Thursday, October 8, 2015

পটল

পটল (ইংরেজি: pointed gourd, parwal/parval হিন্দি থেকে) এক ধরণের সবজি। এটি ভারতের পশ্চিমাঞ্চলে বিশেষ করে উড়িষ্যা, পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, বিহার, উত্তর প্রদেশ এবং বাংলাদেশে ভাল জন্মে। এতে প্রচুর পরিমাণে শর্করা, ভিটামিন এ ও সি আছে। এছাড়া এতে স্বল্প পরিমাণে ম্যাগ্নেসিয়াম, তামা, প্টাসিয়াম, গন্ধক ও ক্লোরিন আছে।
পটল কিছুটা শসা ও ক্ষীরা গোত্রের উদ্ভিদ। এটি খেতেও উপাদেয়। পটল স্যুপ, তরকারী, ভাজী এমনকী মিষ্টান্ন প্রস্তুতিতেও ব্যবহৃত হয়।
পটলের উৎপাদনমাত্রা ভালো। ৪৫ থেকে ৫০ দিনের মধ্যে ফসল পাওয়া যায়। ৩ থেকে ৪ দিন পরপর পটল তোলা যায়। তরকারী হিসেবে পটলের বেশ চাহিদা আছে। পটলের শ্রমিক খরচ কম, নিজেরাই সবকিছু করা যায়। পটল লম্বায় ৫-১৫ সেমি লম্বা হয়ে থাকে। স্বল্পোষ্ণ ও আদ্র আবহাওয়ায় ভাল জন্মে।
পুষ্টি তথ্য
পটল - Parwal, Parwar, লাউ সরু
servings:  ১০০ গ্রাম 
ক্যালরি 30 সোডিয়াম 3 মিলিগ্রাম
মোট ফ্যাট 0 গ্রাম পটাসিয়াম 0 গ্রা
পরিপূর্ণ 0 গ্রাম মোট carbs 3 গ্রাম
Polyunsaturated 0 গ্রাম খাদ্যতালিকাগত ফাইবার 4 গ্রাম
Monounsaturated 0 গ্রাম চিনি 0 গ্রাম
ট্রান্স 0 গ্রাম প্রোটিন 3 গ্রাম
কলেস্টেরল 0 গ্রা
একটি 80% ক্যালসিয়াম 2% Vitamin
ভিটামিন সি 20% আয়রন 8%
পটলের উপকারিতা ও গুণাগুণ
তাজা পটল হজমশক্তি বাড়ায়। কাশি, জ্বর, রক্তদুষ্টি ভাল করে । হার্টের শক্তি বৃদ্ধি, পিত্তজ্বর,
কৃমি সাড়ায় এবং শরীর ঠান্ডা রাখে।Top of Form
পটল ভাঁজা
উপকরনঃ
কয়েকটা পটল

লাল মরিচ গুড়া

হলুদ মরিচ গুড়া

সামান্য জিরা গুড়া

সামান্য চিনি

লবন

তেল (কম তেলেই সময় নিয়ে ভাঁজা উচিত)

প্রনালীঃ
পটলের চামড়া চামচ দিয়ে তুলে নিতে হবে।
জিরা গুড়া, লবন দিন।
চিনি হলুদ মরিচ গুড়া দিন (পরিমান নিজেই অনুমান করুন, মরিচ গুড়ার ঝাল দেখে দেয়া উচিত)
ভাল করে মেখে আধাঘন্টা রেখে দিন।
কড়াইতে তেল গরম করে ভাজুন।
একপিট হয়ে গেলে অন্য পিট উলটে দিন। প্রয়োজনে ঢাকনা দিন।
যে কোন কিছু তেলে ভাজতে সাবধানে করুন। ভেতরটা নরম হয়ে যাবে। ভাঁজাটা কেমন রাখবেন সেটা আপনি    নিজেই নির্ধারন করুন।
তেল ঝরিয়ে পরিবেশনের জন্য তুলে নিন। ব্যস হয়ে গেল। গরম ভাতের সাথে খেয়েই দেখুন না!
পটল-চিংড়ি
উপকরণ :

পটল ১৫টি
চিংড়ি ১ কাপ
পেঁয়াজকুচি আধা কাপ
আদা বাটা ১ চা চামচ
হলুদ সামান্য
কাঁচামরিচ কুচি ৫টি
জিরা গুঁড়া আধা চামচ
তেল পরিমাণমতো
লবণ স্বাদ অনুযায়ী
যেভাবে তৈরি করবেন
পটল চেঁছে একটু চিরে ভেতরের অংশ বের করে নিন। তেল গরম করে পেঁয়াজ বাদামি করে ভেজে আদা, হলুদ দিয়ে নেড়ে একটু লবণ ও চিংড়ির কিমা দিন। এরপর একটু পানি দিয়ে ঢেকে দিন। পানি শুকালে কাঁচামরিচ দিন। কিছুক্ষণ পর নামিয়ে নিন।
এরপর চিংড়ির কিমা পটলের মধ্যে ভরুন। কড়াইয়ে তেল গরম হলে পেঁয়াজ, আদা বাটা, জিরা দিয়ে কষিয়ে পটল দিন।অল্প পানি দিয়ে ঢেকে রান্না করুন পটল। সিদ্ধ হয়ে তেল ওপরে উঠলে নামিয়ে ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।
সরষে পটোল

উপকরণ : মাঝারি পটোল ১০টি, কালিজিরা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ তিন-চারটি, সরষে বাটা দুই টেবিল চামচ, পোস্তদানা দুই চা-চামচ, লবণ ও চিনি স্বাদমতো।
প্রণালি : পটোল ছিলে লবণ দিয়ে হালকা ভাপিয়ে নিতে হবে। সরষের তেলে কালিজিরা ও কাঁচা মরিচ ফোড়ন দিয়ে হলুদ, সরষে বাটা ও পোস্তদানা দিয়ে কষিয়ে পটোল দিয়ে রাঁধতে হবে। স্বাদমতো লবণ ও চিনি দিয়ে নেড়েচেড়ে নারকেলের দুধ দিয়ে ঝোল ঘন হলে নামাতে হবে।
রুই কিমায় ভুনা পটল
যা যা লাগবে:
•    রুই কিমা – ১ কাপ
•    পটল – ৫ টি
•    পেঁয়াজ কুচি – ১কাপ
•    আদা বাটা – ২ চা চামচ

•    হলুদ বাটা – ২ চা চামচ
•    শুকনা মরিচ গুড়া – ১ চা চামচ
•    কাঁচা মরিচ কুচি – ১ চা চামচ
•    জিরা গুড়া – আধা চা চামচ
•    এলাচ – ২ টি
•    তেল – আধা কাপ,
•    লবণ – পরিমাণ মত
•    ধনেপাতা কুচি – পরিমাণ মত
প্রণালী:
•    প্রথমেই পটল চেঁছে নিয়ে দুই পাশ থেকে সামান্য অংশ কেটে ভেতরের বিচি ফেলে দিতে হবে৷
•    আগে থেকে প্রস্তুত করে রাখা রুই মাছের কিমা হালকা ভেজে নিন৷
•    এবার তাতে (কিমায়) সামান্য লবণ, পেঁয়াজ, সামান্য আদা বাটা, ধনেপাতা কুঁচি ও কাঁচা মরিচ কুচি যোগ করে আরও একটু ভেজে নিন।
•    এবার ভেজে রাখা কিমার সামান্য অংশ রেখে বাকীটা বিচি ফেলে দেয়া পটলের মাঝে ঢুকিয়ে দিন।
•    এবার তেলে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভেজে নিয়ে তাতে আদা বাটা, হলুদ বাটা, শুকনা মরিচ গুড়া, জিরা গুড়া, এলাচ ও লবণ দিয়ে ভুনা করুন।
•    কিমা ভরা পটলগুলি এবার ভুনা করা মসলায় ছেড়ে দিন৷
•    পানি যোগ করুন এবং কষিয়ে নিন৷
•    কষানো হয়ে এলে আবার একটু পানি দিয়ে কষান এবং অবশিষ্ট কিমা যোগ করুন (এতে ঝোল ঘন হবে আর স্বাদও বাড়বে)।
•    কিছু সময় রেখে নামিয়ে ফেলুন ৷
পুনশ্চ:
•    উল্লেখিত পরিমাণে তৈরি খাবার ৩ জনের পরিবেশন উপযোগী ৷
•    গরম থাকতে থাকতে গরম ভাত, পোলাও অথবা নান রুটির সাথে পরিবেশ করুন।
 পটল দিয়ে চিংড়ি
চিংড়ি মাছ আমাদের সবার খুব প্রিয়। সেহরির রাতে পটল দিয়ে চিংড়ি মাছের এই খাবার আপনাদের খুব ভালো লাগবে। রান্না করুন, খেয়ে মন্তব্য করুন।
উপকরণ :
পটল ১৫টি

চিংড়ি ১ কাপ
পেঁয়াজকুচি আধা কাপ
আদা বাটা ১ চা চামচ
হলুদ সামান্য
কাঁচামরিচ কুচি ৫টি
জিরা গুঁড়া আধা চামচ
তেল পরিমাণমতো
লবণ স্বাদ অনুযায়ী
যেভাবে তৈরি করবেন
পটল চেঁছে একটু চিরে ভেতরের অংশ বের করে নিন। তেল গরম করে পেঁয়াজ বাদামি করে ভেজে আদা, হলুদ দিয়ে নেড়ে একটু লবণ ও চিংড়ির কিমা দিন। এরপর একটু পানি দিয়ে ঢেকে দিন। পানি শুকালে কাঁচামরিচ দিন। কিছুক্ষণ পর নামিয়ে নিন।

এরপর চিংড়ির কিমা পটলের মধ্যে ভরুন। কড়াইয়ে তেল গরম হলে পেঁয়াজ, আদা বাটা, জিরা দিয়ে কষিয়ে পটল দিন।অল্প পানি দিয়ে ঢেকে রান্না করুন পটল। সিদ্ধ হয়ে তেল ওপরে উঠলে নামিয়ে ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন
পটল এর দোলমা
যা লাগবে : পটোল ৫০০ গ্রাম ,

ছোলার ডাল বাটা ২৫০ গ্রাম ,
নারিকেলকোরা ১ টা ,
গরমমশলল গুড়া ১ চা চামচ ,
চিনি ২ চা চামুচ ,
হলুদগুড়া ১ চা চামচ ( ইচেছ হল আমি  দেই নি) ,
মরিচগুড়া ১ চা চামচ ,
কাঁচা মরিচ কয়েকটি ,
জিরারগুড়ো ২ চামচ ,
আদা  বাটা ২ চা চামচ ,
ঘি লবন পরিমানমত ।
যে ভাবে করবেন : পটোলের খোসা চেঁছে দুই পাশ তেসরা করে কুচিয়ে পানি দিয়ে ধুয়ে লবন চিনি দিয়ে মাখিয়ে তেলে হালকা ভেজে তুলে নেবেন। কড়ায়ে এক এক করে নারিকেল কোড়া, ডাল বাটা সহ সব মশল্লা দিয়ে কষিয়ে পটোল দিয়ে অলপ পানি দেবেন। ঢেকে দিন। পটোল সেদধ হয়ে তেল বের হলে ঝোল মাখ মাখ হবে। এবারে জিরারগুড়ো চিনি দিয়ে নামিয়ে নিন। ঝাল লবন মিষিট চেখে নিতে ভুলবেন না। অার ঘি তো দেবেনই।
পটল অফ্‌ সাউথ ইন্ডিয়া

উপকরণ :- সবুজ পটল ২৫০ গ্রাম, সর্ষের তেল ৫০ গ্রাম, ঘি ২৫ গ্রাম, দই ১০০ গ্রাম , ১ চামচ পরিমান আদাবাটা , জিরে বাটা সামান্য, ১ চামচ হিং, \৩ টি কাঁচা লঙ্কা, ৩ টি এলাচ, ৩ টে তেজপাতা, পরিমান মত নুন ।

প্রণালী :- পটলগুলির খোসা ছাড়িয়ে সেগুলি দুখণ্ড না করে ছুরি দিয়ে সামান্য চিরে দিন ।তারপর কড়াইতে তেল দিয়ে পটলগুলি ভালো করে ভেজে নিন। তারপর পটলগুলি নামিয়ে কড়াইতে ঘি দিয়ে হিং ও আদাবাটা নেড়ে নিন । এবার ভাজা পটল গুলি কড়াতে ছেড়ে তাতে দই, এলাচ গুড়ো, লঙ্কা কুচি দিয়ে ভালো করে সাঁতলে নিয়ে তাতে জল দিন। তারপর মিনিট পাঁচেক তা ঢেকে রাখুন । ফুটে উঠলে নামিয়ে ফেলুন |

No comments:

Post a Comment