তাল / Palm
তাল' (Asian Palmyra Palm) একটি ভারতীয়
উপমহাদেশীয় গ্রীষ্মকালীন ফল যা তালগাছ (বৈজ্ঞানিক নাম Borassus
flabellifer) নামক পাম গোত্রীয় গাছে ফলে। তাল গাছ পাম
গোত্রের অন্যতম দীর্ঘ গাছ যা উচ্চতায় ৩০ ফুট পর্যন্ত পৌছতে পারে। তালের পাতা
পাখার মত ছড়ানো তাই বোরাসাস গণের পাম গোত্রীয় গাছ গুলিকে একত্রে ফ্যান-পাম বলা
হয়।
তাল ভারতীয় উপমহাদেশীয় অনেক অঞ্চলেরই জনপ্রিয়
গাছ কারণ এর প্রায় সব অঙ্গ থেকেই কিছু না কিছু কাজের জিনিষ তৈরী হয়, প্রায় কিছুই ফেলা যায় না।
তাল পাতা দিয়ে ঘর ছাওয়া, হাতপাখা, তালপাতার
চাটাই, মাদুর, আঁকবার
পট, লেখবার পুঁথি, কুণ্ডলী, পুতুল ইত্যাদি বহুবিধ সামগ্রী তৈরী হয়।
তালের কাণ্ড দিয়েও বাড়ি, নৌকা, হাউস
বোট ইত্যাদি তৈরী হয়।
তালের ফল এবং বীজ দুইই বাঙালি
খাদ্য। তালের ফলের ঘন নির্যাস থেকে তাল
ফুলুরি তৈরী
হয়। তালের বীজও খাওয়া হয় লেপা বা "তালশাঁষ" নামে । তাল গাছের কাণ্ড
থেকে ও রস সংগ্রহ হয় এবং তা থেকে গুড়, পাটালি, মিছরি, তাড়ি (একপ্রকার চোলাই মদ)
ইত্যাদি তৈরি হয়।
স্বাস্থ্য সুবিধাসমুহ:
জৈবিক দেহ শীতল: তাপ লাল লাল ফুসকুড়ি জন্য ভাল
প্রতিকার এবং boils. এটি তাপ
ফুসকুড়ি সংশ্লিষ্ট চুলকানি অপসারণের ত্বক খুব শীতল এবং খুবই সহায়ক.
গর্ভবতী মহিলাদের কোষ্ঠকাঠিন্য পরাস্ত সাহায্য
তার চামড়া সঙ্গে ফল খাওয়ার পেট ulcers আরোগ্য সাহায্য করতে পারেন
এছাড়াও চিকেন পক্স তীব্রতা নিচে আনতে সাহায্য
করে.
বমি বমি ভাব এবং বমি চিকিত্সা ও কীট সংক্রমণের
ব্যবহৃত
তার প্রাণরস ulcers এবং যকৃতের সমস্যার জন্য একটি টনিক এবং জোলাপ হিসেবে দরকারী.
এছাড়াও বিরোধী প্রদাহজনক এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট
বৈশিষ্ট্য আছে.
তালি পাম ফল নিম্নলিখিত রয়েছে:
ভিটামিন 'এ', 'বি' কমপ্লেক্স
এবং সি
দস্তা, পটাসিয়াম, আয়রন এবং ক্যালসিয়াম মত
অত্যাবশ্যক পুষ্টি
পুষ্টিগত মান (100g প্রতি)
43kcal
87.6g জল
.8g প্রোটিন
.1g ফ্যাট
10.9g Carbs
1G ফাইবার
27mg ক্যালসিয়াম
30Mg ফসফরাস
1mg আয়রন
.04mg থিয়ামিন
.02mg riboflavin
.3mg নিয়াসিন
5mg ভিটামিন সি
ফল হেল্থ বেনিফিট
জলয়োজন জন্য গ্রেট
খনিজ একটি ভাল ভারসাম্য প্রদান
শরীরের জন্য চিনি প্রদান
বি ভিটামিন সমৃদ্ধ
লোহা সমৃদ্ধ
ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ
হজমের সমস্যা ও পেট ailments চিকিত্সা ব্যবহৃত হয়.
Nutritional Value
of Nungu Fruit তাল
Water
|
87.6g
|
Protein
|
.8g
|
Fat
|
.1g
|
Carbs
|
10.9g
|
Fiber
|
1g
|
Calcium
|
27mg
|
Phosphorous
|
30mg
|
Iron
|
1mg
|
Thiamin
|
.04mg
|
Riboflavin
|
.02mg
|
Niacin
|
.3mg
|
Vitamin C
|
5mg
তালের গুড়
|
তালের গুড়
তালের গুড় মূলত তালি পাম, এর প্রাণরস থেকে তৈরি করা হয়। এখন এটি Arenga pinnata (চিনির পাম) এবং নিপা পাম প্রাণরস থেকে তৈরি করা
হয়, এবং সেইজন্য এছাড়াও "arenga চিনির" হিসাবে বিক্রি করা যেতে পারে। তালের গুড় প্রায়ই ব্যবহার পাম বিভিন্ন প্রজাতির এবং
আফ্রিকা ও এশিয়া জুড়ে তার ব্যাপক উৎপাদন এলাকা প্রতিফলিত অন্যান্য বিভিন্ন নামের
অধীন লেবেল করা হয়েছে। তালের গুড় গাছ পুষ্পবিন্যাস থেকে প্রাণরস লঘুপাত এবং তারপর হিসাবে বিক্রি, বা বিভিন্ন আকার এবং আকৃতির মধ্যে স্ফটিকে পরিণত অনুমোদিত হয়, যা একটি সিরাপ, উত্পাদন এটি নিচে ফুটন্ত দ্বারা উত্পাদিত হয়। কিছু ক্ষেত্রে গাছ নিজেই ফুল spikes বদলে tapped হয়, কিন্তু
এটি একটি বিচ্ছিন্ন উৎপাদন পদ্ধতি। প্রায়ই
পার্থক্য নারকেল চিনি ও খেজুর শর্করা মধ্যে তৈরি করা হয়, কিন্তু এই শুধুমাত্র অর্থাত্ নারকেল চিনি একটি অভিন্ন ভাবে উত্পাদিত
হয়, চিনি sourced হয়, যা থেকে বিভিন্ন প্রজাতির প্রতিফলিত করে। থাইল্যান্ড এক পার্থক্য তৈরি করা হয় যেখানে জায়গা এবং হয় নারকেল
চিনি নারিকেল এর inflorescences থেকে চাপড় মেরে, গড়িয়ে
যখন পার্থক্য, চিনি করতল স্কন্ধ থেকে সেখানে উত্পাদিত তালের গুড় হচ্ছে কারণে। তাদের
বিভিন্ন নাম অধীনে সব চিনি এখনও একটি পাম প্রজাতির সুক্রোজ-সমৃদ্ধ স্যাপ থেকে
উত্পাদিত হয় পার্থক্য, শব্দার্থিক হয়।
ভাদ্রমাসের তালের পিঠা
ভাদ্র মাস এলেই মনে পড়ে
তালের কথা। আর তালের কথা মনে হলে অজান্তেই তালপিঠা খাওয়ার জন্য মন আকুলি বিকুলি
করে ওঠে। একেবারে অসাধারণ! পিঠা। বারমাসে তের পার্বণের বাংলাদেশে সব সময়ই পাওয়া যায়
বিভিন্ন ফল। ভাদ্রমাসের ফল তাল একটি সুস্বাদু ও লোভনীয় ফল । কথায় বলে ভাদ্র
মাসে তাল পাকা গরম পড়ে। আর পাকা তালের মৌ মৌ গন্ধে ভরে যায় চারিদিক। শত গরমেও
খাদ্য রসিক বাঙালী রসনা বিলাসের জন্য ভাদ্র মাসে তালের তৈরি নানা খাদ্য আয়োজনে
ব্যস্ত থাকেন। কি ধনী কি দরিদ্র, ধর্ম
বর্ণ নির্বিশেষে শরতের স্নিগ্ধ সন্ধ্যায় কিম্বা শিউলি ঝরা সকালে তালের তৈরি পিঠা
হয়ে ওঠে বাড়তি পাওনা।
পাকা তাল খুব অল্প সময়ের
জন্য পাওয়া যায়। তাই এর কদরও একটু বেশী। তালের তৈরি খাবার যেমন সুস্বাদু তেমনি এর
প্রস্তুত প্রনালী একটু কষ্টসাধ্য। খুব ধৈর্য্য নিয়ে আমাদের দাদী নানী, মা চাচী, খালা ফুফুরা তালের আঁশ থেকে নির্যাস বের করে তৈরি
করেন তাল পিঠা, তাল বড়া, তাল তেল, তাল রুটি, তালের পায়েশ, কলাপাতায়
তাল পিঠা, তালের রসভরি ইত্যাদি।
তাল বড়া তৈরীর প্রণালী-
প্রথমে সুঘ্রাণ যুক্ত পাকা তাল সংগ্রহ করে নিন। পাকা তাল কয়েকবার আছাড় দিয়ে নরম করুন। তারপর খোসা ছাড়িয়ে তালের
আঁটি আলাদা করে নিন। একটা তালের দুই থেকে তিনটি আঁটি থাকে, এগুলোকে নিয়ে আস্তে আস্তে আছড়াতে থাকুন এবং হাত দিয়ে কচলাতে থাকুন। মাঝে মাঝে সামান্য পানি ঢালুন। এইভাবে একটি একটি করে তালের
আঁটি হাত দিয়ে ভালো করে কচলিয়ে তরল তাল আলাদা করুন। ঘন রস বেরুতে থাকবে। রসগুলো
পাতলা সুতি কাপড় দিয়ে ছেঁকে ফেলুন। যেন ঘন রসের মধ্যে আঁশ থেকে না যায়। এটা একটু
কঠিন এবং ধৈর্যের কাজ। আঁটি থেকে ভাল করে সবটুকু গোলা তাল ছাড়াতে ৩০মিনিটের মতো সময় লাগবে। পানি খুব বেশি দিলে তাল
পাতলা হয়ে যাবে, তাই পানি অল্প করে দেবেন যাতে কেবল তালের ঘন গোলা
বের হয়।
পিঠা বানানোর রেসিপি
১) তরল তাল
২) চালের গুড়া৩) চিনি
৪) কোরানো নারকেল
৫) এক চিমটি লবন
সকল উপকরণ পরিমিত পরিমানে
একটি পাত্রে মিশিয়ে নিন ভাল করে। প্রয়োজনে চেখে দেখে নিন সব টিক আছে কি না।
এবার মিশ্রণ থেকে হাত বা চামচ দিয়ে গোলাকার করে নিয়ে গরম ডুবো তেলে ছেড়ে দিন। মাঝারী আঁচে বাদামী করে এপিঠ-ওপিঠ ভেজে নিলেই তৈরী হয়ে যাবে মজাদার ঐতিহ্যবাহী তালের পিঠা।
এবার মিশ্রণ থেকে হাত বা চামচ দিয়ে গোলাকার করে নিয়ে গরম ডুবো তেলে ছেড়ে দিন। মাঝারী আঁচে বাদামী করে এপিঠ-ওপিঠ ভেজে নিলেই তৈরী হয়ে যাবে মজাদার ঐতিহ্যবাহী তালের পিঠা।
শরতের পিঠা তালের রস বড়া
রঙিন ডেস্ক: তালে বেতাল নয়, বহুগুণে তাল। এখন শরৎকাল। শরতের গরমে তাল পাকে। মূলত ভাদ্রমাসকেই আমরা
তাল পাকার মাস বলে থাকি। ভাদ্র মাসে তাল পাকে বলে তালকে বলা হয় ‘ভাদুড়ে
তাল’। এই
মাসে শহর-গ্রামে হরেক রকম তালের পিঠা দেখা যায়। কোনোটি তালের রস দিয়ে আবার কোনো
কোনো পিঠা পাকা তালের গাদ দিয়ে। আজ আমরা তালের রস বড়া তেরির প্রণালী জানাবো।
যা যা লাগবে:
আপনাকে
নিতে হবে তালের গোলা ১ কাপ,
ঘন দুধ
২ কাপ।
যেভাবে করবেন:
দুধ-চিনি জ্বাল দিয়ে সিরা বা রস করে নিন। পাত্রে
তালের গোলার সঙ্গে ময়দা, চিনি, নারকেল কোরা মিলিয়ে নিন। মিশ্রণ খুব বেশি ঘন বা পাতলা হবে না।
চুলায় পাত্রে তেল দিন গরম হলে বড়াগুলো ভেজে তুলুন।
বাজার সময় খেযাল রাখতে হবে যাতে পুড়ে না যায়। ঠিক মত ভাজা হুয়ার বড়াগুলো দুধের
সিরায় দিয়ে দিন ।
৪-৫ ঘণ্টা পর পিঠা ভিজে তুলতুলে হলে পরিবেশন করুন
মজাদার তালের রস বড়া।
উপকরণ : তালের রস ২ কাপ, তরল দুধ ১ কাপ, গুঁড়া দুধ আধা কাপ, ঘি আধা কাপ, এলাচ গুঁড়া আধা চা চামচ, চিনি ১ কাপ, কিসমিস পরিমাণমতো, গোলাপজল ১ চা চামচ।
প্রস্তুত প্রণালি : পাকা তাল কচলে প্রথমে রস বের করে তালের তিতা
পানি বের করে নিন। এবার তালের রস, তরল দুধ, গুঁড়া দুধ, চিনি, এলাচ গুঁড়া_ সব একসঙ্গে মেখে নিন। এবার
প্যানে ঘি দিয়ে মিশ্রণটি ঢেলে দিন। ভালোভাবে নাড়তে থাকুন। যখন আঠালো হয়ে আসবে তখন
গোলাপজল ও কিসমিস দিন। শক্ত হয়ে এলে নামিয়ে পরিবেশন করুন।
উপকরণ : তালের রস ৪ কাপ, গুঁড়া দুধ ১ কাপ, চিনি আধা কাপ, ঠাণ্ডা পানি ২ কাপ, মধু ২ টেবিল চামচ, বরফ কুচি পরিমাণমতো।
প্রণালি : প্রথমে তালের রস জ্বাল করে ঘন করে নিন। এবার
বরফ কুচি ছাড়া বাকি সব উপকরণ একসাথে ব্লেন্ড করে নিন। ঠাণ্ডা করে বরফ কুচি দিয়ে
পরিবেশন করুন মজাদার আইস সেক।
উপকরণ: মুরগির ডিম ৫টি, দুধ এক লিটার, চিনি ১০-১২ টেবিল চামচ।
তালের ঘন গোলা আধা কাপ, গুঁড়া দুধ ৩-৪ কাপ, মিল্ক ফ্লেভার সামান্য।
প্রণালি: দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করে আধা লিটার করে নিতে
হবে। তালের গোলা জ্বাল দিয়ে ঘন করে নিতে হবে। মোল্ডে ৬ টেবিল চামচ চিনি ও ২ টেবিল
চামচ পানি দিয়ে ওভেনে ক্যারামেল করতে হবে। অথবা চুলায় ক্যারামেল করে মোল্ডে ঢেলে
নিন। সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে মোল্ডে ঢালতে হবে। ওভেনে ১৮০
ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপে ৩৫-৪০ মিনিট বেক করতে হবে অথবা এক থেকে দেড় ঘণ্টা চুলায় ভাপে
সেদ্ধ করতে হবে।
পুডিং পরিবেশন পাত্রে ঢেলে পেস্তাবাদাম কুচি, চেরি দিয়ে সাজিয়ে রেফ্রিজারেটরে রেখে ঠান্ডা পুডিং পরিবেশন করতে হবে।
পুডিং পরিবেশন পাত্রে ঢেলে পেস্তাবাদাম কুচি, চেরি দিয়ে সাজিয়ে রেফ্রিজারেটরে রেখে ঠান্ডা পুডিং পরিবেশন করতে হবে।
যা লাগবে : তালের গোলা ৩ কাপ, ঘন দুধ ৫ কাপ, চিনি ১ কাপ, নারকেল দুধ ১ কাপ, নারকেল কোরা পৌনে এক
কাপ, এলাচ গুঁড়া কোয়ার্টার চা চামচ, কাজুবাদাম বাটা ২ টেবিল চামচ।
যে ভাবে করবেন : দুধের সঙ্গে তালের গোলা চিনি দিয়ে জ্বাল দিন।
ভালোভাবে ফুটে উঠলে এতে নারকেল দুধ ও কোরানো নারকেল দিয়ে আরও কিছুক্ষণ জ্বাল দিন।
ঘন হয়ে গেলে নামিয়ে ঠাণ্ডা করে পরিবেশন করুন মজাদার তালের ক্ষীরসা।
যা লাগবে : ময়দা ১ কাপ, ডিম
৪টা, বাটার ১ কাপ, তালের
গোলা ২ টেবিল চামচ, বেকিং পাউডার আধা চা চামচ, কেক ইম্প্র্রভার আধা চা চামচ, চিনি আধা
কাপ।
যেভাবে করবেন : ময়দা ও বেকিং পাউডার চেলে নিন, একটা পাত্রে বাটার ও চিনি বিট করে এতে একটা একটা ডিম দিয়ে বিট করে নিন।
এবার তালের গোলা ও ময়দা দিয়ে আলতো করে মিশিয়ে ডায়াসে ঢেলে প্রিহিট ওভেনে ১৬০০ তাপে
২০ মিনিট বেক করে নিন।
উপকরণ: তালের গোলা ১ কাপ, ময়দা আধা কাপ, চালের গুঁড়া ২ টেবিল চামচ, চিনি ২ টেবিল চামচ, ডিম ১টি।
কোরানো নারকেল ১ কাপ, দুধের ক্ষীর আধা কাপ, চিনি আধা কাপ জ্বাল দিয়ে পুর তৈরি করে নিতে হবে।
কোরানো নারকেল ১ কাপ, দুধের ক্ষীর আধা কাপ, চিনি আধা কাপ জ্বাল দিয়ে পুর তৈরি করে নিতে হবে।
প্রণালি: তালের গোলার সঙ্গে বাকি সব উপকরণ মিলিয়ে
মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এবার তাওয়াতে সামান্য ঘি লাগিয়ে হাতলে করে গোলা দিয়ে তাওয়া
ঘুরিয়ে রুটি তৈরি করতে হবে। ওপরটা শুকিয়ে এলে পুর দিয়ে পাটির মতো রোল করে পিঠা
তৈরি করতে হবে।
উপকরণ: ময়দা ২ কাপ, কনডেন্সড
মিল্ক ২ টেবিল-চামচ, গুঁড়া দুধ সিকি কাপ, লবণ আধা চা-চামচ, সয়াবিন তেল সিকি কাপ, চিনি আধা কাপ, ডিম ১টা, পানি পরিমাণমতো, বেকিং পাউডার ১
টেবিল-চামচ, খাওয়ার সোডা সিকি কাপ, তেল ভাজার জন্য পরিমাণমতো।
প্রণালি: তাল বাদে ওপরের সব উপকরণ একসঙ্গে ময়ান দিতে
হবে। এবার পমিরাণমতো তালের ঘন রস দিয়ে রুটি বানানোর মতো ডো বানাতে হবে। এবার ছোট
ছোট রুটি বেলে বিভিন্ন ছাঁচ দিয়ে বিস্কুটের আকারে কেটে ডুবোতেলে বাদামি করে ভেজে
পরিবেশন। এই বিস্কুট ইচ্ছে করলে অনেক দিন ঘরে রেখেও খাওয়া যায়।
উপকরণ: তালের রস ১ কাপ, বেকিং পাউডার ১ চা-চামচ, চালের গুঁড়া ৩
কাপ, খাওয়ার সোডা সিকি চা-চামচ, ডিম ১টা, গুঁড়া দুধ আধা কাপ, কনডেন্সড মিল্ক সিকি কাপ, নারকেল কোরানো
আধা কাপ, লবণ আধা চা-চামচ, চিনি ১ কাপ, কাঁঠালের পাতা প্রয়োজনমতো, ধানের খড় বা বিচালি প্রয়োজনমতো।
প্রণালি: তালের রস, চালের
গুঁড়া, বেকিং পাউডার ও খাওয়ার সোডা একসঙ্গে মাখিয়ে
গরম জায়গায় পাঁচ-ছয় ঘণ্টা রেখে দিতে হবে। যখন ফুলে উঠবে, তখন বাকি উপকরণগুলো মিশিয়ে নিতে হবে। এবার কিছু খড় বা বিচালি ধুয়ে
পরিষ্কার করে একটি কড়াইয়ে নিতে হবে। ২-৩ কাপ পানি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। যখন পানি
ফুটে ভাপ উঠবে, তখন কাঁঠালের পাতা দিয়ে খিলি বানিয়ে
টুথপিক দিয়ে আটকিয়ে খড়ের ফাঁকে ফাঁকে গুঁজে দিয়ে বানানো ডো ঢেলে দিয়ে ঢাকনা দিয়ে
মাঝারি আঁচে ভাব দিতে হবে ২০ থেকে ২৫ মিনিট। একটি সাসলিক কাঠি ঢুকিয়ে তুলে নিতে
হবে। যদি কাঠি তেলতেলা থাকে, তবে বুঝতে হবে কেক হয়ে
গেছে। এবার নামিয়ে গরম অথবা ঠান্ডা পরিবেশন।
তালর ফুল পিঠা
উপকরণ: তাল গোলানো ১ কাপ, লবণ আধা চা-চামচ, ময়দা ১ কাপ, ডিম ১টা, গুড় দেড় কাপ, পানি দেড় কাপ।
প্রণালি: আগেই গুড় ও পানি জ্বাল দিয়ে সিরা তৈরি করে
রাখতে হবে। তাল ও লবণ চুলায় দিয়ে যখন ফুটে উঠবে, তখন
ময়দা দিয়ে খামির বানাতে হবে। নামিয়ে ডিম দিয়ে খুব ভালোভাবে ময়ান দিতে হবে। এবার
ছোট ছোট রুটি বেলে নকশি করে কেটে নিতে হবে। খেজুরকাঁটা অথবা বড় সুঁই দিয়ে ওপরে দাগ
কেটে নিতে হবে। ডুবোতেলে বাদামি করে ভেজে ঠান্ডা সিরায় ভেজাতে হবে তিন-চার মিনিট।
এবার তুলে পরিবেশন।
তালের
গুলগুল্লা
উপকরণ: আটা ২ কাপ, কনডেন্সড
মিল্ক সিকি কাপ, গুঁড়া দুধ সিকি কাপ, খাওয়ার সোডা এক চিমটি, বেকিং পাউডার ১
টেবিল-চামচ, চিনি আধা কাপ, নারকেল আধা কাপ (কোরানো), লবণ ১ চা-চামচ, পানি ১ কাপ, তেল ভাজার জন্য পরিমাণমতো।
প্রণালি: ওপরের সব উপকরণ একসঙ্গে মাখিয়ে আধা ঘণ্টা
রেখে গুলগুল্লা বানাতে হবে এবং ডুবোতেলে বাদামি করে ভেজে তুলে গরম গরম পরিবেশন।
উপকরণ: তালের গোলা ২ কাপ, চালের গুঁড়া ১ কাপ, গমের আটা আধা কাপ, খেজুরের গুড় ১ কাপ, দুধের সর ১ কাপ, বেকিং পাউডার ১ চা-চামচ, কোরানো নারকেল ৪ টেবিল চামচ, ঘি আধা কাপ,কলাপাতা ৪-৫টি (তেল মাখিয়ে আগুনে সেঁকে নিতে হবে)।
প্রণালি: তালের গোলা একটু জ্বাল দিয়ে নিতে হবে। হালকা ঠান্ডা হলে তার সঙ্গে
দুধের সর বাদে সব উপকরণ একে একে মিলিয়ে নিন। তালের গোলা তৈরি হয়ে গেলে সর দিয়ে
হালকা হাতে সর মিলিয়ে নিন। একটি ডাই
তাল-চিড়ার নাড়ু
উপকরণ:
চিড়া আধা কেজি
তেজপাতা ১টি
আখের গুড় ৮০০ গ্রাম
ভাজা জিরা আধা চা-চামচ
তালের ক্বাথ আধা কাপ (কমও লাগতে পারে)।
প্রণালি:
চিড়া ভালো করে কাপড়ে ছেকে নিন যেন কোনো বালু না
থাকে
শুকনো খোলায় চিড়া টেলে নিন
বড় একটি ফ্রাইপ্যান বা কড়াইয়ে তেজপাতা, গুড় এবং তালের ক্বাথ একত্রে মিশিয়ে জ্বাল
দিন
গুড় এবং তালের ক্বাথ ফুটে ওঠার পর তাতে জিরা এবং
চিড়া দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে নিন
চুলা থেকে নামানো মাত্রই দুহাত ঠান্ডা পানিতে
ভিজিয়ে নিয়ে নাড়ু বানিয়ে নিন
অল্প অল্প করে গুড়, তাল, চিড়ার মিশ্রণ হাতের তালুতে নিয়ে
গোল করে নাড়ু তৈরি করতে হবে
প্রতিবারই হাত দুটো ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে নেবেন
গরম অবস্থায় নাড়ু না বানালে নাড়ু তৈরি হবে না
ঠান্ডা হয়ে গেলে মুঠ করে নাড়ু বানানো যাবে না
চিড়াগুলো খুলে খুলে যাবে।
No comments:
Post a Comment