Friday, November 3, 2017

 বেদানা, আনার বা ডালিম / pomegranate
বেদানাআনার বা ডালিম এর বৈজ্ঞানিক নাম: Punica granatum, ইংরেজি
নাম: pomegranate এটি Lythraceae পরিবারের Punica গণের অন্তর্ভুক্ত ফলের গাছ।এটি রকমের ফল । এর ইংরেজি নাম পমেগ্রেনেট (pomegranate)হিন্দুস্তানি, ফার্সি ও পশতু ভাষায় একে আনার (انار) বলা হয়। কুর্দি ভাষায় হিনার এবং আজারবাইজানি ভাষায় একে নার বলা হয়। সংস্কৃত এবং নেপালি ভাষায় বলা হয় দারিম। বেদানা গাছ গুল্ম জাতীয়, ৫-৮ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। পাকা ফল দেখতে লাল রঙের হয় । ফলের খোসার ভিতরে স্ফটিকের মত লাল রঙের দানা দানা থাকে । সেগুলি খাওয়া হয় ।
এর আদি নিবাস ইরান এবং ইরাক। ককেশাস অঞ্চলে এর চাষ প্রাচীনকাল থেকেই হয়ে আসছে। সেখান থেকে তা ভারত উপমহাদেশে বিস্তার লাভ করেছে। বর্তমানে এটি তুরস্ক, ইরান, সিরিয়া, স্পেন, আজারবাইজান, আর্মেনিয়া, আফগানিস্তান, ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ইরাক, লেবানন, মিশর, চীন, , সৌদি আরব, ইসরাইল, জর্ডান, ফিলিপাইন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার শুস্ক অঞ্চল, ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল, দক্ষিণ ইউরোপ এবং ক্রান্তীয় আফ্রিকায় ব্যাপকভাবে চাষ করা হয়। স্পেনীয়রা ১৭৬৯ সালে ল্যাটিন আমেরিকা এবং ক্যালিফোর্নিয়াতে বেদানা নিয়ে যায়। ফলে বর্তমানে ক্যালিফোর্নিয়া ও এরিজোনায় এর চাষ হচ্ছে। উত্তর গোলার্ধে এটি সেপ্টেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মৌসুমে জন্মে। দক্ষিণ গোলার্ধে মার্চ থেকে মে পর্যন্ত এটি জন্মে।
বার্মা
ডালিম ফল আয়ুর্বেদিক ও ইউনানী চিকিৎসায় পৈথ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ডালিমে বিউটেলিক এসিড, আরসোলিক এসিড এবং কিছু আ্যলকালীয় দ্রব্য যেমন- সিডোপেরেটাইরিন, পেপরেটাইরিন, আইসোপেরেটাইরিন, মিথাইলপেরেটাইরিন প্রভৃতি মূল উপাদান থাকায় ইহা বিভিন্ন রোগ উপশমে ব্যবহৃত হয়। কবিরাজী মতে ডালিম হচ্ছে হৃদয়ের শ্রেষ্ঠতম হিতকর ফল। এ ফল কোষ্ঠ রোগীদের জন্য উপকারী বলে মনে করা হয়। গাছের শিকড়, ছাল ও ফলের খোসা দিয়ে আমাশয় ও উদরাময় রোগের ওষুধ তৈরি হয়। ইহা ত্রিদোষ বিকারের উপশামক, শুক্রবর্ধক, দাহ-জ্বর পিপাসানাশক, মেধা ও বলকারক, অরুচিনাশক ও তৃপ্তিদায়ক। ডালিমের ফুল রক্তস্রাবনাশক।
১. রক্তপাত বন্ধ করতে ডালিম ফুল অত্যন্ত কার্যকরী। হঠাৎ দুর্ঘটনায় শরীরের কোনো অংশ ছিঁড়ে গেলে, থেঁতলে গেলে বা কেঁটে রক্তপাত হলে ডালিম ফুল কচলিয়ে ক্ষতস্থানে লাগিয়ে চেপে ধরলে রক্তপাত বন্ধ হয়ে যায়। ফুল না পেলে পাতাও ভালো কাজ করে।
২. হঠাৎ নাক দিয়ে রক্ত পড়া রোগের মহৌষধ ডালিম ফুলের রস। নাক দিয়ে রক্ত পড়া
বা রক্তঝরা একটি সাধারণ রোগ। বহু মানুষের এরকম হয়। অনেকের বিনা কারণে নাক দিয়ে রক্ত যায়। শিশুদের মাঝেও এটা লক্ষ্য করা যায়। হঠাৎ করেই এরকম হয়। আঘাত, পলিপ বা কোনো কারণ ব্যতীত যদি নাক দিয়ে রক্ত পড়ে বা রক্ত যায় ডালিম ফুল কচলিয়ে রস নিয়ে নাকে শ্বাস নিলে রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যায়।
৩. আমাশয় নিরাময়ে ডালিমের খোসা। যারা আমাশয়ের রোগী, ডালিমের খোসা সিদ্ধ করে সেবন করলে আমাশয় নিরাময়ে ভলো ফল পাওয় যায়। আমাশয় নিরাময়ে ডালিমের কাঁচা খোসা এবং শুকনা খোসা দুটোই কার্যকরী। তাই ডালিম খেয়ে খোসা ফেলে না দিয়ে শুকিয়ে ঘরে রেখে দেয়া ভালো।
৪. ডালিম গাছের ছাল গুঁড়ো করে ছড়িয়ে দিলে শরীরের যে কোনো স্থানের বাগি বা
উপদংশ নিরাময়ে ভালো কাজ করে। মহিলাদের প্রদররোগ নিরাময়ে ডালিম ফুল উপকারী। প্রদর একটি জটিল মেয়েলি রোগ। প্রদর দু’প্রকার। শ্বেতপ্রদর ও রক্তপ্রদর। উভয় প্রকার প্রদরে ৪/৫টি ডালিম ফুল বেটে মধুর সাথে মিশিয়ে কিছুদিন সেবন করলে রোগ সেরে যায়।
৫. গর্ভপাত নিরাময়ে ডালিমের গাছের পাতা উপকারী। বহু মহিলার গর্ভসঞ্চারের দুই তিন মাসের মধ্যে গর্ভপাত হয়ে যায়। কোনো কোনো মহিলার একাধিকবার এরকম হয়। ডালিম গাছের পাতা বেটে মধু ও দধি একসাথে মিশিয়ে সেবন করলে গর্ভপাতের আশংকা দূর হয়।
৬. ডালিম গাছের শিকড় ক্রিমিনাশক। ক্রিমির সমস্যা আমাদের জাতীয় সমস্যা। ক্রিমির কারণে শিশু থেকে বুড়ো পর্যন্ত সবাই নানাবিধ জটিলতায় ভোগে। ডালিম গাছের মূল বা
শিকড় থেকে ছাল নিয়ে চূর্ন করে চুনের পানির সাথে মিশিয়ে সেবন করলে আনায়াসেই ক্রিমিনাশ হয়। বয়স ভেদে ১-৩ গ্রাম পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে।
৭. শিশুদের পেটের রোগ নিরাময়ে ডালিম গাছের ছাল। শিশুরা বিভিন্ন প্রকার পেটের পীড়ায় ভোগে। যেসব শিশু পেট বড় হওয়াসহ বিভিন্ন প্রকার পেটের পীড়ায় ভোগে তাদেরকে জন্য ডালিম গাছের শিকড় থেকে ছাল নিয়ে গুঁড়ো করে মধুর সাথে মিশিয়ে সেবন করতে দিলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
মূলত, ডালিম গাছ- ফল, ফলের খোসা, পাতা থেকে শুরু করে শিকড় পর্যন্ত কোনোটাই ফেলনা নয়। আগাগোড়া মানুষের উপাকরী।
বেদানা ফলের উপকারিতা।
কোলেস্টরল নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে :
বেদানার প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকার কারনে টক্সিন রিমুভ করে ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে।বেদানার উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এল ডি এল বা ব্যড কোলেস্টরল নিয়ন্ত্রনে রাখতে সাহায্য করে।
হার্টে অক্সিজেন সরবরাহে ও রক্ত চলাচল ভাল রাখতে বেদানার রস বেশ সাহায্য করে। গবেষনায় জানা গিয়েছে যে ৩ মাস প্রতিদিন এক কাপ করে বেদানার রস খেলে করোনারি হার্ট ডিজিজের পেশেন্টের হার্টের মাসলসে অক্সিজেন সরবরাহ ভাল হয়।
ফ্রি রেডিকেলস্‌ প্রতিরোধ করে কোলেস্টরেল বৃদ্ধিতে বাধা দান করে।
ত্বকের উজ্জলতা বজায় রাখে :
পোমেগ্র্যানেট অয়েল ময়শ্চারাইজার হিসেবে দারুন কাজ করে। এছাড়া পোমেগ্র্যানেট অয়েলে রয়েছে এমন অনেক প্রাকৃতিক উপাদান যা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ প্রতিরধ করে, ত্বকের ইলাস্টিসিটি বজায় রেখে ত্বক সুরক্ষিত রাখে।বিউটি টনিক হিসাবে তাই পোমেগ্র্যানেট অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।
পোমেগ্র্যানেট অয়েলের অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান মাসলসের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
স্পা ট্রিটমেন্টেও পোমেগ্র্যানেত অয়েল অ্য্যন্টি এজিং প্রডাক্ট হিসাবে ব্যবহার করা হয়। রিফ্রেশিং স্পা ড্রিঙ্ক হিসাবে পোমেগ্র্যানেট জুস ট্রাই করতে পারেন।
ফলিক অ্যাসিড , ভিটামিন সি , সাইট্রিক অ্যাসিড , ট্যানিন সমৃদ্ধ বেদানা ত্বকের স্বাস্থ ভাল
রাখার জন্যে উপকারী।
ত্বকের স্ট্রেস রিলিফ করতেও বেদানা জুস সাহায্যকরে। মাসাজের জন্যে তাই ব্যবহার করতে পারেন।
হূৎস্বাস্থ্যের জন্য: বেদানার রস হূৎপিণ্ডের মাংসপেশিতে দ্রুত অক্সিজেন পৌঁছে দেয়। এ ছাড়া উচ্চ রক্তচাপ ও হূদেরাগ প্রতিরোধেও এটি কার্যকর। এক গবেষণায় দেখা গেছে, টানা তিন মাস নিয়ম করে বেদানার রস খেলে হূৎস্বাস্থ্যের উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়।
ঠান্ডা-কাশিতে: ঠান্ডায় আক্রান্ত হলে বেদানার রস খেতে পারেন। যখন খুব কাবু হয়ে যাবেন ঠান্ডায়, সারা দিন ধরে একটু একটু করে বেদানার রস খেয়ে নিন। দিন শেষে পার্থক্যটা নিজেই বুঝবেন।
দাঁত সুরক্ষায়: বেদানায় থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট দাঁতে প্লাক জমতে বাধা দেয়। এ ছাড়া মাড়ির জিনজিভাইটিস রোগ প্রতিরোধেও বেদানার ভূমিকা অপরিসীম। তাই দাঁত সুরক্ষায় বেদানা খান।
ত্বক সুরক্ষায়: বেদানা ত্বকে সুরক্ষা বন্ধনী তৈরি করে। ত্বকে নতুন কোষ উৎপাদনকারী উপাদান থাকে বেদানায়। এ ছাড়া চোখের নিচে পড়া বয়সের ছাপ দূর করতে পারে এ ফল।
হাড়ের জন্য: বেদানায় আছে পটাশিয়াম ও পলিফেনল, যা হাড় ও হাড়ের সংযোগস্থলের কার্টিলেজের জন্য খুব উপকারী। তাই নিয়মিত বেদানা খেলে অস্টিওপোরেসিসসহ হাড়ের নানাবিধ রোগ এড়ানো যায়।
ডায়রিয়া প্রতিরোধে উপকারি :
ডায়রিয়ার সমস্যায় বেদানার জুস খুব উপকারি। দিনে ২-৩ বার বেদানার জুস খেতে পারলে এই সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব।
ইমিউন সিস্টেম মজবুত করতে বেদানা সাহায্য করে। শীতের সময় সর্দি কাশি জ্বর প্রতিরোধ করার জন্যে বেদানার জুস খেতে পারেন।
অজীর্ণ রোগের উপশমে বেদানার জুস উপকারি।
বমিভাব কমাতে হলে মধু ও বেদানার রস সমপরিমাণে মিশিয়ে খেতে পারেন।
জানেন কী ?
গ্রিন টি ও রেড ওয়াইনের থেকে বেদানার জুসে প্রায় ৩ গুন বেশি অ্যান্টি অক্সিজেন রয়েছে। এমন কি ব্লুবেরি ক্রানবেরি ও কমলালেবুর থেকেও বেদানায় অ্যান্টি অক্সিজেন বেশি পরিমানে রয়েছে।
রান্না করা খাবারের সঙ্গেও বেদানা মিশিয়ে খেতে পারেন।অ্যাসিডিটি হওয়ার সম্ভাবনা কম।
অন্যান্য উপকারিতা :
গবেষনায় জানা গিয়েছে যে প্রস্টেট ক্যানসার , স্কিন ক্যানসার প্রতিরোধে করতে বেদানা

সাহায্য করে
বেদানা অ্যালজাইমার রোগের গতি কমাতে সাহায্য করে অনেকাংশে প্রতিরোধও করে।
পটাশিয়াম ও ফাইবার সমৃদ্ধ বেদানা শীতের সময়ের উপযুক্ত ফল।
প্রেগনেন্ট মহিলারা ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে বেদানার জুস খেতে পারেন। কারন গবেষণায় জানা গিয়েছে, লো-অক্সিজেন বা রিডিউসড ব্লাড ফ্লো-এর কারনে বেরির ব্রেন ডিফেক্ট হওয়ার সম্ভাবনা থেকে বেবিকে রক্ষা করতে বেদানা সাহায্য করে।
কার্টিলেজের ভাঙ্গনের হার কমিয়ে অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধ করতে বেদানা সাহায্য করে।
বেদানায় রয়েছে ভিটামিন বি (রাইবোফ্লোভিন , থায়ামিন ও নায়াসিন), ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস।
গলা ব্যথা কমাতেও বেদানার রস খাওয়া যেতে পারে।
১ কাপ বেদানার জুসে ১ চা চামচ দারচিনি গুঁড়ো অল্প মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।মেন্সট্রুয়েশনের কারনে অ্যানিমিয়ার সমস্যায় খুবই কাজে দেয়। প্রতিদিন ১কাপ বেদানার জুস খেতে পারেন।
বেদানা বা ডালিমকে স্বর্গীয় ফল বলা হয়। কারণ এর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধের জাদুকরী গুণ। ডালিম বা বেদানা ফল মোটামুটি সারা বছর পাওয়া গেলেও এখন চলছে ডালিমের ভরা মৌসুম। আপেলের মতো ডালিমও রোগীর উপকারী ফল হিসেবে খুবই জনপ্রিয়। এর ইংরেজি নাম pomegranateবৈজ্ঞানিক নাম Punica granatum
প্রতি 100 গ্রাম প্রতি পুষ্টি মান
(উৎস: ইউএসডিএ ন্যাশনাল নিউট্রিন্ট ডেটা বেস)
RDA এর পুষ্টি উপাদান নিউট্রিয়েন্ট মূল্য শতাংশ
শক্তি                      83 Kcal       4%
কার্বোহাইড্রেট 18.70 গ্রাম 14%
প্রোটিন            1.67 গ্রাম    3%

মোট চর্বি      1.17 গ্রাম  6%
কোলেস্টেরল 0 মিলিগ্রাম  0%
খাদ্যতালিকাগত ফাইবার 4 গ্রাম 11%
ভিটামিন
ফোলোট                 38 μg                            9.5%
নিয়াসিন                  0.293 মিলিগ্রাম    2%
প্যান্টোফেনিক এসিড 0.135 মিলিগ্রাম 3%
পাইরিডোনিন 0.075 মিলিগ্রাম         6%
রিবোফ্লাভিন 0.053 মিলিগ্রাম              4%
থিয়মিন        0.067 মিগ্রা                   5.5%
ভিটামিন এ    0 আই ইউ              0%
ভিটামিন সি        10.2 মিগ্রা         17%
ভিটামিন ই            0.60 মিগ্রা       4%
ভিটামিন কে                 16.4 μg              14%
ইলেক্ট্রোলাইট
সোডিয়াম                 3 মিলিগ্রাম    0%

পটাসিয়াম              36 মিলিগ্রাম 5%
খনিজ পদার্থ
ক্যালসিয়াম           10 মিলিগ্রাম    1%
কপার                    0.158 এমজি      18%
আয়রন                    0.30 মিগ্রা      4%
ম্যাগনেসিয়াম    1২ মিলিগ্রাম     3%
ম্যাগনেস            0.119 মিলিগ্রাম 5%
ফসফরাস          36 মিলিগ্রাম     5%
সেলেনিয়াম      0.5 μg                1%
জিংক                0.35 মিগ্রা            3%
Phyto-পুষ্টি
ক্যারোটিন-                        α 0 μg -
ক্রিপ্টো-জেনথিন-বিটা 0 μg -
ডালিমের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল যে তাদের সামগ্রীটি সাইট্রিক ও ম্যালিক এসিডের মত এসিড বহন করে। সাইট্রিক এসিড মূত্রত্যাগের সাহায্যে প্রস্রাবের মাধ্যমে ইউরিক এসিড এবং তার লবণকে দূর করতে সহায়তা করে। যদি আপনি আমাকে জিজ্ঞাসা করেন, এটি দেখায় যে ডাইমেনটিটি গাউট রোগীদের জন্য সুপারফিউড হিসেবে গণ্য করা উচিত।
বেদানা, আনার বা ডালিম এক রকমেরই ফল। বাংলাদেশের অনেক স্থানে এটি বেদানা নামেও পরিচিত। পাঞ্জাব ও কাশ্মীরেও এ ফলকে বেদানা বলে। বেদানা আকারে ডালিমের চেয়ে অনেক ছোট এবং মিষ্টি স্বাদের। হিন্দি, উর্দু, ফার্সি ও পশতু ভাষায় একে আনার বলা হয়। কুর্দি ভাষায় ‘হিনার’ এবং আজারবাইজানি ভাষায় একে ‘নার’ বলা হয়। সংস্কৃত এবং নেপালি ভাষায় বলা হয় ‘দারিম’। বেদানা গাছ গুল্ম জাতীয়, ৫-৮ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। পাকা ফল দেখতে লাল রঙের হয়। ফলের খোসার ভিতরে স্ফটিকের মত লাল রঙের দানা দানা থাকে। সেগুলোই খেতে হয়। এর আদি নিবাস ইরান এবং ইরাক। ডালিম ফল ডালিমগাছের পাতা, ছাল, মূল, মূলের ছাল সবই ওষুধি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ককেশাস অঞ্চলে এর চাষ প্রাচীনকাল থেকেই হয়ে আসছে। সেখান থেকে তা ভারত উপমহাদেশে বিস্তার লাভ করেছে।

বর্তমানে এটি তুরস্ক, ইরান, সিরিয়া, স্পেন, আজারবাইজান, আর্মেনিয়া, আফগানিস্তান, ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ইরাক, লেবানন, মিশর, চীন, মিয়ানমার, সৌদি আরব, ইসরাইল, জর্ডান, ফিলিপাইন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার শুষ্ক অঞ্চল, ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল, দক্ষিণ ইউরোপ এবং ক্রান্তীয় আফ্রিকায় ব্যাপকভাবে চাষ করা হয়। স্পেনীয়রা ১৭৬৯ সালে ল্যাটিন আমেরিকা এবং ক্যালিফোর্নিয়াতে বেদানা নিয়ে যায়। ফলে বর্তমানে ক্যালিফোর্নিয়া ও এরিজোনায় এর চাষ হচ্ছে। উত্তর গোলার্ধে এটি সেপ্টেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মৌসুমে জন্মে। দক্ষিণ গোলার্ধে মার্চ থেকে মে পর্যন্ত এটি জন্মে।
ডালিম ফল কাঁচা অবস্থায় সবুজ এবং পাকলে হলুদ এবং লাল হয়। ফলের ভিতরে বীজের কোষ হয় এবং কোষের উপর পাতলা আবরণ থাকে। পাকা ফলে বীজ গোলাপী ও সাদা হয়। সাধারণত মে মাসে ফুল ও আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে ফল পাকে। তিন প্রকার স্বাদের
ডালিম দেখা যায় যথা, মিষ্টি, টক মিষ্টি এবং অম্লরস। দেশ ভেদে ডালিমের আকৃতি ও স্বাদের পার্থক্য দেখা যায়।
ডালিমের সবচেয়ে ভালো প্রজাতির নাম স্পেনিশ রুবি। এ ছাড়া অন্যান্য ভালো প্রজাতিগুলো হলো ঢোল্‌কা, ভাদকি ও জিবিজিআই, পেপার শেল, মাসকেড রেড, বেদানা ও কান্ধারী। ডালিম ফলের মোট ওজনের বৃহত্তর অংশই খোসা ও বীজ। ফুল ভেদে ডালিমকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। এক প্রকার গাছে শুধুমাত্র পুং ফুল ফোটে অন্যটিতে পুং এবং স্ত্রী দু’প্রকার ফুলই ফোটে।
ডালিম গাছ বেশ সহনশীল বলে অনুর্বর মাটিতে এটি সহজেই জন্মায়। নিয়মিত পরিচর্যা নিলে ডালিম গাছ থেকে সারা বছর ফল পাওয়া যায়। বাংলাদেশে ডালিমের চাহিদা ও বাজার মূল্যও বেশ ভালো। আয়ের দিক থেকে বিবেচনা করলে অন্য যেকোন ফলের তুলনায় ডালিমের চাষাবাদ কোন অংশেই কম নয়। কেননা, ডালিমের মূল্য বেশি হওয়ায় মধ্যম আকৃতির একটি ডালিম গাছ থেকে বছরে ৩০০০-৪০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করা যেতে পারে। তাই বাংলাদেশে ডালিমের চাষাবাদ বেশ লাভজনক ও সম্ভাবনাময়।

পুষ্টিমান ও ব্যবহার: ডালিমের পুষ্টিমান, ওষুধি গুণ ও বহুবিদ ব্যবহার অনেক ধর্মীয় বই থেকে অনেক স্থানে লেখা আছে। প্রতি ১০০ গ্রাম ডালিমে ৭৮ ভাগ পানি, ১.৫ ভাগ আমিষ, ০.১ ভাগ স্নেহ, ৫.১ ভাগ আঁশ, ১৪.৫ ভাগ শর্করা, ০.৭ ভাগ খনিজ, ১০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ১২ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম, ১৪ মিলিগ্রাম অক্সালিক এসিড, ৭০ মিলিগ্রাম ফসফরাস, ০.৩ মিলিগ্রাম রাইবোফ্লাভিন, ০.৩ মিলিগ্রাম নায়াসিন, ১৪ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি ইত্যাদি থাকে। আয়ুর্বেদ চিকিৎসা বিজ্ঞানে এর ব্যবহার সব জায়গায় পরিচিত।
ঔষধিগুণ: ডালিম ফল আয়ুর্বেদিক ও ইউনানী চিকিৎসায় পৈথ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ডালিমে বিউটেলিক অ্যাসিড, আরসোলিক অ্যাসিড এবং কিছু আ্যলকালীয় দ্রব্য যেমন- সিডোপেরেটাইরিন, পেপরেটাইরিন, আইসোপেরেটাইরিন, মিথাইলপেরেটাইরিন প্রভৃতি মূল উপাদান থাকায় ইহা বিভিন্ন রোগ উপশমে ব্যবহৃত হয়। কবিরাজী মতে ডালিম হচ্ছে হৃদয়ের
শ্রেষ্ঠতম হিতকর ফল। এ ফল কোষ্ঠ রোগীদের জন্য উপকারী বলে মনে করা হয়। গাছের শিকড়, ছাল ও ফলের খোসা দিয়ে আমাশয় ও উদরাময় রোগের ওষুধ তৈরি হয়। ইহা ত্রিদোষ বিকারের উপশামক, শুক্রবর্ধক, দাহ-জ্বর পিপাসানাশক, মেধা ও বলকারক, অরুচিনাশক ও তৃপ্তিদায়ক। ডালিমের ফুল রক্তস্রাবনাশক।
চলুন জেনে নেই বেদানার অজানা উপকারিতা সম্পর্কে:
হৃৎপিণ্ড ভালো রাখতে: আমাদের জীবনযাত্রায় অন্যতম আতঙ্ক রোগ হল হৃদরোগ। আর শরীর সুস্থ রাখতে হলে নিজেকে সচল রাখতে হবে। খাওয়া-দাওয়ায় সচেতন থাকতে হবে। আমাদের প্রতিনিয়ত ব্যস্ততার জন্য আমরা খুব বেশি জাঙ্ক ফুড কে খাবার হিসাবে বেছে নিয়েছি এর ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় আমাদের হৃদয়। তাই হৃদরোগ আমাদের জীবনযাত্রার সাথে যেন জড়িয়ে গিয়েছে। আর প্রতিদিন এই সকল তেল চর্বি জাতীয় খাবার গ্রহণ করে থাকার ফলে আমাদের ধমনীর আবরণে চর্বি জাতীয় পদার্থ জমে যাচ্ছে। যার ফলে ধমনী আস্তে আস্তে শক্ত হয়ে সংকুচিত হতে থাকে। হাতের কাছেই আছে হৃদরোগ ভালো রাখার
উপায়। মাংস পেশিতে দ্রুত অক্সিজেন পৌঁছে দেয় বেদানা রস। প্রতিদিন একটা বেদানার রস আপনাকে দিতে পারে হৃদরোগের হাজারো সমস্যা থেকে মুক্তি। নিয়মিত বেদানার রস এই চর্বির স্তরকে গলিয়ে পরিষ্কার করে। বেদানায় উপস্থিত থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট কোলেস্টরল নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে। যা আমদের শরীরে রক্তের মধ্যে মোনোসাইট কেমোট্যাকটিক প্রোটিন ক্ষতিকর পদার্থ কমিয়ে ফেলে।
ত্বক সুস্থ ও উজ্জ্বল রাখতে: ডালিম ত্বক সুস্থ রাখতে অনেক উপকার করে। বেদানা বা ডালিম পোমেগ্র্যানেট অয়েল ময়শ্চারাইজার হিসেবে ভালো কাজ করে ও ত্বকের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণকে প্রতিরোধ তৈরি করে থাকে। ফলিক অ্যাসিড, ভিটামিন সি, সাইট্রিক আসিড, ট্যানিন সমৃদ্ধ বেদানা ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে বিশেষ উপকারী।
স্কিন ক্যান্সার প্রতিরোধে: ডালিম বা বেদানার রস ক্যান্সার প্রতিরোধে অনেক উপকারি খাদ্য। এক গবেষণায় দেখা গেছে স্কিন ক্যান্সার ও প্রস্টেট ক্যানসার প্রতিরোধ করতে বেদানার রস সাহায্য করে। এবং অ্যানিমিয়া রোগীদের জন্য বেদানা রস খুবই উপকারি।
রক্তস্বল্পতা দূর করতে: রক্তস্বল্পতা দূর করার জন্য বেদানাতে রয়েছে প্রচুর আয়রন। রুচি বৃদ্ধি করে, কোষ্ট কাঠিন্য রোধ করে। জন্ডিস, বুক ধড়ফড়ানি, বুকের ব্যথা, কাশি, কণ্ঠস্বর পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। পুরনো পেটের অসুখ ও জ্বর সারাতে সাহায্য করে।
হাড় ভালো রাখতে: হাড়ের সংযোগস্থলে কার্টিলেজ নামে অস্থি রস থাকে যা হাড়ের ক্ষতি করে। বেদানার রসে আছে পটাশিয়াম ও পলিফেনল যা কিনা কার্টিলেজ নামক রোগ রোধ করার জন্য খুবই উপকারী। আর হাড়ের নানাবিধ রোগ যেমন হাড়ের রোগ অস্টিওপোরেসিস থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এই ফলটি থেকে।
দাঁতের যত্নে: বেদানাতে উপস্থিত রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা কিনা দাঁতে প্লাক জমতে বাধা দেয়। জিন জিভাইটিস নামে মাড়ির রোগ প্রতিরোধ করতে বেদানার ভূমিকা অপরিসীম। আমরা আমাদের দাঁত ভালো রাখার জন্য প্রতিদিন অল্প হলেও বেদানা খাওয়া উচিত।
ডায়রিয়া প্রতিরোধে: অনেকে ভাবেন ডায়ারিয়া হলে বেদানা খাওয়া ঠিক না। কিন্তু ডায়রিয়া থেকে রক্ষা পেতে বেদানার রস খুবই উপকারী। ডায়রিয়া হলে সকাল-বিকাল বেদানার রস খেলে ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
সর্দি-কাশি থেকে বাঁচতে: শীতের সময় সর্দি-কাশি লেগেই থাকে সর্দি-কাশি থেকে রক্ষা
পেতে আমরা বেদানার রস ওষুধ হিসাবে ব্যবহার করতে পারি। ঠাণ্ডায় খুব বেশি কাবু হয়ে গেলে বেদানার রস খেয়ে দেখলে পার্থক্যটা নিজেই অনুভব করতে পারবেন। বেদানাতে আছে পটাশিয়াম ও ফাইবার যা ইমিউন সিস্টেম মজবুত রাখতে সাহায্য করে।
কোলেস্টরল নিয়ন্ত্রণে: বেদানার প্রচুর পরিমাণে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা টক্সিন দূর করে ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে। কোলেস্টরল নিয়ন্ত্রনে বেদানার রসে আছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এল ডি যা হার্টের মাসলসে অক্সিজেন সরবরাহ ভাল রাখে। ফ্রি রেডিকেলস্‌ প্রতিরোধ করে কোলেস্টরেল বৃদ্ধিতে বাধা দেয়। নিজেকে সুস্থ রাখতে কৃত্রিম ওষুধের ওপরে নির্ভরশীল না হয়ে, প্রাকৃতিক উপায় গুলোর প্রতি মনযোগী হয়ে উঠতে হবে। প্রকৃতির অসাধারণ সব উপাদান আমাদের চারপাশেই ছড়িয়ে আছে যার অল্প একটু ব্যবহারই প্রতিদিন আমাদের রাখবে সুস্থ-সতেজ ও রোগ মুক্ত। আবার আর্টারি পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে বেদানা। বেদানার রস তাই রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে দারুণ কার্যকারী। এর পলিফেনল অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে। রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি হলে রোজ বেদানার রস খাওয়া উচিত।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: বেদানার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পটাশিয়াম ও ভিটামিন ‘সি’। প্রতিদিন বেদানার রস খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। এর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট গুণও গ্রিন টি বা রেড ওয়াইনের থেকে প্রায় তিন গুণ বেশি। এর মধ্যে রয়েছে তিন প্রকার অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। ট্যানিন, অ্যান্থো সিয়ানিন ও এলাজিক অ্যাসিড। অ্যান্থোসিয়ানিন দেহ কোষ সুস্থ রাখার ফলে ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে পারে। ফলে ফোলা ভাব কমে যায়, ক্ষয় রুখতেও সাহায্য করে।
রক্তচাপ কমাতে: প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকার কারণে বেদানা সিস্টোলিক ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ফলে স্ট্রেস, টেনশন কমে। হার্টের সমস্যা থাকলে হার্টের অসুখে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও কমে।
পেশির ব্যথা দূর করতে: বাত, অস্টিওআর্থারাইটিস, পেশির ব্যথা কমাতে সাহায্য করে বেদানা। তরুণাস্থির ক্ষয় রুখতেও উপকারী বেদানা।
দেহের ক্যান্সার প্রতিরোধে: শরীরে ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধিতে বেদানা সাহায্য করে। ফলে ক্যান্সার নিজে থেকেই মরে যায়। এই প্রক্রিয়াকে বলে অ্যাপপটোসিস। এর সাহায্যে ক্যানসার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে বেদানা। প্রস্টেট ক্যানসার, ব্রেস্ট ক্যানসারে ভাল কাজ করে বেদানার অ্যান্টিক্যানসার এজেন্ট।
ডালিম বা বেদানা গাছের স্বাস্থ্য গুণ
রক্তপাত বন্ধ করতে ডালিম ফুল অত্যন্ত উপকারী। হঠাৎ দুর্ঘটনায় শরীরের কোনো অংশ ছিঁড়ে গেলে, থেঁতলে গেলে বা কেঁটে রক্তপাত বের হলে ডালিম ফুল কচলিয়ে ক্ষতস্থানে লাগিয়ে চেপে ধরলে রক্তপাত বন্ধ হয়ে যায়। ফুল না পেলে পাতাও ভালো কাজ করে।

হঠাৎ নাক দিয়ে রক্ত পড়া রোগের মহৌষধ ডালিম ফুলের রস। নাক দিয়ে রক্ত পড়া বা রক্তঝরা একটি সাধারণ রোগ। বহু মানুষের এরকম হয়। অনেকের বিনা কারণে নাক দিয়ে রক্ত যায়। শিশুদের মাঝেও এটা লক্ষ্য করা যায়। হঠাৎ করেই এরকম হয়। আঘাত, পলিপ বা কোনো কারণ ব্যতীত যদি নাক দিয়ে রক্ত পড়ে বা রক্ত যায় ডালিম ফুল কচলিয়ে রস নিয়ে নাকে শ্বাস নিলে রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যায়।
আমাশয় নিরাময়ে ডালিমের খোসা। যারা আমাশয়ের রোগী, ডালিমের খোসা সিদ্ধ করে সেবন করলে আমাশয় নিরাময়ে ভলো ফল পাওয় যায়। আমাশয় নিরাময়ে ডালিমের কাঁচা খোসা এবং শুকনা খোসা দুটোই কার্যকরী। তাই ডালিম খেয়ে খোসা ফেলে না দিয়ে শুকিয়ে ঘরে রেখে দেয়া ভালো।
ডালিম গাছের ছাল গুঁড়ো করে ছড়িয়ে দিলে শরীরের যে কোনো স্থানের বাগি বা উপদংশ নিরাময়ে ভালো কাজ করে। মহিলাদের প্রদররোগ নিরাময়ে ডালিম ফুল উপকারী। প্রদর একটি জটিল মেয়েলি রোগ। প্রদর দু’প্রকার। শ্বেতপ্রদর ও রক্তপ্রদর। উভয় প্রকার প্রদরে ৪/৫টি ডালিম ফুল বেটে মধুর সাথে মিশিয়ে কিছুদিন সেবন করলে রোগ সেরে যায়।
গর্ভপাত নিরাময়ে ডালিমের গাছের পাতা উপকারী। বহু মহিলার গর্ভসঞ্চারের দুই তিন মাসের মধ্যে গর্ভপাত হয়ে যায়। কোনো কোনো মহিলার একাধিকবার এরকম হয়। ডালিম গাছের পাতা বেটে মধু ও দধি একসাথে মিশিয়ে সেবন করলে গর্ভপাতের আশংকা দূর হয়।
ডালিম গাছের শিকড় ক্রিমিনাশক। ক্রিমির সমস্যা আমাদের জাতীয় সমস্যা। ক্রিমির কারণে শিশু থেকে বুড়ো পর্যন্ত সবাই নানাবিধ জটিলতায় ভোগে। ডালিম গাছের মূল বা শিকড় থেকে ছাল নিয়ে চূর্ন করে চুনের পানির সাথে মিশিয়ে সেবন করলে আনায়াসেই ক্রিমিনাশ হয়। বয়স ভেদে ১-৩ গ্রাম পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে।

শিশুদের পেটের রোগ নিরাময়ে ডালিম গাছের ছাল। শিশুরা বিভিন্ন প্রকার পেটের পীড়ায় ভোগে। যেসব শিশু পেট বড় হওয়াসহ বিভিন্ন প্রকার পেটের পীড়ায় ভোগে তাদেরকে জন্য ডালিম গাছের শিকড় থেকে ছাল নিয়ে গুঁড়ো করে মধুর সাথে মিশিয়ে সেবন করতে দিলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
বেদানার খোসার ৫ উপকারিতা
বেদানার খোসা থেকে পাওয়া অ্যান্টিঅক্সিডাইটিস আমাদের শরীরের কোলেস্টেরল লেবেল ঠিক রাখতে সাহায্য করে৷
বেদেনার খোসা শুকিয়ে সেদ্ধ করে ঠান্ডা হওয়ার পর বেঁটে মুখে মাখলে ব্রনর সমস্যা দূর হয়৷
বেদেনার খোসা শুকিয়ে তার পাউডার বানিয়ে গোলাপ পানির সাথে মিশিয়ে মুখে মাখলে ত্বক উজ্জ্বল হয়৷
কাশি বা গলাব্যাথা হলে বেদানার খোসা থেকে তৈরি পাউডার গরমজলে ফুটিয়ে গারগেল করলে আরাম পাওয়া যায়৷
বেদানার খোসা থেকে তৈরি পাউডার এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে কুলকুচি করলে দাঁতের সমস্যা এবং মুখের দুর্গন্ধের সমস্যা দূর হয়৷
ডালিম বা বেদানার অপকারিতা
ডালিম গাছ, ফল, ফলের খোসা, পাতা থেকে শুরু করে শিকড় পর্যন্ত কোনোটাই ফেলনা নয়। আগাগোড়া মানুষের উপাকরী। আর ডালিম বা বেদানার রসের মধ্যে কত উপকারিতা তা বলে শেষ করা যাবে না। এর কোন অপকারিতা নেই। সুতরাং ডালিম বা বেদানার রস নিয়মিত খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে, এতে করে দেহের অনেক উপকার পাওয়া যাবে।
ডালিমের রস বা শরবত
ডালিম অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি পূর্ণ। এই ভিটামিন এবং এনজাইম "খারাপ" কোলেস্টেরলকে অক্সিডাইজ করার এবং ধমনীতে জোরদার করার জন্য পরিচিত। রক্তবর্ণ বীজ অ্যাসপিরিন
মত অনেক কাজ, একসঙ্গে sticking এবং বিপজ্জনক রক্ত ​​clocks গঠন রক্ত ​​প্ল্যাটলেট রাখা। রক্ত পাতলা গবেষণায় দেখানো হয় যে ডাইমিং গ্রহণকারী অক্সিজেনের মাত্রা হৃদয়কে বৃদ্ধি করতে পারে। তদুপরি, ডাইমেনটিটিগুলি হ'ল ক্রোমোজিয়াম ভেঙ্গে ফেলার এনজাইম ধীরে ধীরে বাতের প্রদাহ কমাতে পারে। ডালিমরা হৃদরোগের নিম্নতর ঝুঁকি, ডায়রিয়ার পাঠের উপসর্গ, ফাইট সেল ক্ষতি (বিনামূল্যে র্যাডিকেলস), ওজন কমানোর এবং নির্দিষ্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমানোর সাহায্য করে।
শেষ করতে শুরু করুন: 5 মিনিট
1 কাপ ডালিমের রস
6 ounce শক্ত কাগজ ভ্যানিলা ফ্যাট-বিনামূল্যে দই
2 টেবিল চামচ মধু
1/2 কাপ বরফ বরফ
দিকনির্দেশনা: একটি ব্লেন্ডারে, রস, দই এবং মধু মেশান। মসৃণ না হওয়া পর্যন্ত আবরণ এবং মিশ্রণ। বরফ যোগ করুন; আচ্ছাদিত এবং frothy পর্যন্ত মিশান। অবিলম্বে পরিবেশন করা
পুষ্টি উপাদান
প্রণালী প্রতি রন্ধন: 2 ক্যাল। (কেসিএল) 185, চোল। (এমজি) ২, কার্ব (g) 45, চিনি (g) 42, প্রোটিন (g) 3, সোডিয়াম (এমজি) 57,
শতাংশ দৈনিক মূল্য 2,000 ক্যালরি খাদ্যের উপর ভিত্তি করে
Pomegranate Berry Smoothie
Ingredients
2 cups Ocean Spray® Cran•Pomegranate™ Cranberry Pomegranate Juice Drink
1 cup frozen unsweetened red raspberries
1 cup strawberry sorbet
Directions
Combine cranberry pomegranate juice drink and raspberries in large blender. Blend on high speed for 15 seconds or until smooth and slushy. Add sorbet. Blend on medium speed for 5 seconds or until mixed.
CLEAN EATING PEANUT BUTTER POMEGRANATE SMOOTHIE
INGREDIENTS:

1 generous tablespoon peanut butter
1 cup 100% pomegranate juice, no sugar added
1/2 cup Greek yogurt
1 medium, ripe banana
1 teaspoon pure vanilla extract
1 medium kiwi, peeled
2 tablespoons flax meal (optional)
DIRECTIONS:
Place all ingredients in a blender and blend until smooth.
Serve.
Blueberry Pomegranate Smoothie
Ingredients

Gluten free
Produce
2 cups Blueberries, frozen or fresh1 cup Pomegranate, juice
Canned Goods
1/4 cup Frozen orange juice concentrate
Condiments
2 tbsp Honey
Dairy
1 can Fat free or lowfat 2% milk
Frozen
1/2 cup Ice cubes
Pomegranate Smoothie Recipe
Ingredients:
1 cup Pomegranate Juice
1/2 Frozen Banana, peeled and sliced
1/2 cup Frozen Mixed Berries
1/2 cup Yogurt (vanilla or plain)
Directions: This recipe uses all frozen fruits. However, you can also use their fresh counterparts if available. If you are making this smoothie with fresh fruits, then add 1/2 cup ice cubes while blending.
1.        Place mixed berries, banana, pomegranate juice and yogurt in a blender or food processor. Blend until smooth puree.
2.        Pour it in the serving glass and serve with snacks or as a dessert.
Taste: Perfectly balanced sweet and tart taste with smooth texture.
Banana Pomegranate Smoothie
Take one cup of strawberries, one cup of plain yogurt, one banana, and one cup pomegranate juice. Put all the ingredients into a blender and blend till smooth. This wonderful smoothie gives you the extra dose of vitamin c and significant amounts of potassium and calcium too. If you wish, you can use frozen strawberries too.
Blueberry Pomegranate
Smoothie
Take one cup of frozen blueberries, two cups of pomegranate juice, two tablespoons flax meal, one tablespoon honey, one cup crushed ice and half cup plain yogurt. Except ice and yogurt, put all the remaining ingredients into a mixer and blend well.
Add yogurt and ice and blend until you attain a smooth consistency. This smoothie contains a very rich and terrific flavor. However pomegranate juice benefits are also good for you but to make it more delicious, smoothies are much better option.
Pomegranate Smoothie with Apple and Carrots
To make this smoothie, you need one cup pomegranate juice, one apple, one rinsed and peeled carrot, a cup of washed spinach and crushed ice as per your wish. Put all ingredients in the blender and blend till the ingredients get mixed well to a smooth texture. Garnish the smoothie with carrot and apple flakes. Sprinkle few pomegranate seeds on top to get a tempting look.
Pomegranate and Orange Smoothie Recipe
Take two medium sized oranges, one cup pomegranate seeds, two tablespoon yogurt, and ice cubes as desired. Peel oranges and cut them into small chunks. Put orange pieces, pomegranate seeds, and yogurt into the blender and blend until all the ingredients get combined.
Add ice cubes and blend again. Garnish with few small orange pieces on top. Serve chilled. This smoothie is very enjoyable and refreshing. It is full of vitamin c and tastes awesome!
Pomegranate & Mango Smoothie
The best part about this smoothie is that it is very smooth in comparison of other recipes of pomegranate smoothie recipes. You can serve this smoothie to anyone who
does not like any lumps in smoothies.
Let us now take a quick glance at how this smoothie is made. You need to have two cups of mango pieces, one full banana, half cup plain yogurt, half cup blueberry and pomegranate juice and half cup milk.
Mix all the ingredients together by blending them in the blender for few minutes. Check for desired consistency and add milk for a more liquid consistency. Also, add crushed ice to this smoothie as per your desire.
Pomegranate Green Smoothie
Ingredients:
½ cup POM 100% Pomegranate Juice
½ cup green grapes
½ cup pineapple pieces
1 cup packed spinach
1 inch fresh ginger, peeled
4 ice cubes
Directions:
In a blender, combine all the ingredients. Blend until smooth.
Nutrition Facts Per Smoothie: 167 calories, 40 g carbohydrate, 0 g fat, 2 g protein, 3 g fiber, 22 mg sodium
Bonuses:  162% Daily Value vitamin A, 111% DV Vitamin C, 11% DV calcium, 17% DV Iron
Iced Cucumber & Pomegranate Green Smoothie

The perfect summertime smoothie! Feel cleansed and refreshed inside and out with a delightfully cooling combo of cucumber, celery, spinach, and pomegranate. You'll also feel satisfied and full of energy due to the perfect balance of protein, fat, and carbohydrate!
In a high-speed blender, combine one big handful spinach (40g), a few sprigs of flat leaf parsley (10g), 50g celery, 100g cucumber, 75g pomegranate seeds, 20g high quality vanilla protein powder, 2 Tbsp (25g) coconut or flax oil, 200g ice, and 150-200 ml water. Blend in high until smooth.
Orange-Pomegranate Green Smoothie Recipe
with Collard Greens
Ingredients
1 Bartlett pear, cored
2 oranges, peeled and deseeded
1/2 cup pomegranate arils (about 1/2 a pomegranate)
3 large collard leaves, stems removed
2 ounces (59ml) of water (if needed)
Vitality Green Smoothie recipe
Ingredients
3 cups organic spinach
2 stalks organic celery
6 leaves organic lettuce
½ bunch organic parsley with stems
1 ripe banana peeled
¼ pineapple or ½ pear or ½  green apple

5-6 strawberries
1 lime, juiced
2 tea spoon2 flax seeds
1 ½  cup water ( or a little more)
Directions
1. Place water, lettuce, spinach, celery, lime and parcley, into a blender container in the order listed and secure lid.
2. Turn blender on and slowly increase speed
3. Blend for 30 seconds or until smooth. Stop the blender
4. Add pineapple, (or apple, pear), strawberries and banana to the blender container in the order listed and secure lid.
5. Turn blender on and slowly increase speed to High.
6. Blend for 30 seconds or until desired consistency is reached.
Optional you can add a few ice cubed on step 1.
BEET, POMEGRANATE SMOOTHIE
INGREDIENTS
  • juice from 4 large beets - 1 1/2 cup
  • 2 cups pomegranate arils
  • 2 whole lemons peeled
  • 7-8 clementines tangerines, peeled
  • 1 Tbs grated fresh ginger
  • 1/2 cup mint leaves packed
  • 3 cups ice
INSTRUCTIONS
1.     Juice the beets in a juicer.
2.     Peel the lemons and clementines, and de-seed the pomegranate.
3.     In your blender, add all ingredients + 3 cups of ice, and blend on high for 20-30 seconds or until fully blended.
4.     Keeps in the fridge for 1-2 days.


No comments:

Post a Comment