টমেটো / Tometo
টমেটো সোলানেসি (solanaceae)
পরিবারের লাইকোপার্সিকন (Lycopersicon) গণের
অন্তভুক্ত। টমেটোর কাণ্ড কোমল ও রসাল।
উদ্ভিদ বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে টমেটো একটি ফল হলেও, সবজি হিসেবেই সারা
বিশ্বে টমেটো পরিচিত। সবজি এবং সালাদ হিসেবে ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ টমেটোর বেশ চাহিদা।
ক্ষুদ্র ও মাঝারি চাষীদের জন্য এটি একটি বিশেষ অর্থকরী সবজি। সবজি হিসাবে এর
ব্যবহার ছাড়াও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পেও এর ব্যবহার সুবিদিত। দেশের বাজারের
চাহিদা মিটিয়ে টমেটো রপ্তানিরও প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। রান্নার উপকরণ হিসেবে এবং
খাবারের সাথে টমেটো সসও বেশ প্রচলিত।
আকর্ষণীয়তা, ভাল স্বাদ, উচ্চ পুষ্টিমান এবং বহুবিধ উপায়ে
ব্যবহারযোগ্যতার কারণে সর্বত্রই এটি জনপ্রিয়। এ সবজিতে প্রচুর পরিমাণে আমিষ,
ক্যালসিয়াম, ভিটামিন-এ এবং ভিটামিন-সি
রয়েছে। টমেটোতে লাইকোপেন নামে বিশেষ উপাদান রয়েছে, যা
ফুসফুস, পাকস্থলী, অগ্ন্যাশয়,
কোলন, স্তন, মূত্রাশয়,
প্রোস্টেট ইত্যাদি অঙ্গের ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করতে
পারে। টমেটো সম্ভবত প্রথম
ইউরোপে প্রবেশ করে স্পেনীয় কনকুইস্তাদোর হার্নান
কোর্তেসের হাতে ১৫২১ সনে অ্যাজটেক নগরী টেনোকটিট্লানের (বর্তমান মেক্সিকো সিটি)
পতনের পর। অথবা ক্রিস্টোফার কলম্বাসের হাত ধরে এরও আগে ১৪৯৩ এর দিকেও প্রবেশ করে
থাকতে পারে। তবে ইউরোপিয় সাহিত্যে সবচেয়ে প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় ১৫৪৪ সনে
পিয়েত্রো আন্দ্রেয়া মাতিওলি নামক জনৈক ইতালীয় চিকিৎসক ও উদ্ভিদবিদ লিখিত বৃ্ক্ষ
পঞ্জিকায়। তিনি লিখেছিলেন যে, একধরনের নতুন বেগুন উইরোপে
এসেছে যা কিনা পাকলে রক্তিম লাল অথবা সোনালী রঙ ধারণ করে এবং বেগুনের মতই রান্না
করে একে খাওয়া যায়।
স্পেনীয়দের হাতে আমেরিকা মহাদেশে উপনিবেশ স্থাপিত হওয়ার পর তারাই
ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে তাদের সমস্ত ঊপনিবেশে এই ফল ছড়িয়ে দেয়। একই সাথে
নিয়ে যায় ফিলিপিন্সে, সেখান থেকে টমেটো ছড়িয়ে পড়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং ক্রমে গোটা
এশিয়াতেই। স্পেনীয়দের আমদানি করা টমেটো ইউরোপের ভূমধ্য সাগরীয় অঞ্চলে ভালই ফলতে
শুরু করে। ১৫৪০ নাগাদ নিয়মিত চাষাবাদ শুরু হয়।
টমেটো বাংলাদেশ বিলাতী বেগুন নামে পরিচিত। বাংলাদেশে টমেটো সবজি হিসাবে
বহুল প্রচলিত। সবজি হলেও টমোটোর মধ্যে ফলের সমুদয় গুণ বিদ্যমান এবং ফলের ন্যায়
এটি রান্না না করেও খাওয়া যায়।
টমেটো আমাদের দেশের একটি প্রধান শীতকালীন সবজি, তবে বাংলাদেশে
গ্রীষ্মকালেও টমেটো সাফল্যের সাথে চাষ করা যায়।
টমেটোর আছে নানা গুণ। এতে আছে ভিটামিন ‘এ’, যা আমাদের ত্বক
সুন্দর রাখে। স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধ করে ভিটামিন ‘সি’। আর টমেটোর ভিটামিন ‘কে’ রক্তক্ষরণ বন্ধ করে। নিকোটিনিক
অ্যাসিড রক্তের কোলেস্টেরল কমায়। তাই হৃদ্রোগ প্রতিরোধে টমেটো সহায়তা করে। গ্লুটামিক
অ্যাসিড মস্তিষ্ক রাখে সুস্থ। টমেটোর পটাশিয়াম মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ (স্ট্রোক)
প্রতিরোধে কার্যকর।
প্রতি ১০০ গ্রাম টমেটো থেকে শক্তি পাওয়া যায় প্রায় ২০ ক্যালরি। টমেটোতে
পানির পরিমাণ প্রায় ৯৪ শতাংশ। ‘লাইকোপিন’ নামের একধরনের শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের
উপস্থিতির কারণে টমেটোর রং লাল। টমেটোর মতো এত বেশি পরিমাণে লাইকোপিন আর কোনো সবজি
বা ফলে আছে বলে জানা যায়নি।
লাইকোপিন শরীরের মুক্ত যৌগমূলকগুলোকে নষ্ট করে দেয় এবং কোষগুলোকে রক্ষা
করে। লাইকোপিন ক্যানসার প্রতিরোধ করে। জরায়ু মুখ, প্রোস্টেট, বৃহদন্ত্র, মলাশয়, পাকস্থলী,
গ্রাসনালি ইত্যাদি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ক্যানসার প্রতিরোধে টমেটো
সহায়ক ভূমিকা রাখে। বিভিন্ন গবেষণায় এ ব্যাপারে প্রমাণ মিলেছে।
রান্নায় লাইকোপিন নষ্ট হয় না, বরং বাড়ে। তাই টমেটো রান্না করে খাওয়া
বাড়তি উপকারী। অন্যান্য ফল বা সবজি রান্না করে খেলে গুণাগুণ নষ্ট হয়ে গেলেও
টমেটোতে তার বিপরীত অবস্থা দেখা যায়। তাই শীতে প্রতিবেলায় টমেটো খান, আর সুস্থ থাকুন।
পুষ্টি তথ্য
টম্যাটো, লাল
100 গ্রাম পরিমাণ প্রতি
ক্যালরি 18
% দৈনিক মূল্য*
মোট ফ্যাট 0.2 গ্রাম 0%
স্যাচুরেটেড ফ্যাট 0 গ্রাম 0%
Polyunsaturated
চর্বি 0.1 গ্রাম
Monounsaturated
চর্বি 0 গ্রাম
কলেস্টেরল 0 গ্রা 0%
সোডিয়াম 5 মিলিগ্রাম 0%
পটাসিয়াম 237 মিলিগ্রাম 6%
মোট কার্বোহাইড্রেট 3.9 গ্রাম 1%
খাদ্যতালিকাগত ফাইবার 1.2 গ্রাম 4%
চিনির 2.6 গ্রাম
প্রোটিন 0.9 গ্রাম 1%
22% একটি 16% ভিটামিন সি ভিটামিন
ক্যালসিয়াম 1% আয়রন 1%
ভিটামিন ডি 0% ভিটামিন বি 6 এবং 5%
ভিটামিন বি 12 0% ম্যাগনেসিয়াম 2%
* শতাংশ দৈনিক মূল্যবোধ একটি 2,000 ক্যালোরি
খাদ্যের উপর ভিত্তি করে৷ আপনার দৈনন্দিন মান আপনার
ক্যালোরি চাহিদার উপর নির্ভর করে কম বা বেশি হতে পারে৷
বিস্ময়কর সবুজ টমেটো
কাচা টমেটো অনেক বেশী স্বাস্থকর, এমনকি কয়েক গুন লাল টমেটোর চেয়েও বেশী! এক বড় কাচা টমেটো (প্রায় 1 কাপ), যাতেঃ
এনারজি 42 ক্যালোরি
প্রোটিন 2 গ্রাম এবং ফাইবার 2 গ্রাম
ভিটামিন সি 29 মিলিগ্রাম (লাল টমেটোতে ২৩ মিলিগ্রাম), দৈনিক পুরুষদের জন্য অর্ধেক প্রয়োজন এবং
(লাল টমেটো জন্য বনাম 23) প্রায় 60 মহিলাদের জন্য শতাংশ ৷
16 মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম (লাল টমেটোতে 6)
বিটা-ক্যারোটিন এর 623 এমসিজি (আপনার শরীরের ভিটামিন উৎপাদনে এ সাহায্য করে)
ভিটামিন এ এর 58 এমসিজি, আপনার প্রস্তাবিত দৈনিক প্রয়োযনের ১/১০ অংশ ৷
ভিটামিন বি, থিয়ামিন আপনার দৈনন্দিন চাহিদার 10%, ভিটামিন
বি 6 ও pantothenic অ্যাসিড,
riboflavinও আপনার দৈনন্দিন চাহিদার 10%আছে এবং আপনার
প্রয়োজন নিয়াসিন
ভিটামিন কে আপনার প্রস্তাবিত দৈনিক ভোজনের এক-পঞ্চমাংশ পাবেন ৷
আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ ইত্যাদি জন্য আপনার আপনার
দৈনন্দিন চাহিদার 10%আছে ৷
2009 সালে "কৃষি ও খাদ্য রসায়ন জার্নাল" প্রকাশিত গবেষণা
অনুযায়ী, স্তন, মলাশয়, পাকস্থলী ও লিভার ক্যান্সারের কোষ লড়াই হতে পারে যা tomatine নামক একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান আছে ৷
হেলদি সুইট চিলি চিকেন সালাদ
যা লাগবেঃ
টুকরো করা মুরগির রানের মাংস ১ কাপ
রসুন মিহি কুঁচি ২ চা চামুচ
আদা মিহি কুঁচি ১ চা চামুচ
লবন স্বাদমত
টমেটো টুকরা
লেটুস পাতা
ধনিয়া পাতা
সুইট চিলি সস ৪ টেবিল চামচ
লেবুর রস ২ টেবিল চামচ
অল্প অলিভ অয়েল
তিল ২ চিমটি
প্রণালী:
প্রথমে টমেটো পাননিতে ধুয়ে একটি বোলে রাখুন ৷ এক মাগ ফুটন্ত পানি ঢেলে ৮-১০
মিঃ রাখুন ৷ এবার গরম পানি ফেলে, এক মাগ ঠাণ্ডা পানি দিয়ে শক্ দিন । এবার টমেটোর উপরের
হাল্কা খোসা ফেলে দিন ৷
প্রথমে প্যান এ অলিভ ওয়েল দিয়ে তাতে রসুন আর আদা কুঁচি দিন। হালকা লাল হয়ে আসলে স্বাদমত লবন আর সুইট
চিলি সস দিয়ে দিন। তারপর একদম সামান্য পানি দিয়ে এটা রান্না করুন ২ মিনিট । এবার
মুরগির মাংস দিয়ে নেড়ে তাতে সামান্য পানি দিয়ে আরও ১০ মিনিট রান্না করুন।এটা মাখা
মাখা হলে নামিয়ে নিন।
ঠিক খাবার আগে একটা বাটিতে টুকরা টমেটো, লেটুস পাতা, ধনিয়া
পাতা, লেবুর রস আর রান্না করা মাংস আলতো করে মিশিয়ে নিন।
পরিবেশন এর সময় উপরে তিল ছিটিয়ে দিন।
এটা খুবই হেলদি সালাদ। ইফতারে ভাজা ভুজি না খেয়ে এই সালাদ খেয়ে দেখতে পারেন
সাথে একটা সিদ্ধ ডিম দিয়ে খেলে পরিপূর্ণ হয়।
কাচুম্বার সালাদ
যা যা লাগবে:
পেঁয়াজ : মাঝারি আকারের
একটি টমেটো : মাঝারি আকারের
দুটি গাজর: ছোট আকারের
একটি শসা: ছোট আকারের ২-৩ টি
ধনে পাতা: ১/৪ কাপ
লেবুর রস: ১ চা চামচ
চাট মসলা: ১/৪ চা চামচ
মরিচ গুড়া : ১/৪ চা চামচ
জিরা গুড়া : ১/২ চা চামচ
লবণ : স্বাদমতো
বানানোর পদ্ধতি :
*প্রথমে টমেটো পাননিতে ধুয়ে একটি বোলে রাখুন ৷ এক মাগ ফুটন্ত পানি ঢেলে
৮-১০ মিঃ রাখুন ৷ এবার গরম পানি ফেলে, এক মাগ ঠাণ্ডা পানি
দিয়ে শক্ দিন । এবার টমেটোর উপরের হাল্কা খোসা ফেলে দিন ৷
*পেঁয়াজ, গাজর, শসা,
টমেটো, ধনে পাতা সুন্দর ছোট ছোট আকারে
কেটে নিন। পরিবেশন করার আগে সবগুলো মসলা মিশিয়ে পরিবেশন করুন।
* আপনি চাইলে বিটরুট, কাচা মরিচ বা পুদিনা পাতাও
দিতে পারেন। তবে কাচা মরিচ দিলে শুকনো মরিচ না দেওয়াই ভালো।
* খাবারের ঠিক আগে আগে মসলা যোগ করুন। তা না হলে সালাদা থেকে পানি বের
হবে।
* আপনি চাইলে শসা বা গাজর গ্রেট করেও নিতে পারেন। সেটা আপনার ইচ্ছে।
টমেটোর অমলেট
উপকরণ:
হাঁসের ডিম ১টি ,
পেঁয়াজ কুচি ১টি,
পানি ১টেবিল চামচ ,
কাঁচামরিচ কুচি ১টি,
তেল ১টেবিল চামচ,
ধনেপাত কুচি ২চা চামচ,
টমেটো কুচি ২টেবিল চামচ ,
লবণ ১/৪ চা চামচ।
প্রণালী:
প্রথমে টমেটো পাননিতে ধুয়ে একটি বোলে রাখুন ৷ এক মাগ ফুটন্ত পানি ঢেলে ৮-১০
মিঃ রাখুন ৷ এবার গরম পানি ফেলে, এক মাগ ঠাণ্ডা পানি দিয়ে শক্ দিন । এবার টমেটোর উপরের
হাল্কা খোসা ফেলে দিন ৷
পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, ধনেপাতা ও লবণ একসাথে মিশাতে
হবে।এরপর ডিম কাঁটা চামচ দিয়ে ফেটে নিয়ে আবার তা পানি দিয়ে ফেটতে হবে।এবার এর সাথে
একসাথে মিশানো পেঁয়াজ , মরিচ, ধনেপাতা
ও লবণ মিশাতে হবে। ফ্রাইপ্যানে তেল গরম করে ডিম ছেড়ে দিতে হবে। প্যান ঘুরিয়ে ডিম
ছড়িয়ে দিতে হবে।এসময় চুলার আঁচ কম রাখতে হবে। ডিমের উপর টমেটো ছড়িয়ে দিয়ে ডিমের
নীচের অংশে হালকা বাদামী রং হওয়া অবধি অপেক্ষা করতে হবে। সবার শেষে অমলেট তেরি হয়ে
গেলে দুভাজঁ করে গরম প্লেটে তোলে নিন আর গরম গরম পরিবেশন করুন।
পাকা টমেটো দিয়ে কৈ মাছের ঝল
উপকরনঃ পাকা টমেটো – ৩৫০ গ্রাম, কৈ মাছ –আধা কেজি, কাঁচা মরিচ – ৫ টি, মরিচের গুড়া – ১ চা চামচ, পেয়াজ বাটা – ১ চা চামচ, রসুন বাটা – আধা চা চামচ, হলুদের গুড়া – আধা চা চামচ, আদা বাটা – ১ চা চামচ, লবণ - পরিমান মত,
জিরা বাটা – আধা চা চামচ, ধনে পাতা – সামান্য ও তেল – পরিমান মত।
প্রনালীঃ
প্রথমে টমেটো পাননিতে ধুয়ে একটি বোলে রাখুন ৷ এক মাগ ফুটন্ত পানি ঢেলে ৮-১০
মিঃ রাখুন ৷ এবার গরম পানি ফেলে, এক মাগ ঠাণ্ডা পানি দিয়ে শক্ দিন । এবার টমেটোর উপরের
হাল্কা খোসা ফেলে দিন ৷
কৈই মাছ ভাল করে কেটে ধুয়ে নিন। এরপর টমেটো ধুয়ে চার ফালি করে কেটে
রাখুন। তারপর কড়াইয়ে সব বাটা মসলা দিয়ে মাছ কষিয়ে নিন। কষানো হয়ে গেলে মসলা
থেকে মাছ তুলে রাখুন অন্য পাত্রে। এবার ঐ পাত্রে টমেটো দিয়ে কিছুক্ষন কষিয়ে নিন।
কষানো হলে সামান্য পানি দিয়ে ঢাকনায় ঢেকে চুলার আচ দিন। তরকারির ঝল ফুটে উঠলে
মাছ ঢেলে দিন। প্রায় পাঁচ মিনিট পর ঝল যখন ঘন হয়ে আসবে তখন ধনিয়া পাতা কুচি
ছিটিয়ে চুলা থেকে নামিয়ে ফেলুন। মজাদার কৈ মাছের ঝল গরম ভাতের সাথে দুপুরে
পরিবেশন করুন।
মাছ-টমেটোর সুস্বাদু রেসিপি
উপকরণ:
টমেটো আড়াইশ’ গ্রাম
যেকোনো মাছ আধা কেজি।
পেঁয়াজ কুচি হাফ কাপ
দই ২ টেবিল চামচ
হলুদগুঁড়া ২ চা চামচ
মরিচগুঁড়া ২ চা চামচ
আদাবাটা ২ চা চামচ
জিরাগুঁড়া ১/২ চা চামচ
ধনেগুঁড়া এক চা চামচ
চিনি ১/২ চা চামচ
লবণ স্বাদমতো
তেল ৩ টেবিল চামচ
ধনে পাতা কুচি এক টেবিল চামচ
প্রস্তুত পণালী:
প্রথমে টমেটো পাননিতে ধুয়ে একটি বোলে রাখুন ৷ এক মাগ ফুটন্ত পানি ঢেলে ৮-১০
মিঃ রাখুন ৷ এবার গরম পানি ফেলে, এক মাগ ঠাণ্ডা পানি দিয়ে শক্ দিন । এবার টমেটোর উপরের
হাল্কা খোসা ফেলে দিন ৷
মাছ বড় বড় টুকরো করে কেটে নিন। এবার তাতে দেড় চা চামচ হলুদগুঁড়া এবং এক চা
চামচ লবণ দিয়ে মাখিয়ে ১০ মিনিট রেখে দিন।
একটি পাত্রে তেল গরম করে নিন। টমেটো সেই গরম জলে ৩০ সেকেন্ড রেখে তুলে
ফেলুন। এবার খোসা ছাড়িয়ে কুচি করে কেটে নিন। পেঁয়াজ ভালো করে কুচি করে নিন।
এবার একটি বড় পাত্রে তেল গরম করে নিন। মাছের টুকরোগুলো সেই তেলে বাদামী না
হওয়া পর্যন্ত ভেজে নিন। একদিক ভাজা হলে মাছ উল্টে দিন। সেদিকটাও ঠিকমতো ভেজে তুলে
রাখুন।
এবার সেই তেলেই পেঁয়াজ দিন। ৫-৬ মিনিট নাড়ুন। নরম হয়ে আসলে তাতে হলুদগুঁড়া, মরিচগুঁড়া,
ধনেগুঁড়া, জিরাগুঁড়া, আদাবাটা, চিনি এবং কাটা টমেটো দিন। ভালোভাবে
মেশান এবং টমেটো নরম হওয়া পর্যন্ত নাড়তেই থাকুন।
এবার মিশ্রণটি আঁচ থেকে সরিয়ে নিন। ঠান্ডা হলে সেটা ভালোভাবে ব্লেন্ড করে
নিন। ব্লেন্ড করা পেস্টটা আবার চুলায় বসান। এবং তাতে এক কাপ পানি যোগ করুন। এবার
চুলা হালকা করে দিয়ে অল্প আঁচে এক মিনিট রাখুন।
এরপর তাতে দই মেশান। এবং মাছগুলো দিয়ে দিন। অল্প আঁচে আরো ৪-৫ মিনিট রেখে
দিন। এরপর কুচি করা ধনেপাতা দিয়ে ভালো করে মেশান। নামিয়ে গরম গরম ভাত বা রুচির
সাথে পরিবেশন করুন মজাদার টমোটো মাছ।
মুরগি দিয়ে কাঁচা টমেটো ভাজি করার উপায়
উপকরণ
কাঁচাটমেটো ৬টি (একটু
মোটা কুচি করে কাটা)। মুরগির মাংস
কুচি ১ কাপ (সিদ্ধ কিংবা আগের
রান্না করা)। পেঁয়াজ ১টি (মিহিন
করে কুচানো)। রসুন ২
কোয়া (কুচানো)।
হলুদগুঁড়া সামান্য। জিরাগুঁড়া ১/৪ চা-
চামচ। লবণ স্বাদমতো।
চিনি আধা চা-চামচ। কাঁচামরিচ
৩-৪টি। ধনেপাতা ২ টেবিল-চামচ
(কুচানো)। তেল দেড় টেবিল-চামচ।
পদ্ধতি
প্রথমে টমেটো পাননিতে ধুয়ে একটি বোলে রাখুন ৷ এক মাগ ফুটন্ত পানি ঢেলে ৮-১০
মিঃ রাখুন ৷ এবার গরম পানি ফেলে, এক মাগ ঠাণ্ডা পানি দিয়ে শক্ দিন । এবার টমেটোর উপরের
হাল্কা খোসা ফেলে দিন ৷
প্যানে তেল দিয়ে কুচি করা মুরগি,
অল্প হলুদ আর লবণ
দিয়ে ভাজতে হবে। তারপর পেঁয়াজ,
রসুনকুচি মিশিয়ে আরও একটু
ভেজে হালকা রং ধরলে অল্প হলুদ
আর
জিরাগুঁড়া দিয়ে নেড়ে নিয়ে কুচানো টমেটো আর
লবণ দিন।
ফালি করে কাটা কাঁচামরিচ
দিয়ে ভাজুন।
ভাজা হয়ে এলে চিনি আর ধনেপাতার
কুচি দিয়ে মিশিয়ে নামিয়ে ফেলুন।
একইভাবে মুরগির
বদলে কাঁটা ছাড়ানো মাছ দিয়েও
করা যায়।
বিফ
টমেটো পুর
উপকরণ : বিফ কিমা ২৫০
গ্রাম, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, ধনেপাতা
কুচি ২ টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ কুচি ১ চা চামচ, লবণ স্বাদ অনুযায়ী, আদা বাটা ১ চা চামচ,
রসুন বাটা ১ চা চামচ, গরম মসলা গুঁড়া ১
চা চামচ, মাঝারি আকারের টমেটো ৭-৮টি এবং সামান্য তেল।
টমেটো সস পরিমাণমতো।
প্রস্তুত প্রণালি :
প্রথমে টমেটো পাননিতে
ধুয়ে একটি বোলে রাখুন ৷ এক মাগ ফুটন্ত পানি ঢেলে ৮-১০ মিঃ রাখুন ৷ এবার গরম পানি
ফেলে, এক
মাগ ঠাণ্ডা পানি দিয়ে শক্ দিন । এবার টমেটোর উপরের হাল্কা খোসা ফেলে দিন ৷
বিফ কিমা ভালো করে ধুয়ে
নিন। পানি ঝরিয়ে রাখুন। ফ্রাইপ্যানে তেল গরম করুন। এতে একে একে সব উপকরণ একসঙ্গে
দিয়ে ভালো করে কষাতে থাকুন। বিফ কিমা বেশ ভুনা ভুনা হয়ে এলে নামিয়ে রাখুন। তারপর
টমেটোগুলো ভালো করে ধুয়ে নিন। টমেটোর ওপরের অংশ অনেকটা ঢাকনির মতো কেটে নিয়ে
ভেতরের বীজগুলো বের করে দিন। এখন রান্না করা বিফ কিমার পুর টমেটোর ভেতরে ভরে ওপরে
সস, ধনেপাতা
ও কাঁচামরিচ কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন।
পেঁয়াজ ও টমেটো ভাজি
প্রধান উপকরণ: টমেটো ১৫০ গ্রাম, পেঁয়াজ ১২০ গ্রাম
মশলা ও অন্যান্য উপকরণ: কাঁচা মরিচ ১টি, চিনি ও লবণ পরিমাণ মতো
রান্নার সময়: ৩০ মিনিট
রান্নার পদ্ধতি:
প্রথমে টমেটো
পাননিতে ধুয়ে একটি বোলে রাখুন ৷ এক মাগ ফুটন্ত পানি ঢেলে ৮-১০ মিঃ রাখুন ৷ এবার গরম
পানি ফেলে, এক মাগ ঠাণ্ডা পানি দিয়ে শক্ দিন । এবার টমেটোর উপরের হাল্কা খোসা ফেলে
দিন ৷
১. পেঁয়াজ ও টমেটো ধুয়ে এবং ছোট টুকরা করে কেটে রাখুন।
২. কাঁচা মরিচ ছোট টুকরা করে কেটে রাখুন।
৩. কড়াইয়ে একটু তেল দিয়ে গরম করে পেঁয়াজের টুকরাগুলো ভাজুন।
৪. কিছুক্ষণ পর টমেটো ও কাঁচা মরিচের টুকরাগুলো আরেকটু ভাজুন।
৫. সুগন্ধ বের হওয়ার পর একটু লবণ দিয়ে আরেকটু ভাজুন।
৬. এরপর একটু চিনি ও টেস্টিং সল্ট দিয়ে ভেজে নিন।
ইন্ডিয়ান স্পাইসি গ্রেভি চিকেনের রেসিপি
উপকরণ:
– ১ কেজি মুরগীর মাংস (কিউব করে কাটা
হলে ভালো হয়)
– ১ কাপ টক দই
– ৪ টেবিল চামচ আদাবাটা
– ৪ টেবিল চামচ রসুনবাটা
– ৪ টি বড় পেয়াজ আধাবাটা
– ২ টি মাঝারী আকারের টমেটো কিউব করে
কাটা
– ১ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
– ২ চা চামচ গরম মসলা
– ২ চা চামচ ধনে গুঁড়ো
– ১ চা চামচ জিরা গুঁড়ো
– ১ চা চামচ মরিচ গুঁড়ো
– ১০/১২ টি গোলমরিচ
– লবণ স্বাদমতো
– ৪ টেবিল চামচ তেল
– ৭-৮ টি কাচা মরিচ
– সামান্য পানি
পদ্ধতি:
- প্রথমে টমেটো পাননিতে ধুয়ে একটি বোলে
রাখুন ৷ এক মাগ ফুটন্ত পানি ঢেলে ৮-১০ মিঃ রাখুন ৷ এবার গরম পানি ফেলে, এক মাগ ঠাণ্ডা
পানি দিয়ে শক্ দিন । এবার টমেটোর উপরের হাল্কা খোসা ফেলে দিন ৷
– প্রথমে ২ টেবিল চামচ করে আদা-রসুন
বাটা, দই এবং
সামান্য লবণ দিয়ে মুরগীর মাংস মেরিনেট করে আলাদা করে রাখুন।
– একটি বাটিতে সকল গুঁড়ো মসলা একসাথে
মিশিয়ে ৫-৬ টেবিল চামচ পানি দিয়ে মিশ্রন তৈরি করে নিন।
– একটি বড় প্যানে তেল দিয়ে গরম করে
এতে আধাবাটা পেঁয়াজ দিয়ে ভালো করে নেড়ে নিন। এতে বাকি আদা-রসুন বাটা দিয়ে ভালো করে
নেড়ে অল্প আঁচে ভাজুন ৫ মিনিট।
– এরপর এতে মসলার মিশ্রন নিয়ে ভালো
করে নেড়ে নিন। ২/১ মিনিট নেড়ে এতে কেটে রাখা টমেটো ও মরিচ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে
নিন।
– এরপর মেরিনেট করে রাখা মুরগীর মাংস
দিয়ে ভালো করে নেড়ে মিশিয়ে নিন। বাড়তি কোনো পানি দেবেন না একেবারেই।
– যখন মসলা কষে আসতে শুরু করবে তখন
ঢাকনা দিয়ে ঢেকে মাঝারী আঁচে মাংস সেদ্ধ হওয়া পর্যন্ত চুলায় রাখুন।
– মাংস সেদ্ধ হয়ে এলে ওপরে ঘি ছড়িয়ে
দিয়ে আরও ২ মিনিট ঢেকে নামিয়ে নিন চুলা থেকে।
- ব্যস, এবার গরম গরম রুটি বা ভাতের সাথে পরিবেশন করুন।
টমেটোর চাটনি
উপকরণ:
উপকরণ:
প্রথমে টমেটো
পাননিতে ধুয়ে একটি বোলে রাখুন ৷ এক মাগ ফুটন্ত পানি ঢেলে ৮-১০ মিঃ রাখুন ৷ এবার গরম
পানি ফেলে, এক মাগ ঠাণ্ডা পানি দিয়ে শক্ দিন । এবার টমেটোর উপরের হাল্কা খোসা ফেলে
দিন ৷
বড় টমেটো ৬টি, সয়াবিন তেল সিকি চা-চামচ, সরিষার তেল ১ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদ অনুযায়ী,
চিনি আধা চা-চামচ, ধনেপাতা কুচি ২ টেবিল
চামচ, পেঁয়াজ কুচি ৩ টেবিল চামচ, শুকনো মরিচ ৪টি।
প্রণালি: টমেটো ধুয়ে মুখটা কেটে ৪ টুকরো করে কেটে নিন। টমেটোতে তেল মাখিয়ে একটি ফ্রাইপ্যানে দিয়ে জ্বাল বাড়িয়ে ঢেকে দিন। পাঁচ মিনিট পর ঢাকনা খুলে টমেটোগুলো উল্টে দিয়ে আবারও ঢেকে দিন। আরও পাঁচ মিনিট পর চুলার জ্বাল কমিয়ে ঢাকনা খুলে ডালঘুঁটনি দিয়ে সামান্য থেঁতো করে পানি শুকিয়ে ফেলুন। টমেটো সেদ্ধ হয়ে পোড়া পোড়া হলে নামিয়ে ঠান্ডা করুন। একটি পাত্রে শুকনো মরিচ টেলে হাতে গুঁড়ো করে রাখুন। তার সঙ্গে পেঁয়াজ কুচি, ধনেপাতা কুচি, লবণ ও চিনি মিশিয়ে হাত দিয়ে ভালো করে কচলে পোড়া পোড়া টমেটোর সঙ্গে মিশিয়ে সরিষার তেল দিয়ে মাখিয়ে নিন। গরম ভাত বা পুরির সঙ্গে খেতে পারবেন।
প্রণালি: টমেটো ধুয়ে মুখটা কেটে ৪ টুকরো করে কেটে নিন। টমেটোতে তেল মাখিয়ে একটি ফ্রাইপ্যানে দিয়ে জ্বাল বাড়িয়ে ঢেকে দিন। পাঁচ মিনিট পর ঢাকনা খুলে টমেটোগুলো উল্টে দিয়ে আবারও ঢেকে দিন। আরও পাঁচ মিনিট পর চুলার জ্বাল কমিয়ে ঢাকনা খুলে ডালঘুঁটনি দিয়ে সামান্য থেঁতো করে পানি শুকিয়ে ফেলুন। টমেটো সেদ্ধ হয়ে পোড়া পোড়া হলে নামিয়ে ঠান্ডা করুন। একটি পাত্রে শুকনো মরিচ টেলে হাতে গুঁড়ো করে রাখুন। তার সঙ্গে পেঁয়াজ কুচি, ধনেপাতা কুচি, লবণ ও চিনি মিশিয়ে হাত দিয়ে ভালো করে কচলে পোড়া পোড়া টমেটোর সঙ্গে মিশিয়ে সরিষার তেল দিয়ে মাখিয়ে নিন। গরম ভাত বা পুরির সঙ্গে খেতে পারবেন।
টমেটো চিংড়ি মালাইকারি
উপকরণ: বড় মাঝারি চিংড়ি ২০০ গ্রাম (ধুয়ে বেছে নেওয়ার পর), সবুজ কাঁচা মরিচ চেরা ২টি, লাল কাঁচা মরিচ চেরা ২টি, হলুদ গুঁড়ো সিকি চা-চামচ, টমেটো ৩টি (প্রতিটি লম্বায় ৪ টুকরো করতে হবে)। মরিচ গুঁড়ো ১ চা-চামচ, লবণ আধা চা-চামচ অথবা স্বাদ অনুযায়ী, চিনি ১ চা-চামচ, নারকেলের দুধ ২ কাপ, গোটা জিরা সিকি চা-চামচ, আদা বাটা ১ টেবিল চামচ, ধনেগুঁড়ো সিকি চা-চামচ, জিরা গুঁড়ো আধা চা-চামচ, পেঁয়াজ বাটা সিকি কাপ, সরিষার তেল সিকি কাপ।
উপকরণ: বড় মাঝারি চিংড়ি ২০০ গ্রাম (ধুয়ে বেছে নেওয়ার পর), সবুজ কাঁচা মরিচ চেরা ২টি, লাল কাঁচা মরিচ চেরা ২টি, হলুদ গুঁড়ো সিকি চা-চামচ, টমেটো ৩টি (প্রতিটি লম্বায় ৪ টুকরো করতে হবে)। মরিচ গুঁড়ো ১ চা-চামচ, লবণ আধা চা-চামচ অথবা স্বাদ অনুযায়ী, চিনি ১ চা-চামচ, নারকেলের দুধ ২ কাপ, গোটা জিরা সিকি চা-চামচ, আদা বাটা ১ টেবিল চামচ, ধনেগুঁড়ো সিকি চা-চামচ, জিরা গুঁড়ো আধা চা-চামচ, পেঁয়াজ বাটা সিকি কাপ, সরিষার তেল সিকি কাপ।
প্রণালি:
প্রথমে টমেটো
পাননিতে ধুয়ে একটি বোলে রাখুন ৷ এক মাগ ফুটন্ত পানি ঢেলে ৮-১০ মিঃ রাখুন ৷ এবার গরম
পানি ফেলে, এক মাগ ঠাণ্ডা পানি দিয়ে শক্ দিন । এবার টমেটোর উপরের হাল্কা খোসা ফেলে
দিন ৷
ফ্রাই প্যানে তেল গরম করে সামান্য লবণ ও হলুদ মাখিয়ে মাছগুলো ভেজে
তেল ছেঁকে উঠিয়ে রাখুন। মাছ ভাজার একই তেলে গোটা জিরার ফোড়ন দিয়ে আদা ও পেঁয়াজ
বাটা দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে ১ কাপ নারকেলের দুধ দিন। আরও কিছুক্ষণ কষাতে হবে।
তারপর মসলা থেকে তেল ছাড়া শুরু হলে জ্বাল কমিয়ে লবণ ও চিনি দিয়ে হালকা নেড়ে
হলুদ, মরিচ, ধনে ও জিরা গুঁড়ো দিয়ে ভালো করে
কষিয়ে নিন। সামান্য গরম পানি দিয়ে কষান। এবার বাকি ১ কাপ নারকেলের দুধ দিয়ে
হালকা নেড়ে চিংড়ি মাছগুলো দিয়ে দিন। চুলার আঁচ সামান্য বাড়িয়ে নেড়ে ঢেকে
দিন। পাঁচ মিনিট পর ঢাকনা খুুলে নাড়ুন। তারপর টমেটো দিয়ে আরও পাঁচ মিনিট ঢেকে
রান্না করুন। পাঁচ মিনিট পর ঢাকনা খুলে যখন মাছের গায়ে ঝোল মাখা মাখা হবে,
তখন চেরা কাঁচা ও পাকা মরিচ দিয়ে ঢেকে চুলা বন্ধ করে দিন। ১০
মিনিট পর ঢাকনা খুলে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন।
টমেটোর আচার
উপকরণ:
উপকরণ:
প্রথমে টমেটো
পাননিতে ধুয়ে একটি বোলে রাখুন ৷ এক মাগ ফুটন্ত পানি ঢেলে ৮-১০ মিঃ রাখুন ৷ এবার গরম
পানি ফেলে, এক মাগ ঠাণ্ডা পানি দিয়ে শক্ দিন । এবার টমেটোর উপরের হাল্কা খোসা ফেলে
দিন ৷
টমেটো ১ কেজি, শুকনো মরিচ ৪-৫টি, সরিষার তেল ১ কাপ, তেঁতুলের ক্বাথ আধা কাপ,
সিরকা আধা কাপ, কাঁচা আদা ২ ইঞ্চি লম্বা
১টি, জিরা ১ টেবিল চামচ, রসুন ৮
কোয়া, সাদা সরিষা ১ টেবিল চামচ, হলদু আধা চা-চামচ, লবণ ২ চা-চামচ অথবা স্বাদ
অনুযায়ী, চিনি সিকি কাপ, পাঁচফোড়ন
টেলে গুঁড়ো করা ১ টেবিল চামচ।
প্রণালি: টমেটো ধুয়ে কুচি করে নিন। অর্ধেক পরিমাণ আদা ও রসুন কুচি করুন। বাকি আদা, সরিষা ও জিরা বেটে নিন। চুলায় কড়াইয়ে সরিষার তেল গরম করে সব বাটা মসলা দিয়ে ভালো করে ভেজে নিন। কষানো হলে সিরকা ও লবণ দিয়ে আরও কিছুক্ষণ নেড়ে কষাতে হবে। তারপর টমেটো কুচি, ১ চা-চামচ পাঁচফোড়ন গুঁড়ো, আদা, রসুন কুচি ও শুকনো মরিচ দিয়ে রান্না করুন। চুলার আঁচ বাড়িয়ে দিয়ে নাড়তে থাকুন। পানি শুকিয়ে তেলের ওপরে এলে তাতে তেঁতুলের ক্বাথ ও চিনি দিয়ে নাড়তে থাকুন। একটু মাখা মাখা হলে বাকি পাঁচফোড়নের গুঁড়ো ছিটিয়ে দিয়ে চুলা বন্ধ করুন। ঠান্ডা হলে একটি কাচের শুকনো বোতলে আচার ঢেলে বোতলের মুখ শক্ত করে বন্ধ করে ১০-১২ দিন কড়া রোদে দিন।
প্রণালি: টমেটো ধুয়ে কুচি করে নিন। অর্ধেক পরিমাণ আদা ও রসুন কুচি করুন। বাকি আদা, সরিষা ও জিরা বেটে নিন। চুলায় কড়াইয়ে সরিষার তেল গরম করে সব বাটা মসলা দিয়ে ভালো করে ভেজে নিন। কষানো হলে সিরকা ও লবণ দিয়ে আরও কিছুক্ষণ নেড়ে কষাতে হবে। তারপর টমেটো কুচি, ১ চা-চামচ পাঁচফোড়ন গুঁড়ো, আদা, রসুন কুচি ও শুকনো মরিচ দিয়ে রান্না করুন। চুলার আঁচ বাড়িয়ে দিয়ে নাড়তে থাকুন। পানি শুকিয়ে তেলের ওপরে এলে তাতে তেঁতুলের ক্বাথ ও চিনি দিয়ে নাড়তে থাকুন। একটু মাখা মাখা হলে বাকি পাঁচফোড়নের গুঁড়ো ছিটিয়ে দিয়ে চুলা বন্ধ করুন। ঠান্ডা হলে একটি কাচের শুকনো বোতলে আচার ঢেলে বোতলের মুখ শক্ত করে বন্ধ করে ১০-১২ দিন কড়া রোদে দিন।
টমেটোর খাট্টা-মিঠা
উপকরণ: টমেটো ৫০০ গ্রাম, পানি ৬ কাপ, হলুদ গুঁড়ো সিকি চা-চামচ, মরিচ গুঁড়ো সিকি চা-চামচ, লবণ ৩ চা-চামচ (অথবা স্বাদ অনুযায়ী), চিনি ৬ চা-চামচ, তেঁতুলের ক্বাথ আধা কাপ, রসুন কুচি ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি ৩ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ ৪টি, ধনেপাতা কুচি ২ টেবিল চামচ, তেল ২ টেবিল চামচ।
উপকরণ: টমেটো ৫০০ গ্রাম, পানি ৬ কাপ, হলুদ গুঁড়ো সিকি চা-চামচ, মরিচ গুঁড়ো সিকি চা-চামচ, লবণ ৩ চা-চামচ (অথবা স্বাদ অনুযায়ী), চিনি ৬ চা-চামচ, তেঁতুলের ক্বাথ আধা কাপ, রসুন কুচি ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি ৩ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ ৪টি, ধনেপাতা কুচি ২ টেবিল চামচ, তেল ২ টেবিল চামচ।
প্রণালি:
প্রথমে টমেটো
পাননিতে ধুয়ে একটি বোলে রাখুন ৷ এক মাগ ফুটন্ত পানি ঢেলে ৮-১০ মিঃ রাখুন ৷ এবার গরম
পানি ফেলে, এক মাগ ঠাণ্ডা পানি দিয়ে শক্ দিন । এবার টমেটোর উপরের হাল্কা খোসা ফেলে
দিন ৷
একটি হাঁড়িতে ৬ কাপ পানি দিয়ে চুলায় দিন। তাতে টমেটো ধুয়ে ৪
টুকরো করে দিন। সঙ্গে ২ চা-চামচ লবণ, হলুদ ও মরিচ গুঁড়ো দিয়ে
চুলার আঁচ বাড়িয়ে ঢেকে দিন। পাঁচ মিনিট পর ঢাকনা খুলে ৪ চা-চামচ চিনি দিন। আবারও
ঢেকে দিয়ে জ্বাল দিন। পানি কমে ৪ কাপমতো হলে চুলা থেকে নামিয়ে কিছুক্ষণ ঠান্ডা
হতে দিন। এবার তারের চালুনিতে টমেটোগুলো হাত দিয়ে ভালো করে ছেনে নিয়ে খোসা ফেলে
দিন। আবার হাঁড়ি চুলায় চাপিয়ে তেঁতুলের ক্বাথের সঙ্গে আরও ১ চা-চামচ লবণ ও ২
চা-চামচ চিনি মিশিয়ে ঢেলে দিন। নেড়ে দুই-তিনবার ফুটতে দিন। চুলার আঁচ কিছুটা
কমিয়ে দিন। পাশের চুলায় ফ্রাইপ্যানে তেল গরম করে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভাজতে
থাকুন। পেঁয়াজ হালকা বাদামি রং হলে রসুন কুচি দিয়ে ভাজতে থাকুন। পেঁয়াজ ও রসুনের
রং গাঢ় বাদামি হয়ে এলে কাঁচা মরিচ দিয়ে দু-এক মিনিট ভেজে খাট্টা-মিঠার হাঁড়িতে
তা ঢেলে দিন। দু-একবার ফুটে ওঠার পর ধনেপাতা কুচি দিয়ে চুলা বন্ধ করে ঢাকনা দিয়ে
পাঁচ মিনিট রাখুন। কেউ যদি একটু ঘন করতে চান, তাহলে এতে
সামান্য কর্নফ্লাওয়ার গুলে দিতে পারেন।
টমেটো দিয়ে কোরাল মাছ রান্না
ঊপকরন :-
কোরাল মাছ :- ৪ টুকরা
টমেটো :- ৪-৫ টা
পেয়াজ বাটা :- ২ টে: চামচ
আদা বাটা :- ২ চা চামচ
হলুদ গুড়া :- ১ চা চামচ
মরিচ গুড়া :- ১/২ চা চামচ
পাঁচফোড়ন :- ১/২ চা চামচ
কাঁচামরিচ :- ৪ টা
ধনিয়া পাতা কুচি :- ২ টে: চামচ
লবন :- পরিমান মতো
চিনি :- ১/৮ চা চামচ
তেল :- ৪ টে: চামচ
প্রনালী :-
প্রথমে টমেটো
পাননিতে ধুয়ে একটি বোলে রাখুন ৷ এক মাগ ফুটন্ত পানি ঢেলে ৮-১০ মিঃ রাখুন ৷ এবার গরম
পানি ফেলে, এক মাগ ঠাণ্ডা পানি দিয়ে শক্ দিন । এবার টমেটোর উপরের হাল্কা খোসা ফেলে
দিন ৷
টমেটো গুলো লম্বায় চার ফালি করে কেটে ধুয়ে রাখুন। এবার প্যান এ ২ টে: চামচ
তেল গরম করে মাছের টুকরা গুলো ১/২ চা চামচ হলুদ গুড়া ও পরিমান মতো লবন দিয়ে মেখে
হালকা করে ভেজে তুলুন। এবার বাকি তেল টুকু প্যানে দিয়ে তাতে পাঁচফোড়ন ও একটা
কাঁচামরিচ ফোড়ন দিয়ে তাতে পেয়াজ বাটা, আদা বাটা, দিয়ে
কষিয়ে হলুদ গুড়া, মরিচ গুড়া, লবন,
চিনি দিয়ে নেড়ে টমেটো গুলো দিয়ে নেড়ে ঢেকে দিন এবং চুলার আচ
কমিয়ে দিন। ২ মিনিট পর ঢাকনা খুলে ভাল করে নেড়ে ১ কাপ পানি দিন ফুটে উঠলে মাছের
টুকরা গুলো দিয়ে ঢেকে রান্না করুন। নামানোর আগে ধনিয়া পাতা ও কাঁচামরিচ দিয়ে
নামান।
No comments:
Post a Comment