আনারস বা Pineapple
আনারস দক্ষিণ আমেরিকা আদিবাসী ও দক্ষিন ব্রাজিল ও প্যারাগুয়ের
মধ্যে এলাকা থেকে উদ্ভূত বলা হয়; যাইহোক, একটু ঘরকুনো আনারস (Pickersgill,
1976) এর উৎপত্তি সম্পর্কে পরিচিত হয়৷
শ্রীমতি. (1919) Bertoni৷ উ comosus উৎপত্তি স্থানে হতে পারানা-প্যারাগুয়ে নদী drainages বিবেচিত দক্ষিণ ব্রাজিল ও প্যারাগুয়ের নেটিভস দক্ষিণ আমেরিকা জুড়ে
আনারস ছড়িয়ে, এবং এটা শেষ পর্যন্ত ক্যারিবিয়ান,
মধ্য পৌঁছেছেন এটা মায়ানিবাসীগণ এবং Aztecs দ্বারা চাষ করা হয় যেখানে আমেরিকা ও মেক্সিকো৷ কলম্বাস গুয়াডেলোপ এর অনুবাত দ্বীপে 1493 সালে
আনারস সম্মুখীনহয় ৷ এভাবে তিনি আনারস নতুন দুনিয়া ছেড়ে
চলে যেতে প্রথম bromeliad উপার্জন, "ভারতীয়দের পাইন" যার অর্থ, Piña ডি Indes এটা
বলা হয়, এবং ইউরোপ থেকে তার সাথে গ্রামে ফিরে গেলেন৷ স্প্যানিশ ফিলিপাইন, হাওয়াই (সেটিকে চালু ১৯
শতকের প্রথম দিকে চালু, প্রথম বাণিজ্যিক
বাগানের 1886, জিম্বাবুয়ে ও গুয়াম৷ ফলের একটি স্প্যানিশ জাহাজ 1500s মধ্যে আছে
এটা আনা যখন প্রথম হাওয়াই চালু করা হয়েছে বলে বলা হয়৷ পর্তুগিজ
ব্রাজিল থেকে ফল গ্রহণ এবং 1550 ভারতে সেটিকে চালু হয়৷
পুষ্টিগত মান
আনারস, কাঁচা
100 গ্রাম প্রতি পুষ্টিগত মান (3.5 oz)
শক্তি 209 কিলোজুল (50 কিলো)
শর্করা 13,12 গ্রাম
চিনি 9.85 গ্রাম
খাদ্যতালিকাগত ফাইবার 1.4 গ্রাম
চর্বি 0.12 গ্রাম
প্রোটিন 0.54 গ্রাম
ভিটামিন
থায়ামাইন (B 1) (7%)
0.079 মিলিগ্রাম
Riboflavin
(B2) (3%)
0.032 মিলিগ্রাম
নিয়াসিন (B3 থেকে) (3%) 0.5 মিলিগ্রাম
প্যানটোথেনিক অ্যাসিড (B5) (4%) 0.213 মিলিগ্রাম
ভিটামিন B6 (9%) 0.112 মিলিগ্রাম
Folate
(B9) (5%) 18 μg
Choline (1%) 5.5 মিলিগ্রাম
ভিটামিন সি (58%) 47.8 মিলিগ্রাম
খনিজ
ক্যালসিয়াম (1%) 13 মিলিগ্রাম
আয়রন (2%)
0.29 মিলিগ্রাম
ম্যাগনেসিয়াম (3%)
12 মিলিগ্রাম
ম্যাঙ্গানিজ (44%)
0.927 মিলিগ্রাম
ফসফরাস (1%)
8 মিলিগ্রাম
পটাসিয়াম (2%)
109 মিগ্রা
সোডিয়াম (0%)
1 মিলিগ্রাম
দস্তা (1%) 0.12 মিলিগ্রাম
ইউএসডিএ ডাটাবেস এন্ট্রি লিংক
ইউনিট
μg = মাইক্রোগ্রাম • মিলিগ্রাম = মিলিগ্রাম
আন্তর্জাতিক ইউনিট = IU
শতকরা প্রায় প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য অবস্থান সুপারিশ ব্যবহার আনুমানিক হয়৷
উত্স: ইউএসডিএ পুষ্টির ডাটাবেস
আনারস (আনারস comosus)
ভোজ্য একাধিক ফল, berries, coalesced, নামেও
আনারস এর মধ্যে রয়েছে সঙ্গে একটি ক্রান্তীয় উদ্ভিদ এবং Bromeliaceae পরিবারের
সবচেয়ে অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভিদ৷
আনারস ফল দিয়ে একটা মুকুট কাটিয়া থেকে চাষ করা যেতে পারে, সম্ভবত নিম্নলিখিত ছয় মাসের
মধ্যে 20-24 মাস এবং fruiting মধ্যে
ফুল৷ আনারস উল্লেখযোগ্যভাবে পোস্ট ফসল পাকা না৷
আনারস রান্না,
Juiced, তাজা খাওয়া, এবং সংরক্ষণ করা
যাবে৷ তারা কুইজিন একটি বিস্তৃত অ্যারের মধ্যে পাওয়া
যায়৷ খরচ ছাড়াও, আনারস পাতার
সাধারণত পুরুষদের Barong তাগালগ এবং দেশে মহিলাদের Baro't
Saya প্রথাগত পরিধান জন্য উপাদান হিসেবে ব্যবহার ফিলিপাইনে
টেক্সটাইল ফাইবার Piña, উত্পাদন ব্যবহৃত হয়৷ ফাইবার ওয়ালপেপার এবং অন্যান্য আসবাব জন্য একটি উপাদান হিসাবে
ব্যবহৃত হয়৷
আনারস। এটি খেতে যেমন মিষ্টি ও রসাল তেমনি এর পুষ্টিমানও অনেক।
প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় যে কোনো একটি ফল থাকলে মন্দ হয় না। আর চাইলে
প্রতিদিনের খাবারে আনারস রাখা যেতেই পারে। এটি দামেও সস্তা এবং আমাদের দেশে বেশ
সহজলভ্য। তাছাড়া এতে আছে এমন কিছু পুষ্টি উপাদান যা আমাদের শরীরের জন্যও
প্রয়োজনীয়।
ভিটামিন ও খনিজ লবণ
আনারসে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ লবণ থাকে। এরমধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি,
ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং পটাশিয়াম। আনারস
একটি আঁশযুক্ত ফল যা থেকে প্রযোজনীয় ফাইবার বা আঁশ ও ক্যালরি পাওয়া যায়। সবচেয়ে বড়
কথা হল, আনারসে ফ্যাট ও কোলেস্টেরলের পরিমাণ কম। তাই যারা
ওজন কমাতে চান তাদের জন্য আনারস খুবই উপকারী।
ঠাণ্ডা ও কাশি প্রতিরোধ করে
আনারসে ভিটামিন সি’য়ের পরিমাণ বেশি থাকায় এটি ভাইরাসজনিত ঠাণ্ডা ও কাশি প্রতিরোধে
সাহায্য করে। আনারসের ব্রোমেলেইন নামক উপাদান ঠাণ্ডা ও কাশি প্রতিকার করতেও সাহায্য
করে। যদি ঠাণ্ডা-কাশি বেশি হয় তাহলে ডাক্তারের ওষুধের পাশাপাশি আনারস খেলে দ্রুত
উপকার পাওয়া যাবে।
হাড় মজবুত রাখে
হাড় গঠন ও সবল রাখার জন্য আনারসের সুনাম আছে। কারণ হাড় ও কোষের টিস্যু বা
কোষকলা গঠন করার জন্য প্রয়োজনীয় ম্যাঙ্গানিজ পাওয়া যায় আনারসে। যদি নিয়মিত এক কাপ
পরিমাণ আনারস খাওয়া যায় তবে তা থেকে দেহের প্রয়োজনীয় ম্যাঙ্গানিজের ৭৩ শতাংশ পাওয়া
যাবে।
দাঁত ও মাড়ির সুস্থতা
দাঁত দুর্বল হওয়ার অন্যতম কারণ মাড়ির দুর্বলতা। দাঁত ও মাড়ি সুস্থ রাখতে
প্রতিদিন
আনারস খাওয়া যেতে পারে। কারণ আনারস দাঁত মজবুত করে ও মাড়ি সুস্থ রাখতে
সাহায্য করে।
রেটিনার সুস্থতা
রেটিনা অক্ষিপটের সুস্থতা বজায় রাখতে আনারস সাহায্য করে। ম্যাকুলার
ডিজেনারেশন রোগের কারণে প্রথমে দৃষ্টি শক্তি হ্রাস পায় ও পরে রেটিনা বা অক্ষিপটের
ক্ষতি হয়। এর ফলে লেখাপড়া,
কোন কিছু চিনতে না পারা এবং অন্যান্য দৈনন্দিন কাজ করা কষ্টকর
হয়ে দাঁড়ায়। প্রতিদিন আনারস খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে এই রোগের সম্ভাবনা ৩৬ শতাংশ
কমে আসবে। কারণ এই ফলে আছে বেটা ক্যারটিন যা চোখের জন্য উপকারী।
আর্থ্রাইটিস দূর করে
আনারস গেঁটেবাত ও এর ব্যাথা দূর করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি হাড়ও সুস্থ
রাখে।
হজমে সাহায্য করে
আনারসের ব্রোমেলেইন হজমে সাহায্যকারী বিভিন্ন রসকে অ্যাসেডিক হতে দেয় না।
তাছাড়া আনারসে প্রোটিন পরিপাকের উপাদান থাকে যা দেহের হজম ক্রিয়া বৃদ্ধি করে। তাই
বদহজমের সমস্যা থাকলে আনারস খেলে উপকার পাওয়া যায়।
দুধ-আনারস একসঙ্গে খেলে কী হয়?
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের ডিন অধ্যাপক
ডা.
এ বি এম আবদুল্লাহ বলেন, ‘আনারস ও দুধ একসঙ্গে খেলে
বিষক্রিয়া হয়ে কেউ মারা যায় এই ধারণা ভুল। এগুলো এক ধরনের ফুড ট্যাবু বা খাদ্য
কুসংস্কার।’
অধ্যাপক আবদুল্লাহ বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘আনারস একটি এসিডিক এবং টকজাতীয় ফল। দুধের মধ্যে যেকোনো টকজাতীয়
জিনিস দিলে দুধ ছানা হয়ে যেতে পারে বা ফেটে যেতে পারে। এটা কমলা ও দুধের বেলায় বা
লেবু ও দুধের বেলাতেও ঘটে। ফেটে যাওয়া দুধ খেলে খুব বেশি হলে বদ হজম, পেট ফাঁপা,
পেট খারাপ– এ ধরনের সমস্যা হতে পারে, তবে বিষক্রিয়ার
কোনো আশঙ্কা নেই। যাদের গ্যাসট্রিকের সমস্যা রয়েছে, খালি
পেটে আনারস খেলে তাদের এই সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।’
আনারসের বেশ কিছু খারাপ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
১। অ্যালার্জীর আক্রমনঃ আনারস খাওয়ার ফলে অনেক নারী ও পুরুষের দেহে
অ্যালার্জী
দেখা দিতে পারে। আনারস খাওয়ার ফলে অ্যালার্জীর উপসর্গ হল ঠোঁট ফুলে
যাওয়া ও গলায় সুরসুরি বোধ হওয়া।তাই আনারস খাওয়ার আগে তা কেটে লবন পানি দিয়ে ধুয়ে
নেয়া উচিত। এভাবে ধুয়ে নিয়ে খেলে কোন সমস্যা হওয়ার সম্ভবনা থাকেনা।
২। নারীর গর্ভপাত ঝুঁকিঃ আনারসের কারণে নারীদের গর্ভপাত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
গর্ভাবস্থায় থাকলে নারীদের আনারস খেতে বারণ করা হয়। তাছাড়া গর্ভাবস্থার পরে চাইলে
আনারস খেতে পারেন কিন্তু শরীরের অবস্থা বুঝে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ নিয়ে খেতে
হবে।
৩। বাতের ব্যথা হওয়ার ঝুঁকিঃ যখন আপনি আনারস খাবেন তখন এটি আপনার
গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল নালীর কাছে পৌঁছানোর পর এটি অ্যালকোহলে পরিনত হয়। এবং
এই
কারণে মানুষের দেহে বাতের ব্যথা শুরু হতে পারে। তাই যে সকল মানুষের দেহে বাতের
ব্যথা আছে কিংবা সন্দেহ করা হচ্ছে বাত হতে পারে তাদের আনারস না খাওয়াটাই ভালো।
৪। রক্তে চিনির পরিমাণ বৃদ্ধি পায়ঃ আনারসে আছে অনেক বেশি পরিমানে প্রাকৃতিক
চিনি। আনারসের ২ টি চিনি উপাদান সুক্রোজ এবং ফ্রুক্টোজ যা ডায়বেটিস রোগীদের জন্য
ক্ষতিকর। কিন্তু দেহের ক্ষতি, এটি খাওয়ার উপর নির্ভর করে। এবং আনারসের মধ্যে অতিরিক্ত
চিনি আমাদের দেহে রক্তের চিনির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। তাই আনারস বেশি না খেয়ে সপ্তাহে
২ দিন খেতে পারেন।
৫। ওষুধের প্রতিক্রিয়াঃ আনারসে আছে ব্রমিলেইন যা দিয়ে ওষুধ বানানো হয়ে থাকে
এবং কোন রোগীর প্রয়োজন পরলে তাকে তা দেয়া হয়ে থাকে। তাছাড়া আপনি যদি কোন কারণে
অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিকনভালসেন্ট ব্যবহার করে থাকেন তাহলে আনারস খেতে
ডাক্তাররা নিষেধ করে থাকেন। কারন এতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
৬। কাঁচা আনারসে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াঃ অনেকেই কাঁচা আনারস ব্যবহার করে থাকেন
জুস বানানোর জন্য কিন্তু এটি দেহের জন্য ক্ষতিকর এবং খুব বিষাক্ত। এবং মাঝে মাঝে
কাঁচা আনারস খাওয়ার কারণে বমির প্রবনতা দেখা দেয়।
৭। কাঁচা আনারস মুখ ও গলার জন্য ক্ষতিকরঃ কাঁচা আনারসে আছে অনেক বেশি
পরিমানে এসিডিটি যা আমদের মুখের ভিতর ও গলায় শ্লেষ্মা তৈরি করে। এবং ফলটি খাওয়ার
পর মাঝে মাঝে অনেকের পেটে ব্যথাও হতে পারে।
৮। রক্ত তরলিকরন ওষুধঃ রক্ত তরল করার জন্য যে ওষুধ বানানো হয় তাতে আনারস
ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই ফল দেহে রক্ত জমাট বাঁধার প্রক্রিয়াতে বাঁধা প্রদান করে
থাকে।
৯। আনারসের ব্রমিলেইনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াঃ ব্রমিলেইন আনারসের একটি উপাদান
যা আমদের দেহের প্রোটিনের পরিমাণ নষ্ট করাতে দায়ী থাকে। এবং এই ফল দেহে
ডার্মাটাইটিস ও অ্যালার্জী সংক্রামন করে।
১০। দাঁতের জন্য ক্ষতিকরঃ আনারস আমাদের দাঁতের জন্য ক্ষতিকর। যাদের দাতে
কেভিটিস ও জিংজাইভেটিভস এর সমস্যা আছে তাদের আনারস না খাওয়াই ভালো।
আনারস-ডাবের শরবত
কী কী লাগবে-
আনারসের রস-৩/৪ কাপ বা ১৮০ মিলি
ডাবের জল-১/২ কাপ বা ১২০ মিলি
আদার রস-১/২ চা চামচ
মধু-১ চা চামচ(প্রয়োজন পড়লে)
লেবু-১টা
প্রস্তুত প্রণালীঃ
আনারসের রস, ডাবের জল, আদার রস ও বরফ একসঙ্গে ব্লেন্ডারে
মিশিয়ে নিন। ভাল করে ঝাঁকিয়ে নিয়ে মধু মিশিয়ে নিন। যদি আনারস খুব মিষ্টি হয় তাহলে
মধু মেশানোর দরকার নেই। গ্লাসের মধ্যে বরফের কিউব দিয়ে আনারস-ডাবের রসের মিশ্রণ
ঢালুন। ইচ্ছা হলে লেবুর রস মিশিয়ে পরিবেশন করুন।
আনারস-পুদিনার শরবত
উপকরণঃ
আনারস অর্ধেকটা ( কুঁচি করে কাটা)
পুদিনা কুঁচি ১ টেবিল চামচ
লেবুর রস এক চা চামচ
বিট লবন ১/২ চা চামচ
লবন (পরিমাণমত)
চিনি ১ টেবিল চামচ
ঠান্ডা পানি দেড় গ্লাস
বরফ কুঁচি
প্রস্তুত প্রণালীঃ
প্রথমে আনারস, পুদিনা পাতা, লেবুর রস, বিট লবণ, লবণ ও চিনি ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে
নিন।
এরপর শরবতটি ছাকনি দিয়ে ভালো করে ছেঁকে নিন।
গ্লাসে ঢেলে নিন।
বরফ কুচি ও পুদিনা পাতা দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার আনারস-পুদিনার
শরবত।
আনারস পুদিনার শরবতের সহজ রেসিপিটি
উপকরণঃ
১.আনারস অর্ধেকটা ( কুঁচি করে কাটা)
২.পুদিনা কুঁচি ১ টেবিল চামচ
৩.লেবুর রস এক চা চামচ
৪.বিট লবন ১/২ চা চামচ
৫.লবন (পরিমাণমত)
৬.চিনি ১ টেবিল চামচ
৭.ঠান্ডা পানি দেড় গ্লাস
বরফ কুঁচি
প্রস্তুত প্রণালীঃ
১. প্রথমে আনারস,
পুদিনা পাতা, লেবুর রস, বিট লবণ, লবণ ও চিনি ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে
নিন।
২. এরপর শরবতটি ছাকনি দিয়ে ভালো করে ছেঁকে নিন।
৩. গ্লাসে ঢেলে নিন।
৪. বরফ কুচি ও পুদিনা পাতা দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার আনারস-পুদিনার
শরবত।
আনারসের চাটনি
উপকরণঃ
আনারস-২টো
চিনি-৪ কাপ
সরষে-অল্প ফোড়নের জন্য
কিসমিস
নুন-সামান্য
তেল-অল্প
প্রস্তুত প্রণালীঃ
আনারস অর্ধেক করে কেটে ভেতর থেকে কুরিয়ে শাঁস বের করে নিন। ফ্রাইং প্যানে
অল্প তেন দিয়ে সরষে ফোড়ন দিন। সরষে ফেটে সুন্দর গন্ধ বেরোলে আনারস, কিসমিস, নুন ও ২ কাপ চিনি দিন। অল্প জল দিয়ে নেড়েচেড়ে ২০ থেকে ২৫ হাল্কা আঁচে
রাখুন। আনারস গলে গেলে মিশ্রণ আঠালো হয়ে আসতে থাকলে আঁচ বাড়িয়ে বাকি ২ কাপ চিনি
দিয়ে নাড়তে থাকুন। নাড়তে নাড়তে চিনি গলে গেলে নামিয়ে নিন। ঠান্ডা হয়ে গেলে
ফ্রিজে রেখে দিন। পরিবেশনের আগে ফ্রিজ থেকে বের করে ঠান্ডা ঠান্ডা চাটনি পরিবেশন
করুন।
পাইন্যাপেল ফ্রাইড রাইস
উপকরণ:
রান্না করা ভাত ২ কাপ (পোলাও বা বাসমতির চাল দিয়ে রান্না ভাত)
পাকা-আনারস কিউব করে কাটা আধা কাপ
রসুনকুচি ১ টেবিল-চামচ (কিমার মতো কুচি)
পেঁয়াজকুচি ২ টেবিল-চামচ
কাঁচামরিচ কুচি ১ টেবিল-চামচ বা স্বাদ মতো
তেল ৩/৪ টেবিল-চামচ
ফিশ সস ১/২ টেবিল-চামচ
সয়া সস ১/২ টেবিল-চামচ
চিংড়ি মাছ ৮/১০টি
গাজর কিউব করে কাটা ২ টেবিল-চামচ (সিদ্ধ করা)
মটরশুঁটি ২ টেবিল-চামচ (সিদ্ধ করা)
গোলমরিচ গুঁড়া আধা চা-চামচ
কিশমিশ ১ টেবিল চামচ
কাজুবাদাম ৭/৮টি (ভাজা)
কারি পাউডার ১ চা চামচ (ইচ্ছা)
পেঁয়াজপাতা কুচি ১ টেবিল চামচ
ধনেপাতা কুচি ১ টেবিল চামচ
ডিম ১টি
চিনি ১ চা চামচ
প্রস্তুত প্রণালীঃ
-চিংড়ি মাছগুলোতে একটু সয়া সস, সামান্য
রসুনবাটা ও একটু মরিচকুচি দিয়ে মাখিয়ে রাখুন।
-অন্য একটা বাটিতে সয়া সস, ফিশ সস, চিনি, কারি পাউডার ও গোলমরিচ একসঙ্গে মিশিয়ে
রাখুন।
-এবার একটি ননস্টিক প্যানে পরিমাণ মতো তেল গরম করে পেঁয়াজ, মরিচ ও রসুনকুচি একটু ভেজে, চিংড়ি মাছ দিয়ে
আবারও একটু ভেজে নিন। চিংড়ি মাছ ও মসলাগুলো একপাশে সরিয়ে রাখুন।
-একটু তেল দিয়ে ডিম ঝুরি ঝুরি করে ভেজে নিন। এবার একে একে গাজর,
মটরশুঁটি, বাদাম, কিশমিশ দিয়ে মিশিয়ে ভাত দিন।
-একটু ভেজে সসের মিশ্রণ ও আনারস কিউব দিন। আরও একটু ভাজুন।
-সবশেষে ধনেপাতা-কুচি উপর দিয়ে ছড়িয়ে নামিয়ে পরিবেশন করুন।
পাইনঅ্যাপল অ্যান্ড ফিটা সালাদ
টুকরো করে কাটা আক কাপ আনারস, ফিটা পনির তিন টেবিল চামচ, দুই টেবিল চামচ বাদাম, সামান্য লবণ, মরিচ কাটা অর্ধেক টেবিল চামচ, এক টেবিল চামচ
লেবুর রস, এক টেবিল চামচ চিনি এবং এক টেবিল চামচ সরিষা
গুঁড়ো।এই সব একসঙ্গে নিয়ে নাড়াচাড়া করুন যেন ফিটা পনির আনারস টুকরোগুলো সুন্দরভাবে
মিশে যায়। ঠাণ্ডা করে পরিবেশন করুন।
পাইনঅ্যাপল হালুয়া
গ্রেট করা পুরো একটি আনারস, এক কাপ মাওয়া, দুই
টেবিল চামচ রেজিন, আধা কাপ চিনি, এক টেবিল চামচ এলাচ গুঁড়ো এবং আধা কাপ অয়েল।একটি প্যানে তেল গরম করে
গ্রেট করা আনারস ৫-১০ মিনিট ভাজুন। এই অবস্থাতেই মাওয়া মিশিয়ে নাড়াচাড়া করুন।
ভালোমতো নাড়াচাড়ার পর তাতে অন্যান্য উপকরণগুলো একযোগে মিশিয়ে নিন। আরো কয়েক মিনিট
তেলে ভাজতে থাকুন। ব্যস, তৈরি হয়ে গেছে পাইনঅ্যাপল
হালুয়া।
পাইনকুলার
এতে লাগবে : আনারসের এক কাপ জুস, এক টেবিল চামচ লেবুর রস, এক টেবিল চামচ আদার রস, স্বাদের জন্য সামান্য
লবণ এবং স্বাদ ও গন্ধ দিতে কিছু পুদিনা পাতা।এবার এ সব উপকরণ একসঙ্গে মেশান এবং
ঠাণ্ডা করে খেতে দিন। পুদিনা পাতা না মিশিয়ে গ্লাসের কিনারায় বসিয়ে দিতে পারেন।এক
গ্লাসের চার ভাগের তিন ভাগ পাইন কুলারের সঙ্গে বাকি এক ভাগ সোডা পানি মিশিয়ে নিয়েও
খেতে পারেন।
আনারসের শরবত
উপকরণঃ
২০০ গ্রাম আনারস,
বিট লবণ, চিনি, বরফ কুচি, পুদিনা পাতা।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
আনারস ভালো মতো পরিষ্কার করে কেটে রস বের করে বেল্গন্ডারের মধ্যে নিন (এতে
যেন কোনো খোসা বা বিচি না থাকে)। তাতে মিনারেল পানি, পরিমাণ মতো বিট লবণ, চিনি মিশিয়ে ২০ মিনিট ফ্রিজে রেখে দিন। ২০ মিনিট পর ফ্রিজ থেকে বের করে
বরফ কুচি আর পুদিনা পাতা দিয়ে পরিবেশন করুন।
আনারসী ইলিশ
উপকরণঃ
ইলিশ মাছের টুকরো ৮-১০টি, আনারস ঝুরি করে কাটা ১ কাপ, হলুদ
গুঁড়া ১ চা চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ, আস্ত কাঁচামরিচ ৫-৬টি, সরিষার তেল পরিমাণমতো,
লবণ স্বাদ অনুযায়ী এবং পানি পরিমাণমতো। পেঁয়াজ মিহি করে কাটা হাফ
কাপ। রসুন বাটা হাফ চা চামচ
প্রস্তুত প্রণালীঃ
প্রথমে মাছের টুকরোগুলো ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। একটি প্যানে তেল
নিয়ে পেঁয়াজ ও কাঁচামরিচ হালকা ভেজে একে একে তাতে সব গুঁড়া ও বাটা মসলা, স্বাদ অনুযায়ী লবণ
এবং ঝুরি করা আনারস দিয়ে মসলা ভালো করে কষিয়ে এতে মাছের টুকরো বিছিয়ে অল্প পানি
দিয়ে না ঢেকে ১০ মিনিট রান্না করে নামিয়ে পরিবেশন করুন।
আনারসের চিকেন কোরমা
উপকরণ
মুরগির মাংস ১ কেজি,
আনারস কুচি ১ কাপ, আদা বাটা ১ চা চামচ,
রসুন বাটা ১ চা চামচ, পেঁয়াজ কুচি আধা
কাপ, তেল আধা কাপ, মরিচ গুঁড়ো
আধা চা চামচ, তেজপাতা ২টি, দারুচিনি
৪ টুকরা, এলাচ ৪টি, লবণ
পরিমাণমতো, লবঙ্গ ৪টি, চিনি ২ চা
চামচ, বেরেস্তা ২ টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ
৫টি, কিশমিশ ১ টেবিল চামচ, পেস্তাবাদাম
কুচি ১ টেবিল চামচ, ঘি ৩ টেবিল চামচ, গোলমরিচ ১ চা চামচ।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
১. মাংস, লবণ ও আনারস কুচি ১০ মিনিট মেখে রাখুন।
২. কড়াইয়ে তেল গরম করে এলাচ, দারুচিনি, গোলমরিচ,
লবঙ্গ ও ফোড়ন দিয়ে সব মসলা কষিয়ে মাংস দিয়ে ভালো করে ভুনে অল্প
পানি দিয়ে দমে বসান।
৩. ওপরে তেল উঠে এলে কাঁচামরিচ, কিশমিশ ও বাদাম কুচি দিয়ে নামিয়ে ফেলুন।
আনারস দিয়ে ডিম ভুনা
উপকরণঃ
আনারস কিউব করে কাটা ১ কাপ, ডিম ৪টি সিদ্ধ করা, পেঁয়াজ কিউব করে কাটা আধা কাপ, রসুন বাটা ১ চা
চামচ, আদাবাটা আধা চা চামচ, হলুদ
গুঁড়া ১ চা চামচ, মরিচ গুঁড়া আধা চা চামচ, ধনেপাতা কুঁচি ১ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদ
অনুযায়ী, তেল পরিমাণ মতো এবং পানি পরিমাণ মতো।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
প্রথমে সিদ্ধ ডিম টুথপিক দিয়ে ফুটো করে হলুদ ও লবণ মাখিয়ে তেল গরম করে তাতে
বাদামি করে ভেজে তুলন। ওই তেলে পেঁয়াজের টুকরার সঙ্গে সব বাটা ও গুঁড়া মশলা, লবণ এবং কিউব করা
আনারসের সঙ্গে সিদ্ধ ডিম দিয়ে ভুনা ভুনা করে রান্না করে ধনেপাতা কুঁচি দিয়ে নামিয়ে
পরিবেশন করুন।
আনারস দিয়ে বাইম মাছ ভুনা
উপকরণঃ
বাইন মাছ বড় একটি,
পেঁয়াজ টুকরা করা ১ কাপ, লবণ স্বাদ
অনুযায়ী, আদাবাটা ১ চা চামচ, রসুন
বাটা ১ চা চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ, জিরা গুঁড়া ১ চা চামচ,
আনারস কিউব করে কাটা ১ কাপ, কাঁচামরিচ
৫-৬টি, তেল পরিমাণ মতো ও তেজপাতা ২টি।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
প্রথমে মাছ কেটে ছোট ছোট টুকরা করে ভালো করে লবণ দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে
রাখুন। একটি কড়াইয়ে তেল গরম করে তাতে পেঁয়াজের টুকরা দিয়ে ভাজা ভাজা করে একে একে
সব গুঁড়া মশলা এবং লবণ দিয়ে মশলা কষিয়ে নিয়ে তাতে বাইন মাছের টুকরা এবং কিউব করা
আনারস দিয়ে আবার কষিয়ে পরিমাণ মতো পানি, জিরা গুঁড়া এবং কাঁচামরিচ দিয়ে ভুনা ভুনা
করে নামিয়ে পরিবেশন করুন আনারস দিয়ে বাইন মাছ ভুনা।
চিকেন আনারসী
উপকরণঃ
চিকেন ছোট ছোট টুকরা করা ৫০০ গ্রাম, পেঁয়াজ কিউব করে কাটা ১ কাপ, কাঁচামরিচ ১ টেবিল চামচ, ধনেপাতা কুচি ২ টেবিল
চামচ, লবণ স্বাদ অনুযায়ী, আদাবাটা
১ চা চামচ, রসুন বাটা ১ চা চামচ, গরম মশলা গুঁড়া ১ চা চামচ, সাদা সিরকা ২ টেবিল
চামচ, পাকা আনারস কিউব করে কাটা ১ কাপ, তেল পরিমাণ মতো, পানি প্রয়োজন হলে।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
প্রথমে চিকেনের টুকরাগুলো ভালো করে ধুয়ে নিন। তারপর তাতে সব উপকরণ একসঙ্গে
মাখিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন ২-৩ ঘণ্টা (পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ ও ধনেপাত ছাড়া)। এরপর একটি
ফ্রাইপ্যানে তেল গরম করে মুরগির টুকরাগুলো তাতে পেঁয়াজ, ধনেপাতা,
কাঁচামরিচ কুচি দিয়ে ভাজা ভাজা করে রান্না করে পরিবেশন করুন।
স্পাইসি আনারসের জুস
উপকরণঃ-
আনারস রস- ৩ গ্লাস লেবুর রস- ১ টির চিনি – ১ টেবিল চামচ গোল মরিচ ১ – ২ টি কাঁচা মরিচ – ১/২ টি বিট লবণ – স্বাদ অনুযায়ী ভাজা জিরা
গুঁড়া – সামান্য (ঐচ্ছিক ) লবণ – ১ চিমটি
প্রস্তুত প্রণালীঃ
জিরা ও গোল মরিচ প্যানে ভেজে গুঁড়া করে নিন । – আনারসের রস কাঁচা মরিচ, বিট লবণ ও লবণ
ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করুন। – পাতলা কাপড় অথবা ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে নিন । – ছাকার পর জিরা গুঁড়া মিশান
।এতে করে জিরার ফ্লেবারটা ভাল ভাবে পাবেন । – ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করে বরফ
কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন।
আনারসের হালুয়া
উপকরণঃ
দেড় কাপ আনারস (মিহি কুচি/ব্লেন্ড করা)
১/৪ কাপ মাওয়া (গুড়া করা)
১/২ কাপ দুধ
২ টেবিল চামচ চিনি
১ টেবিল চামচ ঘি
সামান্য জাফরান (১ টেবিল চামচ দুধে গোলানো)
বাদাম (সাজানোর জন্য)
প্রস্তুত প্রণালীঃ
একটি প্যানে ঘি গরম করে নিন।
ঘি গরম হয়ে গেলে প্যানে আনারস ও চিনি দিয়ে অল্প আঁচে নাড়তে থাকুন।
৮-১০ মিনিট নাড়ার পরে মাওয়া ও দুধ দিয়ে ধীরে ধীরে মিশিয়ে নিন।
৪-৫ মিনিট ক্রমাগত নাড়তে থাকুন যেন দুধ শুকিয়ে হালুয়া ঘন হয়ে আসে।
জাফরানের মিশ্রণটি দিয়ে আরো কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে হালুয়া ঘন হয়ে গেলে
নামিয়ে ফেলুন চুলা থেকে।
পাত্রে ঢেলে উপরে বাদাম দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার আনারসের হালুয়া।
আনারসের জেলি
উপকরণঃ
আনারসের রস ১ কেজি,
চিনি পরিমাণমতো, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ,
ভিনেগার সামান্য।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
পাকা আনারস কেটে হাতের চাপে রস বের করে নিতে হবে। এবার তা পাতলা কাপড় দিয়ে
ছেঁকে নিন যাতে কোন আঁশ না থাকে। রসের সঙ্গে স্বাদ অনুযায়ী চিনি মিশিয়ে জ্বাল দিতে
থাকুন। রান্না চলাকালীন সময় চামচ দিয়ে অনবরত নাড়তে থাকুন। মিশ্রণটি মোটামুটি গাঢ়
হয়ে আসলে লেবুর রস দিয়ে দিন। ঝাল জেলি খেতে চাইলে স্বাদ অনুযায়ী মরিচ গুঁড়া দিতে
হবে। মিশ্রণটি জ্বাল দেয়ার পর চারভাগের এক ভাগ পরিমাণে নেমে আসলে নামিয়ে ঠাণ্ডা
করতে হবে। ব্যস হয়ে গেল মোহনীয় গন্ধে ভরা সুস্বাদু আনারসের জেলি ৷
আনারসের শরবত
উপকরণঃ
আনারস ২কাপ (কিউব করে কাটা), বিট লবণ
স্বাদমতো, চিনি পরিমাণ মতো, বরফ কুঁচি।
প্রস্তুত প্রণালীঃআনারস ভালো মতো পরিষ্কার
করে কেটে ব্লেন্ডারের মধ্যে নিন। তাতে পানি,
বিট লবণ, গোলমরিচ গুঁড়ো, চিনি মিশিয়ে ব্লেন্ড করুন।
২০ মিনিটের জন্য ফ্রিজে রেখে দিন। ২০মিনিট পর
ফ্রিজ থেকে বের করে বরফ কুঁচি দিয়ে পরিবেশন করুন।
No comments:
Post a Comment