লাউ (ইংরেজি: bottle gourd)
লাউ (ইংরেজি: bottle gourd) (বৈজ্ঞানিক নাম: Lagenaria siceraria) শীতকালীন
সবজিগুলোর মধ্যে অন্যতম। লাউ এক প্রকার লতানো উদ্ভিদ যা এর ফলের জন্যে চাষ করা হয়,
যা কিনা কাঁচা অবস্থায় সবজি হিসেবে খাওয়া হয়, আর পরিপক্ব অবস্থায় শুকিয়ে এটি বোতল, পাত্র
বা নল হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এ কারণেই লাউ এর ইংরেজি নাম হয়েছে Bottle
gourd। কচি
লাউয়ের রং হালকা সবুজ, ভেতরে সাদা রংয়ের শাঁস। লাউকে আঞ্চলিক ভাষায় কদু বলা হয়।
লাউ পৃথিবীর অন্যতম পুরনো চাষ হওয়া সবজি অতি পরিচিত লাউয়ের জন্ম কিন্তু
আফ্রিকায়। আমাদের দেশে লাউকে আঞ্চলিক ভাষায় কদু বলা হয়। কচি লাউয়ের রং হালকা
সবুজ, ভেতরে
সাদা রঙের শাঁস। এটি সবজি হিসেবে খাওয়া হয়। শুধু লাউ নয়, লাউয়ের বাকল, লতা, এমনকি
পাতাও খাওয়া যায়।
উপকারিতা[সম্পাদনা]
লাউয়ে প্রচুর পানি থাকে, যা দেহের পানির পরিমাণ ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
ডায়রিয়া জনিত পানিশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে।
লাউ খেলে ত্বকের আর্দ্রতা ঠিক থাকে।
প্রস্রাবের সংক্রমণজনিত সমস্যা দূর হয়। কিডনির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
উচ্চ রক্তচাপবিশিষ্ট রোগীদের জন্য এটি আদর্শ সবজি।
কোষ্ঠকাঠিন্য, অর্শ, পেট ফাঁপা প্রতিরোধে সহায়ক।
এই সবজি দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ইনসমনিয়া বা নিদ্রাহীনতা দূর করে
পরিপূর্ণ ঘুমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
লাউয়ে রয়েছে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস, যা দেহের ঘামজনিত লবণের ঘাটতি দূর করে।
দাঁত ও হাড়কে মজবুত করে।
ক্যালরির পরিমাণ কম থাকায় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও লাউ যথেষ্ট উপকারী।
ডায়েটিং কালেও লাউ ভালো ফল দেয়।
চুলের গোড়া শক্ত করে এবং চুল পেকে যাওয়ার হার কমায়।
পুষ্টি তথ্য
লাউ, কাঁচা
100 গ্রাম পরিমাণ প্রতি
ক্যালরি 14
% দৈনিক মূল্য*
মোট ফ্যাট 0 গ্রাম
0%
স্যাচুরেটেড ফ্যাট 0 গ্রাম 0%
Polyunsaturated
চর্বি 0 গ্রাম
Monounsaturated
চর্বি 0 গ্রাম
কলেস্টেরল 0 গ্রা 0%
সোডিয়াম 2
মিলিগ্রাম 0%
পটাসিয়াম 150
মিলিগ্রাম 4%
মোট কার্বোহাইড্রেট 3.4
গ্রাম 1%
খাদ্যতালিকাগত ফাইবার 0.5 গ্রাম 2%
প্রোটিন 0.6
গ্রাম 1%
ভিটামিন 'এ' 0%
ভিটামিন সি 16%
ক্যালসিয়াম 2%
আয়রন 1%
ভিটামিন ডি 0%
ভিটামিন বি 6 0%
ভিটামিন বি 12 0%
ম্যাগনেসিয়াম 2%
* শতাংশ দৈনিক মূল্যবোধ একটি 2,000 ক্যালোরি
খাদ্যের উপর ভিত্তি করে. আপনার দৈনন্দিন মান আপনার ক্যালোরি চাহিদার উপর নির্ভর
করে কম বা বেশি হতে পারে৷
বাংলাদেশে
লাউ একটি জনপ্রিয় সবজি। লাউ সাধারণত শীতকালে বসতবাড়ির আশপাশে চাষ হয়। লাউয়ের পাতা
ও ডগা শাক হিসেবে এবং লাউ তরকারী ও ভাজি হিসেবে খাওয়া যায়। লাউয়ের চেয়ে এর শাক
বেশি পুষ্টিকর। বাংলাদেশে লাউয়ের অনেক জাত চোখে পড়ে। ফলের আকার-আকৃতি এবং গাছের
লতানোর পরিমাণ থেকেও জাতগুলো পাথর্ক্য করা যায়। যা হোক দেশীয় উন্নত এবং গবেষণালব্ধ কিছু জাত
হলোঃ
১। দেশীয় জাতঃ গাঢ় সবুজ থেকে হালকা সবুজ।
২। বারি লাউ-১: এ জাতটি বাছাইয়ের মাধ্যমে উদ্ভাবন করে ১৯৯৬ সনে সর্বত্র
চাষাবাদের জন্য অনুমোদন করা হয়। পাতা সবুজ ও নরম। পুরুষ এবং স্ত্রী ফুল যথাক্রমে
চারা রোপণের ৪০-৪৫ দিন এবং ৬০-৬৫ দিনের মধ্যে ফুটে। এর ফল হালকা সবুজ, লম্বা ৪০-৫০
সেমি.। প্রতি ফলের ওজন ১.৫-২.০ কেজি। প্রতি গাছে ১০-১২ টি ফল ধরে। এ জাতটি সারা
বছরই চাষ করা যায়।
৩। হাইব্রিড লাউঃ গোলাকার বা লম্বা।
লাউ একই সঙ্গে সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর একটি সবজি। আর এর উপকারিতাও অনেক
প্রতি ১০০ গ্রাম লাউয়ে আছে,
কার্বোহাইড্রেট- ২.৫ গ্রাম, প্রোটিন-
০.২ গ্রাম, ফ্যাট- ০.৬ গ্রাম, ভিটামিন-সি-
৬ গ্রাম, ক্যালসিয়াম- ২০ মি.গ্রা.,ফসফরাস- ১০ মি.গ্রা.,পটাশিয়াম- ৮৭ মি.গ্রা.,
নিকোটিনিক অ্যাসিড- ০.২ মি.গ্রা.। এছাড়াও লাউয়ে রয়েছে খনিজ লবন,
ভিটামিন বি-১, বি-২, আয়রন।
উপকারিতা
• লাউয়ে প্রচুর পানি
থাকে, যা দেহের পানির পরিমাণ ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
ডায়রিয়া জনিত পানিশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে।লাউ খেলে ত্বকের আর্দ্রতা ঠিক
থাকে।
• প্রস্রাবের
সংক্রমণজনিত সমস্যা দূর হয়। কিডনির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
• উচ্চ
রক্তচাপবিশিষ্ট রোগীদের জন্য এটি আদর্শ সবজি।
• কোষ্ঠকাঠিন্য,
অর্শ, পেট ফাঁপা প্রতিরোধে সহায়ক।
• এই সবজি দেহের
তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ইনসমনিয়া বা নিদ্রাহীনতা দূর করে পরিপূর্ণ ঘুমের জন্য
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
• লাউয়ে রয়েছে
ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস, যা দেহের ঘামজনিত লবণের ঘাটতি দূর
করে। দাঁত ও হাড়কে মজবুত করে।
• ক্যালরির পরিমাণ কম
থাকায় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও লাউ যথেষ্ট উপকারী। ডায়েটিং কালেও লাউ ভালো ফল
দেয়।
• চুলের গোড়া শক্ত
করে এবং চুল পেকে যাওয়ার হার কমায়।
ওজন কমাতে
আপনি যদি ওজন কমানোর কথা ভেবে থাকেন তাহলে খাবার তালিকায় লাউ রাখুন। লাউ
একটি কম ক্যালোরি সম্পন্ন ডায়েট। লাউয়ের ৯৬% হলো পানি। লাউয়ে প্রচুর পরিমাণে
ডায়েটারি ফাইবার থাকে এবং খুবই কম ক্যালোরি থাকে যা ওজন কমাতে অত্যন্ত সহায়ক। তাই
ওজন কমানোর চিন্তা করছেন যারা তাঁরা বেশি করে লাউ খান। তাহলে শরীরে কম ক্যালোরি
যুক্ত হবে এবং পেটও ভরবে।
হজমে সাহায্য করে
লাউয়ে প্রচুর পরিমাণে দ্রবণীয় এবং অদ্রবনীয় ফাইবার আছে। দ্রবণীয় ফাইবার
খাবার সহজে হজম করতে সাহায্য করে এবং হজম সংক্রান্ত সকল সমস্যা সমাধানে সহায়তা
করে। এছাড়াও নিয়মিত লাউ খেলে অ্যাসিডিটি ও কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যার সমাধান করে।
অদ্রবণীয় ফাইবার পাইলসের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
শরীর ঠান্ডা করে
যেহেতু লাউ এর মূল উপাদান হলো পানি তাই লাউ খেলে শরীর ঠান্ডা থাকে। যারা
নিয়মিত সূর্যের আলোতে কাজ করে অথবা দীর্ঘক্ষন ধরে রোদে কাজ করার পর লাউ তরকারী
খেলে শরীর বেশ ঠান্ডা হয় এবং শরীরের ভেতরের অস্বস্তি লাগা কমে। গরমের কারণে আমাদের
শরীর থেকে যে পানি বের হয়ে যায় লাউ সেটার অনেকটাই পূরণ করে ফেলে। ফলে হিট
স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমে যায়।
ত্বক ভালো করে
লাউয়ে আছে প্রাকৃতিক প্রোটিন ও ভিটামিন। তাই নিয়মিত লাউ খাওয়ার অভ্যাস
থাকলে ত্বক ভেতর থেকে ভালো হয়। এছাড়াও যাদের ত্বক তৈলাক্ত তাদের ত্বকের তৈলাক্ততার
সমস্যা অনেকটাই কমে যায় লাউ খেলে। এছাড়াও লাউ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে পেট পরিষ্কার
রাখে। ফলে মুখে ব্রণ ওঠার প্রবণতাও কমে যায় অনেকটাই।
পানিশূন্যতা দূর করে
জ্বর, ডায়রিয়া ও অন্যান্য বড় ধরণের অসুখে শরীরে পানির অভাব দেখা দেয়। প্রচুর
পরিমাণে পানি বের হয়ে যায় বলে পানি শূন্যতার সৃষ্টি হয় এবং তা কিডনির উপর প্রভাব
ফেলে। তাই এ ধরণের অসুখের সময় প্রচুর পরিমাণে লাউ খেলে শরীরের পানিশূন্যতা দূর হয়ে
যায় এবং শরীর সতেজ থাকে।
প্রসাবের জ্বালা পোড়া কমায়
লাউয়ে প্রচুর পরিমাণে পানি আছে। তাই যাদের প্রসাবে জ্বালা পোড়ার সমস্যা আছে
কিংবা প্রসাব হলদে হয় তাদের নিয়মিত লাউ খাওয়া উচিত। নিয়মিত লাউ খেলে এধরণের সমস্যা
থেকে নিস্তার পাওয়া যাবে।
লাউ চিংড়ি
উপকরণঃ
লাউ - ৫০০ গ্রাম
চিংড়ি - ২০০ গ্রাম
পেঁয়াজ বাটা - ৬ চা চামচ ( আপনি পেঁয়াজ বাটার পরিবর্তে ১/২ কাপ পেঁয়াজ
কুঁচিও দিতে পারেন)
রসুন বাটা- ২ চা চামচ
জিরার গুঁড়া- ৩/৪ চা চামচ
হলুদের গুঁড়া- ১ চা চামচ
কাঁচা মরিচ বাটা- ১ চা চামচ অথবা আপনার স্বাদ অনুযায়ী ( মরিচ বাটার
পরিবর্তে আপনি আস্ত কাঁচা মরিচ চিরেও দিতে পারেন)
লবন - ১ চা চামচ অথবা আপনার স্বাদ অনুযায়ী
তেল - ১/৪ কাপ
ধনিয়া পাতা কুঁচি- ২ টেবিল চামচ (না হলেও চলবে)
পদ্ধতিঃ
লাউএর খোসা ফেলে ধুয়ে আনুমানিক ১/২ ইঞ্চি পাতলা করে কেটে নিন। চিংড়ি পরিষ্কার করে ধুয়ে রাখুন।
পাত্রে তেল দিয়ে মাঝারি আঁচে গরম করুন। তেলে সমস্ত গুঁড়া মশলা,বাটা মশলা এবং লবন
দিয়ে ভাল করে কষিয়ে নিন। যখন মশলা থেকে তেল আলাদা হয়ে যাবে তখন লাউ এবং চিংড়ি
মাছ দিয়ে ভাল করে নাড়ুন। ১০ মিনিট
মাঝারি আঁচে রান্না করুন। মাঝে মাঝে নেড়ে দিন। এরপর দেড় কাপ উষ্ণ গরম পানি দিয়ে
ফুটিয়ে তুলুন এবং ঢেকে দিন।
অল্প আঁচে ১৫- ২০ মিনিট অথবা লাউ সিদ্ধ হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন।
এখন তরকারীর উপরে ধনিয়া পাতা কুঁচি ছিটিয়ে আরও মিনিট দুএক রান্না করে
নামিয়ে ফেলুন। সাদা ভাতের সাথে পরিবেশন করুন।
লাউ রান্না টাকি মাছ
উপকরনঃ
- কিছু টাকি মাছ
- পনে এক কেজি ওজনের একটা কচি লাউ
- কিছু (সাত আট চামচ) তেল
- দুই চামচ রসূন বাটা
- কিছু পেঁয়াজ কুচি
- এক চামচ লাল মরিচ গুড়া
- সামান্য হলুদ
- লবন (পরিমান মত)
- কাঁচা মরিচ
- ধনিয়া পাতা
প্রনালীঃ
কড়াইতে তেল দিয়ে গরম করে তাতে পেঁয়াজ কুচি ও রসূন দিয়ে ভাঁজতে থাকুন।
টাকি মাছ ও লাউ (ত্রিমার্ত্রিক ভাবে) কেটে হাতের কাছে রাখুন।
লাল মরিচ, হলুদ (না দিলেও চলে), লবন ও কাঁচা মরিচ দিয়ে
কষিয়ে সামান্য পানি দিয়ে ঝোল বানিয়ে ফেলতে হবে।
এবার টাকি মাছ গুলো দিয়ে দিতে হবে। ভাল করে সিদ্ব করে টাকি মাছ গুলোকে আবার
উঠিয়ে নিতে হবে কারন টাকি মাছের কাটা বেঁছে ফেলতে হবে।
টাকি মাছের কাটা এভাবে খুব সহজেই বেছে ফেলা যেতে পারে।
কাটা বাঁচার পর টাকি মাছ গুলো রেখে দিতে হবে।
কড়াইতে বেঁচে থাকা ঝোলে লাউ নামিয়ে দিন।
লাউ মজতে থাকবে। প্রয়োজনে কিছু পানি দিতে পারেন। দাঁড়িয়ে দেখতে থাকুন। লাউ
বেশী মজে গেলে আবার খেতে ভাল লাগবে না। সুতারং সাবধান।
কাঁটা বিহীন জমিয়ে রাখা টাকি মাছ ঢেলে দিন এবং ভাল করে মিশিয়ে দিন।
মিনিট পাঁচেক আগুনে জ্বাল দিয়ে লবন দেখে নিন, না হলে দিন হলে বলুন 'ওকে'। পরিমান মত ধনিয়া পাতা তরকারীর উপরে
ছিটিয়ে দিয়ে দিন।
ব্যস হয়ে গেল 'টাকি মাছ দিয়ে লাউ রান্না'।
দুধ কদু বা লাউ এর পায়েস
উপকরণ : কচি লাউ ( ছোট ) ১ টা, তরল দুধ ২ লিটার,
( ঘন করে ) , পাউডার দুধ আধা কাপ, চিনি সবাদমত, এলাচ ৪ টা, দারুচিনি ২ টা, কিসমিস , পেস্তাবাদাম, কাজুবাদাম, খেজুর, মিমি
চকলেট সাজানোর জন্য ( ইচছা )৷
প্রনালী : দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করে
নিন। লা উ ছিলে মিহি কুঁচিকুঁচি
করে পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন তাহলে লাউয়ের কালো কষ বের হয়ে যাবে। এবারে
চিপেচিপে ঐ দুধের মধ্যে দিয়ে জ্বাল দিতে
হবে।
লাউ সেদধ হয়ে এলে গুড়াদুধ, ( আলাদা গুলিয়ে )
এলাচ,দারুচিনি, চিনি দিয়ে ভাল
করে নোড়ে মিশিয়ে দিন। জ্বাল কম করে দিন নিচে ধরে যেতে পারে। নাড়তে থাকুন পায়েস বেশ ঘন হয়ে এলে মিষ্টি
চেখে ( অনেকে একটু চড়া মিষ্টি পছন্দ করেন
তাই প্রয়োজনে চিনি দিয়ে দিতে পারেন)
নামিয়ে পরিবেশ ডিসে ঢেলে সাজানোর উপকরনদিয়ে সাজিয়ে পরিবেশ করুন গরম অথবা
ঠানডা ঠানডা লাউকদু বা লাউ এর পায়ে।
শীতের দিনে মজাদার খাবার "দুধ-কদু"
উপকরণ
মাঝারি সাইজের লাউ ১টি,
ঘি আধা কাপ,
ঘন দুধ ২ লিটার,
চিনি ১ কেজি,
সাদা এলাচ ৪টি,
দারুচিনি ২ সেমি লম্বা ৪ টুকরা,
খাবার গোলাপজল ২ টেবিল চামচ
প্রস্তুত প্রণালী
১। লাউয়ের খোসা ছাড়িয়ে বিচিসহ নরম অংশ কেটে বাদ দিন। সবজি কুরুনি দিয়ে লাউ
ঝুরি ঝুরি করে কাটুন।
২। ঝুরি করে কাটা লাউ ফুটন্ত পানি দিয়ে ৮-১০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। লাউ নিংড়ে
নিয়ে পানি ঝরিয়ে নিন।
৩। একটি পাত্রে ঘি দিয়ে গরম করুন। ঘিয়ে এলাচ, দারুচিনি ও লাউ দিয়ে ২-৩ মিনিট ভেজে
নিন।
৪। এরপর এতে ঘন দুধটুকু ঢেলে দিয়ে জ্বাল দিতে থাকুন। দুধ আরো ঘন হয়ে এলে
মৃদু আঁচে রেখে অল্প অল্প করে চিনি দিন এবং নাড়তে থাকুন।
৫। চিনি দেয়া শেষ হলে গোলাপজল দিয়ে দুধ-কদু নামিয়ে ফেলুন।
দুধ লাউ/দুধ কদু।
উপকরনঃ ১টা কচি লাউ
গ্রেট করে সেদ্ধ করে হাত দিয়ে চিপে ভালো করে পানি ঝরিয়ে নিবেন। তরল ঘন দুধ ১লিটার, চিনি পরিমান মত, অনেকে মিষ্টি কম বেশী খান, ঘি ১টেবিল চামচ, লবন এক চিমটি, দারচিনি কয়েক টুকরা, এলাচ ৩/৪টা ভালো করে গুড়ো করে
খোসাটা ফেলে দিবেন, কিসমিস, বাদাম
ইচ্ছেমত।
প্রনালীঃ একটি তলা ভারী হাড়ি বা কড়াই নিন।
ননস্টিক হলে ভালো হয়। তাতে ঘি দিয়ে সেদ্ধ লাউএর কুচি হালকা করে ভেজে দুধ দিয়ে দিন।
নাড়তে থাকুন। এলাচের গুড়ো, দারচিনি দিয়ে দিন। দুধ ফুটে যখন থকথকে হয়ে
আসবে তখন চিনি ও লবন দিয়ে নাড়ুন। দুধ শুখিয়ে মাখা মাখা হলে কাচের বাটিতে ঢেলে উপরে
কিসমিস, বাদাম দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন। দুধ লাউ কিন্তু
ঠান্ডা খেতে ভালো লাগে।
লাউ ও গাজরের পায়েস
উপকরণ :
লাউ মিহি কুচি গ্রেট করা ২ কাপ, গাজর মিহি কুচি গ্রেট করা ১ কাপ, নারিকেল কোরানো ১
কাপ, দুধ ২ লিটার, কনডেন্সড দুধ ১ কৌটা,
এলাচ গুঁড়ো আধা চা চামচ, ঘি ৩ টেবিল চামচ,
পেস্তা বাদাম কিসমিস সাজানোর জন্য পরিমাণমত।
প্রণালি :
লাউ ও গাজর ফুটন্ত পানিতে আধা সেদ্ধ করে কাপড়ে চিপে শুকিয়ে
নিতে হবে। ঘিয়ে লাউ ও গাজর ভূনে নিতে হবে। ২ লিটার দুধ ঘন করে নিয়ে লাউ ও গাজর
নারিকেল দিয়ে ভাল করে নেড়ে নেড়ে ঘন হয়ে এলে এলাচ গুড়ো দিয়ে নামাতে হবে। পেস্তা
বাদাম কিসমিস দিয়ে সাজিয়ে ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশন করতে হবে।
বাইন মাছ ও লাউ
উপকরণ : টুকরা করা বাইন মাছ ৩০০ গ্রাম, লাউ মাঝারি সাইজের একটি, মরিচ গুঁড়া আধা চা-চামচ,
হলুদ গুঁড়া আধা চা-চামচ, পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল
চামচ, রসুন বাটা আধা চা-চামচ, আদা বাটা
আধা চা-চামচ, জিরা বাটা আধা চা-চামচ, ধনেপাতা
কুচি ২ টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ ৫/৬টি (ফালি করা), লবণ ও তেল পরিমাণমত।
প্রস্তুত প্রণালী : প্রথমে মসলা
ভালোভাবে কষিয়ে তাতে মাছ দিয়ে কষিয়ে নিতে হবে। মাছ কষানো হলে টুকরো করা ধুয়ে রাখা
লাউ দিয়ে নেড়ে ঢেকে দিন (পানি দেয়ার প্রয়োজন নেই, লাউয়ে এমনিতেই
পানি উঠে)। লাউ সেদ্ধ হয়ে পানি কমে এলে কাঁচামরিচ ও ধনেপাতা দিয়ে ৫ মিনিট ঢেকে
রাখুন। এরপর নামিয়ে ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।
লাউ দিয়ে মুগ ডাল
উপকরণঃ
১. লাউ মিহি করে কাটা-৪ কাপ,
২. মুগ ডাল-৩ টেবিল চামচ,
৩. কাচা মরিচ-৩/৪ টা,
৪. নুন স্বাদ মতন,
৫. জিরার গুড়া-১ টেবিল চামচ,
৬. শুকনা মরিচ-২/৩ টা,
৭. ধনের পাতা কুচি-১ টেবিল চামচ,
৮. ময়দা-১ টেবিল চামচ,
৯. পাঁচ ফোড়ন-১/৪ টেবিল চামচ,
১০. তেল-১ টেবিল চামচ,
প্রণালীঃ
প্রথমে মুগ ডাল হালকা করে ভেজে নিন। একটা পাত্রে ২ কাপ
পরিমান পানি ফুটাতে দিন। পানি ফুটাতে শুরু করলে ডাল ও নুন দিয়ে দিন। ডাল আধা সেদ্ধ
হয়ে এলে তাতে লাও ও জিরার গুড়া দিয়ে দিন। তারপর কাচা মরিচ দিন। লাও সেদ্ধ হয়ে পানি
শুকিয়ে আসলে আঁচ থেকে নামিয়ে নিন। এবার আর একটি পাত্রে তেল চড়িয়ে দিন। তেল গরম হয়ে
আসলে তাতে শুকনা মরিচ-২/৩ টা ছেড়ে দিন। তারপর তেজপাতা ও পাঁচ ফোড়ন দিন। তারপর ডাল
ও লাও যেটা সেদ্ধ করে রাখা ছিল সেটা ছেড়ে দিন। তারপর একটু ময়দা পানিতে গুলিয়ে তাতে
ঢেলে দিন। কিছুক্ষণ অল্প জ্বালে রেখে নামিয়ে ফেলুন। এবার ধনের পাতা কুচি ছড়িয়ে
দিয়ে পরিবেশন করুন।
গলদা চিংড়ি-লাউর ঝোল
উপকরণ
গলদা চিংড়ি মাছ ৬টি। লাউ মাঝারি ১টি লম্বা করে টুকরা করা।
কাঁচামরিচ ৫/৬টি। সামান্য চিনি। কালিজিরা সামান্য। সামান্য হলুদ। জিরাগুঁড়ার বাটা
১ চা-চামচ। লবণ স্বাদমতো। তেল পরিমাণমতো। পানি ২ কাপ। ধনেপাতাকুচি উপরে ছড়িয়ে
দেওয়ার জন্য যতটুকু লাগবে।
পদ্ধতি
তেল গরম করে সামান্য লবণ আর সব মসলা দিয়ে চিংড়িগুলো ভালো
করে ভেজে নিন। চিনি পরে দেবেন। এবার লাউয়ের টুকরা আর দুই কাপ পানি দিয়ে হালকা আঁচে
রেখে ঢাকনা দিন।
২০ মিনিট লাগতে পারে। মাঝে মাঝে নাড়িয়ে দিতে ভুলবেন না।
এবার এক চিমটি চিনি ছিটিয়ে দিন। মিশিয়ে স্বাদ নিয়ে দেখুন। লবণ লাগলে দিবেন।
ধনেপাতাকুচি ছিটিয়ে আরও মিনিট খানেক চুলায় রাখুন।
ব্যস পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত।
মুরগির মাংসে কচি লাউ
উপকরণ:
মুরগির মাংস ১০০ গ্রাম
লাউ ২ কাপ (ডুমো করে কাটা)
পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ
রসুন বাটা ১ চা-চামচ
আদা বাটা ১ চা-চামচ
জিরা বাটা আধা চা-চামচ
হলুদ ও মরিচ গুঁড়া আধা চা-চামচ করে
গরম মসলা ১ চা-চামচ
এলাচ ৩-৪টি
দারুচিনি ২ টুকরা
তেজপাতা ২টি
কাঁচা মরিচ ৩-৪টি
লবণ স্বাদমতো
গরম পানি ২ কাপ
তেল প্রয়োজনমতো।
প্রণালি:
মাংস কেটে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন
সসপ্যানে তেল দিয়ে তাতে এলাচ ও দারুচিনি দিয়ে পেঁয়াজ
কুচি দিন
পেঁয়াজ একটু বাদামি হলে রসুন, আদা, তেজপাতা, হলুদ মরিচ,
জিরা বাটা, গরম মসলা এবং সামান্য পানি দিয়ে
ভালো করে কষান
মসলা কষা হলে তাতে মাংস ও লাউ দিন
একটু নাড়াচাড়া করে ২ কাপ গরম পানি দিয়ে ঢেকে দিন
ঝোল মাখা হলে এলাচ থেতো করে দিয়ে দিন
দারুচিনি ও কাঁচা মরিচ দিয়ে নামান
কচি লাউ একটু ঠান্ডা হলে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।
লাউয়ের হালুয়া
উপকরণ : লাউ ১টি, পেস্তা বাদাম কুচি ২ টেবিল চামচ, চিনি ২ কাপ,
মাওয়া (গ্রেট করা) ১/২ কাপ, ঘি ১/৪ কাপ,
গুঁড়া দুধ ১/২ কাপ, কিশমিশ ২ টেবিল চামচ ও
এলাচ ৪-৫টি।
প্রণালি : লাউয়ের খোসা
ছাড়িয়ে ধুয়ে গ্রেট করে নিন। চুলায় পাত্রে ঘি দিয়ে গরম হলে তাতে গ্রেট করা লাউ, চিনি ও গুঁড়া দুধ দিন। কিছুক্ষণ নেড়ে গ্রেট করা মাওয়া ও কিশমিশ দিয়ে দিন।
১০ মিনিট রান্না করুন। কিছুক্ষণ পর পর নেড়ে দেবেন। নামিয়ে ঠাণ্ডা হলে সার্ভিং ডিশে
ঢেলে ওপরে পেস্তা বাদামের কুচি দিয়ে দিন।
লাউয়ের ঝুরি ভাজি
উপকরণ : লাউ ঝুরি করে কাটা ২ কাপ, পেঁয়াজ মিহি করে কাটা ২ টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ আস্ত
১-২টি, লবণ স্বাদ অনুযায়ী, গোলমরিচের
গুঁড়া অর্ধেক চা চামচ।
প্রস্তুত প্রণালি : প্রথমে লাউয়ের
খোসা ছাড়িয়ে নিন। তারপর ঝুরি ঝুরি করে কেটে ধুয়ে ঝাঁঝরিতে পানি ঝরিয়ে রাখুন। একটি
ফ্রাইপ্যানে পেঁয়াজ ও কাঁচামরিচ তেলে হালকা ভেজে তাতে ঝুরি করা লাউ ও স্বাদ
অনুযায়ী লবণ দিয়ে ঢেকে রান্না করুন। ঝুরি ভাজি রান্না হয়ে এলে গোলমরিচের গুঁড়া
দিয়ে নামিয়ে পরিবেশন করুন।
কবুতর কদু
উপকরণ : কবুতর ২টি, কদু (লাউ) ১টি, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ, আদা বাটা ১ চা চামচ,
জিরা বাটা ১ চা চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ,
মরিচ গুঁড়া ২ টেবিল চামচ, ধনে গুঁড়া ১ চা চামচ,
লবণ পরিমাণমতো, তেল হাফ কাপ, পেঁয়াজ, জিরা, দারুচিনি,
এলাচ, তেজপাতা একসঙ্গে ভেজে বাটা ১ টেবিল
চামচ।
প্রস্তুত প্রণালি : প্রথমে কবুতরের
পালক তুলে ফেলে পরিষ্কার করে টুকরা করে কেটে ধুয়ে নিন। লাউ ছোট ছোট টুকরা করে কেটে
ধুয়ে নিন। এবার হাঁড়িতে তেল গরম করে পেঁয়াজ ও সব বাটা মসলা দিয়ে কষিয়ে নিন। মসলা
কষানো হলে মাংসগুলো দিয়ে দিন। মাংস কষানো হলে লাউ দিয়ে দিন। লাউ কষানো হলে সামান্য
পানি দিন। অল্প আঁচে ঢেকে রান্না করুন। মাংস সিদ্ধ হয়ে ঝোল ঘন হলে নামিয়ে নিন।
লাউ-টমেটোর টক
উপকরণ: লাউ টুকরো করা ২ কাপ, টমেটো ১ কাপ, মুগডাল আধা কাপ, আদাবাটা
আধা চা-চামচ, রসুনকুচি ১ চা-চামচ, তেজপাতা
১টি, হলুদগুঁড়া সামান্য, কাঁচা মরিচ
ফালি ২টি, তেঁতুলের মাড় ১ টেবিল-চামচ, চিনি
১ টেবিল-চামচ (ইচ্ছা হলে), লবণ স্বাদমতো, তেল ২ টেবিল-চামচ, পেঁয়াজকুচি ১ টেবিল-চামচ, আস্ত জিরা ১ চিমটি। পানি প্রয়োজনমতো।
প্রণালি: লাউ, টমেটো, ডাল, তেজপাতা, আদাবাটা, রসুনকুচি, লবণ,
সামান্য হলুদ ও ২ কাপ পানি দিয়ে প্রেশারকুকারে অথবা সসপ্যানে সেদ্ধ
দিতে হবে। সবজি-ডাল ভালো করে সেদ্ধ হলে ফ্রাইপ্যানে তেল দিয়ে আস্ত জিরা ও
পেঁয়াজকুচি দিয়ে ফোড়ন দিতে হবে। তেঁতুলের মাড়, চিনি ও কাঁচা
মরিচ দিয়ে নামিয়ে নিতে হবে।
Lauki or Bottle Gourd Juice Recipe:
Drinking a glass of bottle gourd juice early in the
morning on empty stomach regularly can be really beneficial to your health. The
simplest recipe to make it is just to peel it and make into pieces followed by
juicing in a juicer or a food processor. But if you don’t like the taste and prefer it to be little delicious then you can try the
recipe given below.
-
Wash the bottle gourd, peel and cut into pieces.
-
Check if the bottle gourd tastes bitter. Make sure it
doesn’t.
-
Add 5 mint leaves and water along
with these pieces to a jar.
-
Blend them together and take it into a glass.
-
Add a spoon of cumin powder, 2
spoons of black pepper powder and a pinch of salt. Stir well and add few ice
cubes. Drink it.
So, Start the Day
with Bottle Gourd Juice from now.
No comments:
Post a Comment