Friday, October 16, 2015

কই মাছ
কৈ মাছে অধিক পরিমাণে ভিটামিন এখনিজ পদার্থযেমন- আয়রণ ও কপার রয়েছে। যা রক্তে হিমোগ্লোবিন তৈরিতে অত্যাবশ্যক। এ ছাড়াও সহজে পঁচনযোগ্য চর্বি এবং অনেক এ্যামাইনো এসিড বিদ্যমান। প্রতি ১০০ গ্রাম ভক্ষণযোগ্য কৈ মাছে প্রোটিন- ১৪.৮০ গ্রামস্নেহ-৮.৮০গ্রামআয়রণ-১.৩৫ গ্রামক্যালসিয়াম- ০.৪২ গ্রামফসফরাস - ০.৩৯ গ্রাম এবং ভিটামিন রয়েছে- ৩২.০০ গ্রাম।
প্রতি ১০০ গ্রামে
ভিটামিন
ভিটামিন A18.0IU0%
ভিটামিন C1.0mg2%
ভিটামিন ডি ~ ~
ভিটামিন ই (আলফা Tocopherol) 0.1 mg 1%
ভিটামিন K  0.1 mcg 0%
Thiamin   0.0 mg   3%
Riboflavin 0.1 mg 4%
Niacin     0.9 mg  5%
ভিটামিন B6 0.1 mg 4%
Folate       3.0 mcg 1%
ভিটামিন B12 1.1 mcg 19%
প্যানটোথেনিক Acid 0.4 mg 4%
Choline   39.0 mg
betaine ~
খনিজ পদার্থ
Calcium48.0mg5%
Iron0.5mg3%
Magnesium  18.0 mg 5%
Phosphorus 120 mg  12%
Potassium   161 mg   5%
Sodium       37.2 mg  2%
Zinc           0.7 mg    4%
Copper     0.1 mg    5%
Manganese 0.4 mg 21%
Selenium   7.6 mcg 11%
ফ্লোরাইড ~
দেশী কৈ ও থাই কৈ মাছের শারিরীক বৈশিষ্ট্যগত পার্থক্য
দেশী কৈ                                                                       থাই কৈ
তুলনামূলকভাবে ছোটকম মাংসল ও লম্বাটে ধরনের               তুলনামূলকভাবে বড় মাংসল ও চওড়া ধরনের
ছোট অবস্থায় কালচে ধরনের। পরিপক্ষ অবস্থায় পিঠের                দেহ বর্ণ দেশী কৈ মাছের তুলনায় হালকা ফ্যাকাশে ধরনের। দেহের উপরিভাগে
দিকে বাদামী সবুজ এবং পেটের দিকে হালকা হলুদ রঙের হয়।        ছোট ছোট কালো দাগ থাকে এবং পাখনাগুলো হালকা হলুদ রঙের হয়।                                      
কানকোর পিছনে কালো দাগ থাকে কিন্তু পুচ্ছ পাখনায় গোড়ায      কানকোর পিছনে ও পুচ্ছ পাখনার গোড়ায় কালো দাগ থাকে।
কালো দাগ থাকে না
মুখ প্রান্তিক ও “V’’ আকৃতির                                              মুখ বড় প্রশস্ত ও “U’’ আকৃতির
কানকোর কাঁটা খুব শক্তঅনিয়মিত এবং ধারালো                    কানকোর কাঁটা তুলনামূলকভাবে নরমনিয়মিত এবং সুস্থভাবে খাঁজকাঁটা
অংকীয় দিকে আইসের সজ্জা “U’’ আকৃতির                          অংকীয় দিকে আইসের সজ্জা “V’’ আকৃতির
কৈ মাছ ভাজি
উপকরণ :
কৈ মাছ পরিষ্কার করে ধোয়া ৮টিরসুন বাটা আধা চা-চামচধনেপাতা গুঁড়া ১ চা-চামচকাঁচামরিচ/শুকনা মরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচহলুদ গুঁড়া সামান্যলেবুর রস ১ টেবিল চামচলবণ স্বাদমততেল পরিমাণমত (ভাজার জন্য)।
প্রস্তুত প্রণালী :
কড়াইতে তেল দিয়ে গরম হলে একে একে কৈ মাছ ছেড়ে বাদামি বর্ণের করে ভেজে মচমচে কৈ মাছ ভাজা পরিবেশন করুন।
কই-পালং পোস্ত
উপকরণ : 
কই মাছ ৬টিপালংশাক ২৫০ গ্রামপোস্ত বাটা ২ টেবিল-চামচআদা ও রসুন বাটা আধা চা-চামচ করেটমেটো চটকানো ১ টেবিল-চামচপেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল-চামচহলুদমরিচ ও ধনের গুঁড়া আধা চা-চামচ করেকাঁচা মরিচের ফালি ৪-৫টিসয়াবিন তেল আধা কাপপানি পরিমাণমতো ও লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি : 
লবণ ও হলুদ দিয়ে মাছ ভেজে রাখুন। ওই ভাজা তেলে সব মসলা টমেটো চটকানো দিয়ে কষান। তারপর পালংশাক দিয়ে ২ মিনিট জ্বাল দিন। এতে ভাজা মাছ দিয়ে আরেকটু কষিয়ে ঝোল দিন। ঝোল টেনে তেল ওপরে উঠে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ছড়িয়ে নামান। 
কই মাছের পাতুরি
উপকরণ: 
কই মাছ ৪টি২টি কাঁচা মরিচসহ সরষে বাটা ১ টেবিল-চামচনারকেল বাটা ১ টেবিল-চামচরসুন বাটা ১ চা-চামচপেঁয়াজ ১ টেবিল-চামচমরিচ গুঁড়া সামান্যহলুদ গুঁড়া আধা চা-চামচজিরা বাটা আধা চা-চামচকাঁচা মরিচ ৪টিলাউপাতা বড় ৪টিলবণ স্বাদমতোসরষের তেল প্রয়োজনমতোসুতা পরিমাণমতো।
প্রণালি: 
প্রথমে কই মাছ কেটে ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। লাউপাতা ও সুতা ছাড়া তেলসহ সব মসলা একসঙ্গে মাখিয়ে কই মাছ ১৫ মিনিট ম্যারিনেট করে রাখতে হবে। ৪টি বড় লাউপাতায় একটি করে মাছ ও একটি করে কাঁচা মরিচ দিয়ে ভালো করে মুড়িয়ে সুতা দিয়ে পেঁচিয়ে বেঁধে নিতে হবে। প্রতিটি মাছ বাঁধা হলে সসপ্যানে মাছের সমান করে পানি দিয়ে সেদ্ধ করতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে পাঁচ মিনিট পর তা নামিয়ে সুতা খুলে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করা যায় মজাদার 
কই মাছের কমলার ঝোল
উপকরণ: 
কই মাছ ছয়টিঅর্ধেক কমলার রসপেঁয়াজবাটা দুই টেবিল-চামচরসুন ও আদাবাটা আধা চা-চামচহলুদধনেমরিচ ও জিরা গুঁড়া আধা চা-চামচ করেটমেটো পিউরি দুই টেবিল-চামচতেজপাতা দুটিগরম মসলার গুঁড়া এক টেবিল-চামচকাঁচামরিচ কুচিলবণ ও পানি পরিমাণমতোতেল তিন টেবিল-চামচ।
প্রণালি: 
হলুদ ও লবণ দিয়ে মাছ ভেজে রাখতে হবে। এবার ওই তেলেই তেজপাতা ফোড়ন দিয়ে সব বাটা ও গুঁড়া মসলা অল্প পানি ও কমলার রস দিয়ে কষাতে হবে। লবণটমেটো ও মাছ দিয়ে আরও একটু কষাতে হবে। এবার পরিমাণমতো পানি দিয়ে পাঁচ-ছয় মিনিট রান্না করতে হবে। এবার ওপরে কাঁচামরিচকমলার রস দিয়ে দুই মিনিট রেখে জিরা ও গরম মসলার গুঁড়া ছড়িয়ে নামাতে হবে কই-কমলার ঝোল।
কই মাছের গঙ্গা যমুনা
এটি একটি মোগলাই খাবার। এই মাছের নামকরণ করা হয়েছে দুটি নদীর নামেগঙ্গা আর যমুনা। কারণএই মাছ তৈরি করতে লাগবে দুই রকমের সস বা গ্রেভি। একটি সস সরষে দিয়ে আর অন্যটি হবে তেঁতুল দিয়ে। ওপরের অংশটি হবে হলদে আর নিচের অংশটি হবে কালচে।
উপকরণ : 
৪টি কই মাছএক কাপের তিন ভাগের এক ভাগ তেল (মাছ ভাজার জন্য)।
গঙ্গা সস
২ টেবিল চামচ হলুদ সরষেদানা বাটা৫-৬টি কাঁচা মরিচ চিরে নেওয়া১ চা-চামচ লাল মরিচের গুঁড়া১ চা-চামচ হলুদগুঁড়া২ টেবিল চামচ পেঁয়াজবাটা১ চা-চামচ রসুনবাটালবণ স্বাদমতো১ চা-চামচ পাঁচফোড়নএক কাপের তিন ভাগের এক ভাগ সরষের তেল।
যমুনা সস
১ চা-চামচ হলুদ সরষেদানা২ চা-চামচ তেঁতুলরস (তেঁতুল অল্প পানি দিয়ে ঘন করে গুলে নেবেন)আধা চা-চামচ লাল মরিচের গুঁড়া১ চা-চামচ চিনিলবণ স্বাদমতোএক কাপের তিন ভাগের এক ভাগ সরষের তেল।
প্রণালি :
মাছগুলো ভালো করে ধুয়ে অল্প হলুদ এবং লবণ দিয়ে মেখে গরম তেলে ভেজে নিন। এক পাশে তুলে রাখুন।
এবার গঙ্গা সস বানানোর তেল গরম করে নিন। তাতে পাঁচফোড়ন দিয়ে দিন। পাঁচফোড়ন যখন ফুটতে থাকবে তখন তার মধ্যে একে একে পেঁয়াজবাটারসুনবাটা দিয়ে ভালো করে কষে নিন। এবার সরষেবাটাহলুদের গুঁড়ামরিচের গুঁড়ালবণকাঁচা মরিচ এবং এক কাপের তিন ভাগের এক ভাগ পানি দিয়ে দিন। পানি ফুটে এলে তার মধ্যে মাছগুলো ছেড়ে দিন। ঝোলটা ঘন হয়ে এলে চুলা বন্ধ করে দিন।
এবার অন্য একটি কড়াইয়ে যমুনা সসের তেল গরম করে নিন। এতে সরষেদানাগুলো ছেড়ে দিন। ফুটে উঠলে একে একে তেঁতুলের রসমরিচের গুঁড়ালবণ এবং চিনি দিয়ে একটু নেড়ে এক কাপের তিন ভাগের এক ভাগ পানি দিয়ে দিন। পানি ফুটে ঘন হয়ে তেল ওপরে এলে পরিবেশন করার প্লেটে যমুনা সস ঢেলে দিন। এবার খুব সাবধানে গঙ্গার মাছগুলো হলুদ গ্রেভিসহ তুলে যমুনার গ্রেভির ওপর দিয়ে দিন। এমনভাবে সাজাতে হবে যেন হলুদ অংশটি ওপরে থাকে এবং তেঁতুলের অংশটি নিচে থাকে। ব্যসহয়ে গেল কই মাছের গঙ্গা যমুনা। 
শর্ষে  কৈ
উপকরণ : 
কৈ মাছ (বড়) ৬টিসরিষার তেল আধা কাপপেঁয়াজ বাটা আড়াই টেবিল চামচরসুন বাটা ১ চা চামচসরিষা বাটা আধা চা চামচজিরা বাটা আধা চা চামচহলুদ বাটা আধা চা চামচমরিচ গুঁড়া আধা চা চামচপেঁয়াজ কিউব আধা কাপলবণ পরিমাণ মতোকাঁচামরিচ ফালি ৫-৬টি।
প্রস্তুত প্রণালি : 
মাছ ভালো মতো ধুয়ে হালকা করে কেটে নিনসব মসলা মাছের সঙ্গে মাখিয়ে পাত্রে বিছিয়ে চুলায় বসানকিছুক্ষণ জ্বাল দিয়ে কষানো হয়ে গেলে মাছগুলো সাবধানে উল্টিয়ে নিনমসলার তেল ওপরে এলে ঝোল মাখামাখা হলে নামিয়ে ফেলুনগরম গরম পরিবেশন করুন।
কই মাছের এপিঠ-ওপিঠ
উপকরণ : 
কই মাছ ৪টিসরিষা বাটা ১ চা চামচজিরা বাটা আধা চা চামচকাঁচামরিচ বাটা ২টিমরিচ গুঁড়ো সামান্যহলুদ গুঁড়ো আধা চা চামচরসুন বাটা আধা চা চামচপেঁয়াজ বাটা ১ টেবিল চামচতেঁতুরের ঘন রস ১ টেবিল চামচচিনি ১ চা চামচসরিষার তেল প্রয়োজনমতোলবণ স্বাদমতোপানি সামান্য।
প্রণালী : 
কই মাছ কেটে পরিষ্কার করে ধুয়ে হলুদলবণ ও রসুন বাটা মেখে ১০ মিনিট মেরিনেট করে রাখুন। ফ্রাই প্যানে তেল দিয়ে তাতে কই মাছগুলো লাল করে ভেজে তুলুন। ফ্রাই প্যানে ১ চা চামচ তেল দিয়ে তাতে সরিষা বাটাকাঁচামরিচ বাটাসামান্য হলুদ গু৭ড়ো ও লবণ দিয়ে কষে নিন। অল্প পানি দিন। পানি ফুটে গেলে ভাজা কই মাছগুলো দিয়ে ঢেকে দিন। কোনো অবস্থায় মাছ উল্টে দেবেন না। এক পিঠ ভাজা ভাজা হলে প্লেটে নামিয়ে রাখুন। আবার ফ্রাই প্যানে ১ চামচ তেল দিনতাতে পেঁয়াজ বাটামরিচ গুঁড়োহলুদ গুঁড়োলবণ ও সামান্য পানি দিয়ে কষান। কষা হলে তেঁতুলের রস ও চিনি দিন। এবার মাছগুলোর উল্টো পিঠে তেঁতুলের রস দিয়ে ঢেকে দিন। মাছ মাখা মাখা হলে নামিয়ে ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন মজাদার কই মাছের এপিঠ-ওপিঠ। 
ভাপে কই মাছ
উপকরণ ও পরিমাণ: 
কই মাছ ছয় টুকরাসরিষা বাটা দুই টেবিল চামচহলুদ গুঁড়া আধা চা চামচসরিষার তেল সিকি কাপপেঁয়াজ বেরেস্তা এক কাপকাঁচা মরিচ ফালি ছয়-সাতটিমরিচ গুঁড়া আধা চা চামচলবণ এক চা চামচ।
প্রণালী: 
ওপরের সব উপকরণ একসঙ্গে মাখাতে হবে। এবার একটি সসপ্যানে মাছগুলো ঢাকনা দিয়ে পুডিংয়ের মতো ডবল বয়লারে রান্না করতে হবে ২৫ মিনিট। নামিয়ে পাঁচ মিনিট পর ঢাকনা খুলে ভাতের সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করতে হবে। এই রান্না প্রেসার কুকারেও করা যায়।
কৈ মাছের দোপেঁয়াজা
যা লাগবে : 
কৈ মাছ ৪টাপেঁয়াজ কুচি ১ কাপ,
পেঁয়াজ বাটা ১ টেবিল চামচআদা ও রসুন বাটা আধা চা চামচ করেজিরা বাটাহলুদধনে গুঁড়ামরিচ গুঁড়া আদা চা চামচ করে। কাঁচামরিচ ফালি ৪টাটমোটো কুচি আধা কাপতেল আধা কাপলবণ ও পানি পরিমাণ মতো।
যেভাবে করবেন : 
কড়াইতে তেল গরম হলে পেঁয়াজ কুচি ভেজে তাতে সব মশলা দিয়ে দিন। একটু নেড়ে সামান্য পানি দিয়ে মশলা কষান। এবার ধুয়ে রাখা মাছ ও টমেটো কুচি দিয়ে দিন। একটু কষিয়ে ১ কাপ পানি দিয়ে রান্না করুন। পানি শুকিয়ে তেল উপরে উঠে এলে কাঁচামরিচ দিয়ে নামিয়ে নিন।
কই-পালংয়ের ঝাল ঝোল
উপকরণ: 
কই মাছ ৬টিপালংশাক ২৫০ গ্রামতেল ছোট কাপের ১ কাপটমেটো কুচি ১টিপেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল চামচরসুন বাটা ১ চা চামচকাটা পেঁয়াজ ১ কাপরসুন কুচি ১ চা চামচহলুদমরিচ ও ধনেগুঁড়া ১ চা চামচ করেপানিলবণ ও কাঁচামরিচ পরিমাণমতো।
প্রণালি: 
লবণ ও হলুদ দিয়ে মাছ একটু হালকা আঁচে আধা ভাজা করে রাখতে হবে। এবার ওই তেলেই রসুন ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে টমেটোবাটা মসলা ও গুঁড়া মসলা সামান্য পানি দিয়ে রান্না করতে হবে। মসলা কষানো হলে এতে শাক দিতে হবে। একটু পরে ভাজা মাছ ও আরও একটু লবণ দিয়ে ৫-৬ মিনিট রেখে পরিমাণমতো ঝোল দিতে হবে। রান্না হয়ে এলে কাঁচামরিচ দিয়ে কিছুক্ষণ দমে রেখে নামাতে হবে।
আস্ত রসুনে কই মাছের দোপেঁয়াজা
উপকরণ:
কই মাছ ৫টিআস্ত রসুনের কোয়া ২০-২২টিরসুন বাটা ১ চা-চামচপেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল-চামচহলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচমরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচজিরা বাটা আধা চা-চামচধনেপাতা কুচি ১ টেবিল-চামচ,
কাঁচামরিচ (ফালি) ৩-৪টিলবণ স্বাদমতোতেল প্রয়োজনমতোপানি অল্প।
প্রণালি:
মাছ কেটে ধুয়ে তাতে লবণহলুদ গুঁড়ামরিচ গুঁড়া ও রসুন বাটা মেখে তেল দিয়ে লাল করে এপিঠ-ওপিঠ ভাজুন এবং তুলে রাখুন। কড়াইয়ে পরিমাণমতো তেল দিয়ে তাতে পেঁয়াজ বাটামরিচ গুঁড়াহলুদ গুঁড়াজিরা বাটালবণ ও সামান্য পানি দিয়ে কষিয়ে নিন। কষানো হলে ১ কাপ পানি দিন। আস্ত রসুনগুলো দিন। পানি ফুটে উঠলে ভাজা কই মাছগুলো দিন। ঝোল ঘন হয়ে এলে ধনেপাতা ও কাঁচামরিচ দিয়ে নামিয়ে নিন।
মজাদার কই ভুনা
উপকরণঃ
কই মাছ ৮টিপেঁয়াজ কিমা ২ টে. চামচরসুন কিমা ১ টে. চামচআদা কিমা আধা চা চামচহলুদ গুঁড়ো আধা চা. চামচমরিচ গুঁড়ো ১ চা. চামচপেঁয়াজ ভাঁজে খোলা আধা কাপটমেটো টুকরা করে কাটা আধা কাপক্যাপসিকাম টুকরা সিকি কাপলবণ পরিমাণমতোচিনি ১. চা চামচলেবুর রস জুস ১ টেবিল চামচকাঁচা মরিচ ৫-৬টিপেঁয়াজ পাতা ১ আঁটিগুঁড়ো দুধ ১ টেবিল চামচটক দই আধা কাপ।
প্রণালীঃ
 ১. মাছ পরিষ্কার করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে হলুদ গুঁড়োমরিচ গুঁড়োআধা চা চামচ রসুন কিমালেবুর রসলবণ ও ১ টেবিল চামচ তেল দিয়ে মেখে ২০ মিনিট রাখতে হবে।
২. ফ্রাইপ্যানে তেল গরম করে মাছ ভেজে নিতে হবে। ৩. কড়াইয়ে ৫ টে. চামচ তেল গরম করে আধা চা চামচ রসুন কিমাপেঁয়াজ ও আদা দিয়ে কিছুক্ষণ ভুনে মরিচ গুঁড়োভাঁজে খোলা পেঁয়াজ ও টমেটো দিয়ে আরও কিছুক্ষণ ভুনে ১ কাপ পানি দিতে হবে। লবণ ও দই দিতে হবে। ফুটে উঠলে মাছ দিতে হবে। ক্যাপসিকাম ও কাঁচা মরিচ দিতে হবে। সিকি কাপ পানিতে দুধ ও চিনি গুলিয়ে দিতে হবে। লেবুর রস ও পেঁয়াজ পাতা দিয়ে নামাতে হবে।
তৈল কই
উপকরণ:
কই মাছ ৪টিসরিষার তেল ৫-৬ চা-চামচ পেঁয়াজবাটা ১ টেবিল চামচরসুন ও কাঁচা মরিচ (টেলে বেটে নেওয়া) ১ চা-চামচজিরাবাটা আধা চা-চামচহলুদগুঁড়া ১ চা-চামচমরিচগুঁড়া ১ চা-চামচলবণ স্বাদমতোধনেপাতা কুচি ১ টেবিল চামচলেবুর রস ১ টেবিল চামচকাঁচা মরিচ ফালি ২-৩টি।
প্রণালি:
প্রথমে মাছ কেটে ভালো করে পানি ঝরাতে হবে। তারপর লেবুর রসলবণসামান্য হলুদ ও মরিচগুঁড়া এবং ১ টেবিল চামচ সরিষার তেল দিয়ে মাখিয়ে ১০ মিনিট মেরিনেট করে রাখতে হবে। ফ্রাইপ্যানে তেল দিয়ে তাতে কই মাছগুলো ভেজে নিন। এবার বাকি তেল ও মসলা দিয়ে ভুনে ১ কাপ পানি দিয়ে তাতে ভাজা মাছগুলো দিতে হবে। কিছুক্ষণ পর একবার মাছ উল্টে দিয়ে ধনে পাতা ও কাঁচা মরিচ ফালি দিতে হবে। তেল ওপরে উঠে এলে নামিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার তেল কই।
দুধ কই
উপকরণঃ
বড় কই মাছ  ৬/৭ টা
আদা বাটা  ১/২ চা চামচ
পেঁয়াজ বাটা  ১ টা
কাঁচা লঙ্কা বাটা  ৪ টে
হলুদ গুঁড়ো  ১/২ চা চামচ
জিরের গুঁড়ো  ১ চা চামচ
গরমমশলা গুঁড়ো  ১/২ চা চামচ
ফোঁড়ন দেবার জন্য পাঁচফোড়ন  ১/৪ চা চামচ
নারকেলের দুধ  ১ কাপ
নুনমিষ্টি  আন্দাজমত
প্রণালীঃ
মাছে নুনহলুদ মাখিয়ে সাঁতলে নিন।
এবারে তেলে পাঁচফোড়ন দিয়ে আদাকাঁচা লঙ্কাপেঁয়াজ বাটা কষে নিন।
হলুদজিরে গুঁড়ো জলে এলে কড়াইতে দিন।
মাছ দিন।
নুন আন্দাজমত দিন১/৪ চা চামচ চিনি দিন।
জল শুকিয়ে গেলে নারকেলের দুধ দিন।
ফুটে উঠলেই নামিয়ে গরমমশলার গুঁড়ো দিয়ে ঢাকা দিয়ে রাখুন। ঢাকা না দিলে কিন্তু গন্ধ পালিয়ে যাবে। 
আনারস দিয়ে কই মাছ
উপকরণঃ 
কই মাছ ৬টি
আনারসের রস ৪ টেবিল চামচ
সরিষা বাটা ১ চা চামচ
পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল চামচ
জিরা বাটা ১ চা চামচ
হলুদ অল্প
সরিষার তেল ২ টেবিল চামচ
কাঁচামরিচ বাটা আধা চা চামচ
লবণ স্বাদমতো।
প্রস্তুত প্রণালীঃ 
মাছ ধুয়ে লবণ-হলুদ মাখিয়ে নিন। কড়াইয়ে তেল গরম হলে মাছ হালকা করে ভেজে নিন। মাছ তুলে তেলে পেঁয়াজ বাটা দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে অন্য সব বাটা মসলা দিয়ে কষান। অল্প পানি দিয়ে মাছলবণ ও হলুদ দিন। মাছ রান্না হয়ে এলে আনারসের রস দিন। অল্প আঁচে কিছুক্ষণ রেখে নামিয়ে ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।
নারকেলের দুধে কই
উপকরণ :
বড় কই মাছ ৬টিনারকেলের দুধ দেড় কাপপেঁয়াজকুচি ১ কাপপেঁয়াজবাটা ২ টেবিল-চামচআদাবাটা ১ চা-চামচরসুনবাটা ১ চা-চামচজিরাবাটা ১ চা-চামচমরিচগুঁড়া ১ চা-চামচহলুদগুঁড়া ১ চা-চামচলবণ স্বাদমতোতেল ১ কাপটমেটো সস ২ টেবিল-চামচধনেপাতাকুচি ২ টেবিল-চামচ।
প্রণালি :
মাছ পরিষ্কার করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে হলুদলবণ মাখিয়ে গরম তেলে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলে পেঁয়াজ ঘিয়ে রং করে ভেজে সব বাটা ও গুঁড়া মসলা দিয়ে কষিয়ে নিতে হবে। এবার লবণটমেটো সস ও মাছ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে নারকেলের দুধ দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। ঝোল কমে তেলের ওপর এলে কাঁচা মরিচধনেপাতাকুচি দিয়ে নামাতে হবে।

No comments:

Post a Comment