Friday, October 16, 2015

থানকুনি পাতা বা টাকা-মানিকের পাতা

থানকুনি (বৈজ্ঞানিক নাম: থানকুনি; ইংরেজি: Centella বা ভারতীয় pennywort; সিংহলি: ගොටුකොල বা গোটু কোলা; সংস্কৃত: मधुकपर्णी বা মধুকপর্ণী, খ্মের: ស្លឹក ត្រចៀកក្រាញ់ স্লিউক ট্রাকিয়াক্ক্রাঙ্ঘ; কন্নড়: ಒಂದೆಲಗ; তামিল: வல்லாரை বা ভাল্লারাই; ম্যাসেডোনীয়: കുടങ്ങല് বা কোদাঙ্গল) এক ধরনের খুব ছোট বর্ষজীবী ভেষজ উদ্ভিদ এর বৈজ্ঞানিক পরিবাবের নাম ম্যাকিনলেয়াসি যাকে অনেকে এপিকেসি পরিবাবের উপপরিবার মনে করেন. এই গাছ পাওয়া যায় ভারত, সিংহল, উত্তর অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া, পাপুয়া নিউ গিনি, এবং এশিয়ার অন্যান্য প্রান্তে ভেষজ হিসাবে এর বহুল ব্যবহার আছে আয়ুর্বেদিক, প্রাচীন আফ্রিকীয়, চৈনিকসহ অনেক দেশের চিকিৎসাবিদ্যায় এর বৈজ্ঞানিক নাম আগে ছিল
Hydrocotyle asiatica এল এবং Trisanthus cochinchinensis (ভ্রূকুটি)
পরিচিতিঃ- এই গাছটি ক্ষুদ্র লতা জাতীয় উদ্ভিদ। এর পাতা ক্ষুদ্র গোলাকৃতির। পাতার ধারে খাঁজ রয়েছে। বাংলাদেশের সর্বত্র এই গাছটিকে দেখতে পাওয়া যায়। তবে উপকূলীয় লবনাক্ত আবহাওয়ায় এটি ভালো জন্মে। গ্রামীণ সাধারণ মানুষের কাছে এটি খুবই জনপ্রিয়।  থানকুনির পরিচয় : থানকুনি গাছ খুব ছোট ছোট হয়। সবসময় পানি পড়ে বা আর্দ্র থাকে সে জায়গায় থানকুনি ভালো হয়।
মূল-কান্ড -লতা-পাতা : ক্ষুদ্র লতানো গাছ। পাতা গোলাকার, অনেকটা পদ্মপাতার মতো। ব্যাস তিন থেকে চার সেন্টিমিটার। গাঢ় সবুজ ও রসালো। পাতার চারপাশে খাঁজকাটা থাকে। লবণাক্ত এলাকায় বেশ ভালো হয়। ডাঁটা খুব ছোট।
ফুল ও ফল : বসন্তে ফুল ফোটে। আর গ্রীষ্মে ফল হয়। বংশবিস্তার হয় বীজ ও বিভিন্ন অংশ দিয়ে।
থানকুনির প্রতিটি পর্ব বা নোড থেকে শিকড় বের হয়। থানকুনি খুব সহজে অন্য স্থানে নিয়ে বংশবিস্তার করানো যায়। এটি আর্দ্র মাটি পছন্দ করে, কিন্তু জলাবদ্ধতা একদম সহ্য করে না।
উপকারী অংশ : মূল, কান্ড, পাতা পুরো উদ্ভিদটি। সম্পূর্ণ বিরুৎ।tritterpenes, tritterpene glycoside এবং বিভিন্ন জৈব এসিড থাকে। এছাড়া এতে কিছুseponin, sterols, bitter principleএবং উদ্বায়ী তৈল আছে।
পুষ্টী তথ্য
ভোজ্য অংশ প্রতি 100 গ্রামে

উপাদান                                     পরিমাণ
প্রোটিন গ্রাম / 100g                     9.94 গ্রা
আর্দ্রতা গ্রাম / 100g                     84.37 গ্রা
ক্যালসিয়াম মিলিগ্রাম / 100g        1.060 গ্রা
আয়রন / 100g                           32 গ্রা
শক্তির মান
ক্যালরি / 100g                           38.99 গ্রা
ফাইবার গ্রাম / 100g                              18.33 গ্রা
ভিটামিন সি মিলিগ্রাম / 100g        9.73 গ্রা
ফসফরাস / 100g                        370 গ্রা
শর্করা গ্রাম / 100g                       51.92 গ্রা
বি ক্যারোটিন / 100g                    1.00 গ্রা
ব্যবহার : থানকুনির স্বাদ তিক্ত, কষায় মধুর, রসযুক্ত।
থানকুনি পাতার নানা ভেষজ গুন আছে। নিয়মিত এর রস খেলে ত্বক ও চুল সুন্দর থাকে।জর পেটের পীড়া, আমাশয়, আলসার, বাতের বাথা বিভিন্ন অসুখের ওষুধ হিসেবে এটির ব্যাবহার রয়েছে।
মুখে ঘা হলে থানকুনি পাতা সিদ্ধ পানি দিয়ে কুলি করলে ঘা ভালো হয়ে যায়। বাচ্চা দের কথা স্পষ্ট না হলে প্রতিদিন থানকুনি পাতার রস গরম করে খাওয়ালে কথা স্পষ্ট হয়।
এছাড়া ঠান্ডা-কাশি তে এক টেবিল চামচ থানকুনি রসের সাথে মধু মসিয়ে খাওয়ালে ঠাণ্ডা কাশির নিরাময় হয়। যাদের স্নায়ুততন্ত্র দুর্বল তারা নিয়মিত থানকুনি পাতা খেলে স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি পায়।
এছাড়া আমাদের বাংলাদেশে অনেকে থানকুনি পাতার ভরতা ও খায়। এর রেসেপি টা হল
উপকরণ
থানকুনি পাতা ৪০-৫০তি, রসুন ১তি , কাচা মরিচ ১ টি , লবণ পরিমাণ মত
প্রস্তুত প্রণালি
থানকুনি পাতা কুচি কুচি করে কেতে মরিচ, রসুন,লবন মিশিয়ে বাটায় বেটে নিলেই ভর্তা প্রস্তুত হয়।থানকুনি পাতা সকল ধরনের পেটের রোগের মহৌষধ। পাতা বেটে ভর্তা করে বা ঝোল করে  খেলে বদহজম, ডায়রিয়া, আমাশয় ও পেটব্যথা সেরে যায়।অল্প পরিমাণ আমগাছের ছাল, আনারসের কচি পাতা ১টি, কাঁচা হলুদের রস, ৪/৫ টি থানকুনি গাছ শিকড়সহ ভাল করে ধুয়ে একত্রে বেটে রস করে খালি পেটে খেলে পেটের পীড়া ভাল হয়। ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এটা আরো বেশি কার্যকর। আলসার এগজিমা, হাঁপানি, চুলকানি ও অন্যান্য চর্মরোগ সারাতে থানকুনি অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করে।আধা কেজি দুধে ১ পোয়া মিশ্রি ও আধা পোয়া থানকুনি পাতার রস
একত্রে মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে ১ সপ্তাহ খেলে গ্যাস্ট্রিক ভাল হয়।বেগুন/পেঁপের সাথে থানকুনি পাতা মিশিয়ে শুকতা রান্না করে প্রতিদিন ১ মাস খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়।থানকুনি পাতার সক্রিয় উপাদান Bacoside A BBacoside B মতিস্তষ্কের কোষের জন্য খুব উপকারী। থানকুনি পাতা নিয়মিত খেলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।থানকুনি কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রকে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে। সংবহনতন্ত্রের স্থায়ীভাবে স্ফীত ও বর্ধিত শিরা কমাতে সহায়তা করে।থানকুনি পাতা চামড়া মসৃণ করে এবং ক্ষতিগ্রস্ত কোষকে পুনর্গঠনে সাহায্য করে।পুরনো ক্ষতে থানকুনি পাতা সিদ্ধ করে তার পানি প্রয়োগ করলে সহজে নিরাময় হবে। নতুন ক্ষতে থানকুনি পাতা বেটে লাগালে উপকার পাওয়া যায়।
থানকুনি দেহের লাবণ্য ও কান্তি ধরে রাখতে সাহায্য করে। এক গ্লাস দুধের সাথে ৫/৬ চা চামচ থানকুনির রস মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
দাঁতের রোগেও থানকুনি সমান উপকারী। থানকুতি পাতা সেদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে কুলি করলে দাঁতের ব্যথা ও মাড়ি থেকে রক্তপড়া কমা যায়।
মুখে ঘা হলে থানকুনি পাতা সিদ্ধ পানি দিয়ে কুলি করলে ঘা কমে যায়।
প্রতিদিন সকালে থানকুনির রস ১ চামচ, ৫/৬ ফোঁটা হলুদের রস (বাচ্চাদের লিভারের সমস্যায়) সামান্য চিনি ও মধুসহ ১ মাস খেলে লিভারের সমস্যা ভাল হয়।
অপুষ্টির কারণে মাথা থেকে চুল পড়ে গেলে থানকুনি পাতার রস খেলে চুলপড়া কমে যাবে। চুল ঝরা কমাতে পুষ্টিকর ভিটামিনসমৃদ্ধ খাবারের পাশাপাশি ৫-৬ চামচ থানকুনি পাতার রস দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে চুলপড়া কমবে।
*থানকুনি দেহের লাবণ্য ও কান্তি ধরে রাখতে সাহায্য করে। এক গ্লাস দুধের সাথে ৫/৬ চা চামচ থানকুনির রস মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
*দাঁতের রোগেও থানকুনি সমান উপকারী। থানকুতি পাতা সেদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে কুলি করলে দাঁতের ব্যথা ও মাড়ি থেকে রক্তপাড়া কমা যায়।
মুখে ঘা হলে থানকুনি পাতা সিদ্ধ পানি দিয়ে কুলি করলে ঘা কমে যায়।
প্রতিদিন সকালে থানকুনির রস ১ চামচ, ৫/৬ ফোঁটা হলুদের রস (বাচ্চাদের লিভারের সমস্যায়) সামান্য চিনি ও মধুসহ ১ মাস খেলে লিভারের সমস্যা ভাল হয়।
হাজারো গুণের সমাবেশ ঘটেছে থানকুনি পাতায়। থানকুনি পাতার ব্যবহার শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। সেই সাথে পরিবেশও স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করি। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় থানকুনি পাতা রাখার চেষ্টা করুন।
থানকুনির গুণাগুণ ও ব্যবহার
জ্বর : থানকুনি পাতার রস ১ চামচ ও শিউলি পাতার রস ১ চামচ মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খেলে জ্বর সারে।
পেটের পীড়া : অল্প পরিমাণ আমগাছের ছাল, আনারসের কচি পাতা ১টি, কাঁচা হলুদের রস, ৪/৫ টি থানকুনি গাছ শিকড়সহ ভাল করে ধুয়ে একত্রে বেটে রস করে খালি পেটে খেলে পেটের পীড়া ভাল হয়। ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এটা আরো বেশি কার্যকর।
পাঁচড়া রোধ : কাঁচা হলুদের রস চা চামচের ২ চামচ, থানকুনি পাতার রস ২/৩ চামচ একত্রে মিশিয়ে শরীরে মাখলে পাঁচড়া রোগ ভাল হয়।
গ্যাস্ট্রিক : আধা কেজি দুধে ১ পোয়া মিশ্রি ও আধা পোয়া থানকুনি পাতার রস একত্রে মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে ১ সপ্তাহ খেলে গ্যাস্ট্রিক ভাল হয়।
হজম শক্তি বৃদ্ধি : বেগুন/পেঁপের সাথে থানকুনি পাতা মিশিয়ে শুকতা রান্না করে প্রতিদিন ১ মাস খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়।
রক্ত দূষণ রোধে থানকুনি : প্রতিদিন সকালে খালিপেটে ৪ চা চামচ থানকুনি পাতার রস ও ১ চা চামচ মধু/ মিশিয়ে ৭ দিন খেলে রক্ত দূষণ ভাল হয়।
বাক স্ফুরনেঃ- যে সব বাচচা কথা বলতে দেরি করে অথবা অস্পষ্ট, সে ক্ষেত্রে ১ চামচ করে ধান কুনি পাতার রস গরম করে ঠান্ডা হলে ২০/২৫ ফোঁটা মধু মিশিয়ে ঠান্ডা দুধের সাথে কিছুদিন খাওয়ালে অসুবিধাটা সেরে যায়।
খুসখুসে কাশিতে : ২ চামচ থানকুনির রস সামান্য চিনিসহ খেলে সঙ্গে সঙ্গে খুসখুসে কাশিতে উপকার পাওয়া যায়। ১ সপ্তাহ খেলে পুরোপুরি ভালো হয়ে যাবে।
আমাশয় : প্রতিদিন সকালে ৫/৭ টি থানকুনি পাতা চিবিয়ে ৭ দিন খেলে আমাশয় ভাল হয়। অথবা, থানকুনি পাতা বেটে পাতার রসের সাথে চিনি মিশিয়ে দুই চামচ দিনে দুই বার খেলে আমাশয় ভাল হয়।
পেট ব্যথা : থানকুনি পাতা বেটে গরম ভাতের সাথে খেলে পেট ব্যথা ভাল হয়।
লিভারের সমস্যা : প্রতিদিন সকালে থানকুনির রস ১ চামচ, ৫/৬ ফোঁটা হলুদের রস (বাচ্চাদের লিভারের দোষে) সামান্য চিনি ও মধুসহ ১ মাস খেলে লিভারের সমস্যা ভাল হয়।
থানকুনি পাতা দিয়ে পিয়াজু
উপকরণ
- থানকুনি পাতা কুচি-১০০ গ্রাম
- পুদিনা পাতা কুচি-৫০ গ্রাম
- ডিম-১টি
- পিঁয়াজ কুঁচি-২ টেবিল চামচ
- রসুন কুঁচি-২ টেবিল চামচ
- কালজিরা-২ চা চামচ
- লবন-১ চা চামচ
- কাঁচামরিচ কুঁচি-১ টেবিল চামচ
- বেসন-৩ টেবিল চামচ
- তেল-২ কাপ
- ঘি-১ টেবিল চামচ
প্রণালি
প্রথমে একটি বাটিতে থানকুনি পাতা কুঁচি, পুদিনা পাতা কুঁচি, ডিম, পিঁয়াজ কুঁচি, রসুন কুঁচি, কালজিরা, লবণ, কাঁচা মরিচ কুঁচি, বেসন দিয়ে ভালকরে মাখিয়ে পিঁয়াজু তৈরি করতে হবে। এবার চুলায় একটি কড়াই দিন, কড়াইয়ে তেল ও ঘি দিন, তেল ও ঘি গরম হলে ভেঁজে তুলতে হবে। তৈরি হয়ে গেল থানকুনি পাতার পিঁয়াজু।
কলার আনাজ ও থানকুনি পাতা
উপকরনঃ
আনাজ, ৪০০ গ্রাম (অনুমান) সিদ্ধ করার পর এই ওজন আমার মনে হয়েছিল
মুসরী ডাল, ঘন্টা খানেক ভিজিয়ে রাখা ভাল
থাকুনি পাতা (আদামনি পাতা)

পেঁয়াজ কুঁচি
রসুন দেশী
মরিচ গুড়া
হলুদ গুড়া
কয়েকটা কাঁচা মরিচ (না থাকলে নাই)
লবন (লবন প্রথম চোটে কম দিবেন, পরে লাগলে দিবেন)
তেল, তেল কমে রান্না করাই ভাল
প্রনালীঃ
-      আনাজ কেটে খাবার তৈরী করার জন্য একটু অভিজ্ঞতার দরকার। কেটে ভিতরের আঁশ বের করে আনতে একটা আঙ্গুলের ব্যবহার করতে হয়। এটা আগে কোন অভিজ্ঞ কারো কাছে দেখে নেয়া দরকার। যাই হোক, কেটে সামান্য হলুদ এবং লবন দিয়ে ভাল করে সিদ্ধ করে পানি ঝরিয়ে রাখতে হবে।
-      মুল রান্না খুব সহজ এবং সাধারণ। কড়াইতে তেল গরম করে সামান্য লবন যোগে পেঁয়াজ কুঁচি ভেঁজে এবং পরে রসুন বাটা দিয়ে ভাল করে ভেঁজে নিতে হবে।
-      কয়েকটা কাঁচা মরিচ দিলে ভাল। তার পর সামান্য পানি দিতে হবে। এবার ভিজিয়ে তুলে রাখা ডাল দিয়ে দিতে হবে।
-      ভাঁজুন।
-      হলুদ ও মরিচ গুড়া দিয়ে দিন (ছবিটা ভাল তুলতে পারি নাই, কাজ এগিয়ে চলছিলো)
-      সামান্য পানি দিন। ডাল নরম হতে শুরু করবে।
-      ডাল নরম না হলে আরো সামান্য পানি দিতে পারেন।
-      এবার সিদ্ধ করে রাখা আনাজ দিয়ে দিন।
-      ভাল করে নাড়িয়ে ভাঁজুন। চুলা ছেড়ে যাবেন না।
-      এবার থানকুনি পাতা দিয়ে দিন।
-      ফাইন্যাল লবন দেখুন, লাগলে দিন। ভাল করে নাড়িয়ে ভেঁজে চুলা বন্ধ করে দিন।
-      পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত।
থানকুনি ও মুশরী ডাল
উপকরন ও পরিমানঃ (পরিমান আপনি নিজেও করে নিতে পারেন)
আদামনি পাতার কুঁচি, ২০০ গ্রাম অনুমান
মুশরী ডাল, হাফ কাপ বা কম

পেঁয়াজ কুঁচি, মাঝারি দুইটা
রসুন বাটা, এক চা চামচ
শুকনা মরিচ, কয়েকটা (ঝাল বুঝে, আমাদের গুলোতে তেমন ঝাল ছিল না)
লাল মরিচ গুড়া, এক চিমটি
হলুদ গুড়া, হাফ চা চামচের কম
তেল, কয়েক চামচ (যারা নুতন রান্না করছেন, তারা একটু তেল বেশি দেবেন, এতে আপনাকে টেনশন করতে হবে না তবে আমি সব সময়েই কম তেলে রান্না পছন্দ করি)
লবন, পরিমান মত
পানি, দুই কাপ
প্রনালীঃ
কড়াইতে তেল গরম করে তাতে সামান্য লবন দিয়ে পেঁয়াজ কুঁচি, মরিচ ও রসুন বাটা দিয়ে ভাঁজুন।
ভাঁজুন, পেঁয়াজ কুঁচি হলদে হয়ে এলে, হাফ কাপ পানি দিন। এবার কষান। আমাদের শুকনা মরিচ গুলো বরিশাল থেকে নিয়ে আসা, তেমন ঝাল নেই বলে আমি একটু বেশি দিয়েছি। আপনারা মরিচ দিতে ভেবে নিবেন আর শুকনা মরিচ না থাকলে কাঁচা মরিচ দিতে পারেন, স্বাদে কি আর আসে যাবে!
এবার মরিচ ও হলুদ গুড়া দিন। ভাল করে মিশিয়ে কষিয়ে নিন। তেল ভেসে উঠবে।
এবার ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখা ডাল দিন, মিশিয়ে নিন এবং দেড় কাপ অনুমানিক পানি দিন।
আগুন মাধ্যম আঁচে রাখুন, ঢাকনা দিন। চুলার ধার ছেড়ে যাবেন না।
ডাল নরম হয়ে এই অবস্থায় এসে যাবে।
এমন অবস্থায় এসে যাবে।
এবার ধানকুনি পাতা দিন এবং মিশিয়ে নিন।
মাত্র ৩/৪ মিনিটেই হয়ে যাবে। ধানকুনি পাতা দিয়ে বেশি সময় চুলায় রাখা যাবে না। এই সময়েই ফাইন্যাল লবন দেখুন, লাগলে দিন।
চুলা বন্ধ, ব্যস হয়ে গেল।
থানকুনি পাতার ভর্তা
উপকরণ : পোড়া মরিচ, পরিমান মত পেঁয়াজ কুঁচি, পরিমান মত লবন, থানকুনি পাতা ও সরিষার তেল।
প্রস্তুত প্রণালি :
লবন দিয়ে মরিচ, পেঁয়াজ ডলা শুরু করুন। থানকুনি পাতা বেশী মাখার দরকার নাই, হালকা করে মাখুন। ব্যস, রেডী! গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন।
করুন। গরম ভাতের সাথে এ ডাল সত্যি অপূর্ব।
থানকুনি পাতা দিয়ে মজাদার বড়া
উপকরণ :
থানকুনি পাতা বাটা ১ কাপ (৬-৭ আঁটি হবে )
মসুরের ডাল -১/২ কাপ

চালের গুড়া -৩ টেবিল চামচ
পেঁয়াজকুচি -মাজারি সাইজের ১ টি
কাঁচা মরিচ
২ টি
হলুদের গুঁড়ো -১/৪ চা চামচ
জিরার গুঁড়ো- ১/৪ চা চামচ
আদা বাটা -১/২ চা চামচ
রসুন বাটা -১/২ চা চামচ
ধনেপাতা কুচি -২টেবিল চামচ
লবণ -১/২ চা চামচ বা পরিমানমত
তেল -ভাজার জন্য

পদ্ধতি :
·         -ডাল ধুয়ে পানিতে ২-৩ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। পরে পানি ফেলে ব্লেন্ড করে নিন। খুব মিহি করে ব্লেন্ড করবেন না। ব্লেন্ড করা ডাল আলাদা পাত্রে রাখুন ।
·         -এবার থানকুনি পাতা ধুয়ে ব্লেন্ড করে নিন (পাটাতেও বেটে নিতে পারেন )
·         পাত্রে বাটা থানকুনি পাতা ও ডাল নিয়ে তেল ছাড়া বাকি সব উপকরণগুলো একসাথে ভালোভাবে মেশান।
·         -এবার ফ্রাইপ্যানে তেল গরম করুন। এক টেবিল চামচের সমান মিশ্রণ নিয়ে গোল করে ফ্রাইপ্যানে দিয়ে মাঝারি আঁচে ভাজুন যতক্ষণ পর্যন্ত দুইপাশ ভাজা না হয়।
·         -ভাজা হয়ে গেলে বড়াগুলো ফ্রাইপ্যান থেকে নামিয়ে কিচেন টিস্যুর উপরে রাখুন যেন অতিরিক্ত তেল না থাকে।

·         -গরম গরম পরিবেশন করুন থানকুনি পাতার বড়া।

No comments:

Post a Comment