কই মাছ
কৈ মাছে অধিক পরিমাণে ভিটামিন এ, খনিজ পদার্থ, যেমন- আয়রণ ও কপার রয়েছে। যা রক্তে হিমোগ্লোবিন তৈরিতে অত্যাবশ্যক। এ
ছাড়াও সহজে পঁচনযোগ্য চর্বি এবং অনেক এ্যামাইনো এসিড বিদ্যমান। প্রতি ১০০ গ্রাম
ভক্ষণযোগ্য কৈ মাছে প্রোটিন- ১৪.৮০ গ্রাম, স্নেহ-৮.৮০গ্রাম, আয়রণ-১.৩৫ গ্রাম, ক্যালসিয়াম- ০.৪২ গ্রাম, ফসফরাস - ০.৩৯ গ্রাম এবং ভিটামিন রয়েছে- ৩২.০০ গ্রাম।
প্রতি ১০০ গ্রামে
ভিটামিন
ভিটামিন A18.0IU0%
ভিটামিন C1.0mg2%
ভিটামিন ডি ~
~
ভিটামিন ই (আলফা Tocopherol)
0.1 mg 1%
ভিটামিন K 0.1 mcg 0%
Thiamin 0.0 mg 3%
Riboflavin 0.1 mg 4%
Niacin 0.9 mg 5%
ভিটামিন B6 0.1 mg 4%
Folate 3.0 mcg 1%
ভিটামিন B12 1.1 mcg 19%
প্যানটোথেনিক Acid 0.4 mg 4%
Choline 39.0 mg
betaine ~
খনিজ পদার্থ
Calcium48.0mg5%
Iron0.5mg3%
Magnesium 18.0 mg 5%
Phosphorus 120 mg 12%
Potassium 161 mg 5%
Sodium 37.2 mg 2%
Zinc 0.7 mg 4%
Copper 0.1 mg 5%
Manganese 0.4 mg 21%
Selenium 7.6 mcg 11%
ফ্লোরাইড ~
দেশী কৈ ও থাই কৈ মাছের শারিরীক বৈশিষ্ট্যগত পার্থক্য
দেশী কৈ থাই কৈ
তুলনামূলকভাবে ছোট, কম মাংসল ও লম্বাটে ধরনের তুলনামূলকভাবে বড় মাংসল ও চওড়া ধরনের
ছোট অবস্থায় কালচে ধরনের। পরিপক্ষ অবস্থায় পিঠের দেহ বর্ণ দেশী কৈ মাছের তুলনায় হালকা ফ্যাকাশে ধরনের। দেহের উপরিভাগে
দিকে বাদামী সবুজ এবং পেটের দিকে হালকা হলুদ রঙের হয়। ছোট ছোট কালো দাগ থাকে এবং পাখনাগুলো হালকা হলুদ রঙের হয়।
কানকোর পিছনে কালো দাগ থাকে কিন্তু পুচ্ছ পাখনায় গোড়ায কানকোর পিছনে ও পুচ্ছ পাখনার গোড়ায় কালো দাগ থাকে।
কালো দাগ থাকে না
মুখ প্রান্তিক ও “V’’ আকৃতির মুখ বড় প্রশস্ত ও “U’’ আকৃতির
কানকোর কাঁটা খুব শক্ত, অনিয়মিত এবং ধারালো কানকোর কাঁটা তুলনামূলকভাবে নরম, নিয়মিত
এবং সুস্থভাবে খাঁজকাঁটা
অংকীয় দিকে আইসের সজ্জা “U’’ আকৃতির অংকীয় দিকে আইসের সজ্জা “V’’ আকৃতির
কৈ মাছ ভাজি
উপকরণ :
কৈ মাছ পরিষ্কার করে ধোয়া ৮টি, রসুন বাটা আধা চা-চামচ, ধনেপাতা গুঁড়া ১ চা-চামচ, কাঁচামরিচ/শুকনা
মরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া সামান্য, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমত, তেল পরিমাণমত (ভাজার জন্য)।
প্রস্তুত প্রণালী :
কড়াইতে তেল দিয়ে গরম হলে একে একে কৈ মাছ ছেড়ে বাদামি বর্ণের করে ভেজে মচমচে
কৈ মাছ ভাজা পরিবেশন করুন।
কই-পালং পোস্ত
উপকরণ :
কই মাছ ৬টি; পালংশাক ২৫০ গ্রাম; পোস্ত বাটা ২
টেবিল-চামচ; আদা ও রসুন বাটা আধা চা-চামচ করে; টমেটো চটকানো ১ টেবিল-চামচ; পেঁয়াজ বাটা
২ টেবিল-চামচ; হলুদ, মরিচ
ও ধনের গুঁড়া আধা চা-চামচ করে; কাঁচা মরিচের ফালি
৪-৫টি; সয়াবিন তেল আধা কাপ; পানি পরিমাণমতো ও লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি :
লবণ ও হলুদ দিয়ে মাছ ভেজে রাখুন। ওই ভাজা তেলে সব মসলা টমেটো চটকানো দিয়ে
কষান। তারপর পালংশাক দিয়ে ২ মিনিট জ্বাল দিন। এতে ভাজা মাছ দিয়ে আরেকটু কষিয়ে ঝোল
দিন। ঝোল টেনে তেল ওপরে উঠে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ছড়িয়ে নামান।
কই মাছের পাতুরি
উপকরণ:
কই মাছ ৪টি, ২টি কাঁচা মরিচসহ সরষে বাটা ১ টেবিল-চামচ, নারকেল বাটা ১ টেবিল-চামচ, রসুন বাটা ১
চা-চামচ, পেঁয়াজ ১ টেবিল-চামচ, মরিচ গুঁড়া সামান্য, হলুদ গুঁড়া আধা
চা-চামচ, জিরা বাটা আধা চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ৪টি, লাউপাতা বড় ৪টি, লবণ স্বাদমতো, সরষের তেল প্রয়োজনমতো, সুতা পরিমাণমতো।
প্রণালি:
প্রথমে কই মাছ কেটে ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। লাউপাতা ও সুতা
ছাড়া তেলসহ সব মসলা একসঙ্গে মাখিয়ে কই মাছ ১৫ মিনিট ম্যারিনেট করে রাখতে হবে। ৪টি
বড় লাউপাতায় একটি করে মাছ ও একটি করে কাঁচা মরিচ দিয়ে ভালো করে মুড়িয়ে সুতা দিয়ে
পেঁচিয়ে বেঁধে নিতে হবে। প্রতিটি মাছ বাঁধা হলে সসপ্যানে মাছের সমান করে পানি দিয়ে
সেদ্ধ করতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে পাঁচ মিনিট পর তা নামিয়ে সুতা খুলে গরম ভাতের
সঙ্গে পরিবেশন করা যায় মজাদার
কই মাছের কমলার ঝোল
উপকরণ:
কই মাছ ছয়টি, অর্ধেক কমলার রস, পেঁয়াজবাটা দুই
টেবিল-চামচ, রসুন ও আদাবাটা আধা চা-চামচ, হলুদ, ধনে, মরিচ ও জিরা গুঁড়া আধা চা-চামচ করে, টমেটো
পিউরি দুই টেবিল-চামচ, তেজপাতা দুটি, গরম মসলার গুঁড়া এক টেবিল-চামচ, কাঁচামরিচ
কুচি, লবণ ও পানি পরিমাণমতো, তেল তিন টেবিল-চামচ।
প্রণালি:
হলুদ ও লবণ দিয়ে মাছ ভেজে রাখতে হবে। এবার ওই তেলেই তেজপাতা ফোড়ন দিয়ে সব
বাটা ও গুঁড়া মসলা অল্প পানি ও কমলার রস দিয়ে কষাতে হবে। লবণ, টমেটো ও মাছ
দিয়ে আরও একটু কষাতে হবে। এবার পরিমাণমতো পানি দিয়ে পাঁচ-ছয় মিনিট রান্না করতে
হবে। এবার ওপরে কাঁচামরিচ, কমলার রস দিয়ে দুই মিনিট
রেখে জিরা ও গরম মসলার গুঁড়া ছড়িয়ে নামাতে হবে কই-কমলার ঝোল।
কই মাছের গঙ্গা যমুনা
এটি একটি মোগলাই খাবার। এই মাছের নামকরণ করা হয়েছে দুটি নদীর নামে, গঙ্গা আর
যমুনা। কারণ, এই মাছ তৈরি করতে লাগবে দুই রকমের সস
বা গ্রেভি। একটি সস সরষে দিয়ে আর অন্যটি হবে তেঁতুল দিয়ে। ওপরের অংশটি হবে হলদে আর
নিচের অংশটি হবে কালচে।
উপকরণ :
৪টি কই মাছ, এক কাপের তিন ভাগের এক ভাগ তেল (মাছ ভাজার জন্য)।
গঙ্গা সস
২ টেবিল চামচ হলুদ সরষেদানা বাটা, ৫-৬টি কাঁচা মরিচ চিরে নেওয়া, ১ চা-চামচ লাল মরিচের গুঁড়া, ১ চা-চামচ
হলুদগুঁড়া, ২ টেবিল চামচ পেঁয়াজবাটা, ১ চা-চামচ রসুনবাটা, লবণ স্বাদমতো, ১ চা-চামচ পাঁচফোড়ন, এক কাপের তিন ভাগের
এক ভাগ সরষের তেল।
যমুনা সস
১ চা-চামচ হলুদ সরষেদানা, ২ চা-চামচ তেঁতুলরস (তেঁতুল অল্প পানি দিয়ে ঘন করে
গুলে নেবেন), আধা চা-চামচ লাল মরিচের গুঁড়া, ১ চা-চামচ চিনি, লবণ স্বাদমতো, এক কাপের তিন ভাগের এক ভাগ সরষের তেল।
প্রণালি :
মাছগুলো ভালো করে ধুয়ে অল্প হলুদ এবং লবণ দিয়ে মেখে গরম তেলে ভেজে নিন। এক
পাশে তুলে রাখুন।
এবার গঙ্গা সস বানানোর তেল গরম করে নিন। তাতে পাঁচফোড়ন দিয়ে দিন। পাঁচফোড়ন
যখন ফুটতে থাকবে তখন তার মধ্যে একে একে পেঁয়াজবাটা, রসুনবাটা দিয়ে ভালো করে কষে
নিন। এবার সরষেবাটা, হলুদের গুঁড়া, মরিচের গুঁড়া, লবণ, কাঁচা মরিচ এবং এক কাপের তিন ভাগের এক ভাগ পানি দিয়ে দিন। পানি ফুটে
এলে তার মধ্যে মাছগুলো ছেড়ে দিন। ঝোলটা ঘন হয়ে এলে চুলা বন্ধ করে দিন।
এবার অন্য একটি কড়াইয়ে যমুনা সসের তেল গরম করে নিন। এতে সরষেদানাগুলো ছেড়ে
দিন। ফুটে উঠলে একে একে তেঁতুলের রস, মরিচের গুঁড়া, লবণ এবং চিনি দিয়ে একটু নেড়ে এক কাপের তিন ভাগের এক ভাগ পানি দিয়ে দিন।
পানি ফুটে ঘন হয়ে তেল ওপরে এলে পরিবেশন করার প্লেটে যমুনা সস ঢেলে দিন। এবার খুব
সাবধানে গঙ্গার মাছগুলো হলুদ গ্রেভিসহ তুলে যমুনার গ্রেভির ওপর দিয়ে দিন। এমনভাবে
সাজাতে হবে যেন হলুদ অংশটি ওপরে থাকে এবং তেঁতুলের অংশটি নিচে থাকে। ব্যস, হয়ে গেল কই মাছের গঙ্গা যমুনা।
শর্ষে কৈ
উপকরণ :
কৈ মাছ (বড়) ৬টি, সরিষার তেল আধা কাপ, পেঁয়াজ বাটা আড়াই
টেবিল চামচ, রসুন বাটা ১ চা চামচ, সরিষা বাটা আধা চা চামচ, জিরা বাটা আধা
চা চামচ, হলুদ বাটা আধা চা চামচ, মরিচ গুঁড়া আধা চা চামচ, পেঁয়াজ কিউব আধা
কাপ, লবণ পরিমাণ মতো, কাঁচামরিচ
ফালি ৫-৬টি।
প্রস্তুত প্রণালি :
মাছ ভালো মতো ধুয়ে হালকা করে কেটে নিন, সব মসলা মাছের সঙ্গে মাখিয়ে পাত্রে
বিছিয়ে চুলায় বসান, কিছুক্ষণ জ্বাল দিয়ে কষানো হয়ে
গেলে মাছগুলো সাবধানে উল্টিয়ে নিন, মসলার তেল ওপরে
এলে ঝোল মাখামাখা হলে নামিয়ে ফেলুন, গরম গরম পরিবেশন
করুন।
কই মাছের এপিঠ-ওপিঠ
উপকরণ :
কই মাছ ৪টি, সরিষা বাটা ১ চা চামচ, জিরা বাটা আধা চা
চামচ, কাঁচামরিচ বাটা ২টি, মরিচ গুঁড়ো সামান্য, হলুদ গুঁড়ো আধা চা
চামচ, রসুন বাটা আধা চা চামচ, পেঁয়াজ বাটা ১ টেবিল চামচ, তেঁতুরের ঘন
রস ১ টেবিল চামচ, চিনি ১ চা চামচ, সরিষার তেল প্রয়োজনমতো, লবণ স্বাদমতো, পানি সামান্য।
প্রণালী :
কই মাছ কেটে পরিষ্কার করে ধুয়ে হলুদ, লবণ ও রসুন বাটা মেখে ১০ মিনিট
মেরিনেট করে রাখুন। ফ্রাই প্যানে তেল দিয়ে তাতে কই মাছগুলো লাল করে ভেজে তুলুন।
ফ্রাই প্যানে ১ চা চামচ তেল দিয়ে তাতে সরিষা বাটা, কাঁচামরিচ
বাটা, সামান্য হলুদ গু৭ড়ো ও লবণ দিয়ে কষে নিন। অল্প
পানি দিন। পানি ফুটে গেলে ভাজা কই মাছগুলো দিয়ে ঢেকে দিন। কোনো অবস্থায় মাছ উল্টে
দেবেন না। এক পিঠ ভাজা ভাজা হলে প্লেটে নামিয়ে রাখুন। আবার ফ্রাই প্যানে ১ চামচ
তেল দিন, তাতে পেঁয়াজ বাটা, মরিচ গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো, লবণ ও সামান্য পানি দিয়ে কষান। কষা হলে তেঁতুলের রস ও চিনি দিন। এবার
মাছগুলোর উল্টো পিঠে তেঁতুলের রস দিয়ে ঢেকে দিন। মাছ মাখা মাখা হলে নামিয়ে ভাতের
সঙ্গে পরিবেশন করুন মজাদার কই মাছের এপিঠ-ওপিঠ।
ভাপে কই মাছ
উপকরণ ও পরিমাণ:
কই মাছ ছয় টুকরা, সরিষা বাটা দুই টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়া
আধা চা চামচ, সরিষার তেল সিকি কাপ, পেঁয়াজ বেরেস্তা এক কাপ, কাঁচা মরিচ ফালি
ছয়-সাতটি, মরিচ গুঁড়া আধা চা চামচ, লবণ এক চা চামচ।
প্রণালী:
ওপরের সব উপকরণ একসঙ্গে মাখাতে হবে। এবার একটি সসপ্যানে মাছগুলো ঢাকনা দিয়ে
পুডিংয়ের মতো ডবল বয়লারে রান্না করতে হবে ২৫ মিনিট। নামিয়ে পাঁচ মিনিট পর ঢাকনা
খুলে ভাতের সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করতে হবে। এই রান্না প্রেসার কুকারেও করা যায়।
কৈ মাছের দোপেঁয়াজা
যা লাগবে :
কৈ মাছ ৪টা, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ,
পেঁয়াজ বাটা ১ টেবিল চামচ, আদা ও রসুন বাটা আধা চা চামচ করে, জিরা বাটা, হলুদ, ধনে গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া আদা চা চামচ করে।
কাঁচামরিচ ফালি ৪টা, টমোটো কুচি আধা কাপ, তেল আধা কাপ, লবণ ও পানি পরিমাণ মতো।
যেভাবে করবেন :
কড়াইতে তেল গরম হলে পেঁয়াজ কুচি ভেজে তাতে সব মশলা দিয়ে দিন। একটু নেড়ে
সামান্য পানি দিয়ে মশলা কষান। এবার ধুয়ে রাখা মাছ ও টমেটো কুচি দিয়ে দিন। একটু
কষিয়ে ১ কাপ পানি দিয়ে রান্না করুন। পানি শুকিয়ে তেল উপরে উঠে এলে কাঁচামরিচ দিয়ে
নামিয়ে নিন।
কই-পালংয়ের ঝাল ঝোল
উপকরণ:
কই মাছ ৬টি, পালংশাক ২৫০ গ্রাম, তেল ছোট কাপের ১ কাপ, টমেটো কুচি ১টি, পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল
চামচ, রসুন বাটা ১ চা চামচ, কাটা পেঁয়াজ ১ কাপ, রসুন কুচি ১ চা চামচ, হলুদ, মরিচ ও ধনেগুঁড়া ১ চা চামচ করে, পানি, লবণ ও কাঁচামরিচ পরিমাণমতো।
প্রণালি:
লবণ ও হলুদ দিয়ে মাছ একটু হালকা আঁচে আধা ভাজা করে রাখতে হবে। এবার ওই
তেলেই রসুন ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে টমেটো, বাটা মসলা ও গুঁড়া মসলা সামান্য পানি
দিয়ে রান্না করতে হবে। মসলা কষানো হলে এতে শাক দিতে হবে। একটু পরে ভাজা মাছ ও আরও
একটু লবণ দিয়ে ৫-৬ মিনিট রেখে পরিমাণমতো ঝোল দিতে হবে। রান্না হয়ে এলে কাঁচামরিচ
দিয়ে কিছুক্ষণ দমে রেখে নামাতে হবে।
আস্ত রসুনে কই মাছের দোপেঁয়াজা
উপকরণ:
কই মাছ ৫টি, আস্ত রসুনের কোয়া ২০-২২টি, রসুন বাটা ১
চা-চামচ, পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, মরিচ গুঁড়া ১
চা-চামচ, জিরা বাটা আধা চা-চামচ, ধনেপাতা কুচি ১ টেবিল-চামচ,
কাঁচামরিচ (ফালি) ৩-৪টি, লবণ স্বাদমতো, তেল
প্রয়োজনমতো, পানি অল্প।
প্রণালি:
মাছ কেটে ধুয়ে তাতে লবণ, হলুদ গুঁড়া, মরিচ
গুঁড়া ও রসুন বাটা মেখে তেল দিয়ে লাল করে এপিঠ-ওপিঠ ভাজুন এবং তুলে রাখুন। কড়াইয়ে
পরিমাণমতো তেল দিয়ে তাতে পেঁয়াজ বাটা, মরিচ গুঁড়া, হলুদ গুঁড়া, জিরা বাটা, লবণ ও সামান্য পানি দিয়ে কষিয়ে নিন। কষানো হলে ১ কাপ পানি দিন। আস্ত
রসুনগুলো দিন। পানি ফুটে উঠলে ভাজা কই মাছগুলো দিন। ঝোল ঘন হয়ে এলে ধনেপাতা ও
কাঁচামরিচ দিয়ে নামিয়ে নিন।
মজাদার কই ভুনা
উপকরণঃ
কই মাছ ৮টি, পেঁয়াজ কিমা ২ টে. চামচ, রসুন কিমা ১ টে.
চামচ, আদা কিমা আধা চা চামচ, হলুদ গুঁড়ো আধা চা. চামচ, মরিচ গুঁড়ো ১
চা. চামচ, পেঁয়াজ ভাঁজে খোলা আধা কাপ, টমেটো টুকরা করে কাটা আধা কাপ, ক্যাপসিকাম
টুকরা সিকি কাপ, লবণ পরিমাণমতো, চিনি ১. চা চামচ, লেবুর রস জুস ১ টেবিল
চামচ, কাঁচা মরিচ ৫-৬টি, পেঁয়াজ পাতা ১ আঁটি, গুঁড়ো দুধ ১ টেবিল
চামচ, টক দই আধা কাপ।
প্রণালীঃ
১. মাছ পরিষ্কার করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে হলুদ গুঁড়ো, মরিচ গুঁড়ো, আধা চা চামচ রসুন কিমা, লেবুর রস, লবণ ও ১ টেবিল চামচ তেল দিয়ে
মেখে ২০ মিনিট রাখতে হবে।
২. ফ্রাইপ্যানে তেল গরম করে মাছ ভেজে নিতে হবে। ৩. কড়াইয়ে ৫ টে. চামচ তেল
গরম করে আধা চা চামচ রসুন কিমা, পেঁয়াজ ও আদা দিয়ে কিছুক্ষণ ভুনে মরিচ গুঁড়ো, ভাঁজে খোলা পেঁয়াজ ও টমেটো দিয়ে আরও কিছুক্ষণ ভুনে ১ কাপ পানি দিতে
হবে। লবণ ও দই দিতে হবে। ফুটে উঠলে মাছ দিতে হবে। ক্যাপসিকাম ও কাঁচা মরিচ দিতে
হবে। সিকি কাপ পানিতে দুধ ও চিনি গুলিয়ে দিতে হবে। লেবুর রস ও পেঁয়াজ পাতা দিয়ে
নামাতে হবে।
তৈল কই
উপকরণ:
কই মাছ ৪টি, সরিষার তেল ৫-৬ চা-চামচ পেঁয়াজবাটা ১ টেবিল চামচ, রসুন ও কাঁচা মরিচ (টেলে বেটে নেওয়া) ১ চা-চামচ, জিরাবাটা আধা চা-চামচ, হলুদগুঁড়া ১
চা-চামচ, মরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, ধনেপাতা কুচি ১ টেবিল
চামচ, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ ফালি ২-৩টি।
প্রণালি:
প্রথমে মাছ কেটে ভালো করে পানি ঝরাতে হবে। তারপর লেবুর রস, লবণ, সামান্য হলুদ ও মরিচগুঁড়া এবং ১ টেবিল চামচ সরিষার তেল দিয়ে মাখিয়ে ১০
মিনিট মেরিনেট করে রাখতে হবে। ফ্রাইপ্যানে তেল দিয়ে তাতে কই মাছগুলো ভেজে নিন।
এবার বাকি তেল ও মসলা দিয়ে ভুনে ১ কাপ পানি দিয়ে তাতে ভাজা মাছগুলো দিতে হবে।
কিছুক্ষণ পর একবার মাছ উল্টে দিয়ে ধনে পাতা ও কাঁচা মরিচ ফালি দিতে হবে। তেল ওপরে
উঠে এলে নামিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার তেল কই।
দুধ কই
উপকরণঃ
বড় কই মাছ – ৬/৭ টা
আদা বাটা – ১/২ চা চামচ
পেঁয়াজ বাটা – ১ টা
কাঁচা লঙ্কা বাটা – ৪ টে
হলুদ গুঁড়ো – ১/২ চা চামচ
জিরের গুঁড়ো – ১ চা চামচ
গরমমশলা গুঁড়ো – ১/২ চা চামচ
ফোঁড়ন দেবার জন্য পাঁচফোড়ন – ১/৪ চা চামচ
নারকেলের দুধ – ১ কাপ
নুন, মিষ্টি – আন্দাজমত
প্রণালীঃ
মাছে নুন, হলুদ মাখিয়ে সাঁতলে নিন।
এবারে তেলে পাঁচফোড়ন দিয়ে আদা, কাঁচা লঙ্কা, পেঁয়াজ বাটা কষে নিন।
হলুদ, জিরে গুঁড়ো জলে এলে কড়াইতে দিন।
মাছ দিন।
নুন আন্দাজমত দিন, ১/৪ চা চামচ চিনি দিন।
জল শুকিয়ে গেলে নারকেলের দুধ দিন।
ফুটে উঠলেই নামিয়ে গরমমশলার গুঁড়ো দিয়ে ঢাকা দিয়ে রাখুন। ঢাকা না দিলে
কিন্তু গন্ধ পালিয়ে যাবে।
আনারস দিয়ে কই মাছ
উপকরণঃ –
কই মাছ ৬টি
আনারসের রস ৪ টেবিল চামচ
সরিষা বাটা ১ চা চামচ
পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল চামচ
জিরা বাটা ১ চা চামচ
হলুদ অল্প
সরিষার তেল ২ টেবিল চামচ
কাঁচামরিচ বাটা আধা চা চামচ
লবণ স্বাদমতো।
প্রস্তুত প্রণালীঃ –
মাছ ধুয়ে লবণ-হলুদ মাখিয়ে নিন। কড়াইয়ে তেল গরম হলে মাছ হালকা করে ভেজে
নিন। মাছ তুলে তেলে পেঁয়াজ বাটা দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে অন্য সব বাটা মসলা দিয়ে
কষান। অল্প পানি দিয়ে মাছ, লবণ ও হলুদ দিন। মাছ রান্না হয়ে এলে আনারসের রস দিন। অল্প আঁচে
কিছুক্ষণ রেখে নামিয়ে ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।
নারকেলের দুধে কই
উপকরণ :
বড় কই মাছ ৬টি, নারকেলের দুধ দেড় কাপ, পেঁয়াজকুচি ১ কাপ, পেঁয়াজবাটা ২ টেবিল-চামচ, আদাবাটা ১
চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, জিরাবাটা ১ চা-চামচ, মরিচগুঁড়া ১
চা-চামচ, হলুদগুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, তেল ১ কাপ, টমেটো সস ২ টেবিল-চামচ, ধনেপাতাকুচি ২
টেবিল-চামচ।
প্রণালি :
মাছ পরিষ্কার করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে হলুদ, লবণ মাখিয়ে গরম তেলে ভেজে উঠিয়ে রাখতে
হবে। ওই তেলে পেঁয়াজ ঘিয়ে রং করে ভেজে সব বাটা ও গুঁড়া মসলা দিয়ে কষিয়ে নিতে হবে।
এবার লবণ, টমেটো সস ও মাছ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে
নারকেলের দুধ দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। ঝোল কমে তেলের ওপর এলে কাঁচা মরিচ, ধনেপাতাকুচি দিয়ে নামাতে হবে।
No comments:
Post a Comment