Wednesday, October 14, 2015

চাল কুমড়া

চাল কুমড়া বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় সবজী। দেশের সর্বত্রই এর চাষ হয়, যদিও মোট উৎপন্ন খুব বেশী নয়। চাল কুমড়ার লতা দূর্ঘপ্রসারী, কান্ড ও পাতা খসখসে ও লোমস, ফুল লাল ও আকর্ষণীয়, ফল আয়ত গোলাকার, ওজনে ৫-২০ কোজি। পরিপক্কতা লাভের সাথে সাথে ফলে ত্বকের উপর সাদা মোমের একটি স্তর পড়ে।
চাল কুমড়া উষ্ণ ও আর্দ্র জলবায়ুতে ভাল জন্মে। খারাপ মৌসুমে অনাবৃস্টিতেও ইহার চাষ হয়। ফেব্রয়ারী থেকে মে মাস পর্যন্ত যেকোন সময়ে চাল কুমড়া লাগানো যেতে পারে। বাউনী সহ অথবা বাউনী ছাড়াই ইহার চাষ হয়। চার মিটার দূরত্বে মাদা করে বীজ লাগাতে হয়।
প্রতি হেক্টরে ৩০০ গ্রাম বীজ লাগে। ভূঁয়ে ফসলের বেলায় মাটিতে খড় বিছিয়ে দেয়া উচিত, যাতে মাটির সংস্পর্শে এসে ফল পচে না যায়। বীজ বুনার ২ মাসের মধ্যে ফল ধারণ শুরু হয়।
হেক্টর প্রতি ফলন ১৫-২০ টন। কচি চাল কুমড়া সবজী হিসাবে এবং পরিপক্ক ফল মুরব্বা তৈরীতে ব্যবহৃত হয়। পাকা ফল অনেক দিন ঘরে সংরক্ষণ করে রাখা যায়। চাল কুমড়ার কান্ডের কচি ডগা শাক হিসেবে ভক্ষণযোগ্য।
বাংলাদেশের চাল কুমড়াকে, অন্যান্য দেশে, অ্যাশ লাউ,  হোয়াইট লাউ, শীতকালীন লাউ, শীতকালীন তরমুজ, Tallow লাউ, Chinese preserving melon নামে পরিচিত৷ এটা মহাজাতি Benincasa-র একমাত্র সদস্য
যক্ষ্মা, কোষ্ঠকাঠিন্য ও গ্যাস্ট্রিকসহ বহু উপকার করে চাল কুমড়া
যক্ষ্মা, কোষ্ঠকাঠিন্য ও গ্যাস্ট্রিকসহ বহু রোগের উপশম করে থাকে চাল কুমড়া। এই চাল কুমড়ার বহুবিধ উপকার সম্পর্কে আজ রয়েছে কিছু টিপস।

চাল কুমড়া ঘরের চালে জন্ম নিলেও গুণ রয়েছে শতগুণ। চাল কুমড়া আমরা তরকারি হিসেবে ব্যবহার ছাড়াও মোরব্বা, পায়েস ও কুমড়া বড়ি দিতেও কাজে লাগে। ভেষজ ওষুধ হিসেবে চাল কুমড়ার ফল, ফুল এবং পাতা কাজে লাগে। প্রাচীন ভেষজ চিকিৎসকরা যক্ষ্মা রোগিদের ব্যবস্থাপত্রে প্রায়ই চাল কুমড়ার রস উল্লেখ করতেন। তাদের ধারণা ছিল, চাল কুমড়ার মধ্যে রয়েছে রক্ত শোধক উপাদান।
# চাল কুমড়ার রস প্রতিদিন ৪/৫ চা চামচ চিনি ও দুধের সঙ্গে দিয়ে পুরো দিন খেলে যক্ষ্মা রোগের উপসর্গ কেটে যায়।
# যক্ষ্মা হয়নি অথচ কাশের সঙ্গে রক্ত বের হচ্ছে, এমন ক্ষেত্রে চাল কুমড়ার রস খেলে ভালো হয়ে যায়। এতে রক্ত বের হওয়া থেমে যায়। চাল কুমড়ার সঙ্গে বাসক পাতার রস মিশিয়ে খেলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
# চাল কুমড়া শরীরের মেদ কমায়। রক্ত নালীতে রক্ত চলাচল সহজতর করে।
# চাল কুমড়া খেলে হৃদযন্ত্রের পেশি সবল হয়। এ কারণে চলিশোর্ধ রোগীদের চাল কুমড়ার হালুয়া পথ্য হিসেবে খেতে দেওয়া হয়। চাল কুমড়ার হালুয়ার সঙ্গে ছাগলের দুধ মিশিয়ে খেলে শরীর সতেজ থাকে।
# কোষ্ঠকাঠিন্য, পেট ফাঁপা এবং প্রস্রাব কোন কারণে অনিয়মিত হয়ে গেলে চাল কুমড়া খেতে দেওয়া হয়। চাল কুমড়ার রস কিছুটা গরম দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য কেটে যায়।
# পেট ফাঁপার ক্ষেত্রে চাল কুমড়ার রস পেটে মালিশ করলে পেট ফাঁপা দ্রুত কেটে যায়।
# বড়দের পেটে কৃমি হলে চাল কুমড়ার বীজের সাস বেটে খাওয়াতে হয়। চাল কুমড়ার বিচি গ্যাস্ট্রিক রোগের উপশম করে।
পুষ্টি তথ্য
চাল কুমড়া বা শীতকালীন তরমুজ, (Waxgourd), কাঁচা
100 গ্রাম প্রতি পুষ্টিগত মান
শক্তি 54 কিলোজুল (13 কিলো)
শর্করা                                        3 গ্রাম

খাদ্যতালিকাগত ফাইবার               2.9 গ্রাম
চর্বি                                            0.2 গ্রাম
প্রোটিন                                       0.4 গ্রাম
ভিটামিন
থায়ামাইন (খ 1)                           0.04 মিলিগ্রাম        (3%)
Riboflavin (B2)                       0.11 মিলিগ্রাম         (9%)
নিয়াসিন (B3 থেকে)                     0.4 মিলিগ্রাম                    (3%)
প্যানটোথেনিক অ্যাসিড (B5)        0.133 মিলিগ্রাম      (3%)
ভিটামিন B6                               0.035 মিলিগ্রাম      (3%)
ভিটামিন সি                                13 মিলিগ্রাম            (16%)
খনিজ
ক্যালসিয়াম                                 19 মিলিগ্রাম             (2%)

আয়রন                                       0.4 মিলিগ্রাম            (3%)
ম্যাগনেসিয়াম                              10 মিলিগ্রাম             (3%)
ম্যাঙ্গানিজ                                0.058 মিলিগ্রাম        (3%)
ফসফরাস                                   19 মিলিগ্রাম              (3%)
সোডিয়াম                                   111 মিগ্রা                  (7%)
জিংক                                        0.61 মিলিগ্রাম           (6%)
* শতাংশ দৈনিক মূল্যবোধ একটি 2,000 ক্যালোরি খাদ্যের উপর ভিত্তি করে৷ আপনার দৈনন্দিন মান আপনার ক্যালোরি চাহিদার উপর নির্ভর করে কম বা বেশি হতে পারে৷
চাল কুমড়া ভাজি
উপকরনঃ
চাল কুমড়া ছোট ১ টি
পেয়াজ কুচি ১ টেবিল চামচ

রসুন কুচি ১ চা চামচ
লবন স্বাদ মত
জিরা ১ চিমটি
হলুদ ১ চিমটি
লাল মরিচ ২ টি
তেল ২ টেবিল চামচ
তেজপাতা ২ টি
প্রণালীঃ
চাল কুমড়া ভাজি স্টাইলে কেটে নিন কিংবা ভাজি কাটার কুরানি দিয়ে কেটে ধুয়ে লবন ও হলুদ মাখিয়ে নিন। কড়াইতে তেল দিয়ে পেয়াজ,রসুন,তেজপাতা, জিরা,লাল মরিচ দিয়ে কিছুক্ষন ভেজে কুমড়া দিয়ে ভাজতে থাকুন। পানি শুখিয়ে এলে ভাজা ভাজা হলে নামিয়ে দিন।
চাল কুমড়া ও আলু ভুনা (চিংড়ী যোগে)
উপকরনঃ
মাঝারি সাইজের চাল কুমড়ার অর্ধেক
কয়েকটা নুতন আলু
কয়েকটা চিংডী/ ছোট হলে আরো কয়েকটা(পরিমানটা আপনি নিজে নির্ধারন করুন)
পেঁয়াজ কুঁচি মাঝারী সাইজের দুটো

আদা বাটা হাফ টেবিল চামচ
রসুন বাটা এক টেবিল চামচ
হাফ চামচ হলুদ গুড়া
পরিমান মত লাল মরিচ গুড়া
এক চিমটি জিরা গুড়া
পরিমান মত লবন
পরিমান মত তেল/ পানি
ধনিয়া পাতার কুঁচি
কয়েকটা কাঁচা মরিচ
প্রনালীঃ
চাল কুমড়া ও আলু এভাবে কেটে ভাপিয়ে নিন (সামান্য লবন পানিতে হালকা সিদ্ব করে নিন), তেল গরম করে লবন যোগে পেঁয়াজ ভেজে তাতে আদা রসুন দিয়ে ভাল করে কষিয়ে নিন। সামান্য পানি দিতে ভুলবেন না। এবার মরিচ, হলুদ ও জিরা দিয়ে দিন। ভাল করে নাড়িয়ে নিন। তেল উঠে আসলে কয়েকটা চিংড়ী মাছ দিয়ে দিন, কয়েকটা কাঁচা মরিচ দিন এবং নাড়াতে থাকুন। তেল উঠে এলে এবার হাফ সিদ্ব চাল কুমড়া এবং আলু দিয়ে দিন। ভাল করে মিশিয়ে নিন। দেড় কাপ পানি দিন এবং মিনিট পনর ঢাকনা দিয়ে হালকা আঁচে রাখুন। মাঝে মাঝে দেখতে ভুলবেন না, নাডিয়ে দেবেন। ঝোল কেমন রাখবেন তা আপনার ইচ্ছা। ফাইন্যাল লবন দেখুন, লাগলে দিন। সব কিছু ঠিক থাকলে ধনিয়া কুঁচি ছিটিয়ে দিন। ব্যস পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত। এমন তরকারী হলে আর কি চাই! গরম ভাত কিংবা রুটি, সব কিছুর সাথেই চলবে।
চাল কুমড়ার হালুয়া
উপকরণ
চাল কুমড়া কুচি এক কাপ, মাওয়া এক কাপ, চিনি এক কাপ, এলাচ গুঁড়ো আধা চামচ, ঘি তিন  চা চামচ, দারুচিনি গুঁড়ো আধা চা চামচ, ঘি আধা কাপ, দুধ এক কাপ, বাদাম কুচি তিন চা চামচ এবং কিশমিশ সাজানোর জন্য।

প্রস্তুত প্রণালি
প্রথমে চালকুমড়া কুচি পানিতে সিদ্ধ করে নিন। এবার একটি প্যানে ঘি দিয়ে তাতে সিদ্ধ করা চালকুমড়া কুচি দিয়ে নাড়তে থাকুন। এখন এতে একে একে মাওয়া, চিনি, এলাচ গুঁড়া, দারুচিনি গুঁড়া ও দুধ একসঙ্গে মিশিয়ে অল্প আঁচে নাড়ুন। পানি শুকিয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে বাদাম কুচি ও কিশমিশ দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার চাল কুমড়ার হালুয়া।
চাল কুমড়ার সাধাসিধা রান্না
প্রয়োজনীয় উপকরনঃ
চাল কুমড়া/ঝালি, হাফ কেজি
৮/১০ টা চিংড়ি (বেশী দিলে বেশী স্বাদ)

পেঁয়াজ কুঁচি, চার/পাচ টেবিল চামচ
আদা বাটা, এক চা চামচ
রসুন বাটা, দুই চা চামচ
মরিচ গুড়া, হাফ চা চামচ বা দুই চিমটি, কম বেশী ঝাল বুঝে
হলুদ গুড়া, হাফ চা চামচ
কাঁচা মরিচ, কয়েক টা
লবন, পরিমান মত (দিতে হবে দুই দফায়)
তেল, ৮/১০ টেবিল চামচ কম বেশি
পানি (পরিমান মত)
প্রস্তুত প্রনালীঃ
কড়াইতে তেল গরম করে সামান্য লবন যোগে পেঁয়াজ কুঁচি ভাঁজুন। পেয়াজ হলদে হয়ে গেলে, আদা ও রসুন দিন এবং ভাঁজুন। মরিচ গুড়া ও হলুদ গুড়া দিন। এই রকম দেখাবে। কাঁচা মরিচ ছিরে দিন। এবার চিংড়ি গুলো দিয়ে দিন। ভাল করে মিশিয়ে নিন। আগুন মাধ্যম আঁচে থাকবে। এবার পানি ধরিয়ে রাখা কুমড়া গুলো দিয়ে দিন। মিশিয়ে নিন। আগুনের আঁচ অল্প করে দিয়ে ঢেকে রাখুন। আবার মিশিয়ে বা নাড়িয়ে নিন। চুলার ধার ছেড়ে যাবেন না। এবার ঝোলের পানি দিয়ে আগুন বাড়িয়ে দিন। এবার ধনিয়া পাতার কুঁচি এবং কাঁচা মরিচ (যদি ইচ্ছা হয়) দিন এবং মিশিয়ে কয়েক মিনিট রেখেই নামিয়ে ফেলুন। তবে লবন স্বাদ দেখতে ভুলবেন না। লাগলে দিন, মনে রাখুন লবন স্বাদ সঠিক না হলে যে কোন রান্নাই ভাল লাগে না ফলে চামচ দিয়ে ঝোল ঠান্ডা করে ভাল করে দেখুন। ব্যস, পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত।
সর্ষে বাটায় জালি
উপকরনঃ
কচি জালি কুমড়া/চাল কুমড়া (৭৫০ গ্রাম হতে পারে, তাজা হলে স্বাদ বেশী)
সরিষা, তিন চা চামচ আস্ত, বাটার পর যা হয়
মাঝারি পেঁয়াজ দুই/তিনটে

কাচা মরিচ, ৪/৫ টা
রসুন, ৪/৫ কোষ
চিনি, হাফ চা চামচ
তেল, হাফ কাপ
লবন, পরিমান মত
হলুদ গুড়া (সামান্য, শুধু জালি কুমড়াইয় মাখিয়ে নেয়ার জন্য)
কাচা মরিচ আস্ত কয়েকটা (শেষে দেবার জন্য, এগুলো থেকে ঝাল বের হবে না)
প্রনালীঃ
১ কচি জালি বা চাল কুমড়া যত তাজা হবে তত স্বাদ হবে। ভাল করে ধুয়ে পরিস্কার করে কাটার জন্য প্রস্তুত করে নিন।
২ এভাবে কেটে নিন। সাইড দিয়ে কুচিয়ে দিন।
৩ সামান্য লবন ও হলুদ গুড়া ছিটিয়ে দিন।
৪ এভাবে মেখে কিছুক্ষন রাখুন।
৫ মশলা প্রস্তুত করন। সর্ষে, পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ, রসুন বেটে মশলা করে নিন।
৬ এই হচ্ছে মশলা। এভাবে তুলে রাখুন।
৭ কড়াইতে এবার তেল গরম করে জালি গুলো ভেজে নিন।
৮ এভাবে ঢেকে কম আঁচে ভাজুন।
৯ এক পিট হয়ে গেলে অন্য পিট উলটে দিন।
১০ ভাজা হয়ে গেলে তেল ঝরিয়ে উঠিয়ে নিন
১১ এভাবে ভেজে আলাদা করে রাখুন।
১২ এবার মুল রান্না। ভাজার কড়াইতে তেল দেখে তাতে মশলা গুলো দিয়ে দিন। ভাল করে কষিয়ে/ভেজে নিন। চিনি ও এক চিমটি লবন দিতে ভুলবেন না। যেহেতু জালিতে আগেও লবন দেয়া হয়েছে, তাই এখানে কম লবন দিতে হবে। আর লবন কম হলেতো আমরা শেষে দিতেই পারবো।
১৩ মশলার ঘ্রান বের হবে এবং দেখেই বুঝবেন যে, এখন জালি ভাজি দেয়া দরকার। কয়েকটা কাঁচা মরিচ যোগে জালি গুলো দিয়ে দিন।
১৪ ভাল করে মিশিয়ে নিন।
১৫ এবার আবার মিনিট পাঁচ ঢাকনা দিয়ে কম আঁচে রাখুন। ফাইন্যাল লবন দেখুন, লাগলে দিন, না লাগলে ওকে বলুন।
১৬ ব্যস রেডী, পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত।
চাল কুমড়ার মোরব্বা
উপকরণ:
১ কেজি চাল কুমড়া

৪ কাপ চিনি
১ টেবিল চামচ চুন
১ ” দারুচিনি (ঐচ্ছিক)
প্রণালী:
১. চাল কুমড়া খোসা ছাড়িয়ে বীজ এবং মাঝের নরম অংশ কেটে ফেলে দিন ।
২. আপনার পছন্দ অনুসারে টুকরা করে ধুয়ে নিন ।
৩. একটি কাঁটাচামচ দিয়ে সব টুকরা ভাল করে কেচে নিন ।
৪. ১.৫ লিটার পানিতে চুন মিশিয়ে চাল কুমড়ার টুকরা প্রায় ৪ ঘন্টার জন্য ভিজিয়ে রাখুন।
৫. চুনের পানি থেকে কুমড়ার টুকরা সরিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন।
৬. করাই-তে পানি গরম করে ১0 মিনিটের জন্য এটি সিদ্ধ করুন ।
৭. পানি ঝরিয়ে ভাল করে শুকিয়ে নিন ।
৮. ২ কাপ পানি, চিনি এবং দারুচিনি একসঙ্গে গরম করুন।
৯. চিনি মিশে গেলে কুমড়া দিন এবং চিনির সিরাপ crystallize হলে নামিয়ে নিন ।
0 . তাপ থেকে সরিয়ে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল বা প্লাস্টিকের কাগজের উপর আলাদা আলাদা করে মোরব্বা রাখুন ।
১১. চাল কুমড়ার মোরব্বা ঠান্ডা হলে সংরক্ষণ করুন ।
কুমড়ো ফুল ভাজা
উপকরণ:

কুমরা ফুল ২৫-৩০টি। পেঁয়াচ কুচি ২ টেবিল চামচ, রসুনকুচি ১ চা চামচ, কাঁচামরিচ ২-৩টি, চিংড়ি মাছ ১ কাপ, হলুদ গুঁড়া আধা চা চামচ, লবণ স্বাদমতো, তেল ২ টেবিল চামচ, বেসন ১ টেবিল চামচ।
প্রণালী:

কুমড়া ফুলের বোঁটার আঁশ ফেলে ছোট ছোট করে কেটে ধুয়ে নিতে হবে। কড়াইয়ে তেল দিয়ে তাতে রসুন, পেঁয়াজ নিয়ে একটু কষে নিতে হবে। তারপর চিংড়ি মাছ দিয়ে আবার কষুন, এবার কুমড়া ফুল দিয়ে তাতে লবণ, হলুদ ও কাঁচামরিচ দিয়ে ভাজুন। সামান্য পানি দিয়ে বেসন গুলে দিন। কুমড়া ফুল ভাজা ভাজা করুন। ভাতের সাথে খেতে খুব ভাল লাগে।

No comments:

Post a Comment