Wednesday, November 1, 2017

জলপাই / Olive
জলপাই এক ধরণের ফল।[১] এটি পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের উপকূলীয় এলাকা বিশেষ
করে লেবানন, সিরিয়া, তুরস্কের সামুদ্রিক অঞ্চল, ইরানের উত্তরাঞ্চল তথা কাস্পিয়ান সাগরের দক্ষিণে ভাল জন্মে। ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে এর অর্থনৈতিক গুরুত্ব এর তেলের কারণে বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে।জলপাই গাছ একধরণের চিরহরিৎ বৃক্ষ। ভুমধ্যসাগরীয় অঞ্চল, এশিয়া, বাংলাদেশ ও আফ্রিকার কিছু অংশে এটা ভাল জন্মে। জলপাই গাছ ৮-১৫ মিটার লম্বা হয়ে থাকে। এর পাতা ৪-১০ সে.মি. লম্বা ও ১-৩ সে.মি. প্রশস্ত হয়ে থাকে। জলপাই ফল বেশ ছোট আকারের, লম্বায় মাত্র ১-২.৫ সে.মি. লম্বা হয়ে থাকে।
যুদ্ধে শান্তির প্রতীক হল জলপাইয়ের পাতা এবং মানুষের শরীরের শান্তির দূত হল জলপাইয়ের তেল যা অলিভ ওয়েল (Olive Oil) আরবিতে জয়তুন (زيت الزيتون )যেটাকে Liquid Gold বা তরল সোনা নামেও ডাকা হয়। সেই গ্রীক (Greek) সভ্যতার প্রারম্ভিক কাল থেকে এই তেল ব্যবহার হয়ে আসছে, রন্ধন কর্মে ও চিকিৎসা শাস্ত্রে। আকর্ষণীয় এবং মহনীয় সব গুণাবলি এই জলপাইয়ের তেলের
মধ্য রয়েছে। অবশ্য বাংলাদেশে জলপাই তেলের ব্যবহার তেমন নেই। শুধুমাত্র শীতকালে শরীরে মাখার কাজে জলপাই তেল ব্যবহৃত হয়, তাও খুবই কম। এছাড়া খাওয়ার কাজে এটির ব্যবহার নেই বললেই চলে। তবে জলপাই ফল সবাই খায়। বাংলাদেশে জলপাই ফল খুব সস্তা। জলপাই ফলের আঁচার বেশ জনপ্রিয় এদেশে। জলপাই ফলের দামের তুলনায় এর তেলের দাম আকাশচুম্বী।
জলপাই তেল বা Olive Oil এ অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান থাকে, যেগুলো আমাদের শরীরকে সুস্থ এবং সুন্দর রাখে। গবেষকরা দেখিয়েছেন খাবারে জলপাইয়ের তেল ব্যাবহারের ফলে শরীরের ব্যাড ক্লোষ্টোরেল এবং গুড ক্লোষ্টোরেল নিয়ন্ত্রণ হয় । জলপাইয়ের তেলের আরেকটা গুণাবলি হল এটা পাকস্থলীর জন্য খুব ভালো। শরীরে এসিড কমায়, যকৃৎ (Liver) পরিষ্কার করে, যেটা প্রতিটি মানুষের ২/৩ দিনে একবার করে দরকার হয়। কোস্ট কাঠিন্য রোগীদের জন্য দিনে ১ চামচ (1 spoon) জলপাই তেল অনেক অনেক উপকারী।সাধারণত সন্তান হওয়ার
পর মহিলাদের পেটে সাদা রঙের স্থায়ী দাগ পড়ে যায় । গর্ভধারণ করার পর থেকেই পেটে জলপাই তেল (Olive Oil) মাখলে কোন জন্মদাগ পড়ে না। এটা একটা পরীক্ষিত ব্যাপার। জলপাই তেল গায়ে মাখলে বয়স বাড়ার সাথে ত্বক কুঁচকানো প্রতিরোধ হয় । গবেষকরা ২.৫ কোটি (25 million) লোকজনের উপর গবেষণা করে দেখিয়েছেন, প্রতিদিন ২ চামচ কুমারী জলপাই তেল (Virgin Olive Oil) ১ সপ্তাহ ধরে খেলে ক্ষতিকর এলডিএল (LDL) কোলেস্টেরল কমায় এবং উপকারী এইচডিএল (HDL) কোলেস্টেরল বাড়ায়। স্প্যানিশ (Spanish) গবেষকরা দেখিয়েছেন, খাবারে জলপাই তেল ব্যবহার করলে ক্লোন ক্যান্সার (Colon cancer ) প্রতিরোধ হয়। আরও কিছু গবেষক দেখিয়েছ, এটা ব্যাথা নাশক (Pain Killer) হিসাবে কাজ করে। গোসলের পানিতে ১/৪ চামচ ব্যবহার করে গোসল করলে শরীরে শিথিলতা পাওয়া যায়। মেয়েদের রূপ বর্ধনের জন্য এটা অনেকটা কার্যকর। ইসলাম ধর্মেও জলপাইয়ের
তেলে খাওয়া এবং ব্যাবহারের গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। আল্লাহর রসূল (স.) বলেছেন
, “তোমরা এই তেলটি খাও, তা শরীরে মাখাও।“[হযরত আবু হুরাইরা (রদ্বি.) হতে তিরমিযি ও ইবনে মাজাহ্ বর্ণনা করছেন । ইবনে মাজাহ্-এ হাদিস নং ৩৩২০ । সনদ সহীহ্]। জলপাই তেল যে কোষ্ঠ কাঠিন্য কমে, তা ইবনুল কাইয়্যূম তার "The Medicine of the Prophet (sm.)" বইয়ে তা স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করেছেন ।বাজারে কয়েক ধরনের জলপাইয়ের তেল পাওয়া যায়। যেমন- ১। Extra virgin - এটা প্রথম ধাপ। সরাসরি জলপাই ফল থেকে তৈরি। এসিডেটি ১% এর নিচে। রান্নার জন্য বা সালাদে গবেষকরা এটা প্রস্তাব করেন। ২। Virgin - Extra virgin পরের ধাপ এটা। এতে এসিডের পরিমাণ ১ থেকে ২% থাকে। ৩। Refine Pure - ৩য় ধাপ। এতে এসিডের পরিমাণ ৩% থেকে ৪
পুষ্টি উপাদান
জলপাই, ছোট
প্রতি 100 গ্রাম পরিমাণ
ক্যালরি 115
% দৈনিক মূল্য*

মোট ফ্যাট 1116%
চর্বিযুক্ত চর্বি 1.47%
পলিউস্যাচুরেটেড চর্বি 0.9
Monounsaturated চর্বি 8 গ্রাম
কোলেস্টেরল 0 মিলিগ্রাম 0%
সোডিয়াম 735 মিলিগ্রাম 30%
পটাসিয়াম 8 মিলিগ্রাম 0%
মোট কার্বোহাইড্রেট 6 গ্রাম 2%
খাদ্যতালিকাগত ফাইবার 3.212%
চিনি 0 গ্রাম
প্রোটিন 0.8 গ্রাম 1%
ভিটামিন এ 8% ভিটামিন সি 1%
ক্যালসিয়াম 8% আয়রন 18%
ভিটামিন ডি 0% ভিটামিন বি -6 0%
ভিটামিন বি -12 0% ম্যাগনেসিয়াম 1%
* শতাংশ দৈনিক মূল্য 2,000 ক্যালরি খাদ্য উপর ভিত্তি করে। আপনার ক্যালোরি চাহিদার উপর নির্ভর করে আপনার দৈনন্দিন মানগুলি উচ্চ বা কম হতে পারে
জলপাই তেল বা অলিভ অয়েলের জাদুকরী উপকারিতা জেনে নিন
সৌন্দর্য সুরক্ষায় অলিভ বা জলপাই ব্যবহার হচ্ছে অনেক আগ থেকেই। কেবল ত্বকের যত্ন নয়, চুল এমনকি মেইকাপ সামগ্রী হিসেবেও ব্যবহৃত হয় অলিভ থেকে নিঃসৃত তেল।
 বিশেষ করে এই শুষ্ক আবহাওয়ায় অলিভ অয়েল দারুণ কার্যকর। সাধারণত তিনধরনের হয়ে থাকে এই তেল। এক্সট্রা ভার্জিন, ভার্জিন এবং রিফাইনড। অলিভ অয়েল টাইমস ডটকমের মতে খাওয়া ছাড়াও সৌন্দর্য সুরক্ষায় এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েলের ব্যবহারই সর্বৎকৃষ্ট।
ত্বকের যত্নে
ত্বক উজ্জ্বল এবং নরম রাখতে অলিভ অয়েলের জুড়ি নেই। ভারতের অন্যতম সৌন্দর্য বিষয়ক ওয়েবসাইট ‘স্টাইল কেয়ার’ জানাচ্ছে, শরীর বা মুখের ত্বক— যেখানেই ব্যবহার করা হোক না কেনো এ তেল শরীরের সবজায়গার জন্যই আদর্শ। নিয়মিত সারা শরীরে অলিভ অয়েল মাখলে ত্বক-সংক্রান্ত নানান সমস্যার থেকে সহজেই রক্ষা পাওয়া যায়। বিশেষ করে যাদের ত্বক শুষ্ক তারা শীত-গ্রীষ্ম সবসময়ই এ তেল ব্যবহার করতে পারেন।
স্কিন ময়েশ্চারাইজার
প্রতিদিন গোসলের পর কিংবা রাতে শোবার আগে ময়শ্চারাইজার হিসেবে বেছে নিতে পারেন এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল। ত্বকের শুষ্কতা এবং বিবর্ণভাব রোধে এটি দারুণ কাজ করে। ‘ডেইলিগ্লো ডটকম’ বলছে, বেশি কার্যকর ও ত্বকে সতেজভাব বাড়িয়ে
তোলার জন্য অলিভে অয়েলের সঙ্গে মেশাতে পারেন অল্প পরিমাণ লেবুর রস। এরসঙ্গে অল্প পানি মিশিয়ে বাড়িতেই তৈরি করতে পারেন সবধরনের ত্বকের জন্য উপযোগী একটি ময়শ্চারাইজার।
এক্সফোলিয়েটর হিসেবে
দি প্যাশোনেট অলিভ ডটকম জানাচ্ছে— শুষ্ক ও খসখসে ত্বকের জন্য অলিভ অয়েলের সঙ্গে লবণ মিশিয়ে ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়। সমপরিমাণ অলিভ আয়েল এবং লবণ একসঙ্গে মিশিয়ে স্কার্ব তৈরি করে ত্বকের উপর ধীরে ধীরে ভালভাবে ম্যাসাজ করুন। কয়েকদিনেই ত্বক নরম হয়ে উজ্জ্বল আভা চলে আসবে। কিংবা প্রতিদিনকার গোসলের পানিতে ৩ টেবিল-চামচ অলিভ অয়েলের সঙ্গে এক বা দু’ফোঁটা ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিন। শরীরের ক্লান্তি কাটিয়ে ফুরফুরে হয়ে উঠতে এর জুড়ি নেই।
নখের যত্নে
ভঙ্গুর নখ এবং নখের চামড়ার বাইরের স্তর সুস্থ, সুন্দর এবং কোমল রাখার জন্যও অলিভ অয়েল আদর্শ। স্টাইল কেয়ার ডটকমের এর তথ্য অনুসারে কয়েক ফোঁটা
একস্ট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল হাতের আঙুলে নিয়ে নখের উপরে এবং চারপাশের কিউটিকলে ভালোভাবে মালিশ করলে নখ শক্ত ও উজ্জ্বল হয়। পাশাপাশি নখের চারপাশ থাকবে নরম এবং আদ্র।
অথবা প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অলিভ ওয়েল ম্যাসাজ করে নিন নখে ও এর আশে পাশের ত্বকে। ধীরে ধীরে নখ ভাঙ্গার প্রবণতা কমে যাবে এবং নখ হয়ে উঠবে স্বাস্থ্যজ্জ্বল।
আই মেইকাপ রিম্যুভার
 সৌন্দর্য বিশেষজ্ঞদের মতে, চোখের মেইকাপ তোলার জন্য সবচেয়ে ভালো হচ্ছে অলিভ অয়েল। অ্যাবাউট ডটকমের তথ্য মতে চোখ অনেক সংবেদনশীল বলেই এর মেইকাপ তুলতে সাবধানতা খুবই জরুরি। তাই বাজারের ময়শ্চারাইজার ব্যবহার না
করে তুলার মধ্যে কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল নিয়ে আস্তে আস্তে ঘষে ভালোভাবে মেইকাপ তুলে ফেলুন। চোখের পাপড়িতে লাগানো মাশকারা ওঠাতে কিংবা চোখের নিচের কালো দাগ এবং রিঙ্কল দূর করতেও এটি কাজ করে।
চুলের যত্নে
চুল এবং মাথার ত্বকের পরিচর্যাতেও অলিভ অয়েলের জুড়ি নেই। রিডার’স ডাইজেস্ট জানাচ্ছে ডিপ কন্ডিশনার এবং ড্যানড্রাফ কন্ট্রোলার হিসেবে এই তেল বেশ ভালো কাজ করে। শ্যাম্পু করার পর সমপরিমাণ পানি এবং অলিভ অয়েল নিয়ে সারা মাথায় ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন। পাঁচ মিনিট এভাবেই রেখে দিন যাতে চুল ও মাথার ত্বক ভালোভাবে তেল শুষে নেয়। তারপর শ্যাম্পু করে প্রচুর পরিমাণ পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এতে মাথার ত্বকের শুষ্কভাব দূর হবে। চুলও উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।
যাদের চুল পাতলা, তারা চুল ঘন কালো করতে আধা কাপ অলিভ অয়েল ভালোভাবে মাথায় ম্যাসাজ করে নিন। তারপর একটি তোয়ালে গরম পানিতে ভিজিয়ে ভালোভাবে নিংড়ে নিয়ে সারা মাথায় জড়িয়ে ৩০ মিনিট রাখুন।
যাদের চুল ভঙ্গুর বা অতিমাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তারা তেলের সঙ্গে একটি ডিম ভালোভাবে ফেটে মেশান। মিশ্রণটি সারা মাথায় মেখে ৩০ থেকে ৩৫ মিনিট রাখুন। সপ্তাহে একবার এই পদ্ধতি পালন করতে পারলে একমাসেই চুল স্বাস্থ্যোজ্জ্বল হয়ে উঠবে।
ছেলেদের ত্বক
শেইভিং ক্রিমের খুব ভালো বিকল্প হতে পারে অলিভ অয়েল। রিডার’স ডাইজেস্ট জানাচ্ছে, এই তেল দাড়ি নরম করে। পাশাপাশি নিখুঁত ও নরম শেইভ করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে যাদের ত্বক সংবেদনশীল তারা অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। শেইভিং ক্রিম ব্যবহারে অনেক সময় এলার্জির আশংকা থাকে, অলিভ অয়েলে সে ভয় থাকেনা। এমনকি যারা দাড়ি রাখেন তারাও দাড়ি ভালো রাখার জন্য নিয়মিত এই তেল ব্যবহার করতে পারেন।
-ফাতেমা বিনতে মমতাজ
স্ক্রাবার হিসেবে
মানুষের ত্বকে প্রতি নিয়তই মৃত কোষ জমে। আর এই মৃত কোষ গুলোর জন্য ত্বক অনুজ্জ্বল দেখায়। মৃত কোষ গুলোকে পরিষ্কার করার জন্য দরকার স্ক্রাবার ব্যবহার করা। অলিভ ওয়েলের সাথে লবণ মিশিয়ে আপনি বানিয়ে ফেলতে পারেন স্ক্রাবার। সপ্তাহে অন্তত দুই দিন এই পদ্ধতিতে পুরো মুখ, হাত, পা ম্যাসাজ করুন। ধীরে ধীরে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।
সুন্দর হাত-পা

যাদের হাত ও পায়ের ত্বক সুন্দর টান টান না এবং একটু কালচে তাঁরা প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে হাতে পায়ে অলিভ ওয়েল মেখে নিন। পায়ে অলিভ অয়েল ভালো করে ম্যাসাজ করে লাগিয়ে মোজা পড়ে ঘুমিয়ে থাকুন। সকালে উঠেই পার্থক্য বুঝতে পারবেন। নিয়মিত এভাবে অলিভ অয়েল লাগিয়ে ঘুমালে হাত পায়ের ত্বক উজ্জ্বল ও মসৃণ হয়।
নরম ঠোঁট
ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়ার প্রবণতা আছে যাদের তাঁরা প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক ফোঁটা অলিভ অয়েল আঙ্গুলে লাগিয়ে ঠোঁটে ঘষে নিন। তাহলে আর শুকনো ভাব থাকবে না। নিয়মিত ব্যবহার করলে ঠোঁটের কালচে ভাবও কমে যাবে।
এ পর্যায়ে জনাব সাইফুল নামের একজনের একটি প্রশ্নের উত্তর যোগ করার প্রয়াস পাচ্ছি
অলিভ অয়েল কি সরাসরি মাথার চুলে ব্যবহার করা যায়?
চুলের যত্নে অলিভ অয়েল অনেক বেশি উপকারি। এটি সরাসরিও চুলে ব্যবহার করা যায়, এতে কোনোপ্রকার ক্ষতি হয় না। তবে কিছু স্বাস্থ্যকর উপকরণের সাথে ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
যেভাবে ব্যবহার করবেন :
১. একটি চিরুনি অলিভ অয়েলের মধ্যে ডুবিয়ে নিন তারপর ফ্রিজি চুলে আঁচড়ে নিন। এতে চুল ময়েশচার হয়ে ফ্রিজিনেস কেটে যাবে।
২. শ্যাম্পু করার পর হাতের তালুতে কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল নিয়ে ভালো ভাবে দুই হাতে ঘষে ফেলুন। তারপর চুলে কন্ডিশনারের বদলে লাগিয়ে ফেলুন।
৩. সপ্তাহে অন্ততপক্ষে একবার হালকা গরম অলিভ অয়েল চুলে ভালো ভাবে ম্যাসাজ করে লাগান। এভাবে ২/৩ ঘণ্টা চুলে তেল লাগিয়ে রেখে শ্যাম্পু করুন। তারপর নিজেই লক্ষ করবেন শাইনি আর স্বাস্থ্যকর চুলের বাহার।
৪. সমপরিমাণ জলপাই তেল আর বাদামের তেল একসাথে মিশিয়ে চুলের গোড়ায় ঘষে ঘষে লাগিয়ে ১ ঘণ্টা অপেক্ষা করে শ্যাম্পু করে ফেলুন। এভাবে ৩ সপ্তাহ করলে খুশকি অনেকটা কমে আসবে।
৫. মাথায় অলিভ অয়েল ম্যাসাজ করে গরম পানিতে ডুবানো তোয়ালে দিয়ে মাথা পেঁচিয়ে নিতে হবে। খেয়াল রাখবেন তাপমাত্রা যেন সহ্য ক্ষমতার মধ্যে থাকে। তোয়েল ঠাণ্ডা হয়ে গেলে মাইক্রোওয়েভে আবার গরম করে নিন। এভাবে কয়েকবার করুন।
৬. একটি ডিমের কুসুমের সাথে ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল, ৫ ফোঁটা লেবুর রস মেশান। চুলে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন তারপর ধুয়ে ফেলুন। আপনার চুল হয়ে উঠবে নরম আর উজ্জ্বল।
জলপাইয়ের উপকারিতা
হৃদযন্ত্রের যত্নে জলপাই: 
যখন কোনো মানুষের রক্তে ফ্রির্যা ডিকেল অক্সিডাইজড কোলেস্টোরেলের মাত্রা বেড়ে যায় তখন হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেশি থাকে। জলপাইয়ের তেল হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়। জলপাইয়ের এ্যান্টি অক্সিডেন্ট রক্তের কোলেস্টেরেলের মাত্রা কমায়। ফলে কমে যায় হৃদরোগের ঝুঁকি।
ক্যান্সার প্রতিরোধে জলপাই:
কালো জলপাই ভিটামিন ই এর বড় উৎস। যা কিনা ফ্রির্যাডিকেলকে ধ্বংস করে। ফলে শরীরের অস্বাভাবিক ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। শুধু তাই নয়, জলপাইতে রয়েছে মনোস্যাটুরেটেড ফ্যাট। জলপাইয়ের ভিটামিন ই কোষের অস্বাভাবিক গঠনে বাধা দেয়। ফলে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কমে।
ত্বক ও চুলের যত্নে জলপাই:
কালো জলপাইয়ের তেলে রয়েছে ফ্যাটি এসিড ও এ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা কিনা ত্বক ও চুলের যত্নে কাজ করে। জলপাইয়ের তেল চুলের গোড়ায় লাগালে চুলের গোড়া মজবুত হয়। এতে চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যা দূর হয়। জলপাইয়ের ভিটামিন ই ত্বকে মসৃনতা
আনে। এছাড়া ত্বকের ক্যানসারের হাত থেকেও বাঁচায় জলপাই। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির কারণে ত্বকের যে ক্ষতি হয় তাও রোধ করে জলপাই।

হাড়ের ক্ষয়রোধ করে জলপাই:
এর মনোস্যাটুরেটেড ফ্যাটে থাকে এন্টি ইনফ্লামেটরি। রয়েছে ভিটামিন ই ও পলিফেনাল। যা কিনা অ্যাজমা ও বাত-ব্যাথা জনিত রোগের হাত থেকে বাঁচায়। বয়সজনিত কারণে অনেকেরই হাড়ের ক্ষয় হয়। এই হাড়ের ক্ষয়রোধ করে জলপাইয়ের তেল।
পরিপাকক্রিয়ায় সাহায্য করে জলপাই:
নিয়মিত জলপাই খেলে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। খাবার পরিপাকক্রিয়ায় সাহায্য করে জলপাই। শুধু তাই নয়, গ্যাস্ট্রিক ও আলসারে হাত থেকেও বাঁচায় জলপাই। জলপাইয়ের তেলে প্রচুর পরিমানে ফাইবার থাকে। যা বিপাক ক্রিয়ায় সাহায্য করে।
আয়রনের বড় উৎস জলপাই:
কালো জলপাই আয়রনের বড় উৎস। রক্তের লোহিত কনিকা অক্সিজেন পরিবহন করে। কিন্তু শরীরে আয়রনের অভাব হলে শরীরে অক্সিজেনের অভাব দেখা দেয়। ফলে শরীর হয়ে পড়ে দূর্বল। আয়রন শরীরের অ্যানজাইমকে চাঙ্গা রাখে।
চোখের যত্নে জলপাই:  

জলপাইয়ে ভিটামিন এ পাওয়া যায়। ভিটামিন এ চোখের জন্য ভালো। যাদের চোখ আলো ও অন্ধকারে সংবেদনশীল তাদের জন্য ঔষধের কাজ করে জলপাই। এছাড়াও জীবাণুর আক্রমণ, চোখ ওঠা, চোখের পাতায় ইনফেকশনজনিত সমস্যাগুলো দূর করে এই জলপাই।
বিভিন্ন রোগ দূর করে জলপাই:
সংক্রামক ও ছোঁয়াচে রোগগুলোকে রাখে অনেক দূরে। নিয়মিত জলপাই খেলে পিত্তথলির পিত্তরসের কাজ করতে সুবিধা হয়। পরিণামে পিত্তথলিতে পাথরের প্রবণতা কমে যায়। এই তেলে চর্বি বা কোলেস্টেরল থাকে না। তাই ওজন কমাতে কার্যকর। যেকোনো কাটা-ছেঁড়া, যা ভালো করতে অবদান রাখে। জ্বর, হাঁচি-কাশি, সর্দি ভালো করার জন্য জলপাই খুবই উপকারী।
রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় জলপাই:
জলপাইয়ে প্রাকৃতিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্টও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে, যা দেহের ক্যান্সারের জীবাণুকে ধ্বংস করে এবং রোগ প্রতিরোধ শক্তিকে বাড়ায় দ্বিগুণ পরিমাণে।
জলপাইয়ের মজাদার টক-মিষ্টি আচার 
যা প্রয়োজন
জলপাই- ১ কেজি
আখের গুড়/চিনি- ২ কাপ
সরিষার তেল- ২ কাপ
ভিনেগার- ১ কাপ
আস্ত সরিষা- ২ চা চামচ
সরিষা বাটা- ৩ টে চামচ
আদা/রসুন বাটা- ২ টে চামচ করে

হলুদ গুঁড়ো- ২ চা চামচ
লবণ-১ চা চামচ
শুকনো মরিচের রিং-২ টে চামচ
রসুন কোয়া- ৩টি আস্ত রসুনের
যেভাবে করবেন
-ফুটন্ত গরম পানিতে জলপাই ভাপ দিয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। বেশী সেদ্ধ করবেননা। জলপাইয়ের রঙ পরিবর্তন হলেই নামিয়ে ফেলুন।
-হাঁড়িতে তেল গরম করে আস্ত সরিষা ফোঁড়ন দিয়ে আদা-রসুন বাটা ভেজে নিন।
-আদা-রসুন দানা-দানা হয়ে গেলে সরিষা বাটা, হলুদ গুঁড়া দিয়ে কষিয়ে গুড়/চিনি ও ভিনেগার দিন। চিনির গলে গেলে জলপাই দিয়ে মিশিয়ে নিন।
-আঁচ মাঝারি রেখে রান্না করুন। মাঝে মাঝে নেড়ে দিন, যেন তলায় লেগে না যায়। তেল ছেড়ে আসলে নামিয়ে ঠান্ডা করে রসুন কোয়া ও মরিচের রিং মিশিয়ে বয়ামে ভরে নিন। -বয়ামে ভরার আগে কয়েকদিন কড়া রোদে দিতে পারলে আচার নষ্ট হবার ভয় থাকবেনা।
জলপাইয়ের টক-ঝাল আচার
উপকরণ: জলপাই ১ কেজি। আদা ও রসুন বাটা দেড় টেবিল-চামচ করে। সরিষাবাটা ৩,৪ টেবিল-চামচ। হলুদগুঁড়া ১ চা-চামচ। মরিচগুঁড়া ২ চা-চামচ। লবণ স্বাদ মতো। চিনি ১ চা-চামচ। সরিষার তেল দেড় কাপ। সিরকা বা ভিনিগার ৩০০ মিলি। আস্ত পাঁচফোড়ন ২ চা-চামচ। রসুনের কোঁয়া ৩টি। আস্ত শুকনামরিচ ইচ্ছা মতো। শুকনা মরিচকুচি ২,৩ টেবিল-চামচ।
পদ্ধতি: জলপাই ধুয়ে, পানি মুছে দুপাশ দিয়ে কেটে নিন। হাঁড়িতে তেল গরম করে আস্ত পাঁচফোড়ন, আদা-রসুন ও সরিষাবাটা দিয়ে কষিয়ে নিন। অল্প ভিনিগার দিয়ে, গুঁড়া মসলাগুলো কষিয়ে নিন খুব ভালো ভাবে।
 মসলার তেল ছেড়ে আসলে বাকি ভিনেগার ও জলপাই দিয়ে মিশিয়ে নিন।
চিনি ও লবণ দিন। আঁচ কমিয়ে রান্না করুন। জলপাই সিদ্ধ হয়ে তেল ছেড়ে আসলে নামিয়ে নিন।
ঠাণ্ডা করে রসুনের কোঁয়া ও শুকনামরিচ মিশিয়ে বয়ামে করে ভরে রাখুন।
জলপাই এর আচার
উপকরণ :
  • জলপাই - ১ কেজি 
  • আস্ত রসুন - ৩ টি ( কুচানো )
  • আস্ত লাল মরিচ - ১০ টি 
  • তেজপাতা - ৩ টি 
  • এলাচ - ৪ টি 
  • দারচিনি - ২ টি
  • পাঁচ ফোড়ন  - ৩ টেবিল চামচ 
  • সরিষা বাটা - ৩ টেবিল চামচ
  • লাল মরিচের গুঁড়া -১ চা চামচ 
  • হলুদের গুঁড়া -২ চা চামচ 
  • ভিনেগার - ১ কাপ 
  • চিনি - ২ কাপ বা আপনার স্বাদ  মত 
  • সরিষার তেল - ১/২ লিটার 
  • লবণ 
পদ্ধতি :
  • জলপাই ধুয়ে সিদ্ধ করে পানি ঝরিয়ে জলপাই গুলা ভর্তা করুন।  
  • ভর্তা করা জলপাই এ  লবণ , হলুদের গুঁড়া , লাল মরিচের গুঁড়া , সরিষা  বাটা ও ৪ টেবিল চামচ সরিষার তেল দিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে নিন ও সূর্যের আলো  বা রোদে  ৪ ঘণ্টা  রাখুন। 
  • একটি বড় পাত্রে তেল গরম করে আস্ত লাল মরিচ ,তেজপাতা , রসুন, পাঁচ ফোড়ন  , এলাচ ,দারচিনি দিয়ে ৪-৫ সেকেন্ড ভাজুন।  তারপর তাতে জলপাই দিয়ে আবার নাড়তে থাকুন। চিনি ও লবণ  দিয়ে নেড়ে ৫ মিনিট রান্না করুন। 
  • এরপর ভিনেগার দিয়ে অল্প আঁচে আরো ৫ মিনিট রান্না করুন।   
  • তৈরী হয়ে গেল জলপাই এর আচার। ঠাণ্ডা  হলে কাঁচের জারে  সংরক্ষণ করুন। 
আচার ও চাটনি - জলপাইয়ের টক-ঝাল আচার
উপকরণ: জলপাই ১ কেজি। আদা ও রসুন বাটা দেড় টেবিল-চামচ করে। সরিষাবাটা ৩,৪ টেবিল-চামচ। হলুদগুঁড়া ১ চা-চামচ। মরিচগুঁড়া ২ চা-চামচ। লবণ স্বাদ মতো। চিনি ১ চা-চামচ। সরিষার তেল দেড় কাপ। সিরকা বা ভিনিগার ৩০০ মিলি। আস্ত পাঁচফোড়ন ২ চা-চামচ। রসুনের কোঁয়া ৩টি। আস্ত শুকনামরিচ ইচ্ছা মতো। শুকনা মরিচকুচি ২,৩ টেবিল-চামচ।
পদ্ধতি:
  • জলপাই ধুয়ে, পানি মুছে দুপাশ দিয়ে কেটে নিন। হাঁড়িতে তেল গরম করে আস্ত পাঁচফোড়ন, আদা-রসুন ও সরিষাবাটা দিয়ে কষিয়ে নিন। অল্প ভিনিগার দিয়ে, গুঁড়া মসলাগুলো কষিয়ে নিন খুব ভালো ভাবে।
  • মসলার তেল ছেড়ে আসলে বাকি ভিনেগার ও জলপাই দিয়ে মিশিয়ে নিন।
  • চিনি ও লবণ দিন। আঁচ কমিয়ে রান্না করুন। জলপাই সিদ্ধ হয়ে তেল ছেড়ে আসলে নামিয়ে নিন।
  • ঠাণ্ডা করে রসুনের কোঁয়া ও শুকনামরিচ মিশিয়ে বয়ামে করে ভরে রাখুন।
জলপাইয়ের টক-ঝাল আচার
যা প্রয়োজন
জলপাই- ১ কেজি
আদা/রসুন বাটা- দেড় টে চামচ করে

সরিষা বাটা- ৩-৪ টে চামচ
হলুদ গুঁড়া- ১ চা চামচ
মরিচ গুঁড়া- ২ চা চামচ
লবণ/চিনি- ১ চা চামচ করে
সরিষার তেল- দেড় কাপ
সিরকা/ভিনেগার- ৩০০ মিলি
আস্ত পাঁচফোড়ন- ২ চা চামচ
রসুনের কোয়া- ৩টি রসুনের
শুকনা মরিচ- ইচ্ছামতো
শুকনা মরিচের রিং- ২-৩ টে চামচ
যেভাবে করবেন
-
জলপাই ধুয়ে, পানি মুছে দুইপাশ দিয়ে কেটে নিন।
-
হাঁড়িতে তেল গরম করে আস্ত পাঁচফোড়ন ফোঁড়ন দিয়ে আদা-রসুন ও সরিষা বাটা কষিয়ে নিন।
-
এবার অল্প ভিনেগার দিয়ে গুঁড়া মসলা কষিয়ে নিন খুব ভালো ভাবে। মসলার তেল ছেড়ে আসলে বাকি ভিনেগার ও জলপাই দিয়ে মিশিয়ে নিন।
-
চিনি ও লবণ দিন। আঁচ কমিয়ে রান্না করুন।
-
জলপাই সেদ্ধ হয়ে তেল ছেড়ে আসলে নামিয়ে নিন। ঠান্ডা করে রসুনের কোয়া ও শুকনা মরিচ মিশিয়ে বয়ামে ভরে নিন।
ডুবো তেলে জলপাই এর ঝাল আচার
উপকরণঃ 
জলপাই ১ কেজি
শুকনা মরিচ গুড়া ২ চা চামচ
আদা বাটা ১ টেবিল চামচ
রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ
হলুদের গুঁড়া ১ চা চামচ
সরিষার বাটা ১ টেবিল চামচ
লবন ১ চা চামচ
সরিষার তেল ৩ কাপ
পাঁচফোড়ন গুড়া ১ চা চামচ
ভিনেগার ১/২ কাপ
প্রণালীঃ 
জলপাই ভাল করে ধুয়ে এবার পানিতে সিদ্ধ দিতে হবে। সিদ্ধ হলে নামিয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। সিদ্ধ করা জলপাই গুলো ছড়িয়ে দিন, এতে জলপাইয়ের গায়ে লেগে থাকা পানি শুকিয়ে যাবে। কড়াইতে তেল গরম করে পাঁচফোড়ন গুড়া ও ভিনিগার বাদে সব মশলা দিয়ে ভালো করে কষিয়ে ভিনেগার দিয়ে দিন। কিছুক্ষন নেড়ে জলপাই দিয়ে নাড়ুন। নামানোর আগে পাঁচফোড়ন গুড়া দিয়ে নামিয়ে ফেলুন। ঠাণ্ডা করে বয়েম রাখুন।
গোটা জলপাইয়ের ঝাল আচার
উপকরণ: জলপাই ১ কেজি, সরিষার তেল ৫০০ গ্রাম, কাঁচা মরিচ ২০টি, রসুন ২টি, আদা ১৫০গ্রাম, হলুদ গুড়া ১চা চামচ, সরিষা দানা ২চা চামচ, ভিনেগার ১ বোতল, লবণ
২ টেবিল চামচ, পাচঁফোড়ন ২ টেবিল চামচ, মৌরি ২চা চামচ, কালোজিরা ১ টেবিল চামচ।
প্রণালী: জলপাই, কাঁচামরিচ, রসুন, আদা ও সরিষার তেল ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। জলপাইয়ের চারপাশে চির কেটে লবণ ও হলুদ মেখে রোদে শুকিয়ে নিন।
আদা, রসুন, সরিষা ও কাঁচামরিচ ভিনেগার ব্লেন্ডারে পেস্ট তৈরি করুন। কালোজিরা, মৌরি, ও পাঁচফোড়ন শিলপাটায় হালকা গুড়া করে নিন।
সবশেষে বড় কাঁচের বোতলে সব মশলা একত্রে মিশিয়ে নিন। এরপর জলপাই ও তেল দিয়ে বোতলের মুখ লাগিয়ে দিন। পর পর কয়েকদিন আচার রোদে দিলে তা খাওয়ার উপযোগী হবে।
জলপাইয়ের ঝাল-টক-মিষ্টি আচার
উপকরণ: জলপাই ১ কেজি, শুকনা মরিচ ১২টি, মৌরি ১ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ, হলুদের গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, জিরা গুঁড়া ১চা চামচ, মিষ্টি জিরা ২চা চামচ, সরিষার গুঁড়া/বাটা ১ টেবিল চামচ, লবণ ১চা চামচ, চিনি ৩ কাপ, সরিষার তেল ৩ কাপ, পাঁচফোড়ন ১চা চামচ।
প্রণালী: প্রথমে জলপাই গুলো ভাল করে ধুয়ে ১ লিটার পরিমান পানিতে সিদ্ধ দিতে হবে। ৮ থেকে ১০ মিনিট পর জলপাই সেদ্ধ হলে চুলা থেকে নামিয়ে পানি ঝরিয়ে নিন।
এরপর সেদ্ধ করা জলপাই ছড়িয়ে দিন
, এতে সেগুলোর গায়ে লেগে থাকা পানি শুকিয়ে যাবে। কড়াইতে তেল গরম করে এতে রসুন, সরিষা দিয়ে ৫ মিনিট কষাতে হবে। এরপর সেদ্ধ জলপাই তেল দিয়ে আস্তে আস্তে নাড়তে থাকুন। ১০ মিনিট পরে হলুদের গুঁড়া ও মরিচের গুঁড়া দিয়ে নাড়ুন।
সবশেষে জিরা, পাঁচফোড়ন ও চিনি দিয়ে অল্প আঁচে নাড়ুন। নাড়তে নাড়তে তেল খানিকটা উপরে উঠলে চুলা থেকে নামিয়ে ট্রেতে রাখুন।
ঠাণ্ডা হলে কড়া রোদে ৩ থেকে ৪ ঘন্টা শুকাতে দিন, রোদে পানি টেনে নিয়ে আচার চটচটে হলে বৈয়ামে ভরে রাখুন।
মাঝে মাঝে আচারের বৈয়াম রোদে দিতে পারেন এতে আচার ভাল থাকবে COPYCAT OLIVE GARDEN DRESSING
Ingredients
  • 1/3 cup White Vinegar
  • 1/2 cup Vegetable Oil
  • 1/4 cup Olive Oil
  • 1 tsp Mayonnaise
  • 1/2 tsp Garlic Powder
  • 1/2 tsp Sugar
  • 1/4 tsp Pepper
  • 1/2 tsp Salt
  • 1/2 tsp Italian Seasoning
  • 1 packet Good Seasons Italian Salad Dressing
  • 1 tsp grated Parmesan
  • 1/8 tsp Lemon Juice
  • 1/4 tsp Xanthan Gum (optional)
  • 4 tbsp Water
Directions
  1. Combine ingredients and blend until well mixed.
  2. Chill until ready to serve.
    20 health benefits of olives
10 foods to boost your immune system
Here are some interesting olive health facts:
 - Olives eliminate excess cholesterol in the blood.
 - Olives control blood pressure.
 - Olives are a source of dietary fibre as an alternative to fruits and vegetables.
 - Olives are a great source of Vitamin E
 - Olives act as an antioxidant, protecting cells
 - Olives reduce the effects of degenerative diseases like Alzheimer's, benign and malignant tumours, including less serious varicose veins and cavities
 - Olives help prevent blood clots that could lead to a myocardial infarction or deep vein thrombosis (DVT)
 - Olives protect cell membranes against diseases like cancer
 - Olives are a great protection against anaemia
 - Olives enhances fertility and reproductive system
 - Olives play an important role in maintaining a healthy immune system, especially during oxidative stress and chronic viral diseases
 - And just in case these benefits weren’t enough, they are also a great aphrodisiac.
 - Olives are nutritious and rich in mineral content as sodium, potassium, magnesium, iron, phosphorus and iodine
 - Olives provide essential vitamins and amino acids.
 - Olives contain oleic acid, which has beneficial properties to protect the heart.

 - Olives contain polyphenols, a natural chemical that reduce oxidative stress in the brain. So by eating a daily serving of olives helps improve your memory by up to 25%.
 - Just one cup of olives is a great source of iron – 4.4mg.
 - Eating olives can improve the appearance of wrinkles by 20% since they contain oleic acid, which keeps skin soft and healthy.
 - By eating just 10 olives before a meal, you can reduce your appetite by up to 20%. This is because the monounsaturated fatty acids contained in olives slow down the digestion process and stimulate the hormone cholecystokinin, a hormone that sends messages of fullness to the brain.
 - Not only does it do that, but it also helps your body to stimulate the production of adiponectin, a chemical that burns fat for up to five hours after ingestion.


No comments:

Post a Comment