেদিক উপাদান আছে। জরায়ুস্তন ও মূত্রগ্রন্থিসহ বিভিন্ন স্থানে ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি কমানোর সঙ্গে এই তিন উপাদানের জোরালো সম্পর্ক রয়েছে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে
ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি দেয়কোলস্টেরল কমায় ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
মুখ পরিষ্কার রাখে
দুর্গন্ধযুক্ত সংক্রমণে আক্রান্ত মাড়ির চিকিৎসায় শসা দারুণ কাজ করে। গোল করে কাটা এক স্লাইস শসা জিহ্বার ওপরে রেখে সেটি টাকরার সঙ্গে চাপ দিয়ে আধা মিনিট রাখুন
শসার সাইটোকেমিক্যাল এর মধ্যে বিশেষ বিক্রিয়া ঘটিয়ে আপনার মুখের জীবাণু ধ্বংস করবে। সজীব হয়ে উঠবে আপনার নিঃশ্বাস।
চুল ও নখ সতেজ করে
শসার মধ্যে যে খনিজ সিলিকা থাকে তা আমাদের চুল ও নখকে সতেজ ও শক্তিশালী করে তোলে। এ ছাড়া শসার সালফার ও সিলিকা চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
গেঁটেবাত থেকে মুক্তি
শসায় প্রচুর পরিমাণে সিলিকা আছে। গাজরের রসের সঙ্গে শসার রস মিশিয়ে খেলে দেহের ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নেমে আসে। এতে গেঁটেবাতের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
মাথাধরা থেকে নিষ্কৃতি
ভোরে ঘুম থেকে ওঠার পর অনেকের মাথা ধরে। শরীর ম্যাজম্যাজ করে। শসায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি ও সুগার আছে। তাই ঘুমাতে যাওয়ার আগে কয়েক স্লাইস শসা খেয়ে নিলে ভোরে ঘুম থেকে ওঠার পর এ সমস্যা থাকবে না।
কিডনি সুস্থ রাখে
শরীরের ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা ঠিক রাখে শসা। এতে কিডনি থাকে সুস্থ ও সতেজ।
১. প্রতিদিন আমাদের শরীরে যেসব ভিটামিনের প্রয়োজনতার বেশির ভাগই শসার মধ্যে বিদ্যমান। ভিটামিন এবি ও সি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও শক্তি বাড়ায়। সবুজ শাক ও গাজরের সঙ্গে শসা পিষে রস করে খেলে এই তিন ধরনের ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ হবে।
২. আপনি এমন কোথাও আছেনযেখানে হাতের কাছে পানি নেই কিন্তু শসা আছে। বড়োসড়ো একটি শসা চিবিয়ে খেয়ে নিন। পিপাসা মিটে যাবে।আপনি হয়ে ওঠবেন চনমনে। কারণশসার ৯০ শতাংশই পানি।
৩. কখনও কখনও আপনি শরীরের ভেতরে-বাইরে প্রচণ্ড উত্তাপ অনুভব করেন। দেহে জ্বালাপোড়া শুরু হয়। এ অবস্থায় একটি শসা খেয়ে নিনআরাম পাবেন।
৪. সূর্যের তাপে ত্বকে জ্বালা অনুভব করলে শসা কেটে ত্বকে ঘঁষে নিন। নিশ্চিত ফল পাবেন।
৫. শসার মধ্যে যে পানি থাকে তা আমাদের দেহের বর্জ্য ও বিষাক্ত পদার্থ অপসারণে অনেকটা অদৃশ্য ঝাড়র মতো কাজ করে। নিয়মিত শসা খেলে কিডনিতে সৃষ্ট পাথরও গলে যায়।
৬. শসায় উচ্চমাত্রায় পটাশিয়াম ম্যাগনেশিয়াম ও সিলিকন আছে যা ত্বকের পরিচর্যায় বিশেষ ভূমিকা রাখে। এজন্য ত্বকের পরিচর্যায় গোসলের সময় অনেকে শসা ব্যবহার করে থাকেন।
৭. শসায় উচ্চমাত্রায় পানি ও নিুমাত্রার ক্যালরিযুক্ত উপাদান রয়েছেফলে যারা দেহের ওজন কমাতে চানতাদের জন্য শসা আদর্শ টনিক হিসেবে কাজ করবে। যারা ওজন কমাতে চানতারা স্যুপ ও স্যালাডে বেশি বেশি শসা ব্যবহার করবেন। কাঁচা শসা চিবিয়ে খেলে তা হজমে বড় ধরনের ভূমিকা রাখে। নিয়মিত শসা খেলে দীর্ঘমেয়াদি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
৮. সৌন্দর্য চর্চার অংশ হিসেবে অনেকে শসা গোল করে কেটে চোখের পাতায় বসিয়ে রাখেন। এতে চোখের পাতায় জমে থাকা ময়লা যেমন অপসারিত হয়তেমনি চোখের জ্যোতি বাড়াতেও কাজ করে।
৯. চোখের প্রদাহ প্রতিরোধক উপাদান প্রচুর পরিমাণে থাকায় ছানি পড়াজরায়ুস্তন ও মূত্রগ্রন্থিসহ বিভিন্ন স্থানে ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি কমাতে শসা কাজ করে।
১০.শসায় সিকোইসোলারিসিরেসিনোলল্যারিসিরোসিনোল ও পিনোরেসিনোল-এ তিনটি আয়ুর্বেদ উপাদান আছে বলে বিজ্ঞানীদের অভিমত।
১১. ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি দেয়কোলেস্টেরল কমায়রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখে।
১২. দুর্গন্ধযুক্ত সংক্রমণ আক্রান্ত মাড়ির চিকিৎসায় শসা দারুণ কাজ করে। গোল করে কাটা এক স্লাইস শসা জিহ্বার ওপরে রেখে সেটি টাকরার সঙ্গে চাপ দিয়ে আধ মিনিট রাখুন। শনার সাইটোকেমিক্যাল এর মধ্যে বিশেষ বিক্রিয়া ঘটিয়ে আপনার মুখের জীবাণু ধ্বংস করবে। সজীব হয়ে উঠবে আপনার নিঃশ্বাস।
১৩. শসার মধ্যে যে খনিজ সিলিকা থাকে তা আমাদের চুল ও নখকে সতেজ ও শক্তিশালী করে তোলে। এছাড়া শসার সালফার ও সিলিকা চুলের বৃদ্ধিতেও সহায়তা করে।
১৪. শসায় প্রচুর পরিমাণে সিলিকা আছে। গাজরের রসের সঙ্গে শসার রস মিশিয়ে খেলে দেহের ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নেমে আসে। এতে গেঁটেবাতের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
১৫. ভোরে ঘুম থেকে ওঠার পর অনেকের মাথা ধরে। শরীর ম্যাজ ম্যাজ করে। শসায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি ও সুগার আছে। তাই ঘুমাতে যাওয়ার আগে কয়েক টুকরো শসা খেয়ে নিলে ভোরে ঘুম থেকে উঠার পর এ সমস্যা থাকবে না।
১৬. শরীরকে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা ঠিক রাখে শসা। এতে কিডনি থাকে সুস্থ ও সতেজ।
তাই আমাদের উচিত প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় শসাকে গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা।
শসার উপকারী দিক নিয়ে আরও কয়েকটি তথ্য। 
*শসা শরীরের ফাইবার ও ওয়াটার ইনটেক বাড়াতে সাহায্য করে। 
*গরমের দিনে শসার রসের সঙ্গে সেলোরির জুস মিসিয়ে খেতে পারেন। এতে বডি টেম্পারেচার নরমাল রাখতে সাহায্য করে. 
*কিডনিইউরিনারি ব্লাডারলিভার ও পানক্রিয়াসের সমস্যায় ডায়েটে শসা খুবই উপকারী। 
*শসা বা শসার রস ডায়াবেটিক রোগীর জন্যও উপকারী। 
*শসার রস আর্থ্রাইটিসএগজিমাহার্টফসফুসের সমস্যায় ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ডায়েটে রাখতে পারেন। 
*গাজরের রসের সঙ্গে শসার রস মিশিয়ে খেতে পারেন। ইউরিক এসিড থেকে ব্যথার সমস্যা হলে অনেক কাজে উপকারীতা পাওয়া যাবে। 
*শসা খুবই ভালো কাজ করে ত্বকের জন্য। শসার স্লাইস ত্বক পরিস্কার রাখতে সাহায্য করে। আর শসার জুস ত্বকের ক্লান্তি কাটাতে কার্যকর। 
*মিনারেলসমৃদ্ধ শসা নখ ভালো রাখতেদাত ও মাড়ির সমস্যায় সাহায্য করে। এটি খুবই উপকারী চুলের জন্যশসার অরেকটি বড় উপকারী গুন হলো শসা নিয়মিত খেলে শরীরের চর্বীও ধীরে ধীরে কমে য়ায়। 
স্বাস্থ্য তথ্য
শসার মাল্টি ভিটামিনস ও মাল্টি মিনারেলস প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে কাজ করে এবং ভিটামিন ও মিনারেলসের অভাবজনিত সমস্যা থেকে রক্ষা করে।
শসার পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
*এর ম্যাগনেসিয়াম রক্ত চলাচল সচল করে।
শসার আঁশ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ এবং কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময় করে।
এর ফাইটোনিউট্রিয়েন্টসলিগনান্স হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমানোসহ জরায়ু ও প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
ঔষধি গুণ
শসায় প্রচুর পানি থাকে তাইশরীরের তাপমাত্রা কমিয়ে মনকে প্রশান্ত করে তোলে।
এটি মূত্রবর্ধক হিসেবে কাজ করে। শরীরের জমানো ক্ষতিকর ও বিষাক্ত উপাদানগুলো অপসারণ করে রক্তকে পরিষ্কার রাখে।
শসা বুক জ্বলাপাকস্থলীর এসিডিটি এমনকি গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তি দিতে পারে।
প্রতিদিন শসার জুস খেলে অ্যাকজিমা এবং গাউটে উপকার পাওয়া যায়। এটি ডায়াবেটিসও কিছুটা উপশম করে।
বাত-ব্যথা প্রশমনের জন্য শসা ও গাজর একসঙ্গে জুস বানিয়ে খেলে উপকার পাবেন।
শসার জুস কিডনি এবং গলব্লাডারের পাথর অপসারণে সহায়তা করে।
শসা হাত ও পায়ের নখ ভাঙা প্রতিরোধ করে।
পাইরিয়ার কারণে দাঁত ও মাড়ির রোগে শসা উপকারী।

No comments:

Post a Comment