Friday, October 9, 2015

ধনিয়া বা ধনে পাতা

ধনিয়া বা ধনে (ইংরেজি: Coriander) একটি সুগন্ধি ঔষধি গাছ। এটি একটি একবর্ষজীবী উদ্ভিদ। এটি দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়া ও উত্তর আফ্রিকার স্থানীয় উদ্ভিদ। এর বীজ থেকে বানানো তেল সুগন্ধিতে, ওষুধে এবং মদে ব্যবহার করা হয়। বঙ্গ অঞ্চলের প্রায় সর্বত্র ধনের বীজ খাবারের মসলা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ধনের পাতা এশীয় চাটনি ও মেক্সিকান সালসাতে ব্যবহার করা হয়।
অন্য রকম ধনে পাতা ও হয় ৷ বড় ধনে বা বিলেতী ধনে ৷পাহাড়ি অন্চলে এই ধনের ফলন ভাল হয় ৷ অনেকে যাদের কিচন
গার্ডেন আছে, তাহারা ও ঐ ধনে বুনে থাকেন ৷
পুষ্টি তথ্য ধনে বা Coriander পাতার
0.25 প্রতি কাপ পরিমাণ (4 গ্রাম)
ক্যালরি 1
% দৈনিক মূল্য*
মোট ফ্যাট 0 গ্রাম 0%
স্যাচুরেটেড ফ্যাট 0 গ্রাম 0%
Polyunsaturated চর্বি 0 গ্রাম
Monounsaturated চর্বি 0 গ্রাম
কলেস্টেরল 0 গ্রা 0%
সোডিয়াম 2 মিলিগ্রাম 0%
পটাসিয়াম 21 মিলিগ্রাম 0%
মোট কার্বোহাইড্রেট 0.2 গ্রাম 0%
খাদ্যতালিকাগত ফাইবার 0.1 গ্রাম 0%
চিনির 0 গ্রাম
প্রোটিন 0.1 গ্রাম 0%
ভিটামিন '' 5% ভিটামিন সি 1%

ক্যালসিয়াম 0% আয়রন 0%
ভিটামিন ডি 0% ভিটামিন বি 6 0%
ভিটামিন বি 12 0% 0% ম্যাগনেসিয়াম
* শতাংশ দৈনিক মূল্যবোধ একটি 2,000 ক্যালোরি খাদ্যের উপর ভিত্তি করে আপনার দৈনন্দিন মান আপনার ক্যালোরি চাহিদার উপর নির্ভর করে কম বা বেশি হতে পারে
পুষ্টিবিদরা জানিয়েছেন, ধনে পাতা কেবল সৌন্দর্য আর স্বাদ বাড়াতেই অনন্য নয়, স্বাস্থ্যের জন্যও বেশ উপকারী। ধনে পাতা রক্তে চিনির পরিমাণ কমিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে।শরীরের জন্য ক্ষতিকর খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে ভালো কোলেস্টেরল বাড়াতে সাহায্য করে। ধনে পাতা পেট ফাঁপা ও পাকস্থলির বিভিন্ন সমস্যা দূর করে হজমশক্তি বাড়ায়। এটি হাড়কে মজবুত করে বাত রোগ নিরাময় করে। এছাড়া ইউরিন ইনফেকশন প্রতিরোধ করে এবং বমি বমি ভাব দূর করে। ধনে পাতায় রয়েছে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ফাইবার, আয়রন, ফ্লেভোনয়েড, ম্যাগনেশিয়ামসহ বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান যা স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। মেয়েদের মাসিকে অতিরিক্ত ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণেও ধনে পাতা কাজে আসে। এজন্য পাঁচশ মিলিলিটার পানিতে ছয় গ্রাম ধনে পাতা ফুটিয়ে নিতে হবে। এরপর ওই গরম পানিতে এক টেবিল চামচ চিনি ভালোভাবে মিশিয়ে খেতে হবে। এছাড়া ধনে পাতা সিদ্ধ পানি খেলে বাতের ব্যথা সেরে যায়। ব্রন, ব্লাকহেডস, হোয়াইটহেডসহ ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে ধনে পাতা বেটে তার সঙ্গে তেঁতুলের রস মিশিয়ে খেতে হবে। 

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ:
পুষ্টিবিদরা জানিয়েছেন, ধনে পাতা কেবল সৌন্দর্য আর স্বাদ বাড়াতেই অনন্য নয়, স্বাস্থ্যের জন্যও বেশ উপকারী। ধনে পাতা রক্তে চিনির পরিমাণ কমিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে।
কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে:
শরীরের জন্য ক্ষতিকর খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে ভালো কোলেস্টেরল বাড়াতে সাহায্য করে।
পাকস্থলির সমস্যায় ধনে পাতা:
ধনে পাতা পেট ফাঁপা ও পাকস্থলির বিভিন্ন সমস্যা দূর করে হজমশক্তি বাড়ায়।
হাড় মজবুত করে:
এটি হাড়কে মজবুত করে বাত রোগ নিরাময় করে।
মেয়েদের মাসিকেও কার্যকর:
মেয়েদের মাসিকে অতিরিক্ত ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণেও ধনে পাতা কাজে আসে। এজন্য পাঁচশ মিলিলিটার পানিতে ছয় গ্রাম ধনে পাতা ফুটিয়ে নিতে হবে। এরপর ওই গরম পানিতে এক টেবিল চামচ চিনি ভালোভাবে মিশিয়ে খেতে হবে।
বাতের ব্যথা উপসম:
ধনে পাতা সিদ্ধ পানি খেলে বাতের ব্যথা সেরে যায়।
রূপচর্চায় ধনে পাতা:

রূপচর্চায়ও দারুন কাজ দেয়। ধনে পাতায় রয়েছে ভিটামিন এ , ভিটামিন সি, ফসফরাস ও ক্লোরিন। তাই প্রাকিতিক ব্লিচ হিসেবে ধনে পাতা দারুন কার্যকর। যাদের ঠোঁটে কালো দাগ আছে তারা রোজ রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ধনে পাতার রসের সাথে দুধের সর মিশিয়ে ঠোঁটে লাগান। এইভাবে এক মাস লাগালে ঠোঁটের কালো দাগ দূর হবে আর ঠোঁট কোমলও হবে।
এছাড়া ইউরিন ইনফেকশন প্রতিরোধ করে।ধনে পাতায় রয়েছে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ফাইবার, আয়রন, ফ্লেভোনয়েড, ম্যাগনেশিয়ামসহ বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান যা স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী।
এভার জেনে নিন ধনে পাতার কিছু অপকারিতা:
নিম্ন রক্তচাপ
অতিরিক্ত ধনেপাতা খাওয়ার ফলে দেহের হৃৎপিন্ডের স্বাস্থ্য নষ্ট করে ফেলে, যার ফলে নিম্ন রক্তচাপ সৃষ্টি করে। বিশেষজ্ঞরা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এই ধনেপাতা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তাই এটি অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে নিম্ন রক্তচাপের উদ্ভব ঘটতে পারে। এছাড়া এটি হালকা মাথাব্যথারও উদ্রেক করতে পারে।

বুকে ব্যথা
অতিরিক্ত ধনেপাতা আহারে বুকে ব্যথার মত জটিল সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এটা শুধুমাত্র অস্বস্তিকর ব্যথাই সৃষ্টি করে না তা দীর্ঘস্থায়ীও হয়ে থাকে। এজন্য এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে দৈনন্দিন আহারে কম করে এই ধনেপাতা খেতে পারেন।
লিভারের ক্ষতিসাধন
অতিরিক্ত ধনেপাতা খেলে এটি লিভারের কার্যক্ষমতাকে খারাপভাবে প্রভাবিত করে থাকে। এতে থাকা এক ধরনের উদ্ভিজ তেল শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে আক্রান্ত করে ফেলে। এছাড়া এটাতে এক ধরনের শক্তিশালী অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে যেটা সাধারণত লিভারের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে কিন্তু দেহের মাঝে এর অতিরিক্ত মাত্রার উপস্থিতি লিভারের ক্ষতিসাধন করে।
পেট খারাপ
স্বাভাবিকভাবে ধনেপাতা গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল বিষয়ক সমস্যা দূর করে থাকে কিন্তু বেশি পরিমাণে ধনেপাতা সেবন পাকস্থলীতে হজমক্রিয়ায় সমস্যা তৈরি করে থাকে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে এক সপ্তাহে ২০০ এমএল ধনেপাতা আহারে গ্যাসের ব্যথা ওঠা, পেটে ব্যথা, পেট ফুলে ওঠা, বমি হওয়া হওয়ারও সম্ভাবনা দেখা যায়।
ডায়রিয়া

ধনেপাতা অল্প খেলে পেটের সমস্যা দূর হয় কিন্তু এটি বেশি পরিমাণে খেলে ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। এছাড়া এর ফলে ডিহাইড্রেশন হতে থাকে। ফলে ডায়রিয়ার সমস্যাটি হতেই থাকে। তাই এই ধরনের সমস্যা এড়াতে প্রতিদিনের খাবারে ধনেপাতা কম পরিমাণে ব্যবহার করুন।
নিঃশ্বাসের সমস্যা
আপনি যদি শ্বাসকষ্টের রোগী হয়ে থাকেন তাহলে এই ধনেপাতা আহার থেকে বিরত থাকুন। কেননা এটি আপনার শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা করে থাকে যার ফলে ফুসফুসে অ্যাজমার সমস্যা হতে পারে। এই ধনেপাতা খেলে মাঝে মাঝে ছোট ছোট নিশ্বাস নিতেও সমস্যা তৈরি হয়।
ত্বকের সংবেদনশীলতা
সবুজ ধনেপাতাতে মোটামুটিভাবে কিছু ঔষধি অ্যাসিডিক উপাদান থাকে যেটি ত্বককে সূর্যরশ্মি থেকে বাঁচিয়ে সংবেদনশীল করে থাকে। কিন্তু অতিরিক্ত সেবনে সূর্যের রশ্মি একেবারেই ত্বকের ভেতরে প্রবেশ করতে পারে না ফলে ত্বক ভিটামিন কে থেকে বঞ্চিত হয়। এছাড়া ধনেপাতা ত্বকের ক্যান্সার প্রবণতাও তৈরি করে থাকে।
অ্যালার্জীর সমস্যা
ধনেপাতার প্রোটিন উপাদানটি শরীরে আইজিই নামক অ্যান্টিবডি তৈরি করে যা শরীরের বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদানকে সমানভাবে বহন করে থাকে। কিন্তু এর অতিরিক্ত মাত্রা উপাদানগুলোর ভারসাম্য নষ্ট করে ফেলে। ফলে অ্যালার্জীর তৈরি হয়। এই অ্যালার্জীর ফলে দেহে চুলকানি, ফুলে যাওয়া, জ্বালাপোড়া করা, র্যা শ ওঠা এই ধরনের নানা সমস্যা হয়ে থাকে।

প্রদাহ
অতিরিক্ত ধনেপাতা সেবনের আরেকটি বিশেষ পার্শ্ব প্রতক্রিয়া হল মুখে প্রদাহ হওয়া। এই ঔষধিটির বিভিন্ন এসিডিক উপাদান যেটি আমাদের ত্বককে সংবেদনশীল করে থাকে পাশাপাশি এটি মুখে প্রদাহেরও সৃষ্টি করে। বিশেষ করে এর ফলে ঠোঁট, মাড়ি এবং গলা ব্যথা হয়ে থাকে। এর ফলে সারা মুখ লাল হয়েও যায়।
ধনে পাতায় মাছ কারি
উপাদানগুলো
-   1 গুচ্ছ ধনে পাতা, শিকড় কাটা কান্ড
-   1 ঝোল খাত্তয়ার জন্য চামচ সবুজ কারি পেস্ট
-   270ml নারকেল দুধ হালকা করতে পারেন
-   500g সাদা মাছ fillets, Basa মত, 3cm টুকরা করে কাটা
-   1 কাপ প্রতিটি সবুজ মটরশুটি এবং চিরা বরফ ডাল কাটা 
পদ্ধতি

একটি মিশ্রণকারী নারকেল দুধ ধনে, তরকারি পেস্ট এবং ¹/³ কাপ রাখুন এবং মসৃণ না হওয়া পর্যন্ত মিশান
মাঝারি উচ্চ তাপ উপর একটি ফ্রাইং প্যান গরম 1 মিনিট জন্য রান্না করা, প্রস্তুত প্রতিলেপন করো অবশিষ্ট নারিকেল দুধ এবং গণমাধ্যমে কাপ স্টক বা জল যোগ করুন মিশ্রণ simmers আলোড়ন পর্যন্ত, 8 মিনিট রান্না করা
, মাছ যোগ 5 মিনিট রান্না করামটরশুটি এবং বরফ ডাল যোগ আরও 2-3 মিনিট জন্য বা শুধু স্নেহপূর্ণ পর্যন্ত রান্না করা ভাল ব্রাউন চিনি দিয়ে সিজন থাই পুদিনা সঙ্গে steamed ধান এবং আভরণ সঙ্গে পরিবেশন
Crispy ধনে চিংড়ি বড়া
উপকরণ
2 কাপ চিংড়ি মাছের প্যাস্ট / বেসন
2 কাপ কাটা ধনে পাতা

1 গণমাধ্যমে কাপ পানি
1 টেবিল চামচ চালের গুঁড়ো
1 চা চামচ হলুদ গুঁড়া
2 চা চামচ জিরা
8 রসুন pods
1 ইঞ্চি রসুন
8 সবুজ লঙ্কা
তেল
স্বাদ অনুযায়ী লবণ
নির্দেশনা
ধনে পাতা ধোবেন চপ এবং তাদের সরাইয়া রাখা
রসুন, আদা ও লঙ্কা আউট একটি পেস্ট তৈরি করুন
একটি বাটি জল চিংড়ি মাছ ময়দা, চালের গুঁড়ো ও লবণ মিশান৷
একটি প্যানে তেল গরম করুন৷
জিরা, হলুদ গুঁড়া ও আদা রসুন লঙ্কাবাটা করুন
কাটা ধনে পাতা যোগ করুন এক মিনিটের জন্য এটি সাঁতলান
এখন চিংড়ি মাছের মিশ্রণ যোগ করুন এবং ক্রমাগত ফেটান মিশ্রণ পুরু হওয়া পর্যন্ত ফেটান
একটি সিলভার ফয়েল, ছোলা ধনে মিশ্রণ ছেড়ে ছড়িয়েদিন৷ আঙ্গুলের সঙ্গে সমানভাবে মিশ্রণ এবং প্যাট ছড়িয়ে দিন
বর্গক্ষেত্র আকৃতির টুকরা করুন৷
এখন আবার একটি প্যান এবং অগভীর ভাজা খাস্তা পর্যন্ত বড়া মধ্যে তাপ তেলদিয়ে ভাজউন৷
কোনো চাটনি দিয়ে গরম পরিবেশন করুন ৷
উপকরনঃ

মুরগির মাংস ১/২ কেজি,আদা বাটা ১ টেবিল চামচ,রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ,টক দই ১/২ কাপ,কাঁচা মরিচ ৮-১০ টি,পিঁয়াজ কুচি ১/২ কাপ, ধনেপাতা ১-২ মুঠো,পুদিনা পাতা ১-২ মুঠো,গরম মশলা গুঁড়ো ১/২ চা চামচ,
তেল ১/৪ কাপ,লবণ স্বাদ মত, চিনি সামান্য( ইচ্ছা )।
প্রণালি
প্যানে তেল গরম করে পিঁয়াজ কুচি দিয়ে সামান্য ভেজে চিকেনের টুকরো গুলো দিয়ে একটু ভেজে নিন।আদা, রসুন বাটা,গরম মশলা, লবণ দিয়ে ভালো মত কষিয়ে ঢেকে দিয়ে রান্না করতে হবে ।
প্রয়োজনে সামান্য পানি দেয়া যেতে পারে।এবার ব্লেন্ডারে কাঁচামরিচ, ধনেপাতা,পুদিনা পাতা আর টক দই ব্লেন্ড করে নিতে হবে।রান্না শেষে ধনেপাতার মিশ্রন ও সামান্য চিনি দিয়ে ৫-১০ মিনিট রান্না করে মাখা মাখা হলে নামিয়ে ফেলতে হবে।
ধনিয়া পাতা দিয়ে ভর্তা বানানোর রেসিপি
উপাদান-
১। ধনে পাতা: ১ কেজি

২। রসুন: ২০০ গ্রাম
৩। শুকনা মরিচ: ১০/১২ টা
৪। তেঁতুল: ২০০ গ্রাম
৫। সরষের তেল: ৩০০ মিলি
৬। সিরকা: ১৫০ মিলি
৭। লবণ: প্রায় দেড় টেবিল চামচ (স্বাদ অনুযায়ী কম বেশী হতে পারে)।প্রস্তুত প্রণালী-
১। সিরকা দিয়ে তেতুল ভিজিয়ে রাখি। এবার ধনে পাতা বেছে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে বাতাসে শুকিয়ে নিই।
২। ৫/৭ টা শুকনা মরিচ এবং রসুন সহ ধনে পাতা বেটে নিই।
৩। পনের মিনিট পর তেঁতুল চটকে ক্বাথ বের করে নিই।
৪। বাটা ধনে পাতার সাথে তেঁতুলের ক্বাথ, ২/৩ টেবিল চামচ সরষের তেল এবং লবণ সহ বেশ করে মিশিয়ে বড় কাঠের থালায় সমান ভাবে ছড়িয়ে কড়া রোদে দুই দিন শুকিয়ে নিই।
৫। শুকিয়ে একটু শক্ত হয়ে এলে মার্বেলের আকারে গুলি বানিয়ে নিই।
৬। ওই থালায় একটু তেল মেখে মার্বেল গুলি আবার ১ দিন রোদে দিই।
৭। রোদ হলে মার্বেল গুলি বয়ামের অর্ধেক পরিমাণ ভরে রাখি।
৮। বাকী তেল বয়ামে ঢেলে আবার ২/৩ দিন রোদে দিই।
৯। মাঝে মাঝে রোদে দিলে প্রায় ২/৩ বৎসর রাখা যায়।
ধনেপাতার চাটনি
টাটকা ধনেপাতা বড় ২ আঁটি, রসুন ২ কোয়া, পাকা তেঁতুল দেড়-দুই ছড়া। কাঁচামরিচ ১টি, চিনি, লবণ স্বাদমতো।

প্রণালী : ধনেপাতার কচি ডগা ও পাতা বেছে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখুন। ধনেপাতা, রসুন, কাঁচামরিচ, তেঁতুল, লবণ ও চিনি সব একসঙ্গে মিশিয়ে মিহি করে কেটে নিন। সামান্য ঝাল, মিষ্টি ও টকটক স্বাদ হবে।
3. ধনে পাতা ভর্তাঃ ধনে পাতা-৩ আটি, কালি জিরা-২ টেঃ চামচ, রসুন-বড় ২টি, পিঁয়াজ কুচি-২ টেঃ চামচ, লবণ-পরিমাণ মতো, কাঁচামরিচ-৪/৫টি।
প্রনালীঃ ধনে পাতা কেটে ধুয়ে নিন। কালি জিরা হাল্কা ভেজে নিন। রসুন হাল্কা ভেজে নিন, পিঁয়াজ কুচি ভেজে নিন। এবার পাটায় ধনে পাতা কালি জিরা, রসুন, পিঁয়াজ কুচি, লবণ কাঁচামরিচ সব এক সাথে মিহি করে বেটে নিন। হয়ে গেল মজাদার ধনে পাতা ভর্তা।
ধনে পাতার জুসের ওষুধি গুন
যেভাবে জুস তৈরি করবেন: একটি পাত্রে পানি নিয়ে তা গরম করুন। তারপর প্রয়োজনীয় লবণ দিন। এরপর ধনে পাতাগুলো প্রয়োজনমাফিক সিদ্ধ করুন। সিদ্ধ হওয়ার পর পাতাগুলো পানি থেকে তুলে শুকিয়ে নিন। পাতাগুলো শুকনো হয়ে গেলে প্রয়োজনীয় পরিমাণ পানি দিয়ে পেস্ট করুন। তৈরি হয়ে যাবে ধনে পাতার জুস।
১. হজমে সাহায্য করে ও পাকস্থলীর প্রদাহ রোধ করে।

২. বাত থেকে মুক্ত রাখে।
৩. মূত্রথলির প্রদাহ রোধ করে।
৪.অন্ত্রের গ্যাস সৃষ্টি থেকে মুক্ত রাখে।
৫. শরীরের জন্য ক্ষতিকর চর্বি কমায় ও উপকারী চর্বির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়।
৬. লৌহের ভাল উৎস।
৭. ম্যাগনেশিয়ামের চাহিদা পূরণ করে।
৮. ধনে পাতা শরীরকে ঠান্ডা করে। এলার্জী, আমবাত, ফোঁড়া ও তীব্র চুলকানি হলে ধনে পাতা পেস্ট করে লাগালে ভাল কাজ দেয়।
৯. যে সকল নারী খুব বেশি মাসিক প্রবাহে ভোগেন তাদেরও জন্যও এটি ভাল কাজ দিবে।
১০ ধনে পাতায় রয়েছে ভিটামিন এ , ভিটামিন সি, ফসফরাস ও ক্লোরিন।

এছাড়া রুপচর্চার উপাদান হিসেবে ধনে পাতা খুবই উপকারী। ধনে পাতায় ভিটামিন এ , ভিটামিন সি, ফসফরাস ও ক্লোরিন থাকায় প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবে এটি দারুন কার্যকর। যাদের ঠোঁটে কালো দাগ আছে রোজ রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ধনে পাতার রসের সাথে দুধের সর মিশিয়ে ঠোঁটে লাগান এক মাস লাগালে ঠোঁটের কালো দাগ দূর হবে আর ঠোঁট কোমলও হবে।

No comments:

Post a Comment